ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড
ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট মাঠ ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রচারস্বত্ত্বজনিত কারণে স্টেডিয়ামটি এমিরেটস ওল্ড ট্রাফোর্ড নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[২] ১৮৫৭ সালে এ মাঠের উদ্বোধন ঘটে। তখন মাঠটি ম্যানচেস্টার ক্রিকেট ক্লাবের অনুশীলনী মাঠ হিসেবে থাকলেও ১৮৬৪ সাল থেকে অদ্যাবধি ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের নিজস্ব মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |||||
---|---|---|---|---|---|
অবস্থান | ওল্ড ট্রাফোর্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টার ইংল্যান্ড | ||||
দেশ | ইংল্যান্ড | ||||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৫৭ | ||||
ধারণক্ষমতা | ক্রিকেট ঘরোয়া: ১৫,০০০ আন্তর্জাতিক: ২৬,০০০[১] কনসার্ট: ৬৫,০০০ | ||||
প্রান্তসমূহ | |||||
প্যাভিলিয়ন এন্ড ব্রায়ান স্ট্যাথাম এন্ড | |||||
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য | |||||
প্রথম পুরুষ টেস্ট | ১০ জুলাই ১৮৮৪: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট | ১ আগস্ট ২০১৩: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||
প্রথম পুরুষ ওডিআই | ২৪ আগস্ট ১৯৭২: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই | ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||
| |||||
৩০ মে ২০১৪ অনুযায়ী উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ |
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মাঠ হিসেবে ওল্ড ট্রাফোর্ডের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।[৩][৪] এছাড়াও, জুলাই, ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের মাঠ হিসেবে খেলা আয়োজনের গৌরব লাভ করে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বাগতিক মাঠরূপে দু’টি সেমি-ফাইনাল এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৫৭ সালে এ মাঠটিকে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ সময় ম্যানচেস্টার ক্রিকেট ক্লাব ডি ট্রাফোর্ড থেকে স্থানান্তরিত হয়।[৫] বৃহৎ প্যাভিলিয়ন থাকা স্বত্ত্বেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রারম্ভিক বছরগুলো ছিল ব্যবহার অনুপযোগী ও ফুটপাথ হিসেবে ওল্ড ট্রাফোর্ড মেট্রোলিঙ্ক স্টেশনে যাতায়াত করা হতো। মাঠটি কাউন্টি এলাকার বাইরে ছিল বিধায় খুব কমসংখ্যক দর্শকেরই সমাগম ও মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম ছিল। গোলাপের খেলা নামে পরিচিত একটি খেলায় ১৮৭৫ সালে উল্লেখযোগ্য দর্শক মাঠে আসেন। ডব্লিউ.জি. গ্রেস ১৮৭৮ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবকে মাঠে নিয়ে আনলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তিন দিনেরও বেশি সময়ে ২৮,০০০ দর্শক মাঠে আসেন। এর ধারাবাহিকতায় মাঠের সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।[৬]
রেকর্ডসমূহ
সম্পাদনা১৯৫৬ সালে ইংরেজ বোলার জিম লেকার একটি ইনিংসে ১০ উইকেট ও ৯০ রানে ১৯ উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাঁথা অদ্যাবধি টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অক্ষত রয়েছে। ১৯৯৩ মৌসুমের অ্যাশেজ টেস্টে শেন ওয়ার্ন মাইক গ্যাটিংকে শতাব্দীর সেরা বল নিক্ষেপ করে বোল্ড করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Gunning for greatness: Cook knows that clinching Ashes now will prove England's class"। ৩১ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৩।
It would be stretching a point to say that this famous old ground now looks easy on the eye after the rebuilding work that has lifted the capacity to 26,000
- ↑ "Old Trafford: Lancashire ground renamed in Emirates deal"। BBC News। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Old Trafford"। Cricinfo। মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-২৮।
Old Trafford has hosted Tests since 1884 and remains a special venue with a rich history. It guaranteed itself a place in cricket's eternal hall of fame when the permanently understated Jim Laker destroyed Australia, in 1956, on an old-fashioned "sticky wicket", with match figures of 19 for 90.
- ↑ "Biggest day in Old Trafford's rich history as ground is saved"। The Independent। ৫ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-২৮।
- ↑ "The Old Trafford Story, Part 1"। LCCC। ১৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০০৯।
- ↑ Mortimer, Old Trafford, ix–x.
আরও দেখুন
সম্পাদনাআরও পড়ুন
সম্পাদনা- Mortimer, David (২০০৫)। Old Trafford: Test Match Cricket Since 1884। Gloucestershire: Sutton Publishing। আইএসবিএন 0-7509-3667-3।
- Ross, Gordon (১৯৮১)। The Gillette Cup 1963 to 1980। London: Queen Anne Press। আইএসবিএন 0-362-00538-9।