শন ইয়ং

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার
(Shaun Young থেকে পুনর্নির্দেশিত)

শন ইয়ং (ইংরেজি: Shaun Young; জন্ম: ১৩ জুন, ১৯৭০) তাসমানিয়ার বার্নি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পেশাদার অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবল প্রশাসক। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধ্বে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

শন ইয়ং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামশন ইয়ং
জন্ম (1970-06-13) ১৩ জুন ১৯৭০ (বয়স ৫৩)
বার্নি, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, প্রশাসক
সম্পর্কক্লে ইয়ং (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৭২)
২১ আগস্ট ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯১/৯২ - ২০০১/০২তাসমানিয়া
১৯৯৭গ্লুচেস্টারশায়ার
২০০১ - ২০০৩বেডফোর্ডশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৮ ১০২
রানের সংখ্যা ৭,২১২ ২,৪৮৬
ব্যাটিং গড় ৪.০০ ৩৭.৯৫ ৩২.২৮
১০০/৫০ ০/০ ১৪/৪৪ ১/১৮
সর্বোচ্চ রান * ২৩৭ ১৪৬*
বল করেছে ৪৮ ২০,৬৩০ ৪,৩১৩
উইকেট ২৭৪ ৮৮
বোলিং গড় ৩৫.৮২ ৩৪.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৭/৬৪ ৫/৩৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৮২/– ৩৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জুলাই ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারবেডফোর্ডশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন তিনি।

শৈশবকাল সম্পাদনা

১৯৭০ সালে তাসমানিয়ার বার্নি এলাকায় শন ইয়ংয়ের জন্ম।[১] অক্টোবর, ১৯৯০ সালে তাসমানিয়ার বড়োদের দলে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপূর্বে তিনি রাজ্য দলের পক্ষে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাসমানিয়া দলে নিজেকে অল-রাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। পরের মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর থেকে রাজ্য দলের পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডে শতাধিক খেলায় অংশ নেন।[২] তাসমানিয়ার অন্যতম বিশ্বস্ত ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। দলের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ রান সংগ্রহ ও মিতব্যয়ী বোলিংসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বোলিং স্পেলে অগ্রসর হয়েছেন তিনি।[১]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত শন ইয়ংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৯৫ সালে ইয়ং অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন।

অল-রাউন্ডার হিসেবে নিশ্চিতভাবেই নব্বুইয়ের দশকে অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেরা খেলোয়াড়দের অন্যতম হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন। তাসমানিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্বস্ত খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন। ব্যাটিংয়ের দিকে অধিক মনোযোগী ছিলেন। তবে, কৌশলগতভাবে সঠিকমানের খেলোয়াড় ছিলেন না তিনি। বেশ চড়ামূল্যে স্বীয় উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতেন। মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও তার খেলোয়াড়ী জীবনে বেশ প্রভাব ফেলে। পেস ও সুইং দুই দিক দিয়েই করতে পারতেন।

১৯৯৭ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এক মৌসুম খেলেন। ১৯৯৭ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। জুলাই মাসে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এর পরপরই ইংল্যান্ড সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন শন ইয়ং। ২১ আগস্ট, ১৯৯৭ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে ১৯৯৭ সালে সফররত অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। পল রেইফেলের বোলিংকালে উপর্যুপরী আঘাতপ্রাপ্তি ও সন্তান জন্মগ্রহণের ফলে দেশে ফিরে যান এবং তাকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[১][৩]

১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কিশোর দলের ইংল্যান্ড সফরকালে ইয়ংকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ পর্যায়ে তিনি স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণকারী ও স্থলাভিষিক্ত হওয়া শেন লি’র সাথে একত্রে কেন্টের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ওভালে অনুষ্ঠিত ১৯৯৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজে দলে রাখা হয়।[৩] ঐ খেলায় ইয়ং উইকেট শূন্য অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেন ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে চার রান তুলতে সমর্থ হন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।[১]

১৯৯৬ সালে সফররত পাকিস্তানি একাদশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সদস্যরূপে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, ওভাল টেস্টই তার একমাত্র খেলা হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়।[২]

অবসর সম্পাদনা

২০০১-০২ মৌসুমে তাসমানিয়া দল থেকে শন ইয়ংকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০১০ সালে তাসমানিয়ান ফুটবল লীগের সাধারণ ব্যবস্থাপক হন। এরপর, এএফএল তাসমানিয়ায়ও অন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০১৬ সালে ক্যানবেরাভিত্তিক ইস্টলেক ফুটবল ক্লাবের সাধারণ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪][৫]

২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে ব্যাকাপ ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। পাশাপাশি, একই সময়ে চেল্টেনহাম ও গ্লুচেস্টার ট্রফিতে বেডফোর্ডশায়ারের পক্ষে সাতটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[২]

তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্লে ইয়ং তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Shaun Young, CricInfo. Retrieved 2019-08-07.
  2. Shaun Young, CricketArchive. Retrieved 2019-08-07.
  3. Coverdale B (2016) Shaun Young's Ashes outing, The Cricket Monthly, CricInfo, 2016-04-28. Retrieved 2019-08-07.
  4. Tasmanian State League competition chief Shaun Young resigns, The Mercury, 2016-01-16. Retrieved 2019-08-07.
  5. Polack J (2002) Experienced trio dropped as Tigers' selectors wield axe, CricInfo, 2002-01-14.

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা