সিনিয়র সহকারী জজ বাংলাদেশের উপজেলার প্রধান জজ। তিনি উপজেলা দেওয়ানি আদালতের প্রধান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজের পদমর্যাদা ২৩ নং ক্রমিকে অবস্থিত।[১][২][৩]

সিনিয়র সহকারী জজ
বাংলাদেশ সরকারের সীল

সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর বিধান মোতাবেক উপজেলার মধ্যে যেকোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, দাপ্তরিক আদেশ বা নির্মাণকাজ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বন্ধ করে দিতে পারেন।[৪] তিনি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জেলা জজের অধীনস্থ। পূর্বে সিনিয়র সহকারী জজকে মুন্সেফ নামে অভিহিত করা হতো।

এখতিয়ার ও ক্ষমতা সম্পাদনা

সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা যার মূল্যমান পনের লক্ষ টাকা থেকে পচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিচার করতে পারেন। এছাড়া তিনি তালাক, দেনমোহর, ভরনপোষণ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার এবং নাবালকের অভিভাকত্ব সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ পারিবারিক বিরোধসমূহ নিষ্পত্তি করেন।[৫]

নিয়োগ সম্পাদনা

সিনিয়র সহকারী জজ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সংবিধান এর ১১৫ ও ১৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সিনিয়র সহকারী জজ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে সিনিয়র সহকারী জজদের পদায়ন ও বদলি করে থাকে।

পদমর্যাদা সম্পাদনা

বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম অনুযায়ী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদক্রম ২৩ নম্বরে অবস্থিত।[৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা