পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট শাসনের কালপঞ্জি
পশ্চিমবঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার গণতান্ত্রিক বিধানে একাদিক্রমে তিন দশকেরও বেশি সময়কাল (১৯৭৭-২০১১) ক্ষমতায় আসীন ছিল। বিশ্বের অন্য কোথাও এত সুদীর্ঘ সময় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৭৭ সম্পাদনা
জুন ২১ – জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এল বামফ্রন্ট সরকার। রাজ্যপাল এ এল ডায়াস মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করালেন। ক্যাবিনেটের প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সকল রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
জুন ২৪ – নবগঠিত বিধানসভার প্রথম বৈঠক।
জুন ২৬ – কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বামফ্রন্টের প্রথম বিজয় সমাবেশ।
জুলাই ২ – পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত রাজ্য ক্যাবিনেটে।
জুলাই ৩০ – নয়াদিল্লিতে আয়োজিত মুখ্যমন্ত্রী-সম্মেলনে জ্যোতি বসুর প্রথম ভাষণ।
সেপ্টেম্বর ২৯ – ঐতিহাসিক পশ্চিমবঙ্গ ভূমি (সংশোধনী) বিল পাস বিধানসভায়।
অক্টোবর ৩-৪ – সিবিআই কর্তৃক ইন্দিরা গান্ধী গ্রেফতার। মুক্তি পেলেন পরদিনই।
অক্টোবর ১৩ – উর্দু আকাদেমি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত।
অক্টোবর ১৫ – বামফ্রন্ট কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে মার্চ, ১৯৭৮-এ অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করল।
নভেম্বর ৬ – ত্রিভুবন নারায়ণ সিং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হলেন।
নভেম্বর ৭ – রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকার বেতন কমিশন গঠন করলেন।
নভেম্বর ১৮ – ভাগচাষিদের সত্ত্বাধিকার নথিভুক্তিকরণ বিষয়ে বিস্তারিত নিয়মাবলি প্রকাশিত হল।
১৯৭৮ সম্পাদনা
মার্চ ১৮-১৯ – জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ভাষণ।
মে ২ – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ আট বছর পর ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
জুন ৪ – ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোটে বামফ্রন্টের গৌরবজনক বিজয়।
জুন ২৬ – দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে আনার জন্য রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
জুলাই ৪ – পুরভোটে ভোটদাতাদের বয়স ২১ থেকে ১৮ নামিয়ে আনার সপক্ষে রাজ্য ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্তগ্রহণ।
সেপ্টেম্বর ২ – দক্ষিণবঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত আরম্ভ। দেড়মাসের মধ্যে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা প্রত্যক্ষ করল রাজ্য।
সেপ্টেম্বর ২৬ – কলকাতায় ভারি বৃষ্টিপাত আরম্ভ। অভূতপূর্ব বন্যার কবলে রাজ্যের রাজধানী।
ডিসেম্বর ৫ – ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশন বিল বিধানসভায় পাস।
১৯৭৯ সম্পাদনা
জানুয়ারি ৩১ – মরিচঝাঁপির পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা বাঙালি হিন্দু শরণার্থীরা বামফ্রন্ট সরকার পরিচালিত পুলিশ বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হল ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মে ১৬ – মরিচঝাঁপির অসহায় বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বামফ্রন্ট সরকার পরিচালিত পুলিশ বাহিনী ও সিপিআইএম ক্যাডাররা। অনেক শরণার্থীকে হত্যা করা হয় যা মরিচঝাঁপি গণহত্যা নামে যা খ্যাত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
জুলাই ১৫ – কেন্দ্রে মোরারজি দেসাই সরকারের পতন।
জুলাই ২৮ – চরণ সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত।
অগস্ট ২০ – কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে চরণ সিং ইস্তফা দিলেন। রাষ্ট্রপতি ভেঙে দিলেন লোকসভা।
অগস্ট ৩০ – দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড (ফার্ম হোল্ডিং) হোল্ডিং রেভেনিউ বিল, ১৯৭৯ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গৃহীত।
সেপ্টেম্বর ১৩ – বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারি লাইব্রেরি বিল গৃহীত।
সেপ্টেম্বর ১৮ – পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (সংশোধনী) বিল বিধানসভায় গৃহীত।
সেপ্টেম্বর ২০ – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিল বিধানসভায় গৃহীত।
অক্টোবর ৮ – পটনায় জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রয়াণ।
ডিসেম্বর ২৪ – টালিগঞ্জ টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও অধিগ্রহণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
১৯৮০ সম্পাদনা
জানুয়ারি ৩-৬ – কংগ্রেস (আই)-এর পুনরায় কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল।
জানুয়ারি ১৪ – প্রধানমন্ত্রীরূপে ইন্দিরা গান্ধী শপথ গ্রহণ করলেন।
জানুয়ারি ২০ – দশম শ্রেণি অবধি বিদ্যালয় শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
জানুয়ারি ২১ – কেরালায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ক্ষমতা দখল। কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডেও বিজয় সমাবেশ।
জানুয়ারি ২৬ – মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজ-এর উদ্বোধন করলেন।
মে ৬ – বিধানসভায় কলকাতা পৌরসংস্থা বিল গৃহীত।
মে ২৭ – রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি বাতিল, ধর্মঘট ডাকা ও পালন করার অধিকারসহ সামগ্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার অনুমোদিত।
জুন ২৩ – বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু।
জুন ৩০ – রাজ্য ক্যাবিনেটে ২৪ পরগনা জেলাভাগের সিদ্ধান্ত।
জুলাই ৫ – ওয়েস্ট বেঙ্গল কালার ফিল্ম অ্যান্ড সাউন্ড ল্যাবোরেটরি কর্পোরেশন লিমিটেড স্থাপিত।
ডিসেম্বর ১ – সংশোধিত ওয়েস্ট বেঙ্গল সিডিউলড কাস্ট অ্যান্ড ট্রাইবস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন অ্যাক্ট কার্যকর।
১৯৮১ সম্পাদনা
জানুয়ারি ১০ – রাজ্য সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ঘোষণা করলেন।
মে ৬ – কলকাতা পৌরসংস্থা বিল, ১৯৮১ পাস হল বিধানসভায়।
মে ৩১ – রাজ্যের ৮৯টি পুরসভায় ভোট। প্রথম ১৮ বছরের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ভোট হল বাংলায়।
সেপ্টেম্বর ৯ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ডেমোক্রেটিক সোসালিস্ট পার্টি ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সোসালিস্ট পার্টি বামফ্রন্টে যোগ দিল।
সেপ্টেম্বর ১২ – ভৈরব দত্ত পান্ডে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত।
সেপ্টেম্বর ২৩ – দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত।
সেপ্টেম্বর ২৯ – বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত।
নভেম্বর ৩০ – হাওড়া পৌরসংস্থা আইন, ১৯৮০ কার্যকর।
১৯৮২ সম্পাদনা
মার্চ ২০ – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমির সূচনা।
মার্চ ২৯-এপ্রিল ৫ – পুরুলিয়ার হুদা থেকে কলকাতা অবধি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের ষোলো-দফা দাবির সমর্থনে বিশাল পদযাত্রা।
মে ৬ – স্থানীয় সরকার ও নগরবিদ্যা প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড আরবান স্টাডিজ প্রতিষ্ঠার আদেশনামা জারি।
মে ১৯ – পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত। মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২৩৮টিতে নয়দলীয় বামফ্রন্টের জয়।
মে ২৬ – জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বে দ্বিতীয় বামফ্রন্ট সরকারের শপথগ্রহণ।
জুন ২ – পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবেশ বিভাগ গঠিত।
জুলাই ২৫ – জ্ঞানী জৈল সিং ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত।
নভেম্বর ২৯ – বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান প্রমোদ দাশগুপ্ত চিনের রাজধানী বেজিং-এ প্রয়াত।
ডিসেম্বর ৭ – কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রমোদ দাশগুপ্তের স্মরণে সর্বদলীয় শোকসভা। সরোজ মুখোপাধ্যায় বামফ্রন্টের পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত।
১৯৮৩ সম্পাদনা
মে ৩১ – রাজ্যের দ্বিতীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
জুন ৭ – কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্রের রঙিন সম্প্রচার আরম্ভের অনুষ্ঠানে জ্যোতি বসুর ভাষণ।
জুন ৯ – রাজ্য ও কেন্দ্রের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার জন্য সারকারিয়া কমিশন গঠিত।
জুন ২৫ – ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়।
অক্টোবর ১০ – অনন্ত প্রসাদ শর্মা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত।
ডিসেম্বর ১৮ – পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ প্রয়াত।
১৯৮৫ সম্পাদনা
১৯৮৬ সম্পাদনা
১৯৮৭ সম্পাদনা
১৯৮৮ সম্পাদনা
১৯৮৯ সম্পাদনা
১৯৯০ সম্পাদনা
১৯৯১ সম্পাদনা
১৯৯২ সম্পাদনা
১৯৯৩ সম্পাদনা
১৯৯৪ সম্পাদনা
১৯৯৫ সম্পাদনা
১৯৯৬ সম্পাদনা
১৯৯৭ সম্পাদনা
১৯৯৮ সম্পাদনা
১৯৯৯ সম্পাদনা
২০০০ সম্পাদনা
৬ নভেম্বর - পশ্চিমবঙ্গের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’র শপথ গ্রহণ। ২৩ বছরের উপর নির্বাচিত বামফ্রন্ট সরকারকে নেতৃত্ব দেবার পর জ্যোতি বসু গত ২৭ শে অক্টোবর (২০০০) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৭ নভেম্বর - উইপ্রোর জন্য সল্টলেকে দ্বিতীয় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
২৯ নভেম্বর - মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রথম দিল্লি যাত্রা।
১০ ডিসেম্বর - যুবভারতীতে জ্যোতি বসুর সম্বর্ধনা সভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভাষণ।
১৮ ডিসেম্বর - ৪৫ তম বঙ্গীয় গ্রন্থাগার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
২১ ডিসেম্বর - লালবাজারে পুলিশকর্মীদের সমাবেশে ভাষণ।
২২ ডিসেম্বর - কলকাতা ময়দানে ভারত শিল্প-বানিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০০১ সম্পাদনা
২০০২ সম্পাদনা
২০০৩ সম্পাদনা
২০০৪ সম্পাদনা
২০০৫ সম্পাদনা
২০০৬ সম্পাদনা
- পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত বিধানসভা নির্বাচনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গড়ে সপ্তমবারের জন্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০০৭ সম্পাদনা
২০০৮ সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- বামফ্রন্ট সরকারের ৩০ বছর - পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে
- বামফ্রন্ট সরকারের ৩০ বছর - ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র ইংরেজি মুখপত্র 'পিউপলস ডেমোক্রেসি থেকে
- বামফ্রন্ট সরকারের ২৫ বছর - ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-র ওয়েবসাইট থেকে (সমালোচনা-মূলক)
- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের মুখপত্র 'পশ্চিমবঙ্গ' পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা
- ‘Phire Dekha’ a book, written by Mr. en:Buddhadeb Bhattacharjee, former Chief Minister of en:West Bengal