শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড একটি ভারতীয় মিডিয়া এবং বিনোদন সংস্থা। এর সদর দপ্তর কলকাতা, পশ্চিম বাংলায় অবস্থিত। বাংলা চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও বণ্টন ছাড়াও সংস্থাটি পূর্ব ভারতে হলিউড ও বলিউডের চলচ্চিত্র বণ্টন করে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের আরো রয়েছে ডিজিটাল সিনেমা, গান, হোম ভিডিও ইত্যাদি। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস দুই বছর আনন্দবাজার পত্রিকার পাওয়ার লিস্টে অবস্থান করে।[১]
ধরন | প্রযোজক এবং বিনোদনমূলক সংস্থা |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | শ্রীকান্ত মোহতা মহেন্দ্র সোনি |
সদরদপ্তর | , |
প্রধান ব্যক্তি |
|
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান |
|
ওয়েবসাইট | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
শুরুর কথা
সম্পাদনা১৯৯৬ সালে শ্রীকান্ত মোহতা ও মাহেন্দ্র সোনি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস (SVF বা এসভিএফ)[২] চালু করেন। ক্রমে এটি পূর্ব ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযোজনা সংস্থায় পরিণত হয়।
বিনোদনমূলক ক্ষেত্রে এসভিএফের রয়েছে প্রযোজনা, বণ্টন, ডিজিটাল সিনেমা, অনলাইন স্টোর, গান এবং এক্সিবিশন।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা
সম্পাদনাশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা প্রযোজনা সংস্থা। এখন পর্যন্ত এটি প্রায় ৫৯টি চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রও রয়েছে, যেমনঃ মেমোরিস ইন মার্চ[৩] চোখের বালি[৪][৫], রেইনকোট[৬]। এছাড়াও নানা ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র যেমনঃ সাথী, মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট[৭], চ্যাম্পিয়ন, জ্যাকপট, চিরদিনই তুমি যে আমার, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, জোশ, আওয়ারা, চ্যালেঞ্জ ২ এবং অন্য ধরনের ছবি যেমনঃ অটোগ্রাফ, বাইশে শ্রাবণ, ইতি মৃণালিনী, প্রলয়, প্রেম আমার, হেমলক সোসাইটি, চিত্রাঙ্গদা[৮][৯] ইত্যাদি উপহার দেয়।
ডিজিটাল সিনেমা
সম্পাদনাজানুয়ারি ২০০৮-এ, এসভিএফ রিয়েল ইমেজ মিডিয়া টেকনোলোজি প্রাইভেট লিমিটেড-এর সাথে অংশীদারত্বে প্রবেশ করে যার ফলে কিউবি ডিজিটাল সিনেমা পূর্ব ভারতে প্রবেশ করে।[১০][১১]
এরফলে পশ্চিম বাংলার দর্শকেরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্র দেখার আনন্দ উপভোগ করে।
ডিজিটাল সিনেমা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। উচ্চ মানের চিত্র দর্শকের নিকটে হাজির করবার জন্য এটি অপরিহার্য। এর ফলে সিনেমা হলে চলচ্চিত্র হার্ড ড্রাইভ অথবা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৌছে দেয়া যায়, ৩৫ মিমির ফিল্ম রিলের পরিবর্তে। সিনেমা হলে ডিজিটার প্রযুক্তি পৌছে দেবার তাগিফে ভি-ডিজিটাল অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখে।[১২] এটি শুধুমাত্র বড় সিনেমা হলগুলোতেই নয়, প্রায় মৃত হলগুলোকেও পুনঃউজ্জ্বীবিত করে। বর্তমানে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস পশ্চিম বাংলার প্রায় ২০০টি সিনেমা হলকে অত্যাধুনিক করে তোলে, যা পুরো ভারতে একটি রেকর্ড।
বণ্টন
সম্পাদনাএই কোম্পানির বণ্টন বিভাগ পূর্ব ভারতে প্রায় ১২৫টি হিন্দি ছবি মুক্তি দিয়েছে। ব্লকবাস্টার বলিউড চলচ্চিত্র যেমনঃ জোশ, খামোশি, কোম্পানি, দেবদাস, ভগবান, মুন্নাভাই এমবিবিএস, হাঙ্গামা, খাকি, তেরে নাম, ভূত, মার্ডার, ওয়াক্ত, ব্ল্যাক এবং নতুন ছবি যেমন দাবাং, গ্যাং অফ ওয়াসিপুর, ককটেল ইত্যাদি। এছাড়া হলিউড চলচ্চিত্র যেমনঃ পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়াঃ অন স্ট্রেঞ্জারস টাইড, ট্রান্সফর্মারসঃ ডার্ক অফ দ্য মুন, রিও, ব্ল্যাক সোয়ান, টোয়াইলাইটঃ ব্রেকিং ডন পার্ট-১ সহ আরো অনেক ছবি দর্শকদের দেখার সুযোগ করে দেয়। ২০০টি থিয়েটার সহ তিনটি মাল্টিপ্লেক্স এই অংশে রয়েছে, যা বণ্টন এবং অন্যান্য কাজ আরো সহজ করে দিয়েছে।
টেলিভিশন
সম্পাদনাটেলিভিশন ক্ষেত্রে ভেঙ্কটেশ শুরু করেছে মিডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রাইভেট লিমিটেড[১৩]। এর রয়েছে ৪টি চ্যানেল। যথাঃ মিউজিক ইন্ডিয়া[১৪], সঙ্গীত বাংলা[১৫], সঙ্গীত ভোজপুরী এবং মিউজিক ইন্ডিয়া ইউকে। এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধারাবাহিকও প্রচার করে। যেমনঃ স্টার জলসা[১৬], রুপসী বাংলা, মহুয়া বাংলা, ইটিভি বাংলা, সানন্দা টিভি ইত্যাদি। এর মধ্যে স্টার জলসায় প্রচারিত মা ধারাবাহিকটি পশ্চিম বাংলায় সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়[১৭]। এছাড়া আরো রয়েছেঃ বেহুলা, দুর্গা, সিঁদুরখেলা, জন্মান্তর, বিসর্জন, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, বধূ কোন আলো লাগল চোখে ইত্যাদি।
হালকা নীল ছায়াযুক্ত শো গুলি বর্তমানে চলমান রয়েছে৷ |
বছর | শো | চ্যানেল |
---|---|---|
২০০৮ | বন্ধন | স্টার জলসা |
দুর্গা | ||
এঞ্জয় গুরু | ||
২০০৯ | I laugh you | |
You laugh me | ||
বেহুলা | ||
মা | ||
২০১০ | স্বয়ম্বর | |
হারানো সুর | মহুয়া বাংলা | |
পরিচয় | ||
সিঁদুরখেলা | স্টার জলসা | |
২০১১ | সুভাষিনী | রূপসী বাংলা |
I laugh you 2 | স্টার জলসা | |
বিসর্জন | ইটিভি বাংলা | |
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে | স্টার জলসা | |
মিসেস সিনহা রায় | সানন্দা টিভি | |
২০১২ | বধূ কোন আলো লাগলো চোখে | স্টার জলসা |
জন্মান্তর | মহুয়া বাংলা | |
মেরি মা | Life ok | |
রোমানি | স্টার জলসা | |
এফআইআর বেঙ্গল | ||
শতীন কান্ত | ইটিভি বাংলা | |
"মিশন ১০০০ ঘন্টা" | স্টার জলসা | |
২০১৩ | জয় হে | |
বোঝেনা সে বোঝেনা | ||
২০১৪ | ঠিক যেনো লাভ স্টোরি | স্টার জলসা |
গৌরিদান | ইটিভি বাংলা | |
মা দুর্গা | ||
২০১৫ | মন নিয়ে কাছকাছি | স্টার জলসা |
পটল কুমার গানওয়ালা | স্টার জলসা | |
I laugh you 3 | ||
নাগলীলা | কালার বাংলা | |
গোয়েন্দা গিন্নি | জি বাংলা | |
এগিয়ে বাংলা | ||
২০১৬ | ভুতু | |
দাসি | কালার্স বাংলা | |
অগ্নিজল | স্টার জলসা | |
ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুল | ||
মহানায়ক | ||
২০১৭ | প্রেমের কাহিনি | |
তবু মনে রেখো | জি বাংলা | |
গোপাল ভাঁড় | স্টার জলসা | |
জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি | ||
২০১৮ | আমলকি | জি বাংলা |
জয় বাবা লোকনাথ | ||
রানু পেলো লটারি | ||
নিশির ডাক | কালারস বাংলা | |
আমি সিরাজের বেগম | স্টার জলসা | |
২০১৯ | গুড়িয়া যেখানে গুড্ডু সেখানে | |
ত্রিনয়নী | জি বাংলা | |
দুর্গা দুর্গেশ্বরী | স্টার জলসা | |
আয় খুকু আয় | সান বাংলা | |
চুনি পান্না | স্টার জলসা | |
২০২০ | বাঘ বন্দি খেলা | জি বাংলা |
প্রথমা কাদম্বিনী | স্টার জলসা | |
২০২১ | সাগর জ্যোতি | Enterr10 বাংলা |
বসন্ত বিলাস মেসবাড়ি | কালার্স বাংলা | |
২০২২ | অনুরাগের ছোঁয়া | স্টার জলসা |
২০২২ | নবাব নন্দিনী | স্টার জলসা |
২০২৩ | মেয়েবেলা | |
২০২৩ | রূপসাগর মনের মানুষ | সান বাংলা |
২০২৩ | তুমি আশে পাশে থাকলে | স্টার জলসা |
২০২৪ | বসু পরিবার | সান বাংলা |
২০২৪ | দিল কো তুমসে পেয়ার হুয়া | স্টার প্লাস |
প্রযোজিত চলচ্চিত্র
সম্পাদনাপুরস্কার
সম্পাদনাসাল | পুরস্কার | বিভাগ | চলচ্চিত্র |
---|---|---|---|
২০১১ | জাতীয় পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ ইংরেজি চলচ্চিত্র | মেমোরিস ইন মার্চ |
বিগ বাংলা মুভি অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অটোগ্রাফ | |
জি বাংলার গৌরব চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অটোগ্রাফ | |
১১তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অটোগ্রাফ | |
২০০৯ | আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চ্যালেঞ্জ |
২০০৮ | আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চিরদিনই তুমি যে আমার |
২০০৭ | আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মিনিস্টার ফাটাকেষ্ট |
২০০৬ | আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | শুভ দৃষ্টি |
ইটিভি বাংলা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | রিফিউজি | |
২০০৫ | বালি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ২য় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চোখের বালি |
২০০৪ | জাতীয় পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ হিন্দি চলচ্চিত্র | রেইনকোট |
অপ্সরা ফিল্ম প্রোডিউসার অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চোখের বালি | |
২০০৩ | জাতীয় পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র | চোখের বালি |
সরস্বতি পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | চোখের বালি |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The Telegraph - Calcutta (Kolkata) | Entertainment | Power list"। Telegraphindia.com। ২০০৮-০৭-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "www.rajshribengali.com"। www.rajshribengali.com। ২০১২-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৩।
- ↑ Priyanka Dasgupta May 22, 2011, 12.10am IST (২০১১-০৫-২২)। "Memories are made of this - Times Of India"। Articles.timesofindia.indiatimes.com। ২০১২-০৪-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Bollywood - Film Review - Chokher Bali"। Planetbollywood.com। ১৯৯৬-০৮-২০। ২০১২-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Bollywood Baatein - 51st National Film Awards"। Lokvani.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Memories In March Bollywood Film Review Sunjoy Nag, Rituparno Ghosh, Dipti Naval"। Wn.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Welcome to Candid Communication"। Candidcommunication.net। ২০১২-০৩-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ CelebRise Admin (২০১১-০৩-০৩)। "Srijit Mukherjee's– '22shey-Srabon'"। Tollyrise.com। ২০১২-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Article Window"। Epaper.timesofindia.com। ২০১১-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Qube | Real Image Media Technologies Pvt. Ltd"। Realimage.com। ২০১২-০৫-৩০। ২০১২-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ Name * (২০০৮-০৯-০২)। "Qube Digital Cinemas in Calcutta"। Calcutta Tube। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২০।
- ↑ "The Telegraph - Calcutta (Kolkata) | Entertainment | Digital shows the day"। Telegraphindia.com। ২০০৮-০৯-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "Media Worldwide Private Limited"। Mediaworldwide.in। ২০১২-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২০।
- ↑ "Music India - India's most popular music channel-about us"। Music-india.in। ২০১২-০৬-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ "India's No. 1 Bangla Music Channel"। Sangeet Bangla। ২০০৮-০৫-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৮।
- ↑ http://www.starjalsha.com/media/media.asp
- ↑ http://www.starjalsha.com/shows/maa.asp
- ↑ "First Glimpse of 'Dui Prithibi'"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]