ইমরান খান
ইমরান আহমদ খান নিয়াজি (উর্দু: عمران احمد خان نیازی ; জন্ম: ৫ অক্টোবর ১৯৫২) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ ও সাবেক ক্রিকেটার। তিনি ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৯৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৮০-এর দশক থেকে ১৯৯০-এর দশকের শুরুর ভাগ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন।
ইমরান খান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
عمران خان | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২২তম [nb ১] পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ১৮ আগস্ট ২০১৮ – ১০ এপ্রিল ২০২২ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাষ্ট্রপতি | মামনুন হুসাইন
আরিফ আলভী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | নাসিরুল মুলক (তত্ত্বাবধায়ক) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | শেহবাজ শরীফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দায়িত্বাধীন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অধিকৃত কার্যালয় ১৯৯৮ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডেপুটি | শাহ মেহমুদ কোরেশী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংসদীয় এলাকা | এন-৯৫ (মিয়ানওয়ালী-আই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ১১৩,৫২৩ (৪৪.৮৯%) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ১১ মে ২০১৩ – ৩১ মে ২০১৮ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | হানিফ আব্বাসী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংসদীয় এলাকা | এনএ-৫৬ (রাওয়ালপিন্ডি-VII) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ১৩,২৬৮ (৮.২৮%) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ১০ অক্টোবর ২০০২ – ৩ নভেম্বর ২০০৭ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | নির্বাচনী এলাকা প্রতিষ্ঠিত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | নওয়াবজাদা মালিক আমাদ খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংসদীয় এলাকা | এনএ-৭১ (মিয়ানওয়ালি-I) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ৬,২০৪ (৪.৪৯%) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর চ্যান্সেলর | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাজের মেয়াদ ৭ ডিসেম্বর ২০০৫ – ২০১৪ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূর্বসূরী | ব্যারনেস লকউড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উত্তরসূরী | কেট সোয়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত বিবরণ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ইমরান আহমদ খান নিয়াজী ৫ অক্টোবর ১৯৫২[১] লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয়তা | পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাজনৈতিক দল | পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্রিস্টিয়ান ব্যাকার (১৯৯২-১৯৯৫)
জেমিমা গোল্ডস্মিথ (বি. ১৯৯৫; বিচ্ছেদ. ২০০৪) রেহাম খান (বি. ২০১৪; বিচ্ছেদ. ২০১৫) বুশরা মনিকা (বি. ২০১৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া সঙ্গী | সীতা হোয়াইট (আনু. ১৯৮৭–৯১)[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সন্তান | ৩[৩] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাসস্থান | বানি গালা, ইসলামাবাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কেবেল কলেজ, অক্সফোর্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পেশা |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পুরস্কার | হিলাল-ই-ইমতিয়াজ (১৯৯২) প্রাইড অফ পারফরম্যান্স (১৯৮৩) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান (RHB) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ 88) | ৩ জুন ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারী ১৯৯২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ 175) | ৩১ অগাস্ট ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মার্চ ১৯৯২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ৫ নভেম্বর ২০১৪ |
অলিম্পিক পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
পাকিস্তান | ||
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ | ||
বিজয়ী | ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড |
লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ইমরান খান কেবল কলেজ, অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত সবিরামভাবে অধিনায়কত্ব করে যান। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় লাভ করে, যা এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের একমাত্র বিজয়। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ইমরান খানের নাম আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে তিনি ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) গঠন করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ২০০২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় সংসদে আসন লাভ করেন এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত মিয়াঁওয়ালি থেকে বিরোধী দলীয় সদস্য ছিলেন। পিটিআই ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই জাতীয় সংসদে বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে এবং স্বাধীন দলগুলোর সাথে জোট সরকার গঠন করে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট খান পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।[৫]
২০২৩ সালের ৯ই মে ইসলামাবাদ উচ্চ আদালতের আনীত দুর্নীতির দায়ে ইমরান খান গ্রেপ্তার হন। সারা পাকিস্তানে তার সমর্থকেরা মিছিল করে, যার ফলে সেনা মোতায়ন করে তার সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তির পর খান তার গ্রেপ্তারের জন্য সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে দায়ী করেন। বিদেশে কূটনীতিক ভ্রমণকালে গৃহীত রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকা উপহার সামগ্রী কেনা বেচার অপরাধে দোষী সাবস্ত করে ২০২৩ সালের ৫ই আগস্ট তাকে তিন বছরের জেল দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৯শে আগস্ট একজন পাকিস্তানির আপিলের ভিত্তিতে আদালত ইমরান খানের তিন বছরের জেল বাতিল করে তার জামিন মঞ্জুর করেন। তথাপি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইন লংঘন সংক্রান্ত কূটনীতিক সাইফার মামলায় কারারুদ্ধ থাকতে হয়। ২০২৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি বিশেষ আদালত ইসলামাবাদে সরকারের কাছে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের প্রেরিত গোপন তার বার্তার জনসম্মুখে আনার অভিযোগে ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাইমরান খান ১৯৫২ সালের ৫ই অক্টোবর লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান জন্মগ্রহণ করেন।[৬] পূর্ববর্তী কিছু প্রতিবেদনে বলা হয় তিনি ১৯৫২ সালের ২৫শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[৭][৮][৯][১০] প্রতিবেদনে বলা হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ভুলবশত তার পাসপোর্টে ৫ই অক্টোবর উল্লেখ করেছিল।[১১] ইমরান খান পুরপ্রকৌশলী ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি ও তার স্ত্রী শওকত খানুমের একমাত্র পুত্র। তার চার বোন রয়েছে।[১২] উত্তর-পশ্চিম পাঞ্জাবের মিয়াঁওয়ালিতে দীর্ঘকাল যাবত বসবাসরত তার পরিবার পশতু বংশোদ্ভূত এবং নিয়াজি গোত্রের অন্তর্গত।[১৩][১৪] তার পূর্বপুরুষদের একজন হাইবাত খান নিয়াজি ১৬শ শতাব্দীতে শের শাহ সুরির অন্যতম সেনাপতি ও পাঞ্জাবের গভর্নর ছিলেন।[১৫] [১৬] ইমরান খানের মায়ের দিক থেকে একাধিক ক্রিকেটার এসেছেন যারা পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জাভেদ বুরকি ও মাজিদ খান।[১৩] মায়ের দিক থেকে তিনি সুফি যোদ্ধা-কবি ও পশতু বর্ণমালার উদ্ভাবক পির রোশনের বংশধর। তার মায়ের পূর্বপুরুষদের ভিটা খাইবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কানিগুরাম শহরে।[১৭] তার মায়ের পরিবার ৬০০ বছর ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধরের বস্তি দনিশমন্দায় বসবাস করত এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর তারা লাহোরে পাড়ি জমায়।[১৮][১৯]
রাজনৈতিক কর্মজীবন
সম্পাদনাপ্রাথমিক বছর
সম্পাদনাক্রিকেটীয় কর্মজীবনে খানকে একাধিকবার রাজনৈতিক পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক তাকে পাকিস্তান মুসলিম লীগে (পিএমএল) রাজনৈতিক পদের প্রস্তাব দেন যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। [২০] নওয়াজ শরিফ তাকে তার রাজনৈতিক দলে যোগদানের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। [২০]
১৯৯৩ সালে, মঈন কুরেশির তত্ত্বাবধায়ক সরকার খানকে পর্যটন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং সরকার ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত তিন মাসের জন্য কার্যভারেও অধিষ্ঠিত ছিল। [২১]
২৫ এপ্রিল ১৯৯৬ সালে, খান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। [১৩][২২] তিনি ১৯৯৭ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই-এর প্রার্থী হিসাবে দুটি নির্বাচনী এলাকা - এনএ-৫৩, মিয়ানওয়ালি ও এনএ-৯৪, লাহোর থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু জয়ী হতে পারেননি এবং উভয় আসনেই পিএমএল (এন) এর প্রার্থীদের কাছে হেরে যান। [২৩]
খান ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সামরিক অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিলেন,[২৪] ধারণা করেছিলেন যে মোশাররফ "দুর্নীতির অবসান ঘটাবেন, রাজনৈতিক মাফিয়াদের খালি করবেন"। [২৫] খানের মতে, তিনি ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোশাররফের পছন্দ ছিলেন কিন্তু প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। [২৬] খান ২০০২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন যা ২৭২টি নির্বাচনী এলাকা জুড়ে হয়েছিল এবং যদি তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পায় তবে জোট গঠনের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন। [২৭] তিনি মিয়ানওয়ালি থেকে নির্বাচিত হন। [২৮] ২০০২ সালের গণভোটে, খান সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল মোশাররফকে সমর্থন করেছিলেন, যখন সমস্ত মূলধারার গণতান্ত্রিক দল সেই গণভোটকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল। [২৯] তিনি কাশ্মীর ও পাবলিক অ্যাকাউন্টস সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অংশ হিসাবেও কাজ করেছেন। [৩০] ৬ মে ২০০৫-এ, কিউবার গুয়ানতানামো বে নেভালের একটি মার্কিন সামরিক কারাগারে কোরআন অবমাননার বিষয়ে নিউজউইকের গল্পে মুসলিম বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য খানকে "সর্বাধিক সরাসরি দায়ী" হিসাবে দ্য নিউ ইয়র্কারে উল্লেখ করা হয়েছিল।[৩১] জুন ২০০৭ সালে, খান সংসদের ভিতরে ও বাইরে রাজনৈতিক বিরোধীদের মুখোমুখি হন। [৩২]
২ অক্টোবর ২০০৭-এ, সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে, খান ৬ অক্টোবর নির্ধারিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিবাদে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করার জন্য আরও ৮৫ জন সংসদ সদস্যের সাথে যোগ দেন, যেটি জেনারেল মোশাররফ সেনাপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ না করেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। [৩৩] ৩ নভেম্বর ২০০৭-এ, রাষ্ট্রপতি মোশাররফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর খানকে গৃহবন্দী করা হয়। পরে খান পালিয়ে আত্মগোপন করেন। [৩৪] তিনি অবশেষে ২৪ নভেম্বর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভে যোগ দিতে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসেন। [৩৫] সমাবেশে, খানকে ইসলামী জমিয়ত-ই-তালাবার ছাত্র কর্মীরা ধরে নিয়েছিল এবং মোটামুটি ব্যবস্থা করেছিল। [৩৬] প্রতিবাদের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে পাঞ্জাব প্রদেশের ডেরা গাজী খান কারাগারে পাঠানো হয় যেখানে মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি কয়েকদিন কারাবাস ভোগ করেছিলেন। [৩৭]
ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) গঠন করে। বছর দেড়েকের মাথায় এই পিডিএম পার্লামেন্টে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তোলে। দলীয় কিছু নেতা বিরোধী শিবিরে হাত মেলালে ওই ভোটে হেরে যান তিনি। [৩৮]
২০২২ সালের ৯ মে ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে সর্বশেষ গ্রেফতার করেছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো রেঞ্জার্সের সদস্যরা। রেঞ্জার্সের বাহিনী একটি কালো ভিগো গাড়িতে করে নিয়ে যায়।[৩৯][৪০] পরবর্তীতে তাকে জামিনে মুক্ত করে দেওয়া হয়।[৪১][৪২] ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পিটিআইয়ের লংমার্চের বহর ওয়াজিরাবাদে পৌঁছালে ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা হয়। পায়ে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে তাঁর। তখন লংমার্চ বন্ধ ঘোষণা করেন ইমরান। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত ১২টা ছোঁয়ার পরপরই ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্ব শেষ হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;PMcounts01
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
- ↑ "#HappyBirthdayIK: PTI Chairman Imran Khan turns 62"। DAWN.COM। Dawn। ৫ অক্টোবর ২০১৪। ৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Imran Khan may take custody of daughter"। www.hellomagazine.com। ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "The tragedy of Sita, heiress entangled in a murky business"।
- ↑ "Politicians list assets at 'unbelievably' low values"। pakistantoday.com.pk। ২১ জুন ২০১৮। ২৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ ডন (২০২৪-০২-১১)। "ইমরান খান: চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হননি"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২।
- ↑ "#HappyBirthdayIK: PTI Chairman Imran Khan turns 62"। Dawn (newspaper)। ৫ অক্টোবর ২০১৪। ৫ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৩।
- ↑ "Newsmaker: Imran Khan"। The National। ১২ নভেম্বর ২০১৫। ২২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "What song was #1 the day you were born?"। The Express Tribune। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Twitter alert: Happy Birthday Imran Khan – The Express Tribune"। The Express Tribune। ২৫ নভেম্বর ২০১২। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Imran Khan"। DAWN.COM। Dawn। ১৩ জানুয়ারি ২০১২। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Imran Khan celebrates his 70th birthday"। Bol News। ৫ অক্টোবর ২০২২। ৫ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৩।
- ↑ Khan, Imran (১৯৯৩)। Warrior Race। London: Butler & Tanner Ltd.। আইএসবিএন 978-0-7011-3890-5।
- ↑ ক খ গ Adams, Tim (২ জুলাই ২০০৬)। "The path of Khan"। Guardian। UK। ৩০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০০৭। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "2006 profile" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Encyclopaedia Asiatica, Comprising Indian Subcontinent, Eastern and Southern Asia: H. Jangtang By Edward Balfour Published by Cosmo Publications, 1976 Item notes: v. 4 Original from the University of Michigan Page 188
- ↑ Catriona Luke (3 August 2018), "The enigma inside a paradox wrapped in a conundrum" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ আগস্ট ২০১৮ তারিখে, The Friday Times. Retrieved 3 August 2018.
- ↑ Khan, Imran (২০১২)। Pakistan: A Personal History। Bantam Books। আইএসবিএন 978-0-85750-064-9।
- ↑ Will Imran Khan go to Kaniguram? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে The Express Tribune. 8 September 2012.
- ↑ "Imran Khan's Jalandhar connect"। The Tribune Chandigarh। ২৭ জুলাই ২০১৮। ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Imran Khan's Connection With the City of Jalandhar"। The Quint। ৩০ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ "Imran Khan ─ from flamboyant cricketer to prime minister"। Dawn। ১৭ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Sandford, Christopher (২০০৯)। Imran Khan : the cricketer, the celebrity, the politician : the biography। HarperCollins Publishers। আইএসবিএন 978-0-00-735337-8। ওসিএলসি 610566791।
- ↑ "Imran Khan leads 100,000 rally against Pakistan's US alliance"। The Telegraph। London। ৩০ অক্টোবর ২০১১। ৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Results election 1997" (পিডিএফ)। ECP। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Walsh, Declan (৩১ অক্টোবর ২০১১)। "Imran Khan laps up acclaim in Pakistan"। The Guardian। London। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Walsh, Delcan (৩১ আগস্ট ২০০৫)। "When you speak out, people react"। The Guardian। UK। ২৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০০৮।
- ↑ Adams, Tim (২ জুলাই ২০০৬)। "The path of Khan"। The Guardian। London। ৩০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Khan 'optimistic' about Pakistan elections"। BBC News। ২১ জুন ২০০২। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Lancaster, John (১৬ নভেম্বর ২০০২)। "Pakistan's parliament sworn, after 3 years"। United Press International। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "Opposition parties may boycott referendum"। dawn.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মার্চ ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Candidate details: Imran Khan"। Pakistan Elections। ২৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ Hendrik Hertzberg (৩০ মে ২০০৫)। "Big News Week"। ১৩ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "EC rejects references against Imran Khan"। Associated Press of Pakistan। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Pakistan MPs in election boycott"। BBC। ২ অক্টোবর ২০০৭। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Imran Khan escapes from house arrest"। The Times of India। India। ৫ নভেম্বর ২০০৭। ৬ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ Page, Jeremy (১৪ নভেম্বর ২০০৭)। "Imran Khan comes out of hiding to lead students in street protests"। The Times। UK। ৬ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Khan arrested under terror laws as Musharraf defends crackdown" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে. Walsh, Declan. The Guardian. Published 14 November 2007. Accessed 25 August 2015.
- ↑ Wilkinson, Isambard; Moore, Matthew (২১ নভেম্বর ২০০৭)। "Imran Khan released from prison in Pakistan"। Telegraph। ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ডন (২০২৪-০২-১১)। "ইমরান খান: চোখের আড়াল হলেও মনের আড়াল হননি"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২।
- ↑ "ইমরান খান গ্রেফতার"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৬।
- ↑ "পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার"। বিবিসি বাংলা। ২০২৩-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৬।
- ↑ লেখা। "জামিন পেলেন ইমরান খান"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৬।
- ↑ "জামিন পেলেন ইমরান খান"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৬।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইমরান খান (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইমরান খান (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Imran Khan Cricket Profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে, on Cricket.com.pk
- Pakistan Tehreek-e-Insaf, Khan's political party
- Chancellor: Imran Khan at the University of Bradford
- Column archive at The Guardian
- Imran Khan Politics Profile, on Onepakistan.com.pk
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ইমরান খান (ইংরেজি)
- গ্রন্থাগারে ইমরান খান সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- PTI to move SC against speaker's decision today, says Imran Khan ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে, The News International, 28 May 2012
- PTI will form next government, says Imran Khan, Geo News Pakistan
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী জাহের আব্বাস জাহের আব্বাস আব্দুল কাদির |
পাকিস্তানের ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৮২–১৯৮৩ ১৯৮৫–১৯৮৭ ১৯৮৯–১৯৯২ |
উত্তরসূরী সরফরাজ নওয়াজ আব্দুল কাদির জাভেদ মিয়াঁদাদ |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
পূর্বসূরী পার্টি তৈরি |
পাকিস্তান তারেক-ই-ইন্সাফের চেয়ারম্যান ১৯৯৬–বর্তমান |
উত্তরসূরী Incumbent |
অ্যাকাডেমিক অফিস | ||
পূর্বসূরী Baroness Lockwood |
ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ২০০৫–বর্তমান |
উত্তরসূরী Incumbent |