যোহানেস কৎজ
যোহানেস জ্যাকোবাস কজি কৎজ (ইংরেজি: Johannes Kotze; জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৮৭৯ - মৃত্যু: ৭ জুলাই, ১৯৩১) পশ্চিম কেপের হোপফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০২ থেকে ১৯০৭ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | যোহানেস জ্যাকোবাস কৎজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৭ আগস্ট, ১৮৭৯ হোপফিল্ড, পশ্চিম কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ জুলাই, ১৯৩১ রোন্দেবশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | কজি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১৮ অক্টোবর ১৯০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জুলাই ১৯০৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ‘কজি’ ডাকনামে পরিচিত যোহানেস কৎজ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯০২-০৩ মৌসুম থেকে ১৯১০-১১ মৌসুম পর্যন্ত যোহানেস কৎজের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তিনি তার সময়কালের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
টম রিচার্ডসনের ন্যায় তিনি দম বজায় রেখে সারাদিন বোলিং করতে পারতেন। তবে, প্রায়শঃই স্লিপ অঞ্চল দিয়ে তার বল বেরিয়ে যেতো। দলীয় সঙ্গীদের কোন একজন মন্তব্য করেছিলেন যে, ফিল্ডারদেরকে শেখানোর জন্যে নিজে বোলিং করে স্লিপে তার অবস্থান থাকাটাই ভালো হতো। দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। দুই আঙ্গুলে বল রেখে বোলিংকর্মে অগ্রসর হতেন।
১৯০১ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে বড় ধরনের খেলায় ১৭.৯৬ গড়ে ৩৩১ উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, দুইটি হ্যাট্রিকের সন্ধান পেয়েছেন তিনি। ১৯০২-০৩ মৌসুমে পোর্ট এলিজাবেথে ট্রান্সভাল বনাম গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের মধ্যকার খেলায় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ১৯০৬-০৭ মৌসুমে ৫৪ উইকেট পান। প্রিটোরিয়ায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বনাম অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের মধ্যকার খেলায় ৯০ রানে খরচায় ১৩ উইকেট লাভ করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন যোহানেস কৎজ। ১৮ অক্টোবর, ১৯০২ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ জুলাই, ১৯০৭ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯০১, ১৯০৪ ও ১৯০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। তন্মধ্যে, ১৯০৪ সালে সফরে ১০৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। প্রথম দুই সফরে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। টাম ওয়ার্নার ঐ পর্যায়ে তাকে গতির দিক দিয়ে কর্টরাইটের পর স্থান দেন।
টেস্টে তিনি তেমন সফলতা পাননি। ১৯০২-০৩ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সুন্দর বোলিং করেছিলেন। ভিক্টর ট্রাম্পার, ক্লেম হিল, সিড গ্রিগরি ও রেজি ডাফের উইকেট পেয়েছেন। ১৯০৭ সালে লর্ডসে গিলবার্ট জেসপের কাছে তার বোলিং বেশ মার খেয়েছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর নিউল্যান্ডসে মাঠ কর্মকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ৭ জুলাই, ১৯৩১ তারিখে ৫১ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোন্দেবশ এলাকায় যোহানেস কৎজের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Johannes Kotze" । cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Johannes Kotze"। espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে যোহানেস কৎজ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে যোহানেস কৎজ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)