তীর্থংকর

জৈনধর্মে একজন তীর্থঙ্কর হলেন এক সর্বজ্ঞ শিক্ষক, যিনি ধর্ম শিক্ষা দেন।

জৈনধর্মে একজন তীর্থঙ্কর হলেন এক সর্বজ্ঞ শিক্ষক ঈশ্বর, যিনি ধর্ম (নৈতিক পথ) শিক্ষা দেন। ‘তীর্থঙ্কর’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ‘তীর্থের প্রতিষ্ঠাতা’। জৈনধর্মে ‘তীর্থ’ বলতে বোঝায় ‘সংসার নামক অনন্ত জন্ম ও মৃত্যুর সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত একটি সংকীর্ণ পথ’।[১][২][৩] জৈনদের মতে, জৈন শিক্ষা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায়। তখন এক দুর্লভ ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটে, যিনি জীবনের একটি পর্যায়ে এসে স্বয়ং সংসার (জন্ম ও মৃত্যুর চক্র) জয় করার উদ্দেশ্যে গৃহ ও জাগতিক সম্পত্তি পরিত্যাগ করেন। তারপর আত্মার সত্য প্রকৃতি অবগত হওয়ার পর তারা ‘কেবল জ্ঞান’ (সর্বজ্ঞতা) অর্জন করেন এবং জৈনধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এঁদেরই বলা হয় তীর্থঙ্কর। তীর্থঙ্করেরা অন্যদের পারাপারের জন্য সংসার ও মোক্ষের (মুক্তি) মধ্যে একটি সেতু স্থাপন করেন।[৪][৫][৬]

প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের বিগ্রহ
গোয়ালিয়র দুর্গে তীর্থঙ্করদের মূর্তি

তীর্থঙ্করদের ‘শিক্ষক ঈশ্বর’, ‘পথ-স্রষ্টা’, ‘যাত্রাপথ-স্রষ্টা’ ও ‘নদীপারাপারের পথস্রষ্টা’ বলা হয়।[৭][৩] জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, প্রত্যেক বিশ্বজনীন কালচক্রের অর্ধেক সময়ে ঠিক ২৪ জন তীর্থঙ্কর ব্রহ্মাণ্ডের এই অংশকে কৃপা করেন। প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন ঋষভনাথ। কথিত আছে, তিনিই মানবজাতিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজবদ্ধ অবস্থায় বাস করার পদ্ধতি শিক্ষা দেন এবং সংগঠিত করেন। বর্তমান চক্রার্ধের ২৪শ তথা শেষ তীর্থঙ্কর ছিলেন মহাবীর (খ্রিস্টপূর্ব ৫৯৯-৫২৭ অব্দ)।[৬][৮] মহাবীর এবং তার পূর্বসূরি ২৩শ তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[৯]

একজন তীর্থঙ্কর ‘সংঘ’ স্থাপন করেন। সংঘ হল সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী এবং ‘শ্রাবক’ (পুরুষ অনুগামী) ও ‘শ্রাবিকা’দের (নারী অনুগামী) নিয়ে গঠিত একটি চতুর্মুখী প্রতিষ্ঠান।[১০]

তীর্থঙ্করদের শিক্ষা জৈনদের প্রামাণ্য শাস্ত্রের মূল ভিত্তি। তীর্থঙ্করদের অন্তর্নিহিত জ্ঞানকে যথাযথ মনে করা হয়। আরও মনে করা হয় যে, একজন তীর্থঙ্করের শিক্ষার সঙ্গে আরেকজন তীর্থঙ্করের শিক্ষার কোনও ভেদ নেই। যদিও নেতৃত্বের সমসাময়িক কালের সামাজিক আধ্যাত্মিক উন্নতি ও পবিত্রতার উপর নির্ভর করে মতবাদের ব্যাখ্যার পার্থক্য দেখা যায়। সমাজের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও মানসিক পবিত্রতা যত বেশি হবে, তত কম ব্যাখ্যা প্রয়োজন হবে বলেই জৈনরা বিশ্বাস করেন।

জৈনরাই তীর্থঙ্করদের ইতিহাস সংকলিত করেন এবং তাঁদের শ্রদ্ধা করেন। তবে তাঁদের বিশ্বাস, তীর্থঙ্কররা ধর্মীয় বিশ্বাস নির্বিশেষে সকল জীবিত সত্ত্বাকে কৃপা করে থাকেন। [১১]

তীর্থঙ্করেরা হলেন ‘অরিহন্ত’। তাঁরা কেবল জ্ঞান (পবিত্র অনন্ত জ্ঞান) অর্জনের পর[১২] সত্য ‘ধর্ম’ প্রচার করেন। একজন অরিহন্তকে ‘জিন’ও (বিজয়ী) বলা হয়। অর্থাৎ, যিনি ক্রোধ, আসক্তি, অহংকার ও লোভের মতো অন্তঃশত্রুদের জয় করেছেন।[৪] তাঁরা সম্পূর্ণত তাঁদের আত্মার রাজত্বে বাস করেন এবং ‘কাষায়’, অন্তরের আসক্তি ও ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা থেকে মুক্ত থাকেন। এর ফলে সর্বোচ্চ ‘সিদ্ধিগুলি’কে (আধ্যাত্মিক শক্তিসমূহ) তারা সহজেই প্রাপ্ত হন। এই সকল সিদ্ধি তারা শুধুমাত্র জীবের আধ্যাত্মিক উন্নতির কাজে ব্যবহার করেন। ‘দর্শন’ (দিব্য দৃষ্টি) ও ‘দেষ্ণা’র (দিব্য বাণী) মাধ্যমে তাঁরা যথার্থ অধিকারীকে কেবল জ্ঞান অর্জনে ও মোক্ষলাভে সাহায্য করেন।

তীর্থঙ্কর-নাম-কর্ম সম্পাদনা

জৈন ধর্মগ্রন্থগুলিতে বলা হয়েছে, ‘তীর্থঙ্কর-নাম-কর্ম’ নামে এক বিশেষ ধরনের ‘কর্ম’ আত্মাকে তীর্থঙ্করের সর্বোচ্চ অবস্থায় উন্নীত করে। অন্যতম প্রধান জৈন ধর্মগ্রন্থ তত্ত্বার্থসূত্র-এ সেই ষোলোটি পালনীয় কার্যের তালিকা দেওয়া হয়েছে, যেগুলি এই কর্মের ‘বন্ধে’ (বন্ধন) উন্নীত করে:[১৩]

  • সত্য বিশ্বাসের পবিত্রতা
  • শ্রদ্ধা
  • অপকর্ম ব্যতীত ব্রত ও আনুষঙ্গিক ব্রত পালন
  • অবিরত জ্ঞান অন্বেষণ
  • অস্তিত্বের চক্রের অবিরত ভীতি
  • দান
  • সামর্থ্য অনুসারে কঠোর তপশ্চর্যা
  • সন্ন্যাসীর শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন বাধা অপসারণ
  • অমঙ্গল ও দুঃখ দূর করে যা শ্রেয় তার সেবা
  • সর্বজ্ঞ প্রভুগণ, প্রধান আচার্য, আচার্য ও শাস্ত্রের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন
  • ছয়টি প্রধান দৈনিক কর্তব্য পালন
  • সর্বজ্ঞদের শিক্ষা প্রচার
  • একই পথের সহযাত্রীর প্রতি গভীর অনুরাগ।

পঞ্চ কল্যাণক সম্পাদনা

 
তীর্থঙ্কর জননী গর্ভাবস্থায় যে মাঙ্গলিক স্বপ্ন দেখেন।

‘পঞ্চ কল্যাণক’ নামে পরিচিত পাঁচটি মাঙ্গলিক ঘটনা প্রত্যেক তীর্থঙ্করের জীবনে দেখা যায়:

