পুষ্পক বিমান

হিন্দু পুরাণে বর্ণিত রাবণের বায়ুযান

হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত পুষ্পক বিমান বা পুষ্পকরথটি হলো একপ্রকার আকাশযান৷ লঙ্কার রাজা রাবণ দূরবর্তী স্থানে যাতায়াতের জন্য এটি ব্যবহার করতেন৷ রামায়ণে সীতাহরণকালে রাবণের পুষ্পক বিমান ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে৷ রাম-রাবণের যুদ্ধের পর বিজয়ী রাম; সীতা, লক্ষ্মণ, লঙ্কার নতুন রাজা বিভীষণসহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বানরসেনা এই পুষ্পক বিমানেই লঙ্কা থেকে অযোধ্যায় ফেরত আসেন৷ বিমানটি মূলত ধনৈশ্বর্যের দেবতা কুবেরের মালিকানাধীন হলেও রাবণ সুবর্ণমণ্ডিত লঙ্কাপুরীসহ এই বিমানটিও তার বৈমাত্রেয় জ্যেষ্ঠভ্রাতা থেকে ছিনিয়ে নেন৷[১] আবার অন্যান্য একাধিক গ্রন্থ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে, এই পুষ্পক বিমানটির নকশাকর ও সংরক্ষক ছিলেন ঋষি অঙ্গিরা৷[২] আবার এই বিমানের নির্মাতা ও সাজসজ্জা করেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা৷ প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু পুরাণ অনুসারে প্রায় দশ হাজার বছর পূর্বেই বিমানের সচিত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং যুদ্ধবিমানের নির্মাণ পদ্ধতির কৌশল বিবৃৃত রয়েছে৷ রাবণের পুষ্পক বিমানটি ছিলো এইক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী৷ এছাড়াও অন্যান্য একাধিক পুঁথিতে সৈন্য ধারণক্ষমতাযুক্ত যুদ্ধবিমানের বিবরণ, তার ব্যবহার পদ্ধতি, বিমান সংঘর্ষ, অন্তর্ধান এবং পিশ্চাদ্ধাবনের বিস্তর বর্ণনা পাওয়া যায়৷ প্রাচীন বিমান নির্মানশৈলীর মূলত দুটি ধরন ছিলো, প্রথমটি হলো মনুষ্যবাহী আকাশযান যেটি বর্তমান উড়োজাহাজের মতো পাখাযুক্ত ছিলো এবং মনুষ্যনির্মিত ছিলো৷ আবার অপর প্রকারটি ছিলো অলৌকিক ও মনুষ্য নির্মিত নয় যেগুলি মূলত দৈবিককাজে ব্যবহৃত হত৷[৩]

পুষ্পক বিমান
পুষ্পকবিমানম্
শ্রীরাম, সীতা, হনুমান ও লক্ষ্মণসহ পুষ্পক রথে বিরাজিত অন্যান্য বানরসেনা
দলপ্রাচীন হিন্দু পুরাণ
উপ দলআকাশযান
পুরাণরামায়ণ
দেশশ্রীলঙ্কা, ভারত
অঞ্চলভারতীয় উপমহাদেশ

বিশেষত্ব সম্পাদনা

পুষ্পক বিমানের একাধিক গুণাবলী ছিলো যেমন প্রয়োজন মতো এই বিমানের আকার হ্রাস বা বৃদ্ধি করা যেতো৷ কোনো স্থানে দ্রুত ভ্রমণের জন্য এই বিমানের বেগ মাত্রাতিরিক্ত ভাবনাতীতভাবে বাড়ানো যেতো৷ আকাশপথ ছাড়া ভূমিতেও এটি অনায়াসে চলতে পারতো৷ অধীশ্বরের নির্দেশ অনুসারে বিমানটি বেগ বাড়াতো বা কমাতো আবার একসাথে বহুলোকের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা তৈরীর ব্যবস্থাও ছিলো৷[৪] যাত্রী সংখ্যা, বায়ুর বেগ ও গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে এর আকার পরিবর্তন হতো৷ দেবতাদের বিলাসবহুল যাত্রার জন্য বিমানস্বামী কুবের এটি ব্যবহার করতেন৷ রাবণ কুবেরের থেকে স্বর্ণলঙ্কা ও পুষ্পকরথ বলপূর্বক ছিনিয়ে নিলে তিনি বর্তমান তিব্বতের নিকট অলকাপুরীতে নিজের নতুন রাজধানীর স্থাপনা করেন৷[৫] অতঃপর রাম রাবণের যুদ্ধে রাবণঅবধের পর শ্রীরাম একার দায়িত্বে পুষ্পক বিমানটিকে তার আসল অধীশ্বর কুবেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন৷ তিনি তার বানরসৈন্য, পরিবার ও তার শুভাকাঙ্খীদের লঙ্কা থেকে অযোধ্যা নিয়ে আসার সময়ে বিমানটিকে শুধুমাত্র একবার প্রয়োগ করেছিলেন৷[৬]

বর্তমানে শ্রীলঙ্কাতে "শ্রীরামায়ণ রিসার্চ সমিতি"-র মতানুসারে রাবণের কিছে তার ভাইয়ের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পুষ্পক বিমানটি রাখার জন্য চারটি বিমানবন্দর ছিলো৷ এই চারটি বিমানবন্দরের একটির নাম ছিলো উসানগোড়া, কাহিনী অনুসারে লঙ্কাদহন কালে হনুমান এই বিমানবন্দরটিকেই পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছিলেন৷ অপর তিনটি বিমানবন্দর তথা, গুরূলোপোথা, তোতুপোলাকন্দা এবং বারিয়াপোলা এই সময়ে সুরক্ষিত ছিলো৷[৭]

গ্রন্থে উল্লেখ সম্পাদনা

 
গুজরাত রাজ্যের মধেরাতে অবস্থিত সূর্য মন্দিরের স্তম্ভে অঙ্কিত পুষ্পক রথ সহ রাবণের সীতাহরণের চিত্র

বিমান নির্মাণ সম্পাদনা

ঋক বেদে একাধিক শ্লোকের মাধ্যমে ২০০র অধিকবার বিমানের উল্লেখ রয়েছে৷ এতে ত্রিতল বিশিষ্ট, ত্রিকোণাকৃতি ও ত্রিচক্রী বিশিষ্ট বিভিন্ন আদি বিমানের উল্লেখ রয়েছে৷ এগুলির প্রাথমিক নির্মাণ করেছিলেন যুগ্মদেবতা অশ্বিনীকুমার, যারা যুগল দেববৈজ্ঞানিক নামেও পরিচিত ছিলেন৷ আদিবিমানগুলিতে তিনজন যাত্রী যেতে পারতেন এবং এগুলির দুদিকে দুটি পাখা যুক্ত থাকতো৷ বিমান তৈরীর উপকরণগুলির মধ্যে মূলত তিনটি ধাতুর ব্যবহার হতো যথা- সোনা, রূপা এবং লোহা৷ বেদে বিমান তৈরীর সময়ে বিভিন্ন আকার দেওয়ার কথারও উল্লেখ রয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় অগ্নিহোত্র বিমানে ছিলো দুটি শক্তির উৎস তথা ইঞ্জিন আবার হস্তী বিমানে দুইয়ের অধিক শক্তির উৎস ছিলো৷ যে কোনো বিমানের মৌলিক আকির ছিলো আজকের মাছরাঙ্গা পাখির আকৃৃতির৷ এছাড়া একপ্রকার জলযানেরও উল্লেখ পাওয়া যায় যা জলে এবং আকাশে উভয়স্থানেই বিচরণ করতে পারতো(ঋগ্বেদ - ৬.৫৮.০৩)৷ কারা নামক বিমানটিও জল ও বায়ু উভয়ক্ষেত্রেই সচল ছিলো(ঋগ্বেদ - ৯.১৪.০১)৷ আবার ত্রিতলা নামক বিমানটি নামানুসারে তিনটি তল বিশিষ্ট ছিলো(ঋগ্বেদ - ৩.১৪.০১)৷ ত্রিচক্র নামক তিনটি চাকাযুক্ত বিমানটি আকিশে উড়তে পারতো(ঋগ্বেদ - ৪.৩৬.০১)৷ রথের মতো দেখতে অপর একটি বিমান আকাশপথে বায়ুশক্তি বা বাষ্পের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে চলতো(ঋগ্বেদ - ৫.৪১.০৬)৷ আবার বিদ্যুৎরথ বা বিদ্যুদ্রথ নামক বিমান বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলতো(ঋগ্বেদ - ৩.১৪.০১)৷

সমরাঙ্গণসূত্রধার নামক বাস্তুশাস্ত্রীয় বইটিতে বিমানের বিষয়ে এবং বিমানসম্বন্ধীয় বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক রোমাঞ্চকর তথ্য পাওয়া যায়৷ বইটিতে প্রায় ২২৫টি অনুচ্ছেদে বিমান নির্মাণ, উড্ডয়ন পদ্ধতি, গতি বিষয়ক, অবতরন এবং জরুরীকালীন অবতরন সহ একাধিকবার পক্ষীকুলের সঙ্গে আকস্মিক সংঘাতের ঘটনার উল্লেখও রয়েছে৷

পুষ্পকের উল্লেখ সম্পাদনা

প্রাচীন বিভিন্ন পুস্তকে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার নির্মিত একাধিক বিমানের বর্ণনা রয়েছে৷ এমনভাবেই বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, ব্রহ্মার ব্যবহারের জন্য শিল্পাচার্য বিশ্বকর্মা পুষ্পকরথ নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে৷ বিশ্বকর্মার মা ছিলেন সতী যোগসিদ্ধা,[৮] যিনি অষ্টবসুর একবসু তথা প্রভাসের পত্নী ছিলেন৷ মহাভারত অনুসারে বশিষ্ঠ মুনি এই প্রভাসকেই শাপিত করেছিলেন যে তাকে মর্ত্যলোকে দীর্ঘকাল অতিবাহিত করতে হবে৷ তখন তার অনুরোধে গঙ্গা মর্ত্যলোকে তার মা হতে স্বীকার করেন এবং গঙ্গা-শান্তনুর সন্তান হিসাবে ভীষ্ম দেবব্রত নামে তিনি জন্মলাভ করেন৷ এই প্রভাস ও যোগসিদ্ধার পুত্র বিশ্বকর্মাই সমস্ত ধরনের কারিগরি শিল্পে নিযুক্ত থাকতেন৷

 
চিত্র রামায়ণে চিত্রিত পুষ্পক বিমান

বাল্মীকি পুষ্পক বিমানের যথাসম্ভব বিস্তৃৃত বিবরণ দিয়েছেন,

মেঘের সমান উচ্চতাযুক্ত, সোনার বরণ কান্তিময়, তথা পুষ্পককে ভূমিতে একত্রিত সোনার পিণ্ডের মতো দেখতে৷ অধিক রত্ন বিভূষিত, বিভিন্ন প্রকার ফুলে আচ্ছাদিত ও পুষ্পপরাগে ভরপুর পর্বত শিখরের মতো শোভিত৷ চন্দ্রচ্ছটায় পূজিত, মেঘের মতো রমনীয় ও রত্নজ্যোতিতে দোদীপ্যমান ছিলো বিমানটি৷ আকাশে বিচরণের সময়ে বৃহদায়তন শ্রেষ্ট হাসের দ্বারা চালিত হতো৷ এর নির্মান খুব সৌন্দর্যের সাথে অদ্ভুত শোভাযুক্ত করে করা হয়েছিলো৷ বিমানটি নির্মাণে একাধিক ধাতুর ব্যবহার এমনভাবেই করা হয়েছিলো যেন গ্রহ পর্বত শিখর ও জ্যোৎস্নার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিনন রঙের ছটা বিচ্ছুরিত করছে এমন মনে হতো৷ ইআর ভূমি সংলগ্ন দিকটি স্বর্ণমণ্ডিত ও কৃত্রিম পর্বত শিখরের শ্রেণীর মতো দেখতে ছিলো৷ কৃত্রিম পর্বত শিখরগুলিতে গাছ এবং ফুল থাকতো এবং সাথে প্রজাপতিও অবস্থান করতো৷ বিমানেরভেতর সাদা রঙের একটি অট্টালিকা নির্মিত ছিলো এবং এই অট্টালিকার চারিদিকে অদ্ভুত সুন্দর বন এবং সরোবর তৈরী করা হয়েছিলো৷ বিমানটি রত্নমণ্ডিত ছিলো এবং প্রয়োজন মতো যেখানে খুশি ভ্রমণ করা যেত৷[৯]

বিমানটিতে বিভিন্ন রত্ন ও রং ব্যবহার করে সাপের আকৃৃতি তৈরী করা হয়েছিলো তথা স্বঙ্গযুক্ত অশ্বও ছিলো এটিতে৷ বিমানটিতে কামদেবের সহায়ক সুদৃশ্য মুখ ও ডানাযুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অঙ্কিত ছিলো৷ গজগুলি অঙ্গারকমণি, প্রবাল ও স্বর্ণখচিত ছিলো এবং পুষ্পনির্মিত ডানাগুলি শ্রীলক্ষ্মীর আরাধনারত ছিলো৷ গজের সাথে দেবী গজলক্ষ্মীর মূর্তিও প্রতিষ্ঠিত ছিলো, যা প্রতিনিয়ত হাতিগুলির দ্বারা অভিষিক্ত হতো৷ বিভিন্ন প্রকার পতঙ্গযুক্ত পর্তশিখরগূলির বসন্ত ঋতুতে সুগন্ধি গাছে ভরে উঠতো৷ বাল্মীকি রামায়ণে পুষ্পক বিমানের উল্লেখ কিছুটা এভাবে পাওয়া যায় যে,

“ তস্য হ্ম্যর্স্য মধ্যথ্বেশ্ম চান্যত সুনির্মিতম৷ 
বহুনির্যূহ্সংযুক্তং দদর্শ পবনাত্মজঃ৷৷ ”
- বাল্মীকি রামায়ণ[১০]

ভক্ত হনুমানও এই বিমানের সৌন্দর্য দেখে আচম্বিত হয়ে গিয়েছিলেন৷ রাবণের রাজভবনের নিকট রাখা এই বিমানের বিস্তার ছিলো প্রায় একযোজন লম্বা ও অর্ধযোজন চওড়া৷ দেবশিল্পী বিভিন্ন রত্নের প্রয়োগ করে প্রাসাদ স্বরূপ এই বিমানটি ব্রহ্মার জন্য নির্মাণ করেছিলেন, কালান্তরে এটি রাবণের হস্তোগত হয়৷ তখনকার সময়ে সারা বিশ্বে বিমানটি আশ্চর্য বস্তু হিসাবে বিশেষ সমাদৃত হতো৷

পৌরাণিক ঘটনা সম্পাদনা

ঋষি ভরদ্বাজের রচিত বৈমানিক শাস্ত্র বইটিতে বিমান নির্মাণ, তার প্রকার ও সঞ্চালন সম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়৷ এটি তার মূলগ্রন্থ যন্ত্রসর্বেশ্বমের একটি অংশ৷ উল্লেখ অনুসারে ঐসময়ে এই বইয়ের জ্ঞান থেকে নির্মিত বিমানব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন গ্রহে ঘোরাফেরা করতে সক্ষম ছিলো৷ সংস্কৃৃত ভাষাতে রচিত এই বৈমানিক শাস্ত্র গ্রন্থে আটটি অধ্যায়, একশটি অধিকরণ পাঁচশটি সিদ্ধান্তসূত্র এবং তিনসহস্র শ্লোক রয়েছে৷

এই বিমান তৈরীতে কার্যকরী পদ্ধতিটি আধ্যাত্মবিজ্ঞানেরই অংশ৷ প্রাচীন পণ্ডিতদের মধ্যে জড়বস্তুতে চেতনা তৈরীর বিদ্যা জানা ছিলো বলে ধরা হয়,ফলে তারা প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সচল যন্ত্র নির্মাণ করতে পারতেন৷ রামায়ণ সহ অন্যান্য বিভিন্ন হিন্দু ধার্মিক গ্রন্থে এর উল্লেখ রয়েছে৷ পুষ্পক বিমানের অন্যতম বিশেষত্ব ছিলো যে, এই বিমানটি তারই কথা মেনে চলতো যিনি এই বিমানটি চালানোর জন্য বিমান সঞ্চালন মন্ত্রে সিদ্ধ হতেন৷[১০]

বিমান ও বন্দর সম্পাদনা

বিভিন্ন গ্রন্থ অধ্যয়ণ করে বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, রাবণের লঙ্কায় পুষ্পক ছাড়াও একাধিক বিমান ছিলো৷ এই বিমানগুলি তিনি রাজ্যের মধ্যে আলাদা আলাদা দিকে অবস্থিত বন্দরগুলি পরিদর্শন এবং রাজ্যের বাইরে ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করতেন৷ বাল্মীকি রাময়ণ অনুসারে রামে লঙ্কাবিজয়ের পরে তিনি লক্ষ্মণকে বলেছিলেন যে, একাধিক বিমানের সমারোহে এই ধরনীতে লঙ্কা উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে, যদি এটি বিষ্ণুর বৈকুণ্ঠধাম হতো তবে তা সাদা মেঘে আচ্ছন্ন থাকতো৷

বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য লঙ্কায় মোট ছয়টি বিমানবন্দর ছিলো৷[১১] এর মধ্যে কিছু বিমান ও বিমানবন্দরের বিবরণ নিম্নরূপ,

  • বেরাগনটোটা - এটি বর্তমানে মধ্য শ্রীলঙ্কার মহীয়াঙ্গনে অবস্থিত৷ সিংহলি ভাষাতে এই নামটির অর্থ বিমান অবতরণের স্থল৷
  • তোটুপোলা কন্দ - তোটুপোলার আক্ষরিক অর্থও বিমান সম্বন্ধীয় তথা যেই স্থান থেকে কেউ যাত্রারম্ভ করে তাই তোটুপোলা৷ কন্দ অর্থ পর্বত৷ সমুদ্রতল থেকে ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটি ছিলো বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের অনুকূল৷
  • দণ্ডুমোনরা বিমান - রাবণ দ্বারা ব্যবহৃত এই বিমানটির স্থানীয় সিংহলি ভাষায় অর্থ, যা ময়ূরের মতো উড়তে পারে৷ স্থানীয় ভাষায় মোনরা শব্দের অর্থ ময়ূর৷
  • বারিয়াপোলা - এটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার মাতালে অঞ্চলে অবস্থিত৷ বা (ওয়া) শব্দের অর্ত বায়ু, রিযা শব্দের অর্থ যান এবং পোলা শব্দের অর্থ স্থান অর্থাৎ আক্ষরিক ভাবে এটি ছিলো আকাশযান অবতরণের একটি স্থান৷[১২]
  • গুরূলোপোথা - সিংহলি ভাষায় এর আক্ষরিক অর্থ পাখিদের দেহাংশ৷ এই বিমানবন্দরটিতে বিমানঘর ঐ বিমান মেরামতিকেন্দ্র ছিলো বলে অনুমান করা হয়৷

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "जानिए रावण के रहस्य उसकी लंका में थे छह एयरपोर्ट"SamacharJagat (hindi ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  2. "रावण की 10 खास बातें जो आपको जानना चाहिए, अवश्य पढ़ें..."hindi.webdunia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  3. "रावण के पास सच में था पुष्पक-विमान, pushpak viman"hindi.speakingtree.in (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  4. "रावण की 10 खास बातें जो आपको जानना चाहिए, अवश्य पढ़ें..."hindi.webdunia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  5. Brahmavadi, Parshuram Thakur (২০১৩-০১-০১)। Vikramshila Ka Itihas (হিন্দি ভাষায়)। Prabhat Prakashan। আইএসবিএন 978-81-7721-218-1 
  6. "अच्छा तो यहां रखता था रावण अपना पुष्पक विमान"Amar Ujala (হিন্দি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  7. https://www.bhaskar.com/news/PUN-JAL-airport-prevailed-in-raavan-regime-4264114-PHO.html?&storyid=8248344&photoID=2072984
  8. "पुष्पक विमान - भारतकोश, ज्ञान का हिन्दी महासागर"m.bharatdiscovery.org। ২০২০-১১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬ 
  9. अतुलनीय पुष्पक विमान (हिन्दी)। अभिगमन तिथि: २४ मई, २०१३।
  10. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  11. http://ww1.delhitopnews.com/astro/the-history-of-this-gold-lanka/[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "Sinhala Dictionary Online Translation LEXILOGOS"www.lexilogos.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৬