সৈয়দ কিরমানী
সৈয়দ মুজতবা হোসেন কিরমানী (তামিল: சையத் கிர்மானி; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৯) মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সৈয়দ মুজতবা হোসেন কিরমানী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, তামিলনাড়ু, ভারত (বর্তমানে চেন্নাই) | ২৯ ডিসেম্বর ১৯৪৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | সাদিক কিরমানী (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৮) | ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ আগস্ট, ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সৈয়দ কিরমানী। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৭১ সালে ফারুক ইঞ্জিনিয়ারকে সহায়তাকল্পে ইংল্যান্ড সফরে যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। দ্বিতীয় টেস্টেই এক ইনিংসে ছয় ডিসমিসাল ঘটিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অগণিত সুযোগ হারান ও ভিভিয়ান রিচার্ডস উপর্যুপরি তিন টেস্টে শতক হাঁকান।
পরের বছর নিউজিল্যান্ড দল ভারত সফরে আসলে ৬৫.৩৩ ব্যাটিং গড়ে শীর্ষে আরোহণ করেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩০৫ রান তুলেন।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা চালান। বিশ্ব সিরিজ কাপের খেলায় অ্যালান বর্ডারের দর্শনীয় ক্যাচ নেন। কিন্তু তার পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে বাদ-বাকি খেলাগুলোয় মাঠের বাইরে বসে থাকতে হয় ও কার্যত তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। কিরণ মোরে ও চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ন্যায় উদীয়মান তরুণ উইকেট-রক্ষকদের আবির্ভাবে তিনি আর নিজস্থান পুণঃদখল করতে পারেননি।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের সদস্য হলেও কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে ভরত রেড্ডি তার স্থলাভিষিক্ত হন। এছাড়াও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে সিরিজে তাকে বাদ দেয়া হয়।
১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পান কিরমানীকে। চূড়ান্ত খেলায় ফাউদ বাক্কাসের ক্যাচ নেন। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ক্যাচের ও দুই স্ট্যাম্পিং করে তৎকালীন রেকর্ডের সমকক্ষ হন। নিচেরসারির বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে কপিল দেবের সাথে নবম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ১২৬ রান তোলেন। ভারতের সঙ্কটকালীন কিরমানীর ২৬ রান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রভূতঃ সহায়ক ভূমিকা পালন করে ও পরবর্তীতে দল চ্যাম্পিয়ন হয়।
সুনীল গাভাস্কারকে অধিনায়কের দায়িত্বে থেকেই অব্যহতি দেয়া হয়েছিল। কিরমানিকে তার দূর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্যের জন্য বাদ দেয়া হলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ক্যারি প্যাকারের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের অংশ নিতে তিনি ও গাভাস্কার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
অবসর
সম্পাদনাখেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটের এক মৌসুমে রেলওয়ের পক্ষে খেলেন। এরপর সাবেক দল কর্ণাটকের পক্ষে খেলার জন্য ফিরে যান।
২০০০-এর দশকের শুরুতে ভারতের দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ‘কাভি আজনবি থি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এতে দলীয়সঙ্গী সন্দ্বীপ পাতিলও অভিনয় করেছিলেন। তরুণ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জীবন পরিবর্তন সম্পর্কীয় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা রয়েছে তার।[১] ১৯৮২ সালে পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তিনি সর্বদাই চুলবিহীন টেকো অবস্থায় থাকতেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ২০০২ সালে স্বীয় কন্যাকে সাবেক অল-রাউন্ডার সৈয়দ আবিদ আলী’র পুত্র ফাকির আলী’র সাথে বিয়ে দেন।[২] কিন্তু এপ্রিল, ২০০৮ সালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে ফাকির আলী মারা যান।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ P. K. Ajith Kumar (২০১১-০২-০৪)। "Bowled over by cinema"। The Hindu। ২০১২-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-০৫।
- ↑ "Kirmani's daughter weds Abid Ali's son"। Rediff। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Faaqer Ali"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৬।
আরও দেখুন
সম্পাদনাগ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সৈয়দ কিরমানী (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সৈয়দ কিরমানী (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী ব্রিজেশ প্যাটেল |
সভাপতি, নির্বাচক কমিটি অক্টোবর, ২০০৩ - সেপ্টেম্বর, ২০০৪ |
উত্তরসূরী কিরণ মোরে |