আমীর-উল ইসলাম

বাংলাদেশী আইন বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী

আমীর-উল ইসলাম (জন্ম: ২ জানুয়ারি ১৯৩৭) একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক, ঘোষণাপত্র রচয়িতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার তিনি আইনজীবী।[][]

ব্যারিস্টার
আমীর-উল ইসলাম
বাংলাদেশের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৩ অক্টোবর ১৯৭৩ – ৭ জুলাই ১৯৭৪
কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীশাহ আজিজুর রহমান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1937-01-02) ২ জানুয়ারি ১৯৩৭ (বয়স ৮৭)[]
ঝাউদিয়া গ্রাম, কুষ্টিয়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত,
(বর্তমান  বাংলাদেশ)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীজাহানারা আমির
সন্তান১ মেয়ে ও ২ ছেলে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
জগন্নাথ কলেজ
পেশাআইনজীবী

শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম জাতীয় সংসদে তিনি কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[]

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

আমীর-উল ইসলাম ২ জানুয়ারি ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া গ্রামে (বর্তমানে শহর) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে কুষ্টিয়ার সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। ব্রিটেনের লিঙ্কনস ইন থেকে তিনি ব্যারিস্টারি পাশ করেন ১৯৬১ সালে।

রাজনৈতিক জীবন

সম্পাদনা

আমীর-উল ইসলাম ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত তৎকালীন এনই-৩৯-কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য নির্বাচিত হন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার তিনি আইনজীবী।[][][][]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ নেওয়া বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রধান সহায়ক ও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে ওই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন।[]

শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ৩ অক্টোবর ১৯৭৩ থেকে ৭ জুলাই ১৯৭৪ পর্যন্ত খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রথম জাতীয় সংসদে তিনি কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][]

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) তিনি অনারারি সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালে দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

আমীর-উল ইসলাম ব্যরিস্টার জাহানারা আমিরকে বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে - এক কন্যা, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির (জন্ম ১৯৬৪) এবং দুই পুত্র, আদিল ইসলাম, একজন ব্যাংকার এবং জায়েদ ইসলাম, একজন ফটো সাংবাদিক।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Head of Chambers- Amir & Amir Law Associates"। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. আলী, রাও ফরমান, বাংলাদেশের জন্ম, ঢাকা : ইউপিএল, ১৯৯৬।
  3. রহমান হাসান হাফিজুর সম্পাদিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র. ঢাকা : তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ১৯৮২
  4. আরেফিন, এ.এস.এম. সামছুল, বাংলাদেশের নির্বাচন ১৯৭০-২০০১, ঢাকা : বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড পাবলিকেশন্স, ২০০৩।
  5. "১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে বিজয়ী সদস্যদের তালিকা"সংগ্রামের নোটবুক। ১১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২৩ 
  6. দৈনিক ইত্তেফাক, ৮-১০ ডিসেম্বর ১৯৭০
  7. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।