বোঝেনা সে বোঝেনা (টেলিভিশন ধারাবাহিক)
বোঝেনা সে বোঝেনা স্টার জলসায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক।[১][২] এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যশ দাশগুপ্ত,[৩] মধুমিতা সরকার সহ আরো অনেকে।[৪] হিন্দি ধারাবাহিক ইস পেয়ার কো কেয়া নাম দু ধারাবাহিকের পুনঃনির্মাণ এটি। বাংলা ভাষার এই ধারাবাহিকটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বোঝেনা সে বোঝেনা টেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন সিরিয়ালটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন সিরিয়াল হিসাবে স্থান পেয়েছে। ২৮ মার্চ ২০২০ থেকে স্টার জলসায় 'জলসা ক্লাসিক' নামক ব্লকে এটি আবারো সম্প্রচারিত হচ্ছে।
বোঝেনা সে বোঝেনা | |
---|---|
গল্প লেখক | গুল খান |
পরিচালক | স্নেহাশীষ জানা |
অভিনয়ে | যশ দাশগুপ্ত মধুমিতা সরকার |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | বাংলা |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
সম্পাদক | সম্প্রীতি বাবু লাল |
ব্যাপ্তিকাল | ২২ মিনিট |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | স্টার জলসা |
মূল মুক্তির তারিখ | ৪ নভেম্বর, ২০১৩ – ১৮ জুন, ২০১৬ ২৮ মার্চ ২০২০- বর্তমান (জলসা ক্লাসিক) |
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
কাহিনী
সম্পাদনা"পাখি" একটি সরল, হাসিখুশি, সংসারী মেয়ে। সে তার পরিবারকে খুবই ভালোবাসে। "অরণ্য সিংহ রায়" একজন ব্যবসায়ী। সে ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না। তবে সে তার "অনু" দিদিকে খুব ভালোবাসে। ঘটনাচক্রে অরণ্য'র ভাইয়ের সাথে পাখি'র বোনের বিয়ে হয়। এর সূত্র ধরে অরণ্য আর পাখির মধ্যে বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে অনু দির বর কৃষ্ণেন্দু ও অরণ্য এর পুরোনো বান্ধবী পামেলা। কারণ কৃষ্ণেন্দু পাখিকে আর পামেলা অরণ্যকে পছন্দ করে। তবে পাখি আর অরণ্য সব বাধা পেরিয়ে একে অপরকে প্রচণ্ড ভালবাসতে শুরু করে। তারা পুনর্বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিয়ের সময় অরণ্য'র গায়ে গুলি লাগে।
ছয় মাস পর
অরণ্যকে হারিয়ে পাখি মানসিক ভারসাম্য হারায়। তাকে চিকিৎসার জন্য উদয়গড় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে তার অরণ্যর মতো একজনকে খুঁজে পায় যে নিজেকে রাধে বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু পরে প্রমাণ হয় রাধেই অরণ্য আর কৃষ্ণেন্দু তাকে মারার পরিকল্পনা করে তা সবার সামনে প্রমাণ করার জন্য এই পরিচয় প্রকাশ করে। অরণ্যকে বিজলী বাঁচিয়েছিল বলে সে অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। কিন্তু অরণ্য বিজলীর সব চেষ্টা বৃথা করে দেয় এবং অরণ্যকে পাখির কাছ থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রাজ নামে নতুন একজন তাদের মধ্যে সমস্যা শুরু করে। আসলে সে অরণ্যর সৎ ভাই। সে অরণ্যর মাকে লুকিয়ে রেখেছিল, কারণ সে মনে করত তার জন্যই সে তার বাবার অবৈধ সন্তান বলে পরিচিতি পায়। কিন্তু পরে সে তার ভুল বুঝতে পারে। এতে অরণ্যর মা বা অরণ্যর কোনো দোষ নেই, তাই সে পাখিকে ও অরণ্যর মাকে অরণ্যর কাছে ফিরিয়ে দেয়।
অভিনয়ে
সম্পাদনাপ্রধান
সম্পাদনা- যশ দাশগুপ্ত - অরণ্য সিংহ রায় / রাধে
- মধুমিতা সরকার - পাখি ঘোষ দস্তিদার সিংহ রায় / খুশি
- কৌশিক রায় - কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত
- মোনালিসা পাল - পামেলা বোস
- সুদীপ মুখার্জি - অর্ণবের বাবা
- কুশল চক্রবর্তী - শরদ ঘোষ দস্তিদার
- তানিয়া কর - পিউ সিংহ রায়
- অভিষেক বসু - অর্ক সিংহ রায়
- ময়না মুখার্জী -পরমজিত সিংহ রায়
- জন ভট্টাচার্য্য - হরিহরণ সিং ওরফে হ্যারি
- মনোজ ওঝা - সিধু মিত্র
- অলিভিয়া সরকার - গৌরী সিং
- উজানি দাশগুপ্ত - বিজলি
- ঋতা দত্ত চক্রবর্তী - সুরিলি বাই/বাই সা
- ইন্দ্রানী বসু - কনিকা সিংহ রায়
- সম্রাট মুখার্জী - রাজ মজুমদার
- ঋজু বিশ্বাস -অর্ণব (খুশি এর স্বামী)
- দেবার্পনা চক্রবর্তী - অনন্যা সিংহ রায় সেনগুপ্ত
- রেশমী সেন - সুমিত্রা ঘোষ দস্তিদার
- অনুরাধা রায় - রানিবালা সিংহ রায়
- দোলন রায় - অর্ণবের মা
বিশেষ উপস্থিতি
সম্পাদনা- আবির চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ দাস - বাদশাহী আংটি এর প্রচারের জন্য।
- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় - ফোর্স এর প্রচারের জন্য।
- শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় - বিন্দু কে উৎসাহিত করার জন্য।
- সোহম চক্রবর্তী - বাঙালী বাবু ইংলিশ মেম এর প্রচারের জন্য।
- মিমি চক্রবর্তী - যোদ্ধা: দ্য ওয়ারিয়র এর প্রচারের জন্য।
- কোয়েল মল্লিক - অরুন্ধতী এর প্রচারের জন্য।
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাটেলিভিশনে প্রিমিয়ারের দিন সিরিয়ালটি সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন সিরিয়াল হিসাবে স্থান পেয়েছে। এটি পরে ১১.০ টিআরপি পায়। এই সিরিয়ালটি টেলি সম্মান অ্যাওয়ার্ডস (২০১৫) এ ১০ টি পুরস্কার পেয়েছে।
সঙ্গীত
সম্পাদনাএই ধারাবাহিকের সংগীত পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। এই টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন অরিজিৎ সিং ও মধুরা ভট্টাচার্য।[৫]
পুরস্কারসমূহ
সম্পাদনা- টেলি সম্মান ২০১৪
- সেরা জুটি - পাখি ও অরণ্য
- জনপ্রিয় অভিনেতা - অরণ্য
- জনপ্রিয় অভিনেত্রী - পাখি
সমালোচনা
সম্পাদনাজনপ্রিয় এ ধারাবাহিক এবং এর মূল অভিনেত্রী পাখি চরিত্রটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। পরবর্তীতে, ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরে "পাখি ড্রেস" কিনতে না পারার অভিমানবশত বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ও গাইবান্ধায় দুইজন কিশোরী আত্মহত্যা করে।[৬]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bojhena Se Bojhena -Star Jalsa"। ২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Aranya and Pakhi fight it out in Bojhena Se Bojhena"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "I HAVE MILES TO GO BEFORE I REACH DEV'S POSITION"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Why is Pakhi of Bojhena Shey Bojhena called Dhopas Kumari?"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Bojhena Se Bojhena Title Track"।
- ↑ "'পাখি' না পেয়ে এবার গাইবান্ধায় আত্মহত্যা"। Daily Prothom-Alo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৪।