সিরাজগঞ্জ পৌরসভা

সিরাজগঞ্জ জেলার একটি পৌরসভা

সিরাজগঞ্জ পৌরসভা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি নগরভিত্তিক স্থানীয় সরকার সংস্থা যেটি সিরাজগঞ্জ পৌরসভা পরিচালনা করে থাকে। ১৮৬৯ সালে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা শ্রেণীর হলেও ১৯৯২ সালে ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নতি হয়। বর্তমানে এটি একটি ‘‘ক’’ শ্রেনীর পৌরসভা। সিরাজগঞ্জ শহর রাজশাহী বিভাগের তৃতীয় এবং বাংলাদেশের ১৪ তম বৃহৎ শহর এবং বর্তমানে দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল নগরী। সিরাজগঞ্জ পৌরসভা বাংলাদের প্রাচীন পৌরসভা গুলোর একটি এবং অন্যতম।[]

সিরাজগঞ্জ
পৌরসভা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাসিরাজগঞ্জ জেলা
উপজেলাসিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা
সিরাজগঞ্জ পৌরসভা০১/০৪/১৮৬৯
সিরাজগঞ্জ ২৬৩ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আংশিক ও কামারখন্দ উপজেলা
সরকার
 • মেয়রপদশূন্য
আয়তন
 • মোট২৮.৪৯ বর্গকিমি (১১.০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)
 • মোট৪,৫০,০০০
 • জনঘনত্ব১৬,০০০/বর্গকিমি (৪১,০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৯৮.৯%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৬৭০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

সিরাজগঞ্জ শহর এটি যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে এবং ঢাকা শহর হতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। শহরটি সিরাজগঞ্জ সদর একই সাথে জেলার প্রধান শহর। এখানে ১৫টি ওয়ার্ড এবং ৫২টি মহল্লা রয়েছে।শহরের জনসংখ্যা ৪,৫০০০০ জন প্রায়।সিরাজগঞ্জ শহর দেশের ১৪ তম বৃহৎ শহর।

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮০৯ সালের দিকে খয়রতি মহল রুপে জমিদারী সেরেন্তায় লিখিতভূতের দিয়ার নামের মৌজা নিলামে ক্রয় করিয়া বেলকুচি থানার সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী নামক একজন জমিদার সিরাজগঞ্জ শহরের ভিত্তি স্থাপন করেন। তারই নাম অনুসারে আজকের সিরাজগঞ্জ। এ শহরের পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদী। যার উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু। যেটি পূর্ব-পশ্চিম যোগাযোগের এ পর্যন্ত একমাত্র মাধ্যম। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জ মহুকুমার এবং মিঃ এ বারী প্রথম মহুকুমা প্রশাসক ছিলেন। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রথম ভারত শাসন আইন প্রবর্তন করেন। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা স্থাপিত হয়, যার প্রথম চেয়ারম্যান মিঃ ট্রেসষ্ট্রো। শুরুতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা ‘‘গ’’ শ্রেণীর হলেও ১৯৯২ সালে ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে ক শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নতি হয়। যার আয়তন ২৮.৪৯ বর্গ কিলোমিটার। যদিও যমুনা নদীর করাল গ্রাসে বারবার বিধ্বস্ত হয়েছে এ শহর, তবুও এর সৌন্দর্যটুকু কমে নাই। গ্রীষ্মের বিকাল বেলায় নদীর তীর এ শহর বাসীর কাছে যেন হয়ে উঠে এক মিলন মেলায়। বর্তমানে এ পৌরসভার পৌর পিতা হিসাবে আছেন মোঃ মোকাদ্দেছ আলী ‍- মেয়র। এই পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কাটাখালী। যা অত্র পৌরসভার যাবতীয় গ্লানী ধুয়ে-মুছে বের করে নিয়ে যায় বাহিরে। ঠিক তারই উপর দিয়ে ব্রিটিশ নির্মাণ করেছেন এক অপূর্ব শৈল্পীক ব্রীজ যার নাম ইলিয়াট ব্রীজ। তাছাড়া নির্মিত হয়েছে টুকু ব্রীজ-১, টুকু ব্রীজ-২ যা শহরের এপার ওপার জনসাধারণ মধ্যে গড়ে তুলেছে সেতুর বন্ধন। ইহা ছাড়া কবিতায় ও সাহিত্যে অমর কৃতি স্পাপন করেছেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও অংকের যাদুকর যাদব চক্রবর্তী। প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মওলানা ভাষানীর জন্ম কিন্তু এ শহরের ফুলবাড়ী গ্রামে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পরাধীনতার শৃংখলা মুক্ত করার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সিরাজগঞ্জের অনেক কৃতি সন্তানের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন যারা অবিভক্ত বাংলার কৃতি সন্তান বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এম.এস.এ) ও তদানীন্তন পাকিস্তানের শিল্প ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ক্যাপ্টেন এম. এ মুনসুর আলী, মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ গোলাম রসুল হিলালী সৈয়দ আকবর আলী, নজিবর রহমান সাহিত্য রত্ন, রজনী কান্ত সেন, ও মোহাম্মদ বরকতুউল্লাহ সহ অনেক বহুমুখী প্রতিভাধর ও স্বনামধন্য গুনী ব্যক্তিবর্গের পবিত্র জন্মস্থান এ সিরাজগঞ্জ।

সিরাজগঞ্জ রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমে, রাজশাহী থেকে উত্তর-পূর্বে এবং বগুড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে, ২৪º২২΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º৩৭΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৯º৩৬΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯º৪৭΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ২৮.৪৯ বর্গকিলোমিটার।

আয়তন ও জনসংখ্যা

সম্পাদনা

মোট আয়তন: সিরাজগঞ্জ পৌরসভার আয়তন ২৮.৪৯ বর্গকিলোমিটার। যা ১৫টি ওয়ার্ডে বিভক্ত।[]

মোট জনসংখ্যা: ৪০০০০০+ জন।[]

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় ১৫টি ওয়ার্ড এবং ৫২টি মহল্লা রয়েছে।

ওয়ার্ডঃ ১৫টি[]

গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহঃ

ক্রম নং নাম
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোড (এস.এস রোড)
মুজিব সড়ক
বি এ কলেজ রোড
এস.বি.ফজলুল হক রোড
আই.এইচ.সিরাজী রোড
১নং খলিফাপট্টি
২নং খলিফাপট্টি
হেলিপোর্ট রোড
যাদব চক্রবর্তী (জে.সি) রোড
১০ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এভিনিউ
১১ এম.এ.মতিন সড়ক
১২ দরগাহ রোড
১৩ থানা রোড
১৪ বাহিরগোলা রোড
১৫ আব্দুল লতিফ মির্জা সড়ক
১৬ হাজী আহম্মেদ আলী রোড
১৭ মুন্সি মেহেরউল্লাহ রোড
১৮ ষ্টেশন রোড
১৯ জুবলী রোড
২০ স্টেডিয়াম রোড
২১ কাজী নজরুল ইসলাম স্বরণী
২২ ভাষানী রোড
২৩ শহীদ এম মনসুর আলী রোড
২৪ কালীবাড়ি রোড
২৫ হিলালী রোড
২৬ ফজল খান রোড
২৭ পি.টি.আই রোড
২৮ ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত মুন্না সড়ক
২৯ কাজী মতিউর রহমান সড়ক
৩০ হাজী সোনাউল্লাহ সড়ক
৩১ আশরাফ হোসেন রোড
৩২ কালেক্টরেট রোড
৩৩ পানির ট্যাঙ্ক রোড
৩৪ এন.আর রোড
৩৫ গয়লা রোড
৩৬ জুবলী বাগান রোড
৩৭ জানপুর রোড
৩৮ পুরাতন বগুড়া রোড
৩৯ নিউ ঢাকা রোড
৪০ মাহমুদপুর রোড
৪১ দত্তবাড়ি রোড
৪১ ভাঙ্গাবাড়ি রোড

এলাকা/মহল্লা

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় ৫২টি মহল্লা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • মাছুমপুর
  • রায়পুর
  • মাহমুদপুর
  • দিয়ারধানগড়া
  • মোক্তারপাড়া
  • চররায়পুর
  • সয়াধানগড়া
  • সয়াগোবিন্দ
  • পুরান ভাঙ্গাবাড়ি
  • নতুন ভাঙ্গাবাড়ি
  • কাঠেরপুল
  • জুবলী বাগান লেন
  • আরশি নগর
  • রহমতগঞ্জ
  • শহীদগঞ্জ
  • ফুলবাড়ী
  • ধানগড়া
  • রাণীগ্রাম
  • জানপুর
  • কোবদাসপাড়া
  • গয়লা
  • গোসালা
  • আমলাপাড়া
  • কুশাহাটা
  • একডালা
  • দত্তবাড়ি
  • হোসেনপুর
  • ধানবান্ধী
  • মিরপুর
  • মালশাপাড়া

ওয়ার্ড সমূহ

সম্পাদনা
ক্রম নং নাম
১নং ওয়ার্ড মাহমুদপুর

মাছিমপুর (উকিলপাড়া-মৌলভিপাড়া-মাছিমপুর নতুনপাড়া-তালুকদারপাড়া-মাছিমপুর উত্তরপাড়া-কারিগরপাড়া)।

২নং ওয়ার্ড দিয়ারধানগড়া (সর্দারপাড়া-কাচারীপাড়া)

সয়াধানগড়া (খানপাড়া-কারিগরপাড়া) আংশিক।

৩নং ওয়ার্ড পৌরসভা সদর এলাকা (মুজিব সড়ক-এস.এস রোড-১ ও ২ নং খলিফাপট্টি-ষ্টেশন রোড-মুন্সি মেহেরউল্লাহ রোড)

মোক্তারপাড়া।

৪নং ওয়ার্ড উত্তর সয়াধানগড়া (মোল্লাবাড়ি)

সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া রহমতগঞ্জ।

৫নং ওয়ার্ড সয়াগোবিন্দ

থানাপাড়া বাহিরগোলা।

৬নং ওয়ার্ড নতুন ভাঙ্গাবাড়ি (নতুনপাড়া-শহীদগঞ্জ-রতনগঞ্জ-সাহেদনগর-বেপারিপাড়া।)
৭নং ওয়ার্ড কুশাহাটা

রাণীগ্রাম (রাণীগ্রাম পূর্বপাড়া-নতুনপাড়া) কোবদাসপাড়া।

৮নং ওয়ার্ড দত্তবাড়ি

জানপুর,(জানপুর পশ্চিমপাড়া-পূর্বপাড়া-ব্যাংকপাড়া)।

৯নং ওয়ার্ড একডালা (একডালা-মধ্যপাড়া-পশ্চিমপাড়া),

ঘুরকা।

১০নং ওয়ার্ড ধানবান্ধি।
১১নং ওয়ার্ড হোসেনপুর
১২নং ওয়ার্ড আমলাপাড়া

কালিবাড়ি স্টেডিয়াম রোড এস.বিফজলুল হক রোড ই.বি.রোড হেলিপোর্ট রোড।

১৩নং ওয়ার্ড চর বায়পুর

রায়পুর (কলোনীপাড়া-উত্তরপাড়া-দক্ষিনপাড়া-পূর্বপাড়া-পশ্চিমপাড়া)।

১৪নং ওয়ার্ড মালশাপাড়া

চর মালশাপাড়া।

১৫নং ওয়ার্ড মিরপুর (বিড়ালাকুঠি-হায়দারপাড়া-হাজীপাড়া)

রেলওয়ে কলোনি।

ধর্মীয় উপাসনালয়

সম্পাদনা
ক্রম নং. নাম সংখ্যা
০১ মসজিদ ১৪০টি
০২ মন্দির ৩০টি
০৩ গীর্জা ০টি
০৪ ঈদগা মাঠ ৫০টি
০৫ কবর স্থান ৫টি
০৬ শশ্মান ২টি

শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা

প্রাচীনকাল থেকেই শিক্ষা, সংস্কৃতিতে সিরাজগঞ্জ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, সিরাজগঞ্জ বাংলাদেশের নিরক্ষরমুক্ত ৭টি জেলার মধ্যে একটি এবং দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে শিক্ষার হারে ৫ স্থানে রয়েছে।

শিক্ষার হার:৯৮.৯%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

ক্রম নং প্রতিষ্ঠান সংখ্যা শিক্ষার হার
কারিগরী ইনষ্টিটিউট ১টি ৯৮.৯%
বাণিজ্যিক ইনষ্টিটিউট ১টি
মেডিকেল কলেজ ২টি
আলিয়া মাদ্রাসা ১টি
ইসলামিয়া কলেজ ১টি
মাদ্রাসা ১৫টি
হোমিও প্যাথিক কলেজ ১টি
সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ১টি
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ১টি
১০ বে-সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২০টি
১১ কিন্ডারগার্টেন ৪০টি
১২ আইটি ফার্ম ০১টি

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ

ক্রম নং প্রতিষ্ঠানের নাম অবস্থান
০১ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ শিয়ালকোল
০২ নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ জে,সি রোড, ধানবান্ধী
নং প্রতিষ্ঠানের নাম অবস্থান
০১ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোড
০২ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ জে,সি রোড,ধানবান্ধী
০৩ মাওলনা ভাসানী কলেজ মুজিব সড়ক
০৪ সরকারি রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজ
০৫ সবুজ কানন স্কুল এন্ড কলেজ।
০৬ সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ কালেক্টরেট রোড
০৭ বি.এল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মতিন সাহেবের ঘাট,ধানবান্ধী
০৮ সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সদর হাসপাতাল রোড
০৯ ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় বি.এ কলেজ রোড
১০ জ্ঞানদায়ীনি উচ্চ বিদ্যালয় মুজিব সড়ক
১১ হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
১২ শহীদ মডেল স্কুল
১৩ সৃষ্টি স্কুল এন্ড কলেজ
১৪ জোয়ারদার ক্যাডেট স্কুল
১৫ এস.বি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় রেলওয়ে কলোনি
১৬ মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মিরপুর
১৭ রাণীগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাণীগ্রাম
১৮ সিরাজগঞ্জ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ হাজী আহম্মেদ আলী রোড, মাসিমপুর
১৯ শাহীন ক্যাডেট একাডেমি বানিয়াপট্টি
২০ জাহানারা ইমাম হাই স্কুল এস,বি ফজলুল হক রোড,গোশালা
২১ হাজী আহম্মেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়
২২ আশরাফুল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ১নং মিল গেট, রায়পুর
২৩ কওমি জুটমিল হাই স্কুল জাতীয় জুট মিল, রায়পুর
২৪ অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ নিউ ঢাকা রোড
২৫ পি.ডি.বি.হাই স্কুল বাহিরগোলা রোড
২৬ গৌরী-আরবান গালর্স হাই স্কুল ক্লোজার রোড, আমলাপাড়া
২৭ দারুল ইসলাম মডেল মাদ্রাসা কাজীপুর মোড়, সয়াধানগড়া

এছাড়া সরকারি, বেসরকারি আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।

শিল্প/বানিজ্য

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ শহরকে একসময় কলকাতানারায়ণগঞ্জ এর সমতুল্য পাট ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। বর্তমানে এটি পাট ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানকার পাটকলগুলো তদানীন্তন বাংলা প্রদেশের প্রথম দিককার পাটকলের মধ্যে পড়ে।

বর্তমান সিরাজগঞ্জ শহর ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক হলে ও যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণ হওয়ার পরে শহর এবং শহরতলীতে ফ্লাওয়ারমিল, ফিড, সিমেন্ট, স্পিনিং, টেক্সটাইল, রাইচমিল, তাঁত ইত্যাদি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জাতীয় জুটমিল শহরের রায়পুরে অবস্থিত। শহরের হোসেনপুর, সারঘাটে অসংখ্য ফ্লাওয়ার মিল, রাইচমিল, বেকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ও পৌরসভা এবং পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ৪০০ একর জমির ওপর দেশের সবথেকে বড় বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণাধীন রয়েছে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ শহরে সরকারি বেসরকারি অনেকগুলো হাসপাতাল/ক্লিনিক আছে। শহরে ১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।

মেডিকেল কলেজ

সম্পাদনা

সরকারি হাসপাতাল

সম্পাদনা
  • বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল
  • আরবান হাসপাতাল (নগর স্বাস্থকেন্দ্র) ৪টি

বেসরকারি

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ শহরে অনেকগুলো বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।

ক্রম নং নাম অবস্থান
০১ নর্থ বেঙ্গল হসপিটাল জে.সি রোড
০২ আভিসিনা হসপিটাল লি. মুজিব সড়ক
০৩ হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,হসপিটাল
০৪ কেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার
০৫ কমিউনিটি হসপিটাল লি.
০৬ রাশ মেডি কেয়ার
০৭ সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি হসপিটাল
০৮ কমিউনিটি হসপিটাল কমপ্লেক্স
০৯ প্রাইম হাসপাতাল প্রফেসর এম.এ.মতিন সড়ক
১০ মইন উদ্দীন হাসপাতাল
১১ সেবা জেনারেল হাসপাতাল
১২ আলহেরা জেনারেল হাসপাতাল
১৩ ইউনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার
১৪ ব্রাইট হেলথ স্পেশালাইজড হসপিটাল শহীদ এম মনসুর আলী রোড (নিউ মার্কেট)
১৫ মেডিনোভা হসপিটাল কমপ্লেক্স দরগাহ রোড
১৬ আল মদিনা হাসপাতাল কালীবাড়ি রোড
১৭ ওরিভো হেলথ কেয়ার
১৮ সেন্ট্রাল হসপিটাল কাজী নজরুল ইসলাম স্বরণী, বাহিরগোলা
১৯ সিরাজগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটাল
২০ সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতাল
২১ সিটি জেনারেল হাসপাতাল এন্ড শংকর ডায়াগনস্টিক এস.বি.ফজলুল হক রোড, গোশালা
২২ নিউ এপোলো হাসপাতাল
২৩ চেষ্ট ডেসিজেস হসপিটাল
২৪ টিবি হসপিটাল
২৫ দি প্যাথলজি পাঁচ রাস্তার মোড়
২৬ লাইলী জেবু ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া
২৭ দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল রোড
২৮ মেডি কেয়ার মুন্সি মেহেরউল্লাহ রোড
২৯ আরাফাত হসপিটাল হেলিপোর্ট রোড
৩০ সেন্ট্রাল প্যাথলজি ই.বি রোড (কলাবাগান)
৩১ নিউ লাইফ কেয়ার হসপিটাল কমপ্লেক্স কাজীপুর মোড়, সয়াধানগড়া
৩২ আলেয়া জেনারেল হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ রোড

এছাড়াও আরও বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

সম্পাদনা
ক্রম নং নাম পেশা জন্মস্থান
০১ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনীতিবিদ ধানগড়া, সিরাজগঞ্জ
০২ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী কবি, ঔপন্যাসিক, সম্পাদক বাণীকুঞ্জ, দিয়ারধানগড়া
০৩ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ রাজনীতিবিদ বাগানবাড়ি, হোসেনপুর
০৪ সৈয়দা ইসাবেলা লেখিকা, মুক্তিযোদ্ধা বাণীকুঞ্জ, দিয়ারধানগড়া
০৫ যাদব চক্রবর্তী শিক্ষক, লেখক, গণিতবিদ ধানবান্ধি
০৬ আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন শিক্ষক, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞান গবেষক ফুলবাড়ি
০৭ আলী রাজ অভিনেতা
০৯ জাহিদ হাসান অভিনেতা, প্রযোজক শহীদগঞ্জ
১০ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু রাজনীতিবিদ কয়েলগাঁতী, শিয়ালকোল। বর্তমান (বাগানবাড়ি, হোসেনপুর)
১১ হাবিবে মিল্লাত বিশিষ্ট চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোড (এস.এস.রোড)
১২ মোতাহার হোসেন তালুকদার ভাষা সৈনিক গজারিয়া, রতনকান্দি
১৩ জান্নাত আরা হেনরী রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী, রাজনীতিবিদ কড্ডা, বর্তমান (মুজিব সড়ক)

দর্শনীয় স্থান/স্থাপনা

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ শহর এবং শহরতলীতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য কিছু স্থান/স্থাপনা

ক্রম নং স্থাপনা অবস্থান
০১ যমুনা সেতু সয়দাবাদ-ভূঞাপুর
০২ ইলিয়ট সেতু কাটাখাল (১২৫ বছর পুরোনো সেতু)
০৩ সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট শহর রক্ষা বাধ
০৪ চায়না ব্যারাজ-৩ ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র মালশাপাড়া (যমুনা পাড়)
০৫ দুর্জয় বাংলা ভাস্কর্য চন্ডিদাসগাতি
০৬ মুক্তির সংগ্রাম ভাস্কর্য শহর রক্ষা বাধ (হার্ড পয়েন্ট)
০৭ মুজিব দর্শন ভাস্কর্য পুরাতন জেলখানা ঘাট (ক্লোজার)
০৮ যমুনা ইকো পার্ক সয়দাবাদ (যমুনা সেতু)
০৯ রাসেল পার্ক পুরাতন জেলখানা ঘাট
১০ বাহিরগোলা রেল সেতু বাহিরগোলা (কাটাখাল)
১১ শাহ সুফি আফজাল মাহমুদের সমাধি দরগাহ রোড
১২ জমিদার বাড়ি মুজিব সড়ক
১৩ জামে মসজিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোড (এস.এস.রোড)
১৪ শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আখড়া মুজিব সড়ক
১৫ যুগল কিশোর মন্দির দরগাহ রোড (থানা মোড়)
১৬ কালীবাড়ি মন্দির ক্লোজার রোড (কালীবাড়ি)
১৭ পুরাতন খ্রিস্টান কবরস্থান প্রফেসর এম.এ.মতিন সড়ক (জজ কোর্ট)
১৮ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এর বাড়ি ধানগড়া
১৯ যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী এর বাড়ি জে.সি.রোড (বর্তমান নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ)
২০ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী এর বাড়ি বাণীকুঞ্জ, দিয়ারধানগড়া
২১ হৈমন্তী শুক্লা এর বাড়ি কাসারিয়াপট্টি,মুন্সি মেহেরউল্লাহ রোড

যোগাযোগ ব্যবস্থা

সম্পাদনা

সড়কপথ

সম্পাদনা

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে ঢাকা,চট্টগ্রাম,রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। সিরাজগঞ্জ শহরে ০২টি বাস টার্মিনাল রয়েছে।

  1. এম এ মতিন পৌর বাস টার্মিনাল
  2. মিরপুর বাস টার্মিনাল

এম এ মতিন বাস টার্মিনালটি জেলা এবং শহরের প্রধান ও বৃহৎ বাস টার্মিনাল। সিরাজগঞ্জের অভ্যন্তরীণ সহ দেশের বিভিন্ন আন্তঃনগর রুটে দৈনিক ৫ শতাধিক বাস এই টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়।

  • সিরাজগঞ্জ থেকে বিভাগীয় শহরের দুরত্ব-
শহরের নাম সড়ক দুরত্ব (কি.মি.)
ঢাকা সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা ১১০
চট্রগ্রাম সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম ৩৭৫.৪
রাজশাহী সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-নাটোর-রাজশাহী ১৩২.৫
সিলেট সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-টাঙ্গাইল-টঙ্গী-নরসিংদী-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট ৩৩৮.৬
রংপুর সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-রংপুর ১৮০
খুলনা সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঈশ্বরদী-যশোর-খুলনা ২৯২.৯
ময়মনসিংহ সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-এলেঙ্গা-ময়মনসিংহ ১২৩.৭
বরিশাল সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-টাঙ্গাইল-মাওয়া-পদ্মাসেতু-ভাঙ্গা-বরিশাল ৩০৩.১
  • সিরাজগঞ্জ শহর থেকে জেলার ৭টি উপজেলা এবং ৩টি থানায় খুব সহজে সড়ক পথে পৌছানো যায়। সিরাজগঞ্জ সদর থেকে চৌহালি উপজেলা উপজেলা ব্যাতিত সব উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। নদী কেন্দ্রিক হওয়ায় চৌহালির সাথে যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথ। শহর থেকে এনায়েতপুর নেমে নৌপথে চৌহালি যেতে হয়। যার দুরত্ব প্রায় ৪০/৪৫ কিলোমিটার। এছাড়া সড়ক পথে যমুনা সেতু, টাঙ্গাইল হয়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার ঘুরে চৌহালী সদরে পৌছানো যায়।
  • শহর থেকে ৮টি উপজেলা শহরের দুরত্ব:-
উপজেলা শহরের নাম সড়ক দুরত্ব (কি.মি.)
কামারখন্দ উপজেলা সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-জামতৈল ১৩.২
বেলকুচি সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সয়দাবাদ-বেলকুচি ২০.২
রায়গঞ্জ সিরাজগঞ্জ-হাট প্ঙ্গাসী-রায়গঞ্জ ২০.৪
কাজীপুর উপজেলা সিরাজগঞ্জ-পিপুলবাড়িয়া-কাজিপুর ২৭.১
উল্লাপাড়া উপজেলা সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-উল্লাপাড়া ২৯.৭
তাড়াশ সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-সলঙ্গা-তাড়াশ ৪০.১
শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-উল্লাপাড়া-শাহজাদপুর ৪৭
চৌহালি উপজেলা সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি-এনায়েতপুর-চৌহালি (এনায়েতপুর থেকে চৌহালী নৌপথ) ৩৫
  • জেলা শহর থেকে থানা শহরের দুরত্ব:-
থানা সড়ক দুরত্ব
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা সিরাজগঞ্জ-মুলিবাড়ি-সয়দাবাদ-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম ১২.৭
সলঙ্গা থানা সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-সলঙ্গা ২২.৮
এনায়েতপুর থানা সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সয়দাবাদ-বেলকুচি-এনায়েতপুর ২৮.৫


  • সিরাজগঞ্জে থেকে বিভিন্ন জেলা শহরের দুরত্ব-
শহরের নাম সড়ক দুরত্ব (কি.মি.)
বগুড়া সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া ৭৭.৮
পাবনা সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-পাবনা ১০০.৫
নাটোর সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বনপাড়া- নাটোর ৮৭.৭
নওগাঁ সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-নওগাঁ ১২০.৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-নাটোর-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৮৩.২
দিনাজপুর সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ২১৩.৫
যশোর সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বনপাড়া-ঈশ্বরদী-ঝিনাইদহ-যশোর ২১৮.২
টাঙ্গাইল সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-এলেঙ্গা-টাঙ্গাইল ৪৫.১
কুমিল্লা সিরাজগঞ্জ-যমুনা-এলেঙ্গা-ঢাকা-কুমিল্লা ২২৯.৯
গাইবান্ধা সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-গোবিন্দগঞ্জ-গাইবান্ধা ১০৩.৪
জয়পুরহাট সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-জয়পুরহাট ১১২.৯
কুড়িগ্রাম সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-গোবিন্দগঞ্জ-কুড়িগ্রাম ২১৯.৪
লালমনিরহাট সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-গোবিন্দগঞ্জ-লালমনিরহাট ২১১.৯
নীলফামারী সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-রংপুর-নীলফামারী ২৩১.৫
ঠাকুরগাঁও সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও ২৭০.৩
পঞ্চগড় সিরাজগঞ্জ-হাটিকুমরুল-বগুড়া-দিনাজপুর-পঞ্চগড় ২৯১.৬
কক্সবাজার সিরাজগঞ্জ-যমুনা সেতু-এলেঙ্গা-ঢাকা-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ৫২০.৫

রেল সিটি খ্যাত সিরাজগঞ্জ।উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বৃটিশ-ভারত আমলে যমুনা অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ শহরটিকে গড়ে তোলা হয়েছিল রেলসিটি হিসেবেই।

শহরের বুক চিরে বের হওয়া দু’টি রেলসড়ক যমুনার তীরে গিয়ে শেষ হয়। শহরের মাঝখানে ছিল রায়পুর, সিরাজগঞ্জ বাজার, সিরাজগঞ্জ ঘাট ও বাহিরগোলা চারটি রেলওয়ে স্টেশন। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জ ঘাট রেলওয়ে স্টেশনবাহিরগোলা রেলওয়ে স্টেশন। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশনরায়পুর রেলওয়ে স্টেশন এ একটি মাত্র আন্তঃনগর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করে।

গণমাধ্যম

সম্পাদনা

জাতীয় পত্রিকা ছাড়াও সিরাজগঞ্জ থেকে বেশ কিছু পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে দৈনিক যমুনা প্রবাহ, দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ, কলম সৈনিক, রাঙা সকাল, দৈনিক যুগের কথা, দৈনিক সিরাজগঞ্জ কণ্ঠ, আমাদের সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "এক নজরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা"sirajganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা