সূরা নিসা
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটিতে মৌলিক গবেষণাযুক্ত উপাদান রয়েছে অথবা যাচাইবিহীনভাবে দাবি করা হয়েছে। দয়া করে উপযুক্ত তথ্যসূত্র এবং উৎস প্রদান করে নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। আরও বিস্তারিত জানতে নিবন্ধের আলাপ পাতায় দেখুন। (অক্টোবর ২০১৩) |
সূরা আন নিসা (আরবি ভাষায়: سورة النساء, Sūratu an-Nisā, অর্থ "মহিলা") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের চতুর্থ সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৭৬টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ২৪টি। আন নিসা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাতে মুসলিমদের জীবন পরিচালনা ও কীভাবে একতাবদ্ধ থাকতে হবে সে সম্পর্কে বলা আছে।
![]() | |
শ্রেণী | মাদানী |
---|---|
নামের অর্থ | নারী |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ৪ |
আয়াতের সংখ্যা | ১৭৬ |
পারার ক্রম | ৪ পারা (১-২৩ আয়াত) ৫ পারা (২৪-১৪৭ আয়াত) ৬ পারা (১৪৮-১৭৬ আয়াত) |
রুকুর সংখ্যা | ২৪ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | নেই |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা আল-ইমরান |
পরবর্তী সূরা → | সূরা মায়িদাহ |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
নামকরণসম্পাদনা
নাযিল হওয়ার সময়-কাল ও বিষয়বস্তুসম্পাদনা
এ সূরাটি কয়েকটি ভাষণের সমষ্টি । সম্ভবত তৃতীয় হিজরীর শেষের দিক থেকে নিয়ে চতুর্থ হিজরীর শেষের দিকে অথবা পঞ্চম হিজরীর প্রথম দিকের সময়-কালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন অংশ নাযিল হয়। যদিও নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না, কোন আয়াত থেকে কোন আয়াত পর্যন্ত একটি ভাষণের অন্তরভুক্ত হয়ে নাযিল হয়েছিল এবং তার নাযিলের সময়টা কি ছিল, তবুও কোন কোন বিধান ও ঘটনার দিকে কোথাও কোথাও এমন সব ইঙ্গিত করা হয়েছে যার সহায়তায় রেওয়ায়াত থেকে আমরা তাদের নাযিলের তারিখ জানতে পারি। তাই এগুলোর সাহায্যে আমরা এসব বিধান ও ইঙ্গিত সংবলিত এ ভাষণগুলোর মোটামুটি একটা সীমা নির্দেশ করতে পারি।
যেমন আমরা জানি উত্তরাধিকার বণ্টন ও এতিমদের অধিকার সংবলিত বিধানসমূহ ওহোদ যুদ্ধের পর নাযিল হয়। তখন সত্তর জন মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন। এ ঘটনাটির ফলে মদীনার ছোট জনবসতির বিভিন্ন গৃহে শহীদদের মীরাস কীভাবে বণ্টন করা হবে এবং তারা যেসব এতিম ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন তাদের স্বার্থ কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, এ প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। এরি ভিত্তিতে আমরা অনুমান করতে পারি, প্রথম চারটি রুকু, ও পঞ্চম রুকূর প্রথম তিনটি আয়াত এ সময় নাযিল হয়ে থাকবে।
যাতুর রিকা’র যুদ্ধে ভয়ের নামায (যুদ্ধ চলা অবস্থায় নামায পড়া) পড়ার রেওয়ায়াত আমরা হাদীসে পাই। এ যুদ্ধটি চতুর্থ হিজরীতে সংঘটিত হয়। তাই এখানে অনুমান করা যেতে পারে, যে ভাষণে (১৫ রুকূ) এ নামাযের নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে সেটি এরি কাছাকাছি সময়ে নাযিল হয়ে থাকবে।
চতুর্থ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে মদীনা থেকে বনী নযীরকে বহিষ্কার করা হয়। তাই যে ভাষণটিতে ইহুদীদেরকে এ মর্মে সর্বশেষ সর্তকবাণী শুনিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, আমি তোমাদের চেহারা বিকৃত করে পেছন দিকে ফিরিয়ে দেবার আগে ঈমান আনো, সেটি এর পূর্বে কোন নিকটতম সময়ে নাযিল হয়েছিল বলে জোর অনুমান করা যেতে পারে।
বনীল মুসতালিকের যুদ্ধের সময় পানি না পাওয়ার কারণে তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। আর এ যুদ্ধটি পঞ্চম হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল। তাই যে ভাষণটিতে (৭ম রুকূ) তায়াম্মুমের কথা উল্লেখিত হয়েছিল সেটি এ সময়ই নাযিল হয়েছিল মনে করতে হবে।
নাযিলের উপলক্ষসম্পাদনা
আলোচ্য বিষয়সমূহসম্পাদনা
এই সূরাটির আলোচ্য বিষয়ে হলো দুইটি ১/নারী, এতিম, উত্তরাধিকার, বিবাহ ও পারিবারিক অধিকার সংক্রান্ত সাধারণ আলোচনা ২/বৃহৎ পরিবার,মদিনার বিভিন্ন সম্প্রদায়।যেমন মুনাফিক এবং তাদের সঙ্গীদের বিভিন্ন আলোচনা।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- www.altafsir.com
- সূরা আন নিসা, বাংলায় অনুবাদ।
- সূরা আন নিসা আরবিতে।