মাদানী সূরা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ
কোরআনের মাদানী সূরা বলতে মুহম্মদের হিজরতের পরে অবতীর্ণ সূরাগুলোকে বোঝানো হয়। মুহাম্মদের হিজরতের পরে অর্থাৎ মদীনায় আগমনের পর অবতীর্ণ হওয়া সূরাসমূহ মাদানী সূরা হিসেবে গণ্য।
মাদানী সূরার সংখ্যা ও তালিকাসম্পাদনা
মাদানী সূরার সংখ্যা মোট ২৮ টি। মাদানী সূরাসমূহের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো:
- সূরা আত-তাওবাহ
- সূরা আত-তাগাবুন
- সূরা আত-তালাক
- সূরা আত-তাহরীম
- সূরা আত্ব-তূর
- সূরা আদ-দাহর
- সূরা আন-নিসা
- সূরা আন-নূর
- সূরা আর-রাদ
- সূরা আর-রাহমান
- সূরা আল-আনফাল
- সূরা আল-আহযাব
- সূরা আল-ইমরান
- সূরা আল-জুমুআ
- সূরা আল-ফাতহ
- সূরা আল-বাকারা
- সূরা আল-মায়িদাহ
- সূরা আল-মুজাদালাহ
- সূরা আল-মুনাফিকুন
- সূরা আল-মুমতাহিনাহ
- সূরা আল-হাদীদ
- সূরা আল-হাশর
- সূরা আল-হুজুরাত
- সূরা আস-সাফ
- সূরা নাসর
- সূরা নাস
- সূরা ফালাক
- সূরা মুহাম্মদ
মাদানী সূরার বৈশিষ্ট্যসম্পাদনা
- মাদানী সূরায় ইবাদাত, সামাজিক আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, পরস্পরের লেনদেন, হালাল-হারাম, উত্তরাধিকার আইন, জিহাদের ফযীলত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পররাষ্ট্র নীতি, বিচার ব্যবস্থা, দন্ডবিধি, পারিবারিক, আর্থ সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও সমষ্টিগত জীবনের যাবতীয় সমাধানের উল্লেখ্য রয়েছে।
- মাদানী সূরায় বিশেষভাবে আহলে কিতাব তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের প্রতি ইসলাম গ্রহণের জন্য আহবান জানান হয়েছে।
- এতে আহলে কিতাবদের সত্যবিমুখতার কথা এবং তাদের কিতাব বিকৃতি সাধনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
- এতে মুনাফিকদের কপট আচরণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র উদঘাটন করা হয়েছে।
- মাদানী আয়াত ও সূরা দীর্ঘ। এতে শরীআতের বিধি-বিধানকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।