ছতরপুর মেট্রো স্টেশন

ভারতের দিল্লির মেট্রো স্টেশন

ছতরপুর মেট্রো স্টেশন দিল্লি মেট্রোর ইয়োলো লাইনে অবস্থিত। এটি দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লিতে অবস্থিত উত্তোলিত মেট্রো স্টেশন। ২০১০ সালের ২৬শে আগস্ট তারিখে এটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য চালু করে দেওয়া হয়।[১] স্টেশনের নিকটে রয়েছে শ্রী আদ্যা কাত্যায়নী শক্তিপীঠ, যা ছতরপুর মন্দির নামে পরিচিত।


ছতরপুর
দিল্লি মেট্রো স্টেশন
ছতরপুর মেট্রো স্টেশনের সম্মুখ দৃশ্য
অবস্থানছতরপুর, দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লি, দিল্লি - ১১০০৭০
ভারত
স্থানাঙ্ক২৮°৩০′২৪″ উত্তর ৭৭°১০′৩০″ পূর্ব / ২৮.৫০৬৫৫২° উত্তর ৭৭.১৭৪৯২৬° পূর্ব / 28.506552; 77.174926
মালিকানাধীনদিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)
লাইন ইয়োলো লাইন 
প্ল্যাটফর্মপার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম
প্ল্যাটফর্ম-১ → হুডা সিটি সেন্টার
প্ল্যাটফর্ম-২ → সময়পুর বাদলি
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনউত্তোলিত
প্ল্যাটফর্মের স্তর
পার্কিংCar parking উপলব্ধ
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারআছে Handicapped/disabled access
অন্য তথ্য
স্টেশন কোডসিএইচটিপি
ইতিহাস
চালু২৬ আগস্ট ২০১০; ১৩ বছর আগে (2010-08-26)
বৈদ্যুতীকরণউপর দিয়ে ২৫ কি.ভো ৫০ হার্ৎজ পরিবর্তী প্রবাহ
যাতায়াত
যাত্রীসমূহ (২০১৫)প্রতি মাসে ১১,৫০,২৭৫
প্রতি দিন গড়ে ৩৭,১০৬
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন দিল্লি মেট্রো পরবর্তী স্টেশন
কুতুব মিনার ইয়োলো লাইন সুলতানপুর
অবস্থান
ছতরপুর দিল্লি-এ অবস্থিত
ছতরপুর
ছতরপুর
দিল্লিতে অবস্থান

কুতুব মিনার থেকে হুডা সিটি সেন্টার পর্যন্ত দিল্লির ইয়েলো লাইনের সম্পূর্ণ উত্তোলিত করিডোরের অন্যান্য স্টেশনের সাথে এই স্টেশনটিও ২০১০ সালের জুন মাসে খোলার কথা ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে স্টেশনটির নির্মাণ বিলম্বিত হয়। ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আগে স্টেশনটিকে চালু করার জন্য দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন পূর্বগঠিত কাঠামো ব্যবহার করে ছতরপুর স্টেশন নির্মাণের জন্য একটি বিশেষ নকশা তৈরি করে।[২][৩][৪] ২০১০ সালের ২৬শে আগস্ট মাত্র নয় মাসের রেকর্ড সময়ের মধ্যে স্টেশনটি খোলা হয়।[৫][৬][৭] দিল্লি মেট্রো ব্যবস্থার একমাত্র ছতরপুর স্টেশন সম্পূর্ণরূপে স্টিলের তৈরি।[৮][৯][১০] এখানে এটিএম পরিষেবা উপলব্ধ।[১১]

ইতিহাস সম্পাদনা

দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে স্টেশনটি নির্মাণের জন্য ছতরপুর এলাকায় জমি অধিগ্রহণ শুরু করে।[২][৯][১২] প্রধান মেট্রো স্টেশন, একটি বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, পার্কিং এলাকা এবং অন্যান্য ভবন নির্মাণের জন্য দুই হেক্টর জমির প্রয়োজন ছিল।[৪] নির্মাণের জন্য তিনটি প্লট অধিগ্রহণে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা দেখা দিলে ডিএমআরসি স্টেশনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ছতরপুরের উভয় পাশের দুটি স্টেশন তথা কুতুব মিনার এবং সুলতানপুরের মধ্যে ব্যবধান ২.৭ কিমি হয়ে যাচ্ছিল, যা একটি মেট্রো রেল পরিবহন ব্যবস্থার জন্য বেশ দীর্ঘ। বসন্ত কুঞ্জ, ছতরপুর মন্দির প্রভৃতি কারণে দৈনিক প্রায় ১১ হাজার যাত্রী হওয়ায় আশঙ্কা করে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন একটি বিশেষ নকশা তৈরি করে স্টেশন নির্মাণ করে। এর ফলে বিভিন্ন খাতে নির্মাণ ব্যায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।[৩][৪][৭][১২] দীর্ঘ মামলার পর ২০০৯ সালের অক্টোবরে ডিএমআরসি স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করায় স্টেশনটির নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়।[৯][১২] উত্তোলিত এই স্টেশনটি বিশেষ প্রি-ফেব্রিকেটেড/স্ট্রাকচারাল স্টিল ব্যবহার করে একটি অনন্য পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিল কারণ কংক্রিট দ্বারা প্রচলিত নির্মাণ কৌশলে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগত। স্টিলের কাঠামো গুরগাঁওয়ের একটি কারখানায় তৈরি করা হয়। তারপরে জয়েন্টগুলির রেডিওগ্রাফি এবং ডাই-পেনিট্রেশন টেস্টের (ডিপিটি) মাধ্যমে নির্মাণের গুণমান পরীক্ষা করা হয়ে। মানসম্পন্ন কাজ নিশ্চিত করার জন্য ছতরপুরে ঢালাই কার্যক্রম চালানো হয়নি এবং বোল্টিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে ইস্পাত কাঠামোগুলিকে যুক্ত করতে হয়।[৪][৯]

ইয়েলো লাইনের কুতুব মিনার থেকে হুডা সিটি সেন্টার করিডোরটি ২০১০ সালের জুন মাসে ছতরপুর স্টেশনে কোন স্টপেজ ছাড়াই বাকি দশটি স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে চালু করা হয়েছিল।[১৩][১৪] ২০১০ সালের আগস্টের মধ্যে স্টেশনটির কাজ শেষ হয় এবং ২৫শে আগস্ট মেট্রো রেল নিরাপত্তা কমিশনার (সিএমআরএস) আর কে কর্দম দ্বারা বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ আগস্ট ২০১০ সালে ছতরপুর স্টেশনটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।[৬][৭][১০][১২][১৫][১৬]

স্টেশন বিন্যাস সম্পাদনা

জি সড়ক স্তর প্রস্থান/প্রবেশ
এল১ মধ্যবর্তী তলা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন এজেন্ট, মেট্রো কার্ড ভেন্ডিং মেশিন, ক্রসওভার
এল২ পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং- ২, দরজা বাম দিকে খুলবে  
দক্ষিণদিকগামী গন্তব্য স্টেশন →হুডা সিটি সেন্টার
পরবর্তী স্টেশন সুলতানপুর
উত্তরদিকগামী গন্তব্য স্টেশন ← সময়পুর বাদলি
পরবর্তী স্টেশন কুতুব মিনার
পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং- ১, দরজা বাম দিকে খুলবে  
এল২

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Name used in official signage, see e.g. http://netindian.in/news/2010/08/25/0007599/delhi-metros-chhattarpur-station-become-operational-aug-26
  2. "DMRC to construct all-steel station"The Financial Express। ২০১০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  3. "Chhatarpur station races to steel finish"Indian Express। ২০১০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  4. "Metro's steely resolve at station in Chhatarpur"The Times of India। ২০১০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  5. "Delhi metro opens Chhatarpur station"Railway Gazette International। ২০১০-০৯-০১। ২০১০-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১০-০৫ 
  6. "Chhatarpur station opens"। Indian Express। ২০১০-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  7. "Chattarpur station to open today"The Times of India। ২০১০-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  8. "Chhattarpur Metro Station To Become Operational From Tomorrow"। DMRC। ২০১০-০৮-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৬ 
  9. "Record-setting Chhatarpur Metro station set to open by August end"Hindustan Times। ২০১০-০৮-০৯। ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  10. "Chattarpur Metro sees 3,500 commuters on day one"The Times of India। ২০১০-০৮-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  11. "DMRC : ATM Details" 
  12. "More riders for Metro last week as Delhi gets heavy rains"The Hindu। ২০১০-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  13. "Gurgaon–Qutub Minar Delhi Metro corridor to open on June 21"The Times of India। ২০১০-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  14. "New metro corridor to open in September"The Hindu। ২০১০-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  15. "Chhatarpur Station opens on Thursday"। Indian Express। ২০১০-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 
  16. "Metro reaches Chhatarpur"Hindustan Times। ২০১০-০৮-২৭। ২৯ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-৩১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা