তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন

তেওয়ারীগঞ্জ বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন

তেওয়ারীগঞ্জ
ইউনিয়ন
১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
তেওয়ারীগঞ্জ চট্টগ্রাম বিভাগ-এ অবস্থিত
তেওয়ারীগঞ্জ
তেওয়ারীগঞ্জ
তেওয়ারীগঞ্জ বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
তেওয়ারীগঞ্জ
তেওয়ারীগঞ্জ
বাংলাদেশে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৩′২৩″ উত্তর ৯০°৫৩′২৪″ পূর্ব / ২২.৮৮৯৭২° উত্তর ৯০.৮৯০০০° পূর্ব / 22.88972; 90.89000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলালক্ষ্মীপুর জেলা
উপজেলালক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৮
সরকার
 • চেয়ারম্যানওমর ফারুক ইবনে হুসাইন (বুলু)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৬,৯১১
সাক্ষরতার হার
 • মোট৩৬.১০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৭০২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

আয়তন সম্পাদনা

মেঘনা বিভাগের অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। ২০০৮ সালে সাবেক ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব সফি উল্যা মিয়া ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন কে ২ ইউনিয়ন ভাগ করে দেন। তখন একটি হয়েছে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আরকটি হয়েছে ১৯ নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যাহা বর্তমানে প্রচলিত আছে। এই ইউনিয়নটিতে ২টি বাজার রয়েছে যাহা তেওয়ারীগঞ্জ বাজার হিসাবে পরিচিতি তাই এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গগন বর্তমান ইউনিয়নটিকে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী অবদান সাবে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সফি উল্যা বি এ বি এড। অত্র ইউনিয়নের আয়তন ০৯ বর্গ কি.মি.

তাই বর্তমানে ১৯ নং তেওয়ারীগঞ্জ

জনসংখ্যা সম্পাদনা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের জনসংখ্যা ছিল ২৬,৯১১ জন।[১] এর মধ্যে পুরুষ ১৩,০৭৬ জন এবং নারী ১৩,৮৩৫ জন।

অবস্থান ও সীমানা সম্পাদনা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের পূর্বে কুশাখালী ইউনিয়ন, উত্তরে মান্দারী ইউনিয়নলাহারকান্দি ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর উপজেলার আণ্ডারচর ইউনিয়ন অবস্থিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

সুলতানি এবং মুঘল সাম্রাজ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ভুলুয়া রাজ্যের "শহর কসবা" নৌঘাঁটি তথা বর্তমান তেওয়ারীগঞ্জ। ভবানীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রায় ৬০০ বছর পূর্বে ভুলুয়া রাজ্যের গোড়াপত্তন হয়। যদিও রানী ভবানী উনবিংশ শতকের কোন এক সময় ভবানীগঞ্জ নামক এলাকার পত্তন করেন। তারপর ভবানীগঞ্জ এলাকা অনেকটা বাজার হিসেবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু একথা সত্য যে শহর কসবার (বর্তমান তেওয়ারীগঞ্জের) রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। এশিয়া মহাদেশীয় মূল ভূখণ্ডের সর্বদক্ষিণ অংশ হলো বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলা। কেননা এই জেলার দক্ষিণে রয়েছে মেঘনা এবং তারপরেই বঙ্গোপসাগর। বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভ্রমণ করেন। এ সময় প্রবল প্রতাপের সাথে হর্ষবর্ধন বাংলা শাসন করেন। হিউয়েন সাঙ সমতটকে তার ভাষায় 'সান-মো-তা-চা' (সমতট) বলে উল্লেখ করেন। তিনি এর পরিসীমা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন এ দেশটির পরিসীমা তিন হাজার লি (ছয় লি-তে এক মাইল) এবং এটি বিশাল সাগর তটে অবস্থিত। সাং তার 'সিউতী' নামক ভ্রমণ বৃত্তান্তে 'কমলাঙ্ক'কে সমুদ্র তীরবর্তী বলে উল্লেখ করেন। হিউয়েন সাঙ এর বর্ণনা অনুযায়ী এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দের বহু পরে ও ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সমতটের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা ভুলুয়া রাজ্য সমুদ্র বক্ষ থেকে জেগে ওঠে। এর মাঝামাঝি প্রায় অষ্টম শতক থেকে ধীরে ধীরে সমতটের এই অংশে মানব পদচারণা শুরু হয়। তবে ভুলুয়া রাজ্য তথা বর্তমান তেওয়ারীগঞ্জের মূল ইতিহাস শুরু হয় ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বম্ভর শূরের ভুলুয়া রাজ্য পত্তনের মধ্য দিয়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০০৮ সালে ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নকে ভাগ করে ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন গঠিত হয়।

প্রশাসনিক কাঠামো সম্পাদনা

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আওতাধীন ১৯নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম লক্ষ্মীপুর সদর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৬নং নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-৩ এর অংশ। এটি ১১টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এ ইউনিয়নের গ্রামসমূহ হল:

  • পূর্ব চর উভূতি
  • দক্ষিণ আঁধারমানিক
  • পূর্ব ধর্মপুর
  • ধর্মপুর
  • আঁধারমানিক
  • হোসেনপুর
  • চর মনসা
  • মধ্য চর মনসা
  • পূর্ব চর মনসা
  • বিনোদ ধর্মপুর
  • শহর কসবা

ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পাদনা

লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী অঞ্চলের ভাষার বৈশিষ্ট্য একই রকম, একই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে অবস্থিত বলে এর লোক সংস্কৃতি, লোক ঐতিহ্য, লোকক্রীড়া আচার অনুষ্ঠান প্রায় একই রকম। এখানকার মানুষ প ও ফ স্থলে “হ” উচ্চারন করে। যেমন- পানি<হানি, ফুল<হুল। আমি<আঁই।

”কলা” উচ্চারণ স্থানীয় ভাবে “কেলা” বলা হয়। ক্রিয়াপদে পুরুষ ভেদে “ছত্তি”, “ছেন্নি” উচ্চারিত হয়। “এ” স্থলে অনেক ক্ষেত্রে “অ” উচ্চারিত হয়। যেমন- এখন<অন। “মহাপ্রাণ” ব্যবহার নেই বল্লেই চলে

যেমন-গ,চ,ট,ত,প,স এর ব্যবহার বেশী। অন্যদিকে ঘ,ছ,ঠ,থ,ফ,ভ,শ এর ব্যবহার খুবই সীমিত। কোন কোন ক্ষেত্রে “ঠ” এর স্থানে “ড” উচ্চারিত হয় যেমন কাঠাল<কাঁডাল।

শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পাদনা

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৬.১০%[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। এ ইউনিয়নে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫টি নূরানী মাদ্রাসা রয়ে

  • মৌলভীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
  • ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পূর্ব চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়;নতুন তেওয়ারীগঞ্জ, সদর,লক্ষ্মীপুর।
  • হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
  • শহীদ শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়।
  • হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
  • বিনোদ ধর্মপুর তারতীলুল কুরআন মাদ্রাসা।
  • বাদশা মিয়া তালিমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসা
  • সৈয়দ শিরীন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ (২০১৮)
  • ধর্মপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির ( সভাপতি- পিন্টু প্রফেসর; সম্পাদক-কৌশিক পাল)

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

হাট-বাজার সম্পাদনা

  • পুরাতন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার
  • নতুন তেওয়ারীগঞ্জ বাজার
  • ভবেরহাট বাজার
  • নুরুল্লা গোডাউন
  • মৌলভীরহাট

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ২: ইউনিয়ন পরিসংখ্যান। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। ৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