টেড পুলি
এডওয়ার্ড উইলিয়াম টেড পুলি (ইংরেজি: Ted Pooley; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪২ - মৃত্যু: ১৮ জুলাই, ১৯০৭) মন্মাউথশায়ারের চেপস্টো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ ক্রিকেটার ছিলেন। তিনিই হয়তোবা ইংল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম টেস্টের উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা লাভ করতে পারতেন। ১৮৬১ থেকে ১৮৮৩ সময়কালে ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে ও মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ব্যক্তিগত আচরণের কারণে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন টেড পুলি।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | চেপস্টো, মন্মাউথশায়ার | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৪২||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৮ জুলাই ১৯০৭ ল্যাম্বেথ, লন্ডন | (বয়স ৬৫)||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি স্লো (এছাড়াও উইকেট-রক্ষক) | ||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ |
নিউজিল্যান্ড সফর
সম্পাদনা১৮৭৭ সালে নিউজিল্যান্ড ও পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া গমন করে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী দল। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সমর্থকেরা খেলাগুলোকে ঘিরে বাজী ধরে। অধিকাংশ খেলাতেই খেলায় অংশগ্রহণের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। পুলি আঘাতগ্রস্ত ছিলেন ও দলের পূর্বেই ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেন।
অন্য সফরকারী রাল্ফ ডঙ্কিন কোন ব্যাটসম্যানকে শূন্ যরানে আউট করানোর জন্যে ২০-১ বাজী ধরেন। খেলাটি অসম ছিল। ইংল্যান্ড একাদশ ক্রাইস্টচার্চের ২২জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। পুলি প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট করে এক শিলিং পাচ্ছিলেন।[১] প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট করে ২২ শিলিংয়ের সমমান এক পাউন্ডে রূপান্তর করেন। এছাড়াও কিছুসময় খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন।[২]
খেলাশেষে ১১জনকে শূন্য রানে আউটের বিপরীতে পুলি £৯ পাউন্ড ১৫ শিলিং দাবী করেন। তবে ডঙ্কিন এ দাবীকৃত অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। এরফলে পুলি ডঙ্কিনের উপর চড়াও হন ও ডুনেডিনে অপর খেলায় অংশগ্রহণ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ইংরেজ দলের যাত্রার প্রস্তুতিকালে বিচারের জন্য ক্রাইস্টচার্চে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এ খেলাটি পরবর্তীকালে ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্টরূপে পরিগণিত হয়েছিল। তবে তিনি ও আলফ্রেড ব্রামহল দোষী হননি ও ইংল্যান্ড দল নিজদেশে ফিরে যাবার বেশ কয়েকসপ্তাহ পর তারা মুক্তিলাভ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, ক্রাইস্টচার্চের জনগণ অর্থসংগ্রহ করে ও তাকে পকেটঘড়ি উপহার দেয়।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাআইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এটিই তার প্রথম ঘটনা ছিল না। মদ্যপায়ী ও জুয়ারি হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। ১৮৭৩ সালে খেলা চলাকালীন বাজী ধরার কারণে সারে কর্তৃপক্ষ তাকে নিষিদ্ধ করে।[৩]
বিভিন্ন ধরনের ঘটনা তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্যময় পেশাদারী খেলোয়াড়ী জীবনে বহমান ছিল। ১৮৬৩ সালে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক অনুপযোগী পিচে খেলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি উইকেট-রক্ষণে এগিয়ে আসেন। ঐ খেলায় মিডলসেক্সের ইনিংস মাত্র ২০ রানে গুটিয়ে যায়। শুরুতেই সফলতা পান তিনি। এরপর থেকে পরবর্তী ২০ বছর মিডলসেক্স ও সারে দলের উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট জীবন শেষে পুলি সমসাময়িক অনেক ক্রিকেটারের ন্যায় মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকেন। ল্যাম্বেথের কারখানায় জুয়া ও মদ্যপানের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
১৯০৭ সাল পর্যন্ত জীবিত থাকেন। দারিদ্র্যতার কারণে তার দেহাবসান ঘটে।[৪]
অন্যদিকে ১৮৭৭ সালে সফরকারী দলীয় সতীর্থরা প্রথম টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন। তার ভাই ফ্রেডরিক পুলি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Test cricket's first gambling victim"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "I fought the law"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Some more bad boys"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Take up thy bed and bat"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
আরও দেখুন
সম্পাদনাআরও পড়ুন
সম্পাদনা- Keith Booth, His Own Enemy: The Rise and Fall of Edward Pooley, Belmont Books, 2000, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৫৩৭৭৬৬-০-৩.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টেড পুলি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টেড পুলি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)