হৃষীকেশ কানিদকর
হৃষীকেশ হেমন্ত কানিদকর (মারাঠি: हृषीकेश कानिटकर; জন্ম: ১৪ নভেম্বর, ১৯৭৪) মহারাষ্ট্রের পুনে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হৃষীকেশ হেমন্ত কানিদকর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত | ১৪ নভেম্বর ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | হেমন্ত কানিদকর (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৪) | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৯) | ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ জানুয়ারি ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৪ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে এয়ার ইন্ডিয়া, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন হৃষীকেশ কানিদকর।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত হৃষীকেশ কানিদকরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার ছিলেন হৃষীকেশ কানিদকর।[১] দর্শনীয়ভাবে ফিল্ডিং করতেন। ভারতের এ-দলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেতৃত্ব দেন। এ পর্যায়ে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় সফররত ভারতীয় দলে অজয় জাদেজা’র স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফিতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সোলাপুরের ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের নেতৃত্বাধীন মুম্বই দলের মুখোমুখি হন তিনি। ঐ খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।
রঞ্জী ট্রফিতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট দলে খেলে ক্রমাগত রান সংগ্রহ করতে থাকেন। এরফলে, জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী তার দিকে দৃষ্টিপাত করে। তবে, ভারতীয় দলে নিজেকে স্থায়ীভাবে অবস্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিছুকালের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারেননি। এ সুযোগে ২০০৬ সালে এসেক্সের ব্রেন্টউড ক্রিকেট ক্লাবে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ মৌসুমে ইংরেজ পরিবেশের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ৭৬ গড়ে সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন তিনি।[২][৩]
স্বর্ণালী সময়
সম্পাদনারঞ্জী ট্রফিতে রাজস্থান দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হৃষীকেশ কানিদকর খেলতে থাকেন।[৪] ২০১০-১১ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় তিনি রাজস্থান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। চূড়ান্ত খেলায় বড়োদরাকে পরাভূত করে রাজস্থান দলকে প্রথমবারের মতো শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন।[৫]
মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের সদস্যরূপে এক দশকের অধিক সময় খেলেন। ২০১২ সালে রাজস্থানের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকেন। ডিসেম্বর, ২০১২ সালে রঞ্জী ট্রফির ইতিহাসে ২৭তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৬][৭][৮]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে ও চৌত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন হৃষীকেশ কানিদকর। সবগুলো টেস্টই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২ জানুয়ারি, ২০০০ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে তুলনামূলকভাবে অধিকসংখ্যক ওডিআইয়ে তাকে রাখা হয়। তন্মধ্যে, জানুয়ারি, ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্বাধীনতার রজক জয়ন্তী কাপের চূড়ান্ত খেলায় স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। তিন শতাধিক রানের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হয় তার দল। মন্দালোকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ বলে জয়ের জন্যে ৩ রানের প্রয়োজন থাকা অবস্থায় সাকলাইন মুশতাকের বল থেকে চার মেরে দলকে বিজয়ী করেন।[১] স্বল্প কয়েকটি ওডিআইয়ে অংশ নিলেও কোচিতে অনুষ্ঠিত সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে নিজস্ব তৃতীয় খেলায় একমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ভারত দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটি টেস্ট খেলেন মেলবোর্ন ও সিডনিতে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্টে ১১ ও ৪৫ রান তুলেন। ঐ খেলায় তার দল ১৮০ রানে পরাজিত হয়েছিল। এরপর, নিজস্ব দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টে ১০ ও ৮ রান তুলেন। এ খেলায়ও ভারত দল ইনিংস ও ১৪১ রানে পরাজয়বরণ করে। এরপর, আর তাকে টেস্ট খেলায় নেয়া হয়নি।
অবসর
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উপেক্ষিত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন। জুলাই, ২০১৫ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন হৃষীকেশ কানিদকর।[৯] রঞ্জী ট্রফিতে আট হাজার বা তদূর্ধ্ব রান সংগ্রহের অধিকারী মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানের একজন ছিলেন। এছাড়াও, রঞ্জী ট্রফির ইতিহাসে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে এলিট ও প্লেট লীগের ট্রফি লাভ করেছেন। তবে, রঞ্জী ট্রফিতে আট সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করলেও কোন শিরোপার সন্ধান পাননি।[১০][১১]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ২০১১ সালে কোচি তুস্কার্স কেরালার সহকারী কোচ হিসেবে মনোনীত হন। তবে, আইপিএলের খেলা শুরুর পূর্বেই তিনি এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। এরজন্য দলের পরিচালকদের সাথে দর কষাকষির কারণ থাকতে পারে।
২০১৫-১৬ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় গোয়া ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের জন্যে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।[১২] এরপর, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ু ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ছিলেন। এ দায়িত্বে থাকাকালীন তামিলনাড়ু দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিরাট ভূমিকা রাখেন।[১৩] পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্যে মনোনীত বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকা লক্ষ্মীপতি বালাজিকে সাথে নিয়ে দলের আমূল পরিবর্তনে তিনি জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন।[১৪]
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার হেমন্ত কানিদকর সম্পর্কে তার পিতা ও তিনি ১৯৭৪ সালে ভারতের পক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন।
পরিসংখ্যান
সম্পাদনা- ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | জিম্বাবুয়ে | রিলায়েন্স স্টেডিয়াম, বড়োদরা | ৫ এপ্রিল, ১৯৯৮ | ৩৫ (৩১ বল: ২x৪, ১x৬); ৭-০-৩৭-২, ১ কট | ভারত ১৩ রানে বিজয়ী।[১৫] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Hrishikesh Kanitkar on Cricinfo
- ↑ Rookies come to the party
- ↑ Madhya Pradesh welcome back ICL returnees
- ↑ Ranji Trophy Guest Players ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে
- ↑ "Dream comes true for Kanitkar"। Times Of India। ২০১১-০১-২৬। ২০১২-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০।
- ↑ Yes, but is he lucky
- ↑ Kanitkar 'humbled' to be in final again
- ↑ A triumph to savour for Kanitkar
- ↑ "Hrishikesh Kanitkar retires from cricket"। ESPNcricinfo। ১ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Peshwas and Puneri snacks
- ↑ India 'A' - a slow day on a slow pitch
- ↑ Kanitkar joins Goa as coach
- ↑ "Hrishikesh Kanitkar: The man behind Tamil Nadu's Ranji Trophy turnaround - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ Kumar, C. Santosh (২০১৭-০১-০১)। "Hrishikesh Kanitkar's hand in Tamil Nadu transformation"। Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৪।
- ↑ "1997-1998 Pepsi Triangular Series - 3rd Match - India v Zimbabwe - Vadodara"।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হৃষীকেশ কানিদকর (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে হৃষীকেশ কানিদকর (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)