টমি ওয়ার্ড

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার

টমাস টমি আলফ্রেড ওয়ার্ড (ইংরেজি: Tommy Ward; জন্ম: ২ আগস্ট, ১৮৮৭ - মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬) ব্রিটিশ ভারতের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] ১৯১২ থেকে ১৯২৪ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের ভূমিকা পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেন টমি ওয়ার্ড

টমি ওয়ার্ড
১৯১২ সালের গৃহীত স্থিরচিত্রে টমি ওয়ার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৮৮৭-০৮-০২)২ আগস্ট ১৮৮৭
মৃত্যু১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬(1936-02-16) (বয়স ৪৮)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন-
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৭)
২৭ মে ১৯১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৬ আগস্ট ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ৯২
রানের সংখ্যা ৪৫৯ ১৬৩৫
ব্যাটিং গড় ১৩.৯০ ১৫.৪২
১০০/৫০ ০/২ ০/৬
সর্বোচ্চ রান ৬৪ ৭৫
বল করেছে - ১২
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৯/১৩ ১০৭/৬৮
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ জুলাই ২০১৭

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

২৭ মে, ১৯১২ তারিখে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে জিমি ম্যাথুজের হ্যাট্রিকে পরিণত হন। রোল্যান্ড বিউমন্ট এবং সিড পেগলারের পর প্যাডে বল লাগলে এলবিডব্লিউ হন।[৪] এছাড়াও, অভিষেকেই গোল্ডেন ডাক পান তিনি। ফলো-অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামলে ম্যাথুজ পুনরায় হার্বি টেলররেজিনাল্ড সোয়ার্জের পর তাকে শূন্য রানে বোল্ড করেন। এরফলে অভিষেকে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাট্রিকের শিকারে পরিণত হন তিনি। এটি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক টেস্টে দুইবার হ্যাট্রিকের ঘটনা ছিল।[৪]

ইংল্যান্ড গমন, ১৯২৪ সম্পাদনা

১৯২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। টেস্টে জয়ের দিক দিয়ে সফরকারী দলটি সফলকাম হয়নি। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজে স্বাগতিক ইংরেজ দল ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। অন্য দুই টেস্ট বৃষ্টির কারণে ড্রয়ের দিকে চলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তিনিই কেবলমাত্র নিয়মিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, তার অনুপস্থিতিতে ফ্রেড সাসকিন্ডকে কয়েকটি খেলায় উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। টেস্ট সিরিজের শুরুটি ধ্বংসাত্মক আকারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিকূলে যায়। এজবাস্টন টেস্টে আর্থার জিলিগানমরিস টেটের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৩০ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যেতে বাধ্য হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা দল ইনিংস ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[৫]

১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ তারিখে ৪৮ বছর বয়সে ট্রান্সভালের ইস্ট স্প্রিংস স্বর্ণখনিতে কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক সংস্পর্শে মর্মান্তিকভাবে তার দেহাবসান ঘটে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬ 
  3. "South Africa – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬ 
  4. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders। BBC Books। পৃষ্ঠা 108আইএসবিএন 978-1-84607-880-4। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১১ 
  5. "Scorecard: England v South Africa"। www.cricketarchive.com। ১৪ জুন ১৯২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১২ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা