১৮৭৬-৭৭ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর
১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরটি একসময় উপনিবেশগুলোয় আরও একটি পেশাদার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সফর হিসেবে বিবেচনা করা হতো যা পূর্বেকার সময়ে অনুষ্ঠিত একই ধরনের সফর ছিল। কিন্তু কালক্রমে এ সফরটি স্মারকসূচক বিশ্বের প্রথম টেস্ট খেলা হিসেবে শ্রেণীকৃত হয় ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফররূপে পরিচিতি পায়। ইংরেজ দলটিকে কখনো কখনো জেমস লিলিহোয়াইট একাদশরূপে পরিচিতি ঘটানো হয়ে থাকে। দলটি সর্বমোট ২৩ খেলায় অংশ নেয়। কিন্তু মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার মর্যাদা পায়। তন্মধ্যে, দু’টিই ছিল টেস্ট খেলা।
১৮৭৬-৭৭ অস্ট্রেলিয়া ব ইংল্যান্ড সিরিজ | |||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
তারিখ | ১৫ মার্চ, ১৮৭৭-৪ এপ্রিল, ১৮৭৭ | ||||||||||||||||||||||||
অবস্থান | অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||
ফলাফল | ২-টেস্টের সিরিজ ১-১ ড্র | ||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||
প্রথম খেলাটি ১৬ নভেম্বর, ১৮৭৬ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে ও সর্বশেষ খেলাটি একই মাঠে ১৪ এপ্রিল, ১৮৭৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় পনেরটি ও নিউজিল্যান্ডে বাদ-বাকী আটটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রেড গ্রেসের পরিচালনায় আরেকটি বিদ্রোহী দলের সফর আয়োজনের চেষ্টা করা হলেও তা বাতিল করা হয়ে যায়। অস্ট্রেলীয় উপনিবেশগুলোয় সেরা খেলোয়াড়গণ জেমস লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষ দুই খেলায় অংশ নেন। বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার সেরা ফাস্ট বোলার ফ্রেড স্পফোর্থ বিতর্কিতভাবে প্রথম খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এর কারণ ছিল উইকেট-রক্ষক বিলি মারডকের দলে অনুপস্থিতি। ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ থেকে শুরু হওয়া দুই খেলায় উভয় দল অংশ নেয় যা পরবর্তীকালে টেস্ট খেলারূপে আখ্যায়িত হয়। সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়।
টেস্ট ক্রিকেটের উৎপত্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানার জন্য প্রথম টেস্ট সফর - ১৮৭৬/৭৭ দেখুন। যদিও উভয় খেলাই টেস্টের মর্যাদা পায়; তবুও সিরিজটি ১৮৮২ সাল থেকে শুরু হওয়া অ্যাশেজ সিরিজের অংশ ছিল না।
দলীয় সদস্যসম্পাদনা
অস্ট্রেলিয়া | ইংল্যান্ড[১] |
---|---|
খেলাসম্পাদনা
প্রথম টেস্টসম্পাদনা
দ্বিতীয় টেস্টসম্পাদনা
৩১ মার্চ - ৪ এপ্রিল, ১৮৭৭
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টমাস কেলি, বিলি মারডক ও ফ্রেড স্পফোর্থের টেস্ট অভিষেক ঘটে।
রেকর্ডসম্পাদনা
ব্যক্তিগত রেকর্ডসম্পাদনা
সর্বাধিক রান | চার্লস ব্যানারম্যান | ২০৯ |
সর্বাধিক উইকেট | টম কেন্ডল | ১৪ |
সর্বাধিক ক্যাচ (উইকেট-রক্ষকবিহীন) | টম এমেট | ৪ |
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস | চার্লস ব্যানারম্যান | ১৬৫ (রিটায়ার্ড হার্ট) |
ইনিংসে সেরা বোলিং | টম কেন্ডল | ৭/৫৫ (প্রথম টেস্ট, ২য় ইনিংস) |
খেলায় সর্বোচ্চ সর্বমোট | চার্লস ব্যানারম্যান | ১৬৯ (প্রথম টেস্ট) |
খেলায় সেরা বোলিং | টম কেন্ডল / আলফ্রেড শ |
৮ (দ্বিতীয় টেস্ট) |
দলগত রেকর্ডসম্পাদনা
সেরা ইনিংস | ইংল্যান্ড | ২৬১ (দ্বিতীয় টেস্ট, ১ম ইনিংস) |
সর্বনিম্ন ইনিংস | ইংল্যান্ড | ১০৮ (প্রথম টেস্ট, ২য় ইনিংস) |
টস জয় | অস্ট্রেলিয়া | ২ (২-এর মধ্যে) |
অন্যান্য রেকর্ডসম্পাদনা
- আলফ্রেড শ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বল ডেলিভারী করেন।
- চার্লস ব্যানারম্যান টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বল মোকাবেলা করেন।
- চার্লস ব্যানারম্যান টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম রান সংগ্রহ করেন।
- চার্লস ব্যানারম্যান টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম শতরান করেন।
- চার্লস ব্যানারম্যান দলীয় রানের ৬৯.৬% রান সংগ্রহ করেন যা অদ্যাবধি বিশ্বরেকর্ডরূপে অক্ষুণ্ন রয়েছে।
- অ্যালেন হিল টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট সংগ্রহ করেন।
- অ্যালেন হিল টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ক্যাচ নেন।
- বিলি মিডউইন্টার টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।
- প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে বিলি মিডউইন্টার টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।
- জ্যাক ব্ল্যাকহাম টেস্ট ক্রিকেটে উইকেট-রক্ষক হিসেবে প্রথম ক্যাচ নেন।
- জ্যাক ব্ল্যাকহাম টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম স্ট্যাম্পিং করেন।
- প্রথম ইংরেজ হিসেবে আলফ্রেড শ টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।
- প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট খেলায় বিজয়ী হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ক্রিকেটআর্কাইভে – সফরের বিস্তারিত বিবরণ, পুণরুদ্ধার: ২৪ মে, ২০১৪।