তারিক আহমদ করিম

বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ

তারিক আহমদ করিম একজন বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

তারিক আহমদ করিম
২০১১ সালে কলকাতায় তারিক করিম
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
কাজের মেয়াদ
এপ্রিল ২০০১ – জানুয়ারি ২০০২
প্রধানমন্ত্রীলতিফুর রহমান
পূর্বসূরীকে. এম. শিহাব উদ্দিন
উত্তরসূরীসৈয়দ হাসান আহমদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার
কাজের মেয়াদ
আগস্ট ২০০৯ – অক্টোবর ২০১৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীলিয়াকত আলী চৌধুরী
উত্তরসূরীসৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পেশাশিক্ষক ও কূটনীতিবিদ
ধর্মইসলাম

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

তারিক করিম ১৯৬০ সালে সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬২ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।[২] এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পার্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৬৫ সালে নটর ডেম কলেজে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তারিক করিম। এরপর ১৯৬৭ সালে তিনি পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।[২]

১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তারিক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন আলোচনায় বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং একটি ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হন।[৩] ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৪]

তারিক দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি বতসোয়ানা, লেসোথো এবং নামিবিয়াতেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[৩]

 
২০০৯ সালের ১১ আগস্ট দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করছেন তারিক করিম।

২০০১ সালের এপ্রিলে তারিক করিম যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ হাসান আহমদ তার স্থলাভিষিক্ত হন।[৪]

২০০৯ সালে তিনি ভারতে বাংলাদেশের হাই-কমিশনার হিসেবে লিয়াকত আলী চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৫]

তারিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজ-এর পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।[৬] ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনি কসমস ফাউন্ডেশনে উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন।[৭]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Dhakatimes24.com। "বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম"Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৩ 
  2. করিম, তারিক (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "ফাদার টিমের স্মরণে"ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 
  3. "Ambassador Ahmad Tariq Karim"বাংলাদেশের দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 
  4. "Bangladesh names former diplomat Karim as new envoy to India"হিন্দুস্তান টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 
  5. "ভারতে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান"জাগো নিউজ। ১১ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 
  6. তারান্নুম, সৈয়দা আফরিন (২১ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "IUB's project discusses significance of Bay of Bengal in post Covid-19 world"ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 
  7. "Ambassador Karim joins Cosmos Foundation as Honorary Advisor Emeritus"ঢাকা কুরিয়ার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা