গ্যারি গিলমোর
গ্যারি জন গিলমোর (ইংরেজি: Gary John Gilmour; ২৬ জুন, ১৯৫১ - ১০ জুন, ২০১৪) নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের ওয়ারাতাহ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষ হয়ে ১৫টি টেস্ট এবং ৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বামহাতে সুইং বোলিং করে সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাকে অ্যালান ডেভিডসনের সাথে তুলনা করা হতো। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট লাভ করেছিলেন গ্যারি গিলমোর।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গ্যারি জন গিলমোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়ারাতাহ, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২৬ জুন ১৯৫১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১০ জুন ২০১৪ সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৬২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭২-১৯৮০ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ মার্চ ২০১৩ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাওয়ারাতাহ প্রাইমারী স্কুল[২] ও নিউক্যাসল বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[৩] ১৯৬৭ সালে বেসবলে এবং ১৯৬৯ সালে ক্রিকেটে অবদান রাখায় নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষ থেকে দুইটি ব্লু পুরস্কার লাভ করেন।[৪]
তার বড় ভাই গ্রেগ স্লিপি গিলমোর জাতীয় নেটবল লীগ প্রতিযোগিতায় হান্টার জেইগার্স দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। মেয়ারওয়েদাস-কার্লটন এবং ওয়ান্ডারার্স দলের হয়ে প্রথম বিভাগ রাগবি ইউনিয়নে খেলেছেন।[৫]
বিশ্বকাপ ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে গিলমোর দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। হেডিংলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমি-ফাইনালে তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন। তিনি ১৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট লাভ করেন। এ রেকর্ডটি পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান উইনস্টন ডেভিস ভেঙ্গে ফেলেন।[৬] ফলে, ইংল্যান্ড ৩৬.২ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্বাগতিক দল ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭ রান করেছিল। অস্ট্রেলিয়াও নাটকীয়ভাবে ৬ উইকেটে ৩৯ রান সংগ্রহ করে। কিন্তু গিলমোরের ৫টি চার ও ২৮ বলে ২৮ রান করার মতো অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত খেলায়ও তিনি পাঁচ উইকেট লাভ করেন। কিন্তু তার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায়। দুই খেলায় অংশগ্রহণ করে ১১ উইকেট লাভ করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হন।
ব্যতিক্রম
সম্পাদনা১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে পার্থে অনুষ্ঠিত টেস্টে গিলমোর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম স্পিন বোলার ল্যান্স গিবসের ৩০০তম টেস্ট উইকেটের শিকারে পরিণত হন। কাকতালীয়ভাবে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত গিবসের সর্বশেষ টেস্টেও ৩০৯তম শিকারে পরিণত হয়েছিলেন গিলমোর।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাহেলেন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন তিনি। তাদের সংসারে ক্লিন্ট, বেন, স্যাম ও ব্রুক নামীয় চার সন্তান ছিল। তারা প্রত্যেকেই ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।[৭] ২০০৫ সালে তার যকৃৎ প্রতিস্থাপন হয়।[৮] তন্মধ্যে, ক্লিন্ট গিলমোর পিতার মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পূর্বে ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মার্চ, ২০১৪ সালে ৩৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে।[৯]
জীবনের শেষদিকে বেশ কয়েক বছর দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। অতঃপর ১০ জুন, ২০১৪ তারিখে সিডনির রয়্যাল প্রিন্স আলফ্রেড হাসপাতালে তার দেহাবসান ঘটে।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Haigh, Gideon। "Gary Gilmour"। ESPNCricinfo। ESPN EMEA Ltd.। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ Olivia Dillon, "Former student among top 30 cricket stars", The Newcastle Herald, 17 May 2007, p 54 (Supplement).
- ↑ Chris Watson, "Home of champions" The Newcastle Herald, 6 June 2006 (Supplement: 100 years of NEWCASTLE HIGH SCHOOL : The Students) p44
- ↑ Bill Collins, Max Aitken and Bob Cork, One hundred years of public school sport in New South Wales 1889–1989 (Sydney, ca. 1990, New South Wales Department of School Education, p180ff)
- ↑ Neil Goffet, "Man behind Jaegers push dies at 57" (Obituary), The Newcastle Herald, 13 April 2007, p 50 (The Leading Edge column).
- ↑ Six or More Wickets in an Innings in ODI Cricket ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, CricketArchive. Retrieved 13 September 2006.
- ↑ Neil Goffet, "Waratah Girls just want to have fun", The Newcastle Herald, 13 January 2005, p 61 (The Leading Edge column).
- ↑ Neil Goffet, "Mo appealing first-up speaker for De Courcy Club", The Newcastle Herald, 26 November 2009, p 65 (The Leading Edge column).
- ↑ ক খ "Gary Gilmour dead, aged 62", Sydney Morning Herald 10 June 2014 accessed 10 June 2014
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গ্যারি গিলমোর (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গ্যারি গিলমোর (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Whatever became of Gus Gilmour – article in The Age March, 2003