বীর উত্তম শহীদ সামাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজ,ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, রংপুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা রংপুর শহরে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বীর উত্তম শহীদ সামাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর সেনানিবাস, রংপুর | |
---|---|
![]() | |
![]() একাডেমিক ভবন | |
ঠিকানা | |
![]() | |
৫৩০১ | |
স্থানাঙ্ক | ২৫°৪৬′০২″ উত্তর ৮৯°১৩′১১″ পূর্ব / ২৫.৭৬৭১২° উত্তর ৮৯.২১৯৬০° পূর্ব |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত মহাবিদ্যলয় |
নীতিবাক্য | সততা, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৪ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর |
কর্তৃপক্ষ | সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
সেশন | জানুয়ারি-ডিসেম্বর |
বিদ্যালয় কোড | ৫২৭২ |
কলেজ কোড | ১২৭৩৭৭ |
ইআইআইএন | ১২৭৩৭৭ |
অধ্যক্ষ | মোহাম্মাদ আব্দুল হামিদ |
শ্রেণী | প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি |
লিঙ্গ | বালক এবং বালিকা |
ভাষা | বাংলা,ইংরেজি(শুধুমাত্র প্রত্যেক মাসের শেষ বৃহস্পতিবার) |
রং | সবুজ |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন |
ডাকনাম | B.U.S.S.S.C.R |
বর্ষপুস্তক | সৃজনী |
ওয়েবসাইট | www |
পরিচিতিসম্পাদনা
শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন একটি আর্দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ গুরুত্ব অনুধাবন করে রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধার্থে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ এ আর্দশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। কালক্রমে বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত হয়। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর-এর মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয় ফরিদ আহম্মদ-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির কলেজ শাখার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
বিদ্যালয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর-এর আওতাধীন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে কলেজটি রংপুর অঞ্চলের তথা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে।
রংপুর সেনানিবাসের উত্তর প্রান্তে ঘাঘট নদীর পাশে কোলাহল মুক্ত ও মনোরম পরিবেশে ৬.০০ একর জমির উপর মাঠ ও প্রাঙ্গনসহ কলেজটির চতুর্দিকে প্রাচীর পরিবেষ্ঠিত। বিদ্যালয় ভবনটি সুপরিসর দ্বিতল বিশিষ্ট ‘L’ আকৃতির । ১৯৮১ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন উত্তারাঞ্চলের সামরিক অধিনায়ক মেজর জেনারেল আব্দুল মান্নাফ, পিএসসি বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৫ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল এইচ এম এরশাদ, এনডিসি, পিএসসি বিদ্যালয় ভবনটি শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি চরিত্রবান ও আদর্শ নাগরিক গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
অবস্থানসম্পাদনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রংপুর সেনানিবাসে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের সামনে একটি খেলার মাঠ ক্যাম্পাসটিকে করে তুলেছে সজীব ও প্রাণবন্ত।
ইতিহাসসম্পাদনা
আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ (১৯৪৯-১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তার নামানুসারে-১৯৭৪ সালে এ বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের আওতাধীন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড পরিচালিত।
শিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
এ প্রতিষ্ঠানে শিশু শেণ্রি হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যত্ন সহকারে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণকৃত সেরা শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান করা হয়। কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ সহ ব্যবসা ও মানবিক বিভাগ রয়েছে । প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে বড় করে বার্ষিক বনভোজন আয়োজন করা হয়। মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীদের বনভোজন আয়োজন করা হয় কোনো ঐতিহাসিক স্থানে অথবা কোনো সুন্দর স্থানে । নাচ, গানসহ বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে বনভোজন সম্পাত হয়।
এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান খুব বড় করে আয়োজন করা হয়।
স্কুলসম্পাদনা
শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন একটি আর্দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ গুরুত্ব অনুধাবন করে রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধার্থে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ এ আর্দশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ১৯৭৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। কালক্রমে বিদ্যালয়টি ১৯৭৮ সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত হয়।
কলেজসম্পাদনা
অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর-এর মাননীয় মহাপরিচালক মহোদয় ফরিদ আহম্মদ-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির কলেজ শাখার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
জাতীয় সংগীতসম্পাদনা
জাতীয় সংগীত | সাল | লেখক |
---|---|---|
১৯০৫ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
শপথ বাক্যসম্পাদনা
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতি সত্তা।
আমি দৃপ্ত কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
হাউস সমূহসম্পাদনা
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হাউস নজরুল হাউস
হাউস | রং | ক্রেস্ট | নীতিবাক্য | নামকরণ | সোল্ডার ফ্ল্যাপ |
---|---|---|---|---|---|
নজরুল হাউস |
নীল | খোলা তলোয়ার | লক্ষ্য বিজয় | কাজী নজরুল ইসলাম | |
তিতুমীর হাউস |
হলুদ | মুষ্টিবদ্ধ মুষ্টি | মোরা নির্ভীক | তিতুমীর | |
রোকেয়া হাউস |
সবুজ | উদীয়মান সূর্য | সংগ্রামে অজেয় | বেগম রোকেয়া | |
শেরে বাংলা হাউস |
লাল | বিজয়ী | আমরা করবো জয় | এ কে ফজলুল হক |
একাডেমিকসম্পাদনা
লাইব্রেরী পরিচিতিসম্পাদনা
শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে মানুষের সব জ্ঞান জমা রয়েছে বইয়ের ভিতরে অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হলো বই আর সেই বইয়ের আবাসস্হল হলো পাঠাগার। শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যায়নে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। বর্হিজগতের জ্ঞানভাণ্ডার থেকে জ্ঞান আহরণের ও চেষ্টা করতে হবে আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি সুন্দর গ্রন্হাগারের। গ্রন্হাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড। গ্রন্হাগার সবার জন্যই উম্মুক্ত। ধর্মীয় কোন সাম্প্রদায়িকতা নেই এখানে, এখানে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বই পড়ার অনেক সুযোগ। একটি সমাজের রুপরেখা বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্হাগার। আমাদের এই গ্রন্থাগারে রয়েছে একাডেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সব ধরনের বই। বই পড়লে একজন ছাত্র হয়ে ওঠে আচরণে মার্জিত, চিন্তায় স্বত:স্ফূর্ত ও কর্মদৃপ্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লাইব্রেরী প্রবন্ধে গ্রন্হাগার সম্পর্কে বলেছেন-“কত নদী সমুদ্র পর্বত উল্লঙ্ঘন করিয়া মানবের কণ্ঠ এখানে আসিয়া পৌছিয়েছে-কত শত বৎসরের প্রান্ত হইতে এই স্বর আসিতেছে। অর্থাৎ লাইব্রেরিতেই মানব হৃদয়ের উত্থান পতনের শব্দ শোনা যায়। এ জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাইব্রেরিকে মহাসমুদ্রের কল্লোল ধ্বনির সাথে তুলনা করেছেন। ছাত্রদের রয়েছে সমাজের প্রতি, রাষ্ট্রের প্রতি নানা দায়িত্ব। এ জন্য নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে তারা আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারে। নিজকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বই পড়া। বই পড়াই আনন্দের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
শিশুদের মনন বিকাশের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কার্টুনের বই ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন বই। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন তথ্যের উৎসের বই। আমাদের এই গ্রন্থাগারে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা অসমাপ্ত আত্নজীবনী সহ সকল ধরনের কবিতা, গল্প ও উপন্যস ও রয়েছে বিভিন্ন মনীষীর জীবনী।যা পড়ে একজন শিক্ষার্থী মেধা বিকাশ লাভ করতে পারে।গ্রন্থাগারে এ বছর মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে বিভিন্ন বইয়ের সংগ্রহ বাড়ানো হয়েছে। গ্রন্থাগারে আরও রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকা এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স যা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকেরা অবসর সময়ে পড়ে থাকেন।
পদার্থবিজ্ঞান ল্যাবসম্পাদনা
আমাদের লক্ষ্য :
১। দৈনন্দিন জীবনে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বকে উপলব্ধি করা ।
২। তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করা।
৩ । পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়গুলো বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার
করে আরো নতুন নতুন চিন্তাধারা তৈরি করতে সক্ষম হওয়া।
৪। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা।
পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার:সম্পাদনা
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এ যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ আজ সাফল্যের স্বর্ণ শিখর ছুয়েছে। বর্তমান যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মানুষের সেবায় পদার্থবিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে এবং দৈনন্দিন জীবনে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে অত্র প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাগার।
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এ্ন্ড কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধ পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব। এই ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত ব্যবহারিক বিষয়সমূহ একজন দক্ষ প্রদর্শক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর তত্বাবধানে ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। এই ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের তত্বীয় বিষয়ে যা কিছু শেখে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপভিত্তিক এবং এককভাবে প্রতিটি বিষয় দক্ষতার সাথে প্রদর্শন করানো হয়। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। ব্যবহারিক শুরুর পূর্বে প্রতিটি পরীক্ষণ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এই ল্যাবে রয়েছে ল্যাব টেবিল যেখানে পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি সাজানো রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসে পরীক্ষণ করার সু-ব্যবস্থা। ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত পরীক্ষণগুলো আলাদা করে বিন্যাস করা রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষণ শেষে ব্যবহারিক খাতা প্রস্তুত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
রসায়ন ল্যাবসম্পাদনা
আমাদের লক্ষ্য :
১।দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের গুরুত্বকে উপলব্ধি করা ।
২ । তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনস্ক করা।
৩ । রসায়নের বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়গুলো বাস্তব ক্ষেত্রে ব্যবহার
করে আরো নতুন নতুন চিন্তাধারা তৈরি করতে সক্ষম হওয়া।
৪। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা।
রসায়ন গবেষণাগার:সম্পাদনা
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। এ যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ আজ সাফল্যের স্বর্ণ শিখর ছুয়েছে। বর্তমান যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মানুষের সেবায় রসায়নকে কাজে লাগাতে এবং দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে অত্র প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয়েছে রসায়ন গবেষণাগার।
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এ্ন্ড কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধ রসায়ন ল্যাব। এই ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত ব্যবহারিক বিষয়সমূহ একজন দক্ষ প্রদর্শক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর তত্বাবধানে ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। এই ল্যাবে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের তত্বীয় বিষয়ে যা কিছু শেখে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ করে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপভিত্তিক এবং এককভাবে প্রতিটি বিষয় দক্ষতার সাথে প্রদর্শন করানো হয়। ক্লাস রুটিন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। ব্যবহারিক শুরুর পূর্বে প্রতিটি পরীক্ষণ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এই ল্যাবে রয়েছে ল্যাব টেবিল যেখানে পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি সাজানো রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বসে পরীক্ষণ করার সু-ব্যবস্থা। ল্যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত পরীক্ষণগুলো আলাদা করে বিন্যাস করা রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষণ শেষে ব্যবহারিক খাতা প্রস্তুত করে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।
জীববিজ্ঞান ল্যাবসম্পাদনা
জীব বিজ্ঞান হচ্ছে বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়। তাই, জীববিজ্ঞান সম্বন্ধে ভালোভাবে জানার জন্য একটি ভালো ল্যাবের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। আমাদের বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি আধুনিক যন্ত্রপাতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ল্যাবরেটরী। যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে হাতে কলমে শিক্ষা দান করা হয়।আমাদের কলেজেরে ল্যাবরেটরীতে বিশালাকার টেবিলে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থীদেরকে একসাথে সম্পূর্ণরূপে শিক্ষাদান করানো সম্ভব।পাশাপাশি জীববিজ্ঞান ল্যাবেরেটরী সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি (অনুবীক্ষন যন্ত্র, স্লাইড, প্রেট্রিডিস এবং একটি কাচের বাক্সে সংরক্ষিত মানব কঙ্কাল ইত্যাদি) রয়েছে। এমনটি আরও সব আধুনিক যন্ত্রপাতিতে স্বয়ংসম্পূণ আমাদের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি একটি কোলাহল মুক্ত, নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত।কাজেই যে কোন কাজ অনেক প্রশান্তির মাধ্যমে সম্পূণ করা যায় । তাই শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে হাতে কলমে শিক্ষাদানের জন্য আমাদের জীববিজ্ঞান ল্যাবরেটরীটি বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে।
কম্পিউটার ল্যাবসম্পাদনা
কম্পিউটার ল্যাবের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য – ১। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা। ২। তথ্যের অনায়াসলভ¦্যতা ও যোগাযোগকে সুগম করার ক্ষেত্রে তত্ত¡ীয়জ্ঞান অর্জন ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে নবদিগন্তের উম্মোচন ঘটানো। ৩। বিজ্ঞানের সাক্ষরতা আন্দোলনে গতি সঞ্চার। ৪। দৈনন্দিন কাজে,জাতীয় জীবনে ও আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম করে তোলা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপূর্ণ স্বপ্নের রূপদাত্রী,শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্বে উন্নত দেশ বলতে সেইসব দেশকে বোঝায়,যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কাঙ্খিত উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে,মাথা উঁচু করে নিজের আসন সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাবার কোনই বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জাতি ও আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম করে তোলার মানসে অত্র প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়েছে একটি আধুনিক কম্পিউটার গবেষণাগার। কম্পিউটার ল্যাবকে প্রতিষ্ঠানের একটি বড় অঙ্গ হিেেসবে বিবেচনা করা হয়। এটি সেই জায়গা, যেখানে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার ব্যবহারের নীতিগুলি এবং কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কাজের সাথে সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপগুলো শেখানো হয়ে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণির জন্য অন্যান্য বিষয়গুলিকে সমর্থন করে কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহৃত হয় । এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদান করা হয়। কম্পিউটার ল্যাবগুলি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ডিজাইন,প্রোগ্রাম,উপস্থাপনা, গবেষণা প্রতিবেদন এবং ক্রিয়াকলাপগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে। কম্পিউটার ল্যাবগুলো কর্মশালা চালাতে শিক্ষকদের সহায়তা করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ল্যাবটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মহান স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবসসমূহ এই প্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেযা কম্পিউটার ক্লাব পরিচালনা করে।
সহশিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
বিদ্যালয়টিতে সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। বিদ্যালয়ে সকল সহশিক্ষা কার্যক্রম মূলত হাউজ কেন্দ্রিক এবং অন্যান্য সকল শিক্ষা কার্যক্রম শ্রেনি ও শাখাভিত্তিক। বিদ্যালয়টিতে অনাবাসিক চারটি হাউজ রয়েছে- নজরুল হাউজ, তিতুমীর হাউজ,রোকেয়া হাউস ও শের-ই-বাংলা হাউজ। বিদ্যালয়টির নিজস্ব ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবল দল রয়েছে। ফুটবল এই বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিভিন্ন দিবসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এখানে নিয়মিত একটি দেয়ালচিত্র প্রতিযোগতা ও প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এখানে সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৃথক ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
তবে সবথেকে বড় পরিসরে আয়োজিত হয় বিদ্যালয়ের বিখ্যাত বাৎসরিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম যা প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলে। বিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সবথেকে বড় অনুষঙ্গ এই অনুষ্ঠানটি। প্রায় সারা বছর বিভিন্ন শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যাস্ত থাকলেও এই সময়ে প্রায় সব শিক্ষার্থীই নিজস্ব হাউজের পক্ষে নানা ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেয়। বিভিন্ন রকমের ফিল্ড অ্যাথলেটিক্স, কুচকাওয়াজ,ডাম্বেল, ডিসপ্লে, এবং সর্বোপরি হাউসগুলোর মধ্যেকার প্রতিযোগিতা এর মূল আকর্ষণ। । এটি বঙ্গাব্দের হিসেবে প্রকাশিত হয়। বিইউএসএসএসসিআর ডিবেটিং ক্লাব বিদ্যালয়ের একটি বিশিষ্ট বিতর্কসংগঠন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যান্য সংঠনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস,স্কাউট, বয়জ স্কাউট ও গার্লস গাইড।
খেলাধুলাসম্পাদনা
ভূমিকা
বিবৃতি যে "ওয়াটারলু যুদ্ধ ইটনের খেলার ক্ষেত্রগুলিতে জয়ী হয়েছিল" তা বোঝায় যে গেম খেলা এবং খেলাধুলার স্প্রাইট দীর্ঘস্থায়ী মূল্যবোধ তৈরি করতে সাহায্য করে, যা 100 শতাংশ শারীরিক সুস্থতা প্রচার করার পাশাপাশি ভাল সৈনিক এবং ভাল যোদ্ধাদের জন্য তৈরি করে।
খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শক্তির বিস্তৃতির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর চ্যানেল প্রদান করে। যেখানেই ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে, সেখানে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের বিপথগামীতা অনেক কম এবং দইয়ে শৃঙ্খলাহীনতা ও দুষ্টুমি করার প্রবণতা। বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুলের লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, দলের চেতনা, খেলাধুলার সংস্কৃতি, অন্যদের সাথে সহযোগিতায় একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য যৌথ নিবেদনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন করা। এটির লক্ষ্য ছাত্রদেরকে শিখতে শেখার অত্যাবশ্যক গুণকে গড়ে তোলার জন্য যে কীভাবে একসাথে যেতে হয়, শুধুমাত্র ভাল বিজয়ীই নয় বরং ভাল হারাতেও হয়। ইন্টার হাউস বার্ষিক ক্রীড়া হল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই প্রচেষ্টার সম্পূর্ণ প্রদর্শন।
নার্সারি | কেজি | প্রথম শ্রেণি | গ্রুপ-এ
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণি |
গ্রুপ-বি
চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রোণ |
গ্রুপ-সি
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি |
গ্রুপ-ডি
অষ্টম থেকে নবম |
গ্রুপ-ই দশম এবং
দ্বাদশ শ্রেণি |
---|---|---|---|---|---|---|---|
৩৫ মিটার দৌড় | ৫০ মিটার দৌড় | ৫০ মিটার দৌড় | ৫০ মিটার দৌড় | ৫০ মিটার দৌড় | ১০০ মিটার দৌড় | ১০০ মিটার দৌড় | ২০০ মিটার দৌড় |
চকলেট দৌড় | মোরগ যুদ্ধ | পোষাক পরিধান দৌড় | দীর্ঘ লাফ | দীর্ঘ লাফ | দীর্ঘ লাফ | ||
ব্যাঙ লাফ | মোরগ যুদ্ধ | মোরগ যুদ্ধ | শট পুট নিক্ষেপ | শট পুট নিক্ষেপ | |||
গণিত প্রতিযোগিতা | স্কিপিং প্রতিযোগিতা | ৭৫ মিটার দৌড় | ১০০ মিটার দৌড় | ১০০ মিটার দৌড় | |||
মাকড়সা দৌড় | সুই-সুতা দৌড় | বল নিক্ষেপ | ভারসাম্য দৌড় | কলস দৌড় | |||
স্কিপিং প্রতিযোগিতা | স্কিপিং প্রতিযোগিতা | সুই এবং থ্রেড প্রতিযোগিতা |
সংস্কৃতিসম্পাদনা
বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজের সারা বছর ধরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রাঙ্গণে পারফরম্যান্সের জন্য এটির একটি বিশেষ উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে। কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানে, খোলা জায়গা এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। মিলাদ মাহফিল বা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর মতো ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক মসজিদকে ভ্যানু হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতি বছর এক সপ্তাহব্যাপী, আন্ত-হাউস সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ছাত্ররা শিক্ষকদের সহায়তায় অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালন করে। ভৈরব হাউস, ধরলা হাউস এবং করতোয়া হাউজ তিনটি বাড়ি রয়েছে। সপ্তাহে হাউসভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে লোকগান। ঠাকুর গান, নজরুল গান, বাংলা ও ইংরেজি বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা, সেট-স্পীচ, এক্সটেম্পোর স্পিচ, নৃত্য, গল্প বলা ইত্যাদি।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে, একটি রঙিন ওয়ালো-ম্যাগাজিন প্রদর্শন এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যাতে শিক্ষার্থীদের তাদের লেটেট প্রতিভা দেখানোর জন্য উত্সাহিত করা হয়। এই শোটি অভিভাবক, দর্শক এবং সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী-এর মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলো নিয়মিতভাবে যথাযথ গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে সবসময় সংশ্লিষ্ট হাউস-মাস্টারদের নির্দেশনায় উৎসাহিত করা হয়।
সহ - পাঠক্রম সংক্রান্ত কার্যক্রম:সম্পাদনা
তরুণ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।
- বক্তৃতা এবং বিতর্ক.
- কিরাত ও নাত প্রতিযোগিতা
- শিল্প ও বিজ্ঞান প্রদর্শনী
- প্রবন্ধ ও হাতে লেখা প্রতিযোগিতা
- ক্লাব কার্যক্রম
পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম:সম্পাদনা
- পিকনিক/বিনোদনমূলক ভ্রমণ
- বার্ষিক ক্রীড়া দিবস।
- বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী পার্টি
বিতর্কসম্পাদনা
প্রকৃতপক্ষে, বিতর্ক কখনও স্কুল এবং কলেজ উভয় বিভাগেই একটি বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়েছে। ছাত্রদের তাদের বয়স/শ্রেণীর ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপ/বিভাগে ভাগ করা হয়। এই দলগুলো আন্তঃগৃহ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এই গ্রুপগুলির প্রত্যেকটি থেকে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল বিতর্কগুলিকে বেছে নেওয়া হয় এবং আন্ত-স্কুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কলেজ স্তর, উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে।
পুরুষ এবং মহিলা উভয় ছাত্রদেরই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা হয় এবং প্রায়শই প্রতিটি দলই ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
নীতি এবং নির্দেশিকাসম্পাদনা
শিক্ষার্থীদের জন্য আচরণবিধিসম্পাদনা
সর্বদা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে সবকিছু শুরু করুন আপনার পিতামাতা, শিক্ষক এবং সিনিয়রদের আনুগত্য করুন এবং সম্মান প্রদর্শন করুন সর্বদা সত্য কথা বলুন, সৎ হোন, সৎভাবে চিন্তা করুন এবং অপরাধকে ঘৃণা করুন পরিশ্রমী এবং অধ্যবসায়ী হন। হতাশ হবেন না। আপনার সাফল্যের জন্য সর্বদা আল্লাহর উপর নির্ভর করুন এবং তাঁর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করুন কমপক্ষে 15 মিনিট আগে স্কুলে আসুন এবং সকালের সমাবেশ, সাধারণ জ্ঞান ক্লাস, ভোটার পরিদর্শন এবং তথ্য ক্লাসে যোগ দিন টিফিন পিরিয়ড ব্যতীত স্কুল চলাকালীন ছাত্ররা কোথাও যাবে না ক্লাসরুমের ময়লা এবং আপনার টিফিনের বর্জ্য একটি সংরক্ষিত ঝুড়িতে রাখা হবে বহিরাগতদের সাথে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না টিফিন পিরিয়ডের পরে ক্লাস রুমে প্রবেশ করুন - সতর্কতা ঘণ্টার ঠিক পরে কাউকে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না যে কোনো শিক্ষার্থী বিআইএসসি ছাড়াই পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বা বিআইএসসি ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে আপনার নিয়মিত পাঠ এবং বাড়ির কাজ প্রস্তুত করুন এবং ক্লাসে যোগ দিন প্রতিটি ক্লাসে মনোযোগী হোন এবং পাঠটি বোঝার চেষ্টা করুন আপনার প্রতিদিনের অধ্যয়নের প্রোগ্রামে সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন, যা শিক্ষকদের দ্বারা দেওয়া হয় এবং আপনার কাছে স্পষ্ট নয় এমন কোনো প্রশ্ন সম্পর্কে শিক্ষকদের সাহায্য নিন। আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে যে আপনি পরীক্ষার হলে কোনো বই ও লিখিত পেপারের পৃষ্ঠা কপি, কথা বলা এবং দেখতে যাবেন না। যিনি নকল করতে চান বা পরীক্ষার হলে নকল করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন তাকে বহিষ্কার করা হবে এবং বিআইএসসি থেকে টিসি দেওয়া হবে। চূড়ান্ত ঘণ্টার পরে কোনও বিশৃঙ্খলা করবেন না। সমস্ত ফ্যান, টিউব স্যুইচ করুন এবং বিরতির পরে নীরবে ক্লাস রুম ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের দেয়াল ও ডেস্কে কিছু লিখবে না বা আঁকবে না কোনো শিক্ষার্থী একই শ্রেণিতে দুইবার ফেল করলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এই প্রতিষ্ঠানে থাকতে দেওয়া হবে না ডায়েরিটি সঠিকভাবে ব্যবহার করুন এবং আপনার শ্রেণী শিক্ষকের কাছে জমা দিন যিনি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করবেন (শুধুমাত্র নার্সারি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য) ডায়েরি হারালে আপনাকে টাকা জরিমানা করা হবে। একটি নতুন জন্য ১০০।
অভিভাবকদের জন্য নির্দেশনাসম্পাদনা
অভিভাবকরা দয়া করে তাদের পরিচয় লিখবেন এবং ডায়েরিতে তাদের নমুনা স্বাক্ষর রাখবেন। হাউস টিউটর, চাচা বা বড় ভাই অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করা হয় না যখন আপনার ওয়ার্ড বাড়িতে ফিরে আসে অনুগ্রহ করে তার ডায়েরি পরীক্ষা করুন এবং বিভিন্ন সময়কালে দেওয়া পাঠগুলি খুঁজে বের করুন। আপনার যদি কিছু বলার থাকে, অনুগ্রহ করে মন্তব্য কলামে লিখুন এবং পৃষ্ঠার নীচে আপনার স্বাক্ষর রাখুন পরের দিনের জন্য দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টগুলি দেখুন এবং সেগুলি প্রস্তুত করতে তাদের উত্সাহিত করুন নিশ্চিত করুন যে আপনার ছেলে/মেয়ে কর্মদিবসে নিয়মিত এবং সময়নিষ্ঠভাবে BISC তে আসে এবং যথাসময়ে বাড়ি ফিরে আসে কিনা। অভিভাবকদের ক্লাস টেস্ট, মাসিক টেস্ট এবং টার্ম এন্ড পরীক্ষায় তাদের ওয়ার্ডের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে অভিভাবকদের অবশ্যই স্কুলের ডায়েরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সেট করা নিয়ম ও পরামর্শের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং তাদের ওয়ার্ডকে সেগুলি মেনে চলতে এবং এই বিষয়ে তাদের সহায়তা করতে বলবে। অভিভাবকদের উচিত তাদের ওয়ার্ডের পড়াশুনা ও আচার-আচরণ সম্পর্কে শ্রেণী শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রাখা। (কলমের ছবি অনুযায়ী) নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের ওয়ার্ডের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করার অনুমতি পাওয়ার পর অভিভাবকরা অধ্যক্ষের সাথে দেখা করতে পারেন। কোনো শিক্ষার্থী এক দিনের বেশি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবক ব্যক্তিগতভাবে আসবেন এবং উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে ক্লাসে আসতে ব্যর্থ হলে, অভিভাবক অধ্যক্ষের কাছে একটি আবেদন জমা দেবেন এবং তার সুস্থ হওয়ার পর অভিভাবক নিজেই তাকে মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ স্কুলে নিয়ে আসবেন। অভিভাবকরা এটা দেখবেন যে তাদের ওয়ার্ডগুলি প্রতি মাসে ফি সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত তারিখের প্রথম দিনে টিউশন ফি প্রদান করে। যদি কোন শিক্ষার্থী কোন প্রকার অন্যায় উপায় অবলম্বন করে এবং যদি সে অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় বা সে যদি বিদ্যালয়ের নিয়ম অস্বীকার করে বা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তাহলে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। উচ্চ শ্রেণীতে পদোন্নতির জন্য চূড়ান্ত মেয়াদের শেষ পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে কোনো অনুরোধ গ্রহণ করা হবে না যারা বিআইএসসিতে এবং থেকে তাদের ওয়ার্ডে নামবে এবং পিকআপ করবে তারা সময়মত এটি করবে। বিআইএসসি কোন দায় বহন করবে না অভিভাবকরা তাদের ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখভাল করবেন অভিভাবকরা তাদের ওয়ার্ডকে অবাঞ্ছিত সঙ্গ বা পরিবেশ থেকে দূরে রাখবেন একজন শিক্ষার্থীর সুন্দর চরিত্র গঠনের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন পড়ালেখায় অগ্রগতি এবং শিশুদের চরিত্র গঠনের বিষয়ে অভিভাবক শিক্ষকদের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেবেন বলে আশা করা যায়।
বিউএসএসএসসিআর এর সাধারণ নিয়মসম্পাদনা
ইনস্টিটিউশনে প্রবেশ করার সময় সমস্ত অনুষদের সদস্যদের এবং বয়সের দিক থেকে সিনিয়রদের "আসসালামু-আলাইকুম" বলে যথাযথ সম্মান দিন বিউএসএসএসসিআর যোগদানের আগে নিম্নলিখিত নিশ্চিত করুন
পোষাক পরিষ্কার, পরিপাটি এবং সঠিকভাবে ইস্ত্রি করা হয়
জুতা পরিষ্কার এবং রঙ করা হয় একটি সঠিক চুল কাটা আছে মেয়েদের চুল সাদা ফিতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় দুটি পনি টেইলে বেণি করা। আপনার আঙুলের নখ সঠিকভাবে ছাঁটা মেয়েরা কানের টপ, কোন অভিনব ঘড়ি এবং চুলের ক্লিপ পরে না শুধুমাত্র কানের রিং অনুমোদিত। তুমি সকালে গোসল করে দাতও ব্রাশ করেছ সঠিকভাবে আপনি রাস্তার পাশের দোকানে যান না ক্লাসে যোগ দেওয়ার আগে নিম্নলিখিতগুলি নিশ্চিত করুন: দিনের জন্য আপনার পাঠ প্রস্তুত করুন. হোম অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করেছেন. ক্লাসের সময় বারান্দা/ করিডোরে ঘোরাফেরা করবেন না। নিজ নিজ ক্লাসের জন্য নির্ধারিত ওয়াশ রুম ব্যবহার করুন। ওয়াশ রুম পরিদর্শন করার সময়, নিশ্চিত করুন: টয়লেট ছাড়ার আগে এটি ফ্লাশ করুন। যদি এটি ফ্লাশ করে পরিষ্কার না করা হয় তবে নিশ্চিত করুন যে পর্যাপ্ত জল ঢেলে এবং এটি পরিষ্কার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়াশরুমে পানি ছিটানো হয় না সিনিয়র ছাত্রদের এইভাবে সম্বোধন করা হবে: পুরুষ ছাত্রদের কাছে - (ভাইয়া) ছাত্রীদের কাছে- (আপা) পুরুষ শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের মহিলা সহপাঠীদের সাথে খুব আনুষ্ঠানিক হতে হবে। নং অধীনে পরিস্থিতিতে যে কেউ তাদের সাথে মজার হতে পারে. তাদের সাথে সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ কিন্তু আনুষ্ঠানিক হবে। তাদের সাথে আপনার নিজের বোনের মতো আচরণ করা উচিত। কোনো মেয়ের কোনো অভিযোগ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সহপাঠী, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের সাথে আচরণ: মনে রাখবেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পটভূমির এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সহপাঠী। প্রতিটি মানুষ অন্যদের থেকে আলাদা, কিছু শরীর আবেগপ্রবণ, খিটখিটে বা অসামাজিক হতে পারে তবে প্রত্যেকেরই আদর্শ আচরণ করার চেষ্টা করা উচিত। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করবেন না। মনে রাখবেন- মারধর, দলবদ্ধতা ও গুন্ডামি কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না, বরং সমস্যার জন্ম দেয়। স্কুলের যেকোন সমস্যার জন্য - এটি কোনও সহপাঠীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি বা নিজের কোনও সমস্যা হতে পারে - এটি শ্রেণি শিক্ষকের জ্ঞানে আনুন। বিউএসএসএসসিআর সম্পত্তি: 1. বিউএসএসএসসিআর সম্পত্তি সংরক্ষণ করতে অনুসরণ নিশ্চিত করুন।
ক্লাসরুম থেকে বের হওয়ার আগে ফ্যান ও লাইট বন্ধ করে দিন। নিজের ডেস্ক পরিষ্কার রাখতে হবে। যে কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অফিসে অবহিত করুন।
ব্যক্তিগত সম্পত্তি:সম্পাদনা
ক আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তির যত্ন নিন যেমন (1) ব্যাগ, (2) কলম, (3) বই, (4) ক্যালকুলেটর, (5) হাতঘড়ি ইত্যাদি।
খ. এই সমস্ত জিনিসগুলি ব্যাগের ভিতরে তালা এবং চাবির নীচে রাখুন।
গ. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র হারানোর ক্ষেত্রে - দায়িত্বে অবহেলার জন্য মালিককে শাস্তি পেতে হবে। সজাগ এবং সতর্ক থাকুন যাতে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র চুরি না হয়।
চা বিরতি:সম্পাদনা
ক বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসুন। আপনার শ্রেণীকক্ষে এটি গ্রাস করুন.
খ. বাড়ি থেকে টিফিন না আনার ক্ষেত্রে, আপনি বিউএসএসএসসিআর ক্যান্টিন থেকে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে এটি পেতে পারেন।
গ. আপনি যখন ক্যান্টিনে প্রবেশ করবেন, সারিতে দাঁড়িয়ে আপনার পালার জন্য অপেক্ষা করুন। লাইন ভাঙবেন না।
d ক্যান্টিন সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকলে তা স্কুলের ক্যাপ্টেন/প্রিফেক্টের কাছে নিয়ে যান।
স্কুলে উপস্থিতি:সম্পাদনা
ক ক্লাসে 100% উপস্থিতি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
খ. এর চেয়ে কম যে কোনো উপায় নেতিবাচকভাবে দেখা হবে।
স্কুলে শিক্ষার্থীর পোশাক:সম্পাদনা
অবশ্যই শিক্ষার্থীদের তাদের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে
বি:দ্র: শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক মাসের শেষ বৃহস্পতিবার Eglish Speaking Day প্রতিষ্ঠানে পালন করা হবে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী এ দিনে
পরিমার্জিত সুন্দর/সিভিল পোশাক পরিধান করে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে এবং পুরো দিন প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি বলার মাধ্যমে
সম্পূর্ণ করতে হবে।
পরীক্ষা:সম্পাদনা
ক ক্লাস, মাসিক পরীক্ষা এবং টার্ম শেষ পরীক্ষা থাকবে। প্রতিটি পরীক্ষা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
খ. কোনো শিক্ষার্থী পরপর 03টি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে তাকে ফেল বলে গণ্য করা হবে।
গ. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পদোন্নতির নীতি অনুযায়ী প্রতিটি পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নম্বর পেতে হবে।
বাড়িতে পড়াশুনা:সম্পাদনা
ক পরের দিন যে পাঠটি পড়ানো হবে তা অবশ্যই আবরণ করতে হবে।
খ. দিনে কমপক্ষে 06 ঘন্টা অধ্যয়ন করতে হবে।
গ. কোনো কাজ পেন্ডিং রাখবেন না।
ক্লাস চলাকালীন আচরণ:সম্পাদনা
a. মনোযোগী হও।
খ. ক্লাস চলাকালীন আপনার সন্দেহ দূর করুন।
গ. অন্যকে বিরক্ত করবেন না।
d নিয়মিত বই বহন করুন।
e সিট প্ল্যান অনুযায়ী আসন
ক্লাব এবং সমিতি:সম্পাদনা
নিম্নলিখিত ক্লাব এবং সমিতিগুলি কাজ করছে:
(1) ইংরেজি সাহিত্য ক্লাব
(2) বিজ্ঞান ক্লাব
(3) কম্পিউটার ক্লাব
(4) সঙ্গীত ক্লাব
(5) চারু ও কারুশিল্প ক্লাব
(6) হোম ইকোনমিক্স ক্লাব
(7) ভাষা ক্লাব
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী ব্যতীত সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার ক্লাব ও সমিতি পরিচালিত হয়।
গেম:সম্পাদনা
ক খেলায় উপস্থিতি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক
খ. নিম্নলিখিত গেমগুলির জন্য সুবিধা উপলব্ধ।
(1) ক্রিকেট এবং ফুটবল
(2) ভলিবল
(3) হ্যান্ডবল
(4) বাস্কেটবল
বিউএসএসএসসিআর পরিদর্শন করা অধ্যক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত ছুটির দিনে কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসবে না।
বন্ধু বা সম্পর্ক:সম্পাদনা
বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের কাজের সময় এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই বিউএসএসএসসিআর-এ প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
লাইব্রেরির ব্যবহার:সম্পাদনা
ক শিক্ষার্থীরা কর্মদিবসে বিকেল ৩.০০ টা পর্যন্ত লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবে।
খ. খেলার সময় লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন। (শ্রেণি শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া)
প্রতিষ্ঠানের মসজিদসম্পাদনা
প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কোনো মসজিদ না থাকায় ২০০৭ সালে তৎকালীন রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং দুই তলা বিশিষ্ট শহীদ সামাদ / স্বাধীনতা মসজিদ টি স্থাপন করেন।
শিক্ষার পাশাপাশি মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রবেশ দ্বারের সামনে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রংপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত একটি দুই তলা মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে । যাতে শিক্ষার্থীরা পড়া-লেখার পাশাপাশি আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে । এছাড়া মসজিদ টি সম্মানিত অভিভাবক, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, সেনাবাহিনীর কর্মচারী, অসাময়িক (সিভিল) ইত্যাদি সবার জন্য উন্মুক্ত।
প্রশাসনিক ভবনসম্পাদনা
- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড,রংপুর সেনানিবাস,রংপুর
অর্জন সমূহসম্পাদনা
- ২০১১ - দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে ফলাফলের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৮তম স্থান অধিকার করে।[১]
- ২০১৪ - দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫তম স্থান অধিকার।[২]
- ২০১৫ - দিনাজপুর বোর্ডের সেরা ২০–এ রংপুরের ১০টি প্রতিষ্ঠান স্থান করে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৭তম স্থান অধিকার করে।[৩]
প্রাতিষ্ঠানিক অর্জনসম্পাদনা
- জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৩
শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান - বীর উত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজ - অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ।
- জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ- ২০০৩
শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - বীর উত্তম শহীদ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়।
- মোছা রওজাতুল জান্নাত (মেধা)
১০ম শ্ৰেণী রোলঃ১১ র্বতমান বিজয়ের ফুল অনুষ্ঠানে ২০১৯ জেলা ও মহানগর র্পযায়ে গল্পলখোয় ১ম স্থান করেছে।
- দশম শ্ৰেণীর শিক্ষার্থী
নওশনি আক্তার বিজয় দিবস উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় মহানগর র্পযায়ে প্রথম । একক অভিনয়ে প্রথম । আবৃত্ততিে জলোভত্তিকি দ্বিতীয়
- দশম শ্ৰেণীর শিক্ষার্থী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থাগার আয়োজিত প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতা পপিল চন্দ্র র্বমণ দশম শ্ৰেণী প্রথম স্থান নূর মাহফুজ ও র্তূয যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান ।
- দশম শ্ৰেণীর শিক্ষার্থী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তারকি আদনান সপ্তম শ্ৰেণী আঞ্চলকি ভাওয়াইয়া প্রথম স্থান মহান স্বাধীনতা দিবস ২০১৫ এ ঢাকা শিশু একাডেমি থেকে র্তুকি ওর্য়াল্ড চিলড্রেন ফেস্টিভালে অংশ গ্রহন। ২০১৬ সালে জাতীয়তে লোক নৃত্যে ২য়। ভাওয়াইয়া গানওে ২য়। ২০১৮ তে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় জেলা র্পযায়ে নৃত্যে ১ম ভাওয়াইয়া গানে ২য়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীসম্পাদনা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হলো ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি বার্ষিক পরিকল্পনা। সরকার ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের ঘোষণা দেয়। সুবর্ণ জয়ন্তীর সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ ও পালিত হয়। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর সম্মিলিত অনুষ্ঠান ‘মুজিব চিরন্তন’। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে গণহত্যা চালায় । এই গণ হত্যায় শুধু মাত্র ঢাকাতেই ৬ থেকে ৭ হাজার সাধারণ মানুষ সেই রাতে প্রাণ হারায় । বাংলাদেশে এই দিন টি জাতীয় গণহত্যা দিবস নামে পরিচিত । সেই দিন রাত ১২ টার পর ( ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করায় ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ ২৬ শে মার্চকে “স্বাধীনতা দিবস” হিসাবে পালন করে আসছে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এই দিনটি ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজয় দিবস হিসাবে পালন করছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধে বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পূর্ণ হয়। তাই স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২১ সালকে “সুবর্ণজয়ন্তী” হিসাবে পালন করা হয়, নিম্নোক্ত জাতীয় শপথপাঠ করা হয় এবং জাতীয় স্লোগান “জয়বাংলা” করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষের চেতনা কে লালন করে আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মুজিবের অসমাপ্ত স্বপ্ন গুলো পুরণ করে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
সুবিধাসম্পাদনা
বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের যুগপোযোগী শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি, শারীরিক, মানষিক এবং চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের পাশাপাশি কম্পিউটার ল্যাব, এবং বিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত অন্যান্য ল্যাবরেটরি সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবল খেলার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে একটি মসজিদ, ,ক্যান্টিন, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, উন্মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার, অভিভাবক শেডস ইত্যাদি। বিদ্যালয়টি অনাবাসিক।
বীর উত্তম শহীদ লে.আবু মইন মো :আশফাকুস সামাদ এর ম্যুরাল তৈরি এবং উদ্বোধনসম্পাদনা
আজ (১৬/১০/২০২০ তারিখ) বীর উত্তম শহীদ সামাদ এর ম্যুরাল তৈরির কাজের সূচনা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলীর উপস্থিতে করা হল।
বীর উত্তম শহীদ লে.আবু মইন মো :আশফাকুস সামাদ এর ম্যুরাল উদ্বোধন উপলক্ষে মাননীয় GOC মহোদয়,স্টেশন কমান্ডার,ক্যান্টনমেন্ট এক্সকিউটিভ অফিসার ও অধ্যক্ষ মহোদয়
বীর উত্তম শহীদ লে.আবু মইন মো :আশফাকুস সামাদ এর ম্যুরাল উদ্বোধন
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "বোর্ডসেরা রংপুরের ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান"। দৈনিক সংগ্রাম। মে ৮, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৫, ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে শীর্ষ ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। মে ১৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৫, ২০১৯।
- ↑ "বোর্ডসেরা রংপুরের ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান"। দৈনিক প্রথম আলো। মে ৩১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৫, ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]