সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন, কেশবপুর
সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি ২০১৬ সালে স্থাপিত হয়।
সাতবাড়িয়া | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বাংলাদেশে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন, কেশবপুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৪′২৯″ উত্তর ৮৯°৯′১৭″ পূর্ব / ২২.৯০৮০৬° উত্তর ৮৯.১৫৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | যশোর জেলা |
উপজেলা | কেশবপুর উপজেলা ![]() |
প্রতিষ্ঠা | ২০১৬ |
আয়তন | |
• মোট | ৯.৮০ বর্গকিমি (৩.৭৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৮,২০৩ |
• জনঘনত্ব | ২,৯০০/বর্গকিমি (৭,৫০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৯৩৫ সালে ত্রিমোহিনী বাজারে কপোতাক্ষ নদের তীর ঘেষে ১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপিত হয়। তখন এটি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ছিল ও চেয়ারম্যান ছিলেন ডাঃ এনায়েত হোসেন। ১৯৬৫ সালে চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতলেব জনগনের সুবিধার্থে সাতবাড়িয়া বাজারের কামকমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়নের কেন্দ্র বিন্দু স্থানান্তরিত করেন এবং ১৯৬৫ সাল হতে সাতবাড়িয়া বাজারের কামকমিউনিটি সেন্টারে কার্যক্রম চলে আসছিল। ১৭ মে ২০১৬ সালে সরকার ১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদকে বিভক্ত করে ১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদ এবং নতুন ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নামে দুইটি ইউনিয়ন গঠন। ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম আগস্ট ২০১৬ সালে শুরু হয়।
প্রশাসনিক অঞ্চলসম্পাদনা
এই ইউনিয়নে ১০ টি গ্রাম, ৭টি মৌজা ও ৬ টি বাজার (হাট) রয়েছে। গ্রামগুলো হলো:সাতবাড়িয়া উঃ, সাতবাড়িয়া দঃ, কড়িয়াখালি, বেগমপুর, কোমরপোল, জাহানপুর, চালিতাবাড়িয়া, ভালুকঘর উঃ, ভালুকঘর দঃ, দত্তনগর। এই ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান হলেন সামছুদ্দীন দফাদার, তিনি ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখ থেকে দায়িত্বরত আছেন।
আয়তন ও লোকসংখ্যাসম্পাদনা
১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের আয়তন ৯.৮০ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ২৮,২০৩ জন (প্রায়) (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।
শিক্ষাসম্পাদনা
এই ইউনিয়নে শিক্ষার হার প্রায় ৬৬% (২০০১ সালের শিক্ষাজরিপ অনুযায়ী)। এই ইউনিয়নে ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাদ্রাসা, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি কলেজ রয়েছে।
যোগাযোগসম্পাদনা
কেশবপুর ও কলারোয়া উপজেলার মধ্যবর্তী সংযোগ সড়ক জাহানপুর,সাতবাড়িয়ার মধ্য দিয়ে চলে গেছে।প্রায় অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট পিচ দিয়ে নির্মিত। এছাড়াও খাল বা নদীর উপর রয়েছে কালভার্ট, পুল, সেতু ইত্যাদি। যাতায়াতের জন্য রয়েছে মটরসাইকেল, ভ্যান, মটরভ্যান, ইজিবাইক, আলম-সাধু ইত্যাদি।