  1. ‘গর্ভ কল্যাণক’ (গর্ভধারণ): যখন তীর্থঙ্করের আত্মা মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে।[১৪]
  2. ‘জন্ম কল্যাণক’ (জন্ম): তীর্থঙ্করের জন্ম। ইন্দ্র মেরু পর্বতে তীর্থঙ্করকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নান করান।[১৫][১৬]
  3. ‘দীক্ষা কল্যাণক’ (সন্ন্যাস গ্রহণ): তীর্থঙ্কর যখন সকল জাগতিক সম্পত্তি পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
  4. ‘জ্ঞান কল্যাণক’: তীর্থঙ্করের ‘কেবল জ্ঞান’ (অনন্ত শুদ্ধ জ্ঞান) লাভের ঘটনা। এরপর তিনি যেখানে ধর্মশিক্ষা দেন ও সংঘ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন ,সেখানে একটি ‘সমবসরণ’ (দিব্য প্রচার ভবন) গড়ে তোলা হয়।
  5. ‘নির্বাণ কল্যাণক’ (মোক্ষলাভ): যখন তীর্থঙ্কর তার নশ্বর শরীর ত্যাগ করেন, সেটিকে ‘নির্বাণ’ বলা হয়। এরপর তিনি ‘মোক্ষ’ (সর্বোচ্চ মুক্তি) লাভ করেন। তার আত্মা এরপর ‘সিদ্ধশিলা’য় অবস্থান করে।

সমবসরণ সম্পাদনা

 
তীর্থঙ্করের সমবসরণ

কেবল জ্ঞান অর্জনের পর তীর্থঙ্কর সমবসরণে মুক্তির পথ প্রচার করেন। জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, দেবগণ (স্বর্গীয় সত্ত্বা) একটি স্বর্গীয় মঞ্চ সৃষ্টি করেন। সেখানে দেবগণ, মানুষ ও পশুপাখি তীর্থঙ্করদের উপদেশ শোনার জন্য একত্রিত হন।[১৭] তীর্থঙ্করের বাক্য সকল মানুষ ও পশুপাখির নিজস্ব ভাষায় ধরা থাকে। মনে করা হয়, এই প্রচারকার্যের সময় সমবসরণ স্থলের বহুদূর পর্যন্ত কোনও নিরানন্দ থাকে না।[১৮]

বর্তমান বিশ্বযুগের তীর্থঙ্করগণ সম্পাদনা

জৈনধর্ম শিক্ষা দেয় যে, সময়ের শুরু বা শেষ বলে কিছু নেই। এটি গরুর গাড়ির চাকার মতো ঘুরতে থাকে। জৈন মতবিশ্বাস অনুসারে, তীর্থঙ্করেরা তাঁদের শেষ জন্মে রাজপুরুষ হন। জৈন ধর্মগ্রন্থগুলিতে তাঁদের পূর্বপূর্ব জীবনের বিস্তারিত বিবরণ নথিভুক্ত করা থাকে। তাঁদের গোষ্ঠী ও পরিবারগুলির প্রাচীন কিংবদন্তি হিন্দু ইতিহাসে নথিভুক্ত রয়েছে। জৈন আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলিতে বলা হয়েছে যে, প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথ[১৯] ইক্ষ্বাকু রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২০] ২১ জন অপর তীর্থঙ্কর বিভিন্ন সময়ে এই রাজবংশেই জন্মগ্রহণ করেন। শুধুমাত্র ২০শ তীর্থঙ্কর মুনিসুব্রত ও ২২শ তীর্থঙ্কর নেমিনাথ হরিবংশ নামক রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২১]

জৈন বিশ্বাস অনুসারে, ২০ জন তীর্থঙ্কর শিখরজিতে (অধুনা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্তর্গত) মোক্ষ লাভ করেন। ঋষভনাথ কৈলাস পর্বতে (অধুনা তিব্বতে ভারত-চীন সীমান্তের কাছে), বসুপূজ্য চম্পাপুরীতে (অধুনা উত্তরবঙ্গে), নেমিনাথ গিরনার পর্বতে (অধুনা ভারতের গুজরাত রাজ্যে) ও মহাবীর পাবাপুরীতে (অধুনা ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনার কাছে) মোক্ষলাভ করেন। কথিত আছে, ২১ জন তীর্থঙ্কর ‘কায়োৎসর্গ’ ভঙ্গিমায় (দাঁড়িয়ে ধ্যানের ভঙ্গিমা) মোক্ষ লাভ করেন। ঋষভনাথ, নেমিনাথ ও মহাবীর ‘পদ্মাসন’ ভঙ্গিমায় মোক্ষলাভ করেন।

২৪ জন তীর্থঙ্করের তালিকা সম্পাদনা

বর্তমান বিশ্বযুগ সম্পাদনা

 
তীর্থঙ্কর নেমিনাথের মূর্তি, ১২শ শতাব্দী, মথুরা সংগ্রহালয়

এই যুগের ২৪ জন তীর্থঙ্করের নাম, প্রতীক ও রং নিচের কালানুক্রমিক সারণিতে দেওয়া হল:[৫][২২][২৩] ‘ধনুষ’ শব্দের অর্থ ধনুক এবং ‘হাথ’ শব্দের অর্থ হাত।

সংখ্যা নাম প্রতীক রং উচ্চতা
ঋষভনাথ (আদিনাথ) ষাঁড় সোনালি ৫০০ ধনুষ
অজিতনাথ হাতি সোনালি ৪৫০ ধনুষ
সম্ভবনাথ ঘোড়া সোনালি ৪০০ ধনুষ
অভিনন্দননাথ বাঁদর সোনালি ৩৫০ ধনুষ
সুমতিনাথ হাঁস সোনালি ৩০০ ধনুষ
পদ্মপ্রভ পদ্ম লাল ২৫০ ধনুষ
সুপার্শ্বনাথ স্বস্তিকা সোনালি ২০০ ধনুষ
চন্দ্রপ্রভ অর্ধচন্দ্র সাদা ১৫০ ধনুষ
পুষ্পদন্ত কুমির বা মকর সাদা ১০০ ধনুষ
১০ শীতলনাথ কল্পতরু সোনালি ৯০ ধনুষ
১১ শ্রেয়াংশনাথ গণ্ডার সোনালি ৮০ ধনুষ
১২ বসুপূজ্য মহিষ লাল ৭০ ধনুষ
১৩ বিমলনাথ শূকর সোনালি ৬০ ধনুষ
১৪ অনন্তনাথ দিগম্বর মতে শজারু
শ্বেতাম্বর মতে বাজপাখি
সোনালি ৫০ ধনুষ
১৫ ধর্মনাথ বজ্র সোনালি ৪৫ ধনুষ
১৬ শান্তিনাথ কৃষ্ণসার বা হরিণ সোনালি ৪০ ধনুষ
১৭ কুন্ঠুনাথ ছাগল সোনালি ৩৫ ধনুষ
১৮ অরনাথ নান্দ্যাবর্ত বা মাছ সোনালি ৩০ ধনুষ
১৯ মাল্লীনাথ কলশ নীল ২৫ ধনুষ
২০ মুনিসুব্রত কচ্ছপ কালো ২০ ধনুষ
২১ নমিনাথ নীল পদ্ম সোনালি ১৫ ধনুষ
২২ নেমিনাথ শঙ্খ কালো ১০ ধনুষ
২৩ পার্শ্বনাথ সাপ নীল ৯ হাথ
২৪ মহাবীর সিংহ সোনালি ৭ হাথ

পরবর্তী বিশ্বযুগ সম্পাদনা

জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, কালচক্র দুটি অর্ধে বিভক্ত। ‘উৎসর্পিণী’ হল উর্ধ্বগামী কালচক্র এবং ‘অবসর্পিণী’ হল নিম্নগামী কালচক্র। কালচক্রের প্রত্যেক অর্ধে ২৪ জন তীর্থঙ্কর জন্মগ্রহণ করেন। উপরে বর্তমান ‘অবসর্পিণী কালচক্রের ২৪ জন তীর্থঙ্করের নাম দেওয়া হল। পরবর্তী ‘উৎসর্পিণী’ যুগে যে ২৪ জন তীর্থঙ্কর জন্মগ্রহণ করবেন বলে জৈনরা বিশ্বাস করেন, তাদের নাম নিচে দেওয়া হল। বন্ধনীর মধ্যে পূর্বজন্মে তাদের আত্মা কী নামে পরিচিত ছিল, তাও দেওয়া হল:

  1. পদ্মনাভ (রাজা শ্রেণিক)[২৪]
  2. সুরদেব (মহাবীরের কাকা সুপার্শ্ব)
  3. সুপার্শ্ব (রাজা কুণিকের পুত্র রাজা উদয়ীন)
  4. স্বয়ংপ্রভ (সন্ন্যাসী পোট্টিল)
  5. সর্বনুভূতি (শ্রাবক দৃধায়ধ)
  6. দেবশ্রুতি (কার্তিকের শ্রেষ্ঠী)
  7. উদয়নাথ (শ্রাবক শঙ্খ)
  8. পেধলপুত্র (শ্রাবক আনন্দ)
  9. পোট্টিল (শ্রাবক সুনন্দ)
  10. শতক (শ্রাবক শতক)
  11. মুনিব্রত (কৃষ্ণের মা দেবকী)
  12. অমাম (কৃষ্ণ)
  13. শ্রিনিষ্কাষয় (সাত্যকি রুদ্র)
  14. নিষ্পুলক (কৃষ্ণের দাদা বলভদ্র বা বলরাম)
  15. নির্মম (শ্রাবিকা সুলসা)
  16. চিত্রগুপ্ত (বলভদ্রের মা রোহিণী)
  17. সমধিনাথ (রেবতী গাথাপত্নী)
  18. সম্বরনাথ (শ্রাবক শত্তিলক)
  19. যশোধর (ঋষি দ্বীপায়ন)
  20. বিজয় (মহাভারতের কর্ণ)
  21. মাল্যদেব (নির্গ্রন্থপুত্র বা মল্লনারদ)
  22. দেবচন্দ্র (শ্রাবক অম্বধ)
  23. অনন্তবীর্য (শ্রাবক অমর)
  24. শ্রীভদ্রকর (শনক) -এইগুলো জৈনরা মনে করেন। তবে তার কোনো সত্যতা নেই

মূর্তিতত্ত্ব সম্পাদনা

তীর্থঙ্করদের মূর্তিগুলি উপবিষ্ট যোগরত বা দণ্ডায়মান ‘কায়োৎসর্গ’ ভঙ্গিমায় নির্মিত।[২৫] উপবিষ্ট মূর্তিগুলি ‘পদ্মাসন’ ভঙ্গিমায় দেখা যায়।[৫]

অন্যান্য ধর্মে সম্পাদনা

প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগ্বেদ, বিষ্ণুপুরাণভাগবত পুরাণ-এ।[২৬] যজুর্বেদ গ্রন্থে তিন জন তীর্থঙ্করের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন ঋষভ, অজিতনাথ ও অরিষ্টনেমি। ভাগবত পুরাণ গ্রন্থে ঋষভকে জৈনধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়েছে। ২০শ শতাব্দীর জৈন লেখক চম্পাত রাই জৈন দাবি করেছেন, বাইবেলে উল্লিখিত ‘ফোর অ্যান্ড টোয়েন্টি এল্ডার্স’ হলেন ২৪ জন তীর্থঙ্কর।[২৭]

ছবি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Balcerowicz 2009, পৃ. 16।
  2. Sangave 2006, পৃ. 169-170।
  3. Champat Rai Jain 1930, পৃ. 3।
  4. Sangave 2006, পৃ. 16।
  5. Britannica Tirthankar Definition, Encyclopaedia Britannica 
  6. Taliaferro ও Marty 2010, পৃ. 286।
  7. Zimmer 1953, পৃ. 212।
  8. Sanghvi, Vir (১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩), Rude Travel: Down The Sages, Hindustan Times, ২৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৬ 
  9. Zimmer 1953, পৃ. 182-183।
  10. Balcerowicz 2009, পৃ. 17।
  11. Flügel, P. (2010). The Jaina Cult of Relic Stūpas. Numen: International Review For The History Of Religions, 57(3/4), 389-504. doi:10.1163/156852710X501351
  12. Sangave 2006, পৃ. 164।
  13. Vijay K. Jain 2011, পৃ. 91।
  14. "HereNow4U.net :: Glossary/Index - Terms - Eastern Terms - Chyavana Kalyanak", HereNow4u: Portal on Jainism and next level consciousness 
  15. Wiley 2009, পৃ. 200।
  16. Wiley 2009, পৃ. 246।
  17. Vijay K. Jain 2015, পৃ. 200।
  18. Pramansagar 2008, পৃ. 39-43।
  19. Upinder Singh 2008, পৃ. 313।
  20. Natubhai Shah 2004, পৃ. 15।
  21. Vijay K. Jain 2015, পৃ. 151।
  22. Vijay K. Jain 2015, পৃ. 181-208।
  23. "Tirthankara (EMBLEMS OR SYMBOLS) pdf" (পিডিএফ)। ১৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬ 
  24. Dundas 2002, পৃ. 276।
  25. Zimmer 1953, পৃ. 209-210।
  26. Rao 2007, পৃ. 13।
  27. Champat Rai Jain 1930, পৃ. 78।

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা