জজ আদালত

জজ আদালত বা জজ কোর্ট হলো একটি জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতসমূহ।

জজ আদালত বা জজ কোর্ট বলতে বাংলাদেশের জেলায় সংবিধানের[১] ১১৪ অনুচ্ছেদের[২] বিধান মোতাবেক স্থাপিত দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতসমূহকে বোঝায়।[৩] জেলা ও দায়রা জজ হলেন জজ আদালতের প্রধান বিচার বিভাগীয়[৪] কর্মকর্তা।[৫][৬][৭]

জজ কোর্ট
বাংলাদেশ সরকারের সীল

গঠন সম্পাদনা

দেওয়ানি আদালত সম্পাদনা

বাংলাদেশের জেলায় পাঁচ শ্রেণীর দেওয়ানি আদালত আছে:

(১) জেলা জজ আদালত
(২) অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত
(৩) যুগ্ম জেলা জজ আদালত
(৪) সিনিয়র সহকারী জজ আদালত
(৫) সহকারী জজ আদালত

ফৌজদারী আদালত সম্পাদনা

জেলাতে তিন ধরনের ফৌজদারি আদালত আছে:

(১) দায়রা জজ আদালত
(২) অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত
(৩) যুগ্ম দায়রা জজ আদালত

ক্ষমতা ও এখতিয়ার সম্পাদনা

ফৌজদারি আদালত সম্পাদনা

দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত[৮] মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ আইনে উল্লেখিত সকল প্রকারের দন্ড প্রদান করতে পারে। যুগ্ম দায়রা জজ আদালত দশ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড প্রদানে সক্ষম।[৯]

দেওয়ানি আদালত সম্পাদনা

জেলা জজ আদালত রিভিশন এখতিয়ার ও দেওয়ানি বিষয়বস্তুর আপীল যার মূল্যমান সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা প্রয়োগ করে। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত জেলা জজ কর্তৃক প্রেরিত সকল মামলাসমূহের বিচার করে থাকে। যুগ্ম জেলা জজ আদালত সকল প্রকার দেওয়ানি মামলা যার মূল্যমান পচিশ লক্ষ টাকা থেকে অসীম বিচার করে। সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ানি প্রকৃতির মামলার বিচার করে যার মূল্যমান পনের লক্ষ টাকা থেকে পচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সহকারী জজ আদালত দেওয়ানি মামলা যার মূল্যমান সর্বোচ্চ পনের লক্ষ টাকা বিচার ও নিষ্পত্তি করে। পারিবারিক আদালত পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ অনুযায়ী পারিবারিক বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়াদি যেমন তালাক, দেনমোহর, ভরনপোষণ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার এবং নাবালকের অভিভাকত্ব সংক্রান্ত বিষয়াদির মামলার বিচার করে থাকে। সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পারিবারিক আদালতের দায়িত্ব পালন করেন।[১০]

পদমর্যাদা সম্পাদনা

বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম অনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজের পদক্রম ১৬, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদক্রম ১৭, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের পদক্রম ২১ ও সিনিয়র সহকারী জজের পদক্রম ২৫ নম্বরে অবস্থিত।[১১][১২][১৩] উল্লেখ্য, জেলার উল্লেখযোগ্য শীর্ষ কর্মকর্তাগণের মধ্যে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদক্রম ১৭, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদক্রম ২১, জেলা প্রশাসকের পদক্রম ২৪ এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/পুলিশ সুপার/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদক্রম ২৫ নম্বরে অবস্থিত।[১৪][১৫][১৬]

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান" 
  2. "বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগ" 
  3. "বিচার বিভাগ" 
  4. "বিচার বিভাগ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে" 
  5. "ফৌজদারি কার্যবিধি" 
  6. "দেওয়ানি কার্যবিধি" 
  7. "বিচার বিভাগীয় বাতায়ন" 
  8. "Legal system of Bangladesh"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬ 
  9. "বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ" 
  10. "বাংলাদেশের আদালতসমূহ"। ২০১৫-০৯-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০৭ 
  11. "দশ পদের পদমর্যাদা পরিবর্তন" 
  12. "জেলা জজের পদমর্যাদা সচিব ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদমর্যাদা সচিব মর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের সমান" 
  13. "পদমর্যাদার ক্রম রিটের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ" 
  14. "জেলা জজের পদক্রম ১৬ এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদক্রম ১৭ তে উন্নীত" 
  15. "জেলা ও দায়রা জজের পদমর্যাদা এখন ৮ ধাপ ওপরে" 
  16. "ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে জেলা ও দায়রা জজ ১৬ ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৭ তে উন্নীত" 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা