সাতৈর মসজিদ
সাতৈর মসজিদ বাংলাদেশের একটি অতি পুরানো মসজিদ। এটি আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ বা শের শাহের আমলে তৈরি করা হয়েছে।
সাতৈর মসজিদ | |
---|---|
সাতৈর মসজিদ | |
অবস্থান | সাতৈর, বোয়ালমারী ,ফরিদপুর, বাংলাদেশ |
প্রতিষ্ঠিত | ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ[১] |
স্থাপত্য তথ্য | |
নির্মাতা | আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ |
ধরন | তুঘলক |
আবৃত স্থান | ভেতরের দিকে ১৩.৮ মি X ১৩.৮ মি |
গম্বুজ | ৯ |
মিনার | ৪ |
স্থাপত্য |
তালিকা |
স্থাপত্য শৈলী |
মসজিদের তালিকা |
অন্যান্য |
তালিকা |
ইতিহাস
সম্পাদনাআলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ (১৪৯৪-১৫১৯) ছিলেন একজন স্বাধীন বাংলার সুলতান। তখন এই সাতৈর গ্রামে বহু আওলিয়ার বসবাস ছিলেন। তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী এর মুরিদ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর মাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহ মসজিদ শের শাহের (১৪৮৬ - ২২শে মে, ১৫৪৫) আমলের কীর্তি। ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ তার জনৈক পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
বর্ণনা
সম্পাদনাবর্গাকার এই মসজিদটি বাইরের দিক থেকে প্রতিপাশে ১৭.৮ মিটার এবং ভেতরের দিক থেকে ১৩.৮ মিটার। পুরবে ভূমি থেকে মসজিদটির মেঝে প্রায় ০.৭৬ মিটুমি উঁচু ছিল, বর্তমানে এটি ০.৬ মিটার উঁচু। মোট নয়টি কন্দ আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির ভেতরে পাথরের তৈরি ৪ টি স্তম্ব, দেয়ালে এবং দেয়ালের গায়ে সংলগ্ন মোট ১২ টি পিলার রয়েছে। গম্ভুজ নির্মাণে পেন্ডেন্টিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিমে তিনটি মিহরাব আছে যার কেন্দ্রটি তুলনামুলক ভাবে বড়।