খাদ্যে অ্যালার্জি

খাদ্যে এলার্জি খাদ্য থেকে তৈরি হওয়া এক অস্বাভাবিক ইমিউন প্রতিক্রিয়া[1] এলার্জি প্রতিক্রিয়া লক্ষণগুলি হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। [1] এতে চুলকানি, জিহ্বা ফুলে ওঠা, বমি, ডায়রিয়া, হাইভ, শ্বাসকষ্ট বা রক্তচাপ কম হয়ে যেতে পারে। [1] এটা সাধারণত এক্সপোজারের কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘটে। [1] যখন লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তখন তাকে অনাফিল্যাক্সিস বলা হয়। [1] খাদ্যে অসহিষ্ণুতা এবং খাদ্যে বিষাক্ততা পৃথক অবস্থা এবং সেগুলো ইমিউন প্রতিক্রিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় না। [1] [2]

Food allergy
পিঠে লালচে ছোপ (হাইভ) এলার্জির কিছু সাধারণ উপসর্গ
বিশেষত্বEmergency medicine
লক্ষণItchiness, swelling of the tongue, vomiting, diarrhea, hives, trouble breathing, low blood pressure[১]
রোগের সূত্রপাতMinutes to several hours of exposure[১]
স্থিতিকালLong term, some may resolve[২]
কারণImmune response to food[১]
ঝুঁকির কারণFamily history, vitamin D deficiency, obesity, high levels of cleanliness[১][২]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিBased on a medical history, elimination diet, skin prick test, oral food challenge[১][২]
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয়Food intolerance, celiac disease, food poisoning[১]
প্রতিরোধEarly exposure to potential allergens[২][৩]
চিকিৎসাAvoiding the food in question, having a plan if exposure occurs, medical alert jewelry[১][২]
ঔষধAdrenaline (epinephrine)[১]
সংঘটনের হার~6% (developed world)[১][২]

সাধারণত গরুর দুধ, চিনাবাদাম, ডিম, শেলফিশ, মাছ, গাছ বাদাম, সয়া, গম, চাল এবং ফল এর দ্বারা খাদ্যে এলার্জি হতে পারে। [1] [2] [3] সাধারণ এলার্জি দেশের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। [1] ঝুঁকির কারণগুলি হতে পারে পারিবারিক এলার্জির ইতিহাস, ভিটামিন ডি-এর অভাব, স্থূলতা এবং অত্যধিক পরিচ্ছন্নতার। [1] [2] অ্যালার্জিগুলি ঘটে যখন শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ ইমিউনোগ্লোবুলিন ই (IgE), খাদ্য অণুর সাথে সংযুক্ত হয়। [1] খাদ্যের প্রোটিনই মূলত মূল সমস্যা। [2] এটি হিস্টামাইনের মতো প্রদাহজনক রাসায়নিক পদার্থগুলি মুক্ত করে। [1] রোগ নির্ণয় সাধারণত একটি চিকিৎসা ইতিহাস, খাদ্য বাছাই, ত্বক বিদ্ধ করে পরীক্ষা, নির্দিষ্ট খাদ্যের IgE অ্যান্টিবডিগুলির জন্য রক্ত পরীক্ষা, বা মৌখিক খাদ্য চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে হয়। [1] [2]

যে সকল খাবারে এলার্জি হতে পারে শুরু দিকেই সে সকল খাবারের এক্সপোজার প্রতিরক্ষামূলক হতে পারে। ব্যবস্থাপনা করা হয় যে সকল খাবারে এলার্জি আছে সেগুলো এড়িয়ে চলা এবং এক্সপোজার হয়ে গেলে পরিকল্পনা রাখার মাধ্যমে। এই পরিকল্পনার   অংশ হতে পারে অ্যাড্রেনালিন দেওয়া এবং চিকিৎসা সর্তকতা জুয়েলারি পরা। খাদ্যে এলার্জির ক্ষেত্রে এই এলার্জেন ইমুনোথেরাপির উপকার উপকার পরিষ্কার নয়, তাই ২০১৫ সাল থেকে এটাকে সুপারিশ করা হয় না। বাচ্চাদের কিছু খাদ্যে এলার্জি বয়সের সাথে সাথে সমাধান হয়ে যায় যেমন দুধ, ডিম এবং সয়া; অন্যদিকে কিছু কিছু যেমন বাদাম এবং সেলফিশ এর সমাধান সাধারণত হয় না।

উন্নত বিশ্বে প্রায় ৪% থেকে ৮% লোকের  কমপক্ষে একটি  খাবারে খাদ্য এলার্জি আছে। এটা  প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে বাচ্চাদের মধ্যে বেশি এবং অনুপাতে বাড়ছে।  মেয়ে শিশুদের থেকে সাধারণ ছেলে  শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। কিছু এলার্জি সাধারণত জীবনের শুরুর দিকে বিকশিত হয় কোন দিকে কিছু এলার্জি সাধারণত পরবর্তী জীবনে বিকশিত হয়।  উন্নত বিশ্বে জনগণের একটি বড় অংশ বিশ্বাস করে তাদের খাদ্যে এলার্জি আছে যদিও তাদের খাদ্যে এলার্জি থাকে না।  ব্রাজিলে খাদ্যে এলার্জি এর উপস্থিতি জানানো বাধ্যতামূলক।

লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পাদনা

খাদ্য এলার্জিগুলি সাধারণত দ্রুত শুরু হয় (সেকেন্ড থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত) এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:[৪]

  • ফুসকুড়ি
  • হাইভস [৪]
  • মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা, গলা, চোখ, ত্বক, বা অন্যান্য এলাকায় চুলকানি [৪]
  • ঠোঁট, জিহ্বা, চোখের পাপড়ি, বা পুরো মুখ ফুলে যাওয়া ( angioedema ) [৪]
  • খাবার গিলতে সমস্যা [৪]
  • সর্দি কিংবা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া [৪]
  • কর্কশ কণ্ঠ [৪]
  • হুইসিং (শ্বাসের সময় বাঁশির মোট শব্দ) এবং / অথবা শ্বাসকষ্ট [৪]
  • ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, এবং / অথবা পেট কামড়ানো [৪]
  • মাথা হাল্কা হয়ে যাওয়া [৪]
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া [৪]
  • বমি বমি ভাব [৪]
  • বমি করা [৪]

অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে কয় ঘণ্টা দেরিও হতে পারে। [৪]

লক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে। প্রতিক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের পরিমাণেও ভিন্ন হয়। [৫]

এলার্জি সংক্রান্ত গুরুতর বিপদ শুরু হতে পারে যখন শ্বাসযন্ত্র বা রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়। শ্বাস এর সময় বাঁশির মতো শব্দ বা  নীল হয়ে যাওয়া দেখে এটার নির্দেশ পাওয়া যেতে পারে। রক্ত সঞ্চালন কম হয়ে গেলে পালস দুর্বল হয়ে যায়, চামড়া সাদা হয়ে যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। [৬]

অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন এর একটি গুরুতর ঘটনা হল যখন শ্বাসতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র আক্রান্ত হয়, একে অ্যানফিল্যাক্সিস বলা হয়। যখন রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ গুলো প্রকাশ পায় তখন তখন ব্যক্তিটিকে এনাফিল্যাক্টিক শক -এ আক্রান্ত বলে মনে করা হয়। যখন IgE অ্যান্টিবডি জড়িত থাকে এবং শরীরের যে অংশ খাদ্যের সাথে সরাসরি যোগাযোগে থাকে না -সে সকল অংশ আক্রান্ত হয় এবং উপসর্গ দেখায় তখন অ্যানাফিল্যাক্সিস ঘটে। যাদের চিনাবাদাম, গাছ বাদাম কিংবা সামুদ্রিক খাবারে এলার্জি আছে তাদের অ্যানফিল্যাক্সিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

কারণ সম্পাদনা

যদিও সংবেদনশীলতা মাত্রা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হতে পারে,  সাধারনত দুধ, ডিম, চিনাবাদাম, গাছ বাদাম, সামুদ্রিক খাবার, শেলফিশ, সয়াবিন এবং গমের এলার্জি পাওয়া যায়। [৭] এগুলোকে প্রায়ই একসাথে "বৃহৎ আট" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। [৮] বীজের অ্যালার্জি - বিশেষত তিলে - অনেক দেশে বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। [৯] বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ এলার্জির একটি উদাহরণ হল ভাতের এলার্জি যেটা পূর্ব এশিয়ার একটি খাবারের একটি বড় অংশ। [১০]

সবচেয়ে সাধারণ খাদ্য এলার্জিগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে চিনাবাদাম সংবেদনশীলতা, যা বীজ পরিবারের সদস্য। চিনাবাদাম এলার্জি গুরুতর হতে পারে কিন্তু বড় হবার সাথে সাথে অনেক শিশুর এটা দূর হয়ে যায়।[১১] কাশু, ব্রাজিল বাদাম, হজেলন, ম্যাকডামিয়াম বাদাম, পেকান, পিস্তাশিও, পাইন বাদাম, নারকেল এবং আখরোটও কতগুলো সাধারণ অ্যালার্জেন। ভুক্তভোগী একটি কিংবা বিভিন্ন ধরনের গাছ বাদমে সংবেদনশীল হতে পারে। [১১] এছাড়াও, বীজ যেমন, তিল এবং পপি বীজ তেলে প্রোটিন থাকে, যা এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। [১১]

প্রতি ৫০ জন বাচ্চার একজনের ডিমে এলার্জি থাকতে পারে কিন্তু তা পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। [১২] সাধারণত, ডিমের কুসুম এর চাইতে ডিমের সাদা অংশের প্রোটিনে বেশি সংবেদনশীলতা থাকে। [১১]

আরও কিছু সাধারণ এলার্জেন হল গরু, ছাগল বা ভেড়ার দুধ এবং অনেক ভুক্তভোগী দুগ্ধজাতীয় খাদ্য যেমন পনির সহ্য করতে পারে না। দুধের এলার্জিযুক্ত শিশুদের একটি ছোট অংশ, প্রায় ১০% এর গরুর মাংসের প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। গরুর মাংসে সামান্য পরিমাণ প্রোটিন থাকে যা গরুর দুধেও থাকে।[১১]

সামুদ্রিক খাবার অ্যালার্জেনের অন্যতম একটি উৎস; মানুষ মাছ, ক্রাস্তেসিয়ান, বা শেলফিশ -এ পাওয়া প্রোটিনে এলার্জিক হতে পারে। [১৩]

অন্যান্য যে সকল খাবারে এলার্জিক প্রোটিন থাকতে পারে যেমন সয়া, গম, ফল, শাকসবজি, ভুট্টা, মসলা, কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক রং, [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং বিভিন্ন রাসায়নিক।

বিভিন্ন খাবারে থাকা পেরুর বালসাম, "শীর্ষ পাঁচ" অ্যালার্জির একটি যা চর্মরোগ ক্লিনিকে প্যাচ টেস্ট সাধারণত সংবেদনশীলতা দেখায়। [১৪][১৫][১৬]

সংবেদনশীলতা সম্পাদনা

সংবেদনশীলতা খাদ্যনালী ও শ্বাসনালি এবং সম্ভবত ত্বকের মাধ্যমে ঘটতে পারে। [১৭] প্রস্তাব হয়েছে যে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি যেমন একজিমা সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে। [১৮] মেডিসিন ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভ্যাকসিনের খাদ্য প্রোটিনগুলি যেমন জেলাতিন, দুধ, বা ডিম ভ্যাকসিন গ্রহীতার মধ্যে, সেসব খাদ্যদ্রব্যগুলিতে সংবেদনশীলতা (অ্যালার্জির উন্নয়ন) সৃষ্টি করতে পারে। [১৯]

এটপি সম্পাদনা

যেসব মানুষের মধ্যে অ্যালপিক সিনড্রোম থাকে, খাদ্যের অ্যালার্জিগুলি তাদের মধ্যে আরও সহজেই বিকাশ ঘটায়, রোগের একটি খুব সাধারণ সংমিশ্রণ: এলার্জি রাইনাইটিস এবং কনজেন্ট্টিভাইটিস, অ্যাকজমা এবং হাঁপানি[২০] সিনড্রোম একটি শক্তিশালী উত্তরাধিকার উপাদান আছে; এলার্জি রোগের একটি পারিবারিক ইতিহাস এটোপিক সিনড্রোমের নির্দেশক হতে পারে।  

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; NIH2012pdf নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Sic2014 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Ie2016 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. টেমপ্লেট:MedlinePlusEncyclopedia
  5. Simons, F. Estelle R.; Ardusso, Ledit R. F. (২০১১-০২-২৩)। "World Allergy Organization Guidelines for the Assessment and Management of Anaphylaxis": 13–37। আইএসএসএন 1939-4551ডিওআই:10.1097/WOX.0b013e318211496cপিএমআইডি 23268454পিএমসি 3500036  
  6. van Ree 1
  7. "Food Allergy Facts & Figures"। Asthma and Allergy Foundation of America। মার্চ ২৮, ২০০৭। ডিসেম্বর ৭, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০১৯ 
  8. "Food allergy and intolerance"Allergy & Intolerance। Food Additives and Ingredients Association। ২০১১-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-০৮ 
  9. "About Food Allergies"Food Allergy Initiative। ২০০৮। ২০০৮-১২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৮ 
  10. "Rice Allergy"। HealthCentersOnline। ২০০৬। পৃষ্ঠা 2। ২০০৬-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২৬ 
  11. Sicherer 2006
  12. Savage JH, Matsui EC, Skripak JM, Wood RA (ডিসেম্বর ২০০৭)। "The natural history of egg allergy": 1413–7। ডিওআই:10.1016/j.jaci.2007.09.040পিএমআইডি 18073126 
  13. "Seafood (Fish, Crustaceans and Shellfish) - Priority food allergens"। Health Canada, Health Products and Food Branch, Food Directorate, Bureau of Chemical Safety, Food Research Division। ২০১২। ২০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  14. Gottfried Schmalz; Dorthe Arenholt Bindslev (২০০৮)। Biocompatibility of Dental Materials। Springer। আইএসবিএন 9783540777823। মে ১৮, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৪ 
  15. Thomas P. Habif (২০০৯)। Clinical Dermatology। Elsevier Health Sciences। আইএসবিএন 978-0323080378। সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৬, ২০১৪ 
  16. Edward T. Bope; Rick D. Kellerman (২০১৩)। Conn's Current Therapy 2014: Expert Consult। Elsevier Health Sciences। আইএসবিএন 9780323225724। মে ৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৬, ২০১৪ 
  17. Valenta, R; Hochwallner, H (২০১৫)। "Food Allergies: The Basics": 1120–1131.e4। আইএসএসএন 1528-0012ডিওআই:10.1053/j.gastro.2015.02.006পিএমআইডি 25680669 
  18. Flohr, C (২০১৩)। "Atopic Dermatitis and Disease Severity Are the Main Risk Factors for Food Sensitization in Exclusively Breastfed Infants": 345–350। ডিওআই:10.1038/jid.2013.298পিএমআইডি 23867897পিএমসি 3912359  
  19. Clayton, E (২০১২)। Adverse Effects of Vaccines: Evidence and Causality। Institute of Medicine। পৃষ্ঠা 65। আইএসবিএন 978-0-309-21435-3 
  20. "Other atopic dermatitis and related conditions"ICD9। ২০০৭-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।