মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন
মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন একজন বাংলাদেশী কূটনৈতিক যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যামবাস্যাডার-অ্যাট-লার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২] ২০২১ সালের ৬ মে বাংলাদেশ সরকার তাকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় অ্যামবাস্যাডর-অ্যাট-লার্জ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে।[৩]
মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন | |
---|---|
অ্যাম্ব্যাসাডর-অ্যাট-লার্জ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ৬ মে ২০২১ – ৫ আগস্ট ২০২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
কাজের মেয়াদ ২৪ নভেম্বর ২০০৯ – ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | |
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | আকরামুল কাদের |
উত্তরসূরী | এম শহিদুল ইসলাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫৭ (বয়স ৬৬–৬৭) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
জীবিকা | কূটনৈতিক |
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
সম্পাদনামোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের পিতার নাম মোহাম্মদ আসিরুদ্দিন এবং মাতার নাম শামসুন নাহার। জিয়াউদ্দিন মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন ঢাকার সেইন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে (১৯৬২)। তারপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য নটর ডেম কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৪ সালে এইচএসসি পাশ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৬৭ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও পরের বছর স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪]
কর্মজীবন
সম্পাদনাজিয়াউদ্দিন লন্ডন এবং নাইরোবিতে (কেনিয়া) বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে কাজ করেছেন। তিনি ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।[৫] এছাড়াও তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রোটোকল চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬][৭] পরবর্তীতে, ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হন।[৮] তারপর ২০১৬ সালে তিনি গায়ানায় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত (অনাবাসিক) হিসেবে নিয়োগ পান।[৯] বেলিজে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূতও (অনাবাসিক) তিনিই।[১০] ২০২১ সালের ৬ মে তিনি আবারও অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর, ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি তাকে এ পদে পুনঃনিযুক্ত করা হয়।[১১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাজিয়াউদ্দিন ইয়াসমিন জিয়াউদ্দিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেল ও এক মেয়ে আছে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bangladesh missions observe Martyrs' Day"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ Byrne, John। "Rogers Park street sign brings Bangladesh political feud to Chicago"। Chicago Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ"। cabinet.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "The Embassy of Bangladesh in Washington DC - CV of Current Ambassador"। www.bdembassyusa.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ bwm-admin। "His Excellency Mohammad Ziauddin"। www.washdiplomat.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "Ziauddin appointed ambassador-at-large"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "The Government has decided to appoint Mr. Mohammad Ziauddin, Ambassador-at-Large of the Hon'ble Prime Minister, as the new Ambassador of Bangladesh to the United States of America."। www.mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ ক খ "Bangladesh's Ambassador to the United States: Who Is Mohammed Ziauddin?"। AllGov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "Bangladesh's first ambassador to Guyana presents credentials"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "Bangladesh ambassador in US accredited to Belize"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-০৯।
- ↑ "জিয়াউদ্দিন আবার অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১১ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২৪।