কৈলাস পর্বত
কৈলাস পর্বত (সংস্কৃত: कैलास्, তিব্বতি: གངས་རིན་པོ་ཆེ, ওয়াইলি: gangs rin po che, 冈仁波齐峰)[১][২] গ্যাঙ্গডিস পর্বতের চূড়া যা তিব্বতের হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ। এটি এশিয়ার বৃহৎ সিন্ধু নদী, শতদ্রু নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ প্রভৃতি নদীগুলোর উৎস স্থান। একে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং বন ধর্ম - এই চারটি ধর্মের তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কৈলাস পর্বতের কাছেই তিব্বতের মানস সরোবর এবং রাক্ষসতাল অবস্থিত।
কৈলাস | |
---|---|
কৈলাস পর্বত | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৬,৬৩৮ মিটার (২১,৭৭৮ ফুট) |
সুপ্রত্যক্ষতা | ১,৩১৯ মিটার (৪,৩২৭ ফুট) |
ভূগোল | |
অঞ্চল | ম্ঙ্গা'-রিস বিভাগ, তিব্বত, চীন |
মূল পরিসীমা | হিমালয় |
আরোহণ | |
সহজ পথ | পর্বতারোহণের প্রচেষ্টা হয়নি |
নামকরণসম্পাদনা
সংস্কৃতে কেলাস (Crystal) কথা থেকে কৈলাস কথাটির উৎপত্তি। কারণ বরফে ঢাকা কৈলাসকে দেখে মনে হয় স্ফটিক। তিব্বতি ভাষায় এর নাম গাঙ্গো রিনপোচে। তিব্বতে বৌদ্ধ গুরু পদ্মসম্ভবাকে বলা হয় রিনপোচে। তাঁর থেকেই নামকরণ হয়েছে কৈলাস পর্বতের। অর্থ হল বরফের তৈরি দামী রত্ন।
হিন্দু ধর্মের কৈলাস পর্বতসম্পাদনা
হিন্দু ধর্মীয় পুরাণে কৈলাস পর্বতকে শিবের 'লীলাধাম' বলা হয়েছে। হিন্দুদের ধারণা শিব ও তার সহধর্মিনী দুর্গা এবং কার্তিক-গণেশ ও শিবের অনুসারী ভক্তরা কৈলাসে বাস করেন। ২২ হাজার ফুট উচ্চতার কালো পাথরের এই পাহাড়কে প্রাচীন কাল থেকেই পৃথিবীর স্তম্ভ বলে মনে করা হয়। যা ধরে রেখেছে পৃথিবীর ভর।
তিব্বতি গল্পসম্পাদনা
তিব্বতে প্রচলিত প্রাচীন কিংবদন্তি হল‚ গুরু মিলারেপাই শুধু পা রাখতে পেরেছিলেন কৈলাস-শীর্ষে। ফিরে এসে তিনি নিষেধ করেছিলেন এই পর্বত জয় করতে। কারণ একমাত্র সে-ই মানুষই পারবে এর শীর্ষে যেতে‚ যার গায়ে কোনও চামড়া নেই।
ভূ-জৈবিক প্রভাবসম্পাদনা
কৈলাস পর্বতের আবহাওয়ায় এমন কিছু আছে যাতে নাকি মানুষের চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ দ্রুত ফুটে ওঠে। সাধারণভাবে মানুষের নখ-চুল যে হারে বাড়ে‚ কৈলাস পর্বতে অন্তত ১২ ঘণ্টা কাটালে নাকি এই বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১১ শতকে মহাযোগী মিলেরোপা কৈলাসে উঠতে চেয়েছিল,তিনি ফিরে এসে অন্যদের ওখানে যেতে নিষেধ করেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Monier-Williams Sanskrit Dictionary, page 311 column 3 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে
- ↑ Entry for कैलासः[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] in Apte Sanskrit-English Dictionary