কে এম নুরুল হুদা

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
(কেএম নুরুল হুদা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কে এম নুরুল হুদা (জন্ম: ৩০ এপ্রিল ১৯৪৮) হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রাক্তন সচিব ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এর পূর্বে তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়াও তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব ছিলেন।

কে এম নুরুল হুদা
১২তম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কাজের মেয়াদ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ – ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাষ্ট্রপতিআবদুল হামিদ
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীকাজী রকিবুদ্দিন আহমদ
উত্তরসূরীকাজী হাবিবুল আউয়াল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মখান মোহাম্মদ নুরুল হুদা
(1948-04-30) ৩০ এপ্রিল ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
বাউফল উপজেলা, পটুয়াখালী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীহুসনে আরা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার
সাবেক সচিব

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

কে এম নুরুল হুদা ১৯৪৮ সালে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নোয়ামালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পটুয়াখালীতে পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[]

তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে জন প্রশাসন এবং উন্নত শিক্ষায় অধ্যয়ন করেন এবং পরবর্তী সোভিয়েত ইউনিয়নে আরও পড়াশুনা চালিয়ে যান।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

নুরুল হুদা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[]

তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালের মুক্তিযোদ্ধা ব্যাচে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা এবং ফরিদপুর জেলার চর ভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। তিনি ফরিদপুর ও কুমিল্লা জেলায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (বিএমডিএফ) যোগ দেন। তিনি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পাঁচ বছর ছিলেন। এর আগে জেমকন গ্রুপের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ), নর্থ ওয়েস্ট জোন কম্পানির চেয়ারম্যান পদে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় “জনতার মঞ্চ” এ সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগে বিএনপি-জামাত জোট সরকার তাকে যুগ্ম-সচিব হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০০১ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। পরবর্তীতে সুপ্রিমকোর্টের এক রায়ে অন্যান্য কর্মকর্তাসহ নুরুল হুদা ভূতাপেক্ষা পদোন্নতি পেয়ে সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।[]

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

তার স্ত্রীর নাম হুসনে আরা। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

সমালোচনা

সম্পাদনা

২০২০ সালের ১২ নভেম্বর তিনি বলেন “যুক্তরাষ্ট্র ৪ থেকে ৫ দিনে ভোট গুনতে পারে না। আমরা ৪ থেকে ৫ মিনিটে গুনে ফেলি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে।” তার এই মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়। প্রথম আলো সহ কয়েকটি প্রকাশনা এই মন্তব্য নিয়ে রম্য রচনা ছাপিয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "একনজরে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিচয়"কালের কণ্ঠ। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "একনজরে নতুন সিইসি নুরুল হুদা"আরটিভি অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৩ 
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "আমি জনতার মঞ্চে ছিলাম না: নুরুল হুদা"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২১ 
  4. সান্যাল, অর্ণব। "ভোট গুনতে বাংলাদেশের সাহায্য চাইল যুক্তরাষ্ট্র"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১২ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা