জন ওয়াটকিন্স
জন সেসিল ওয়াটকিন্স (ইংরেজি: John Watkins; জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯২৩) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিন। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন সেসিল ওয়াটকিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন | ১০ এপ্রিল ১৯২৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৪) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৪৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ জুন ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন জন ওয়াটকিন্স।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটসম্পাদনা
১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম পর্যন্ত জন ওয়াটকিন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পুরোটা সময়ই নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৯৫০-৫১ মৌসুমে ডারবানে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তুলেন।[১] এছাড়াও, ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে ডারবানে ট্রান্সভালের বিপক্ষে ১৪৪ রানের আরেকটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।[২] ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে নিজস্ব শেষ খেলার পূর্ববর্তী খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। সলসবারিতে রোডেশিয়ার বিপক্ষে ৫/৩৭ পান তিনি।[৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসম্পাদনা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরো টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন জন ওয়াটকিন্স। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ জানুয়ারি, ১৯৫৭ তারিখে কেপ টাউনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫২-৫৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ঐ সফরে ব্যাট হাতে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিক দল ৫২০ রান তুলে। জন ওয়াটকিন্স তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯২ রান তুলে দলকে ছয় উইকেটের জয়সহ সিরিজে ২-২ সমতা আনেন।[৪] সংগৃহীত এ রানটিই পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মর্যাদা পায়। ঐ সিরিজে ৩৫.২০ গড়ে ৩৫২ রান তুলেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২৮.২৯ গড়ে ৬৭৯ রান ও ২৭.৭৪ গড়ে ৩১ উইকেট পান। তন্মধ্যে, টেস্ট থেকে ৪০৮ রান ও ১৬ উইকেট পেয়েছিলেন। এমসিজিতে শেষ টেস্টে ৯২ ও ৫০ রান তুলেন।
পরের টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং উদ্বোধনে নেমে ৪/২২ পান। খেলায় তিনি ৫১ রান খরচায় পাঁচ উইকেট পান। এবারো সফরকারীরা জয় পায়।[৫] ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ও ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে স্বদেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে ১৩.৫০ গড়ে ১৮ উইকেট লাভ করেন।
খেলার ধরনসম্পাদনা
আটোসাটো মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন। এছাড়াও, স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও সমান দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। নিজ দেশে টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করেন।
ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স তার ‘দ্য কমপ্লিট হুজ হু অব টেস্ট ক্রিকেটার্স’ গ্রন্থে জন ওয়াটকিন্সকে স্ট্রোকের অবাধ ক্ষেত্রে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের অপূর্ব নিদর্শনরূপে মন্তব্য করেন।[৬]
ব্যক্তিগত জীবনসম্পাদনা
ব্যক্তিগত জীবনে সচিব-হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।[৭] ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে অস্ট্রালেশিয়া সফরের সর্বশেষ জীবিত সদস্য তিনি। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে লিন্ডসে টাকেটের দেহাবসানের পর জন ওয়াটকিন্স বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করে আসছেন।[৮]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Natal v Orange Free State 1950-51"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Natal v Transvaal 1955-56"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Rhodesia v Natal 1957-58"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Australia v South Africa, Melbourne 1952-53"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "New Zealand v South Africa, Wellington 1952-53"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Christopher Martin-Jenkins, The Complete Who's Who of Test Cricketers, Rigby, Adelaide, 1983, p. 322.
- ↑ ABC Cricket Book, South Africans Tour 1952-53, ABC, Sydney, 1952, p. 14.
- ↑ "Oldest Test cricketer Lindsay Tuckett dies aged 97"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
আরও দেখুনসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন ওয়াটকিন্স (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন ওয়াটকিন্স (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
রেকর্ড | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী লিন্ডসে টাকেট |
বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ – |
উত্তরসূরী নির্ধারিত হয়নি |