ভায়োলেট লাইন হল দিল্লি মেট্রোর আটটি লাইনের মধ্যে একটি, যা ভারতের একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। লাইনটি ফরিদাবাদের মাধ্য দিয়ে বল্লভাগড়ের রাজা নাহর সিংয় মেট্রো স্টেশনের সাথে নতুন দিল্লির কাশ্মীর গেট মেট্রো স্টেশনকে সংযুক্ত করে।[৩] লাইনের মোট দৈর্ঘ ৪৩.২৮৫ কিলোমিটার (২৬.৮৯৬ মাইল)[৪][৫][৬].[৭][৮][৯][১০] এবং এই লাইনে মোট ৩২ টি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। কেন্দ্রীয় সচিবালয় - সারি বিহার বিভাগটি ৩ অক্টোবর ২০১০ খ্রিস্টাব্দে খোলা হয় এবং ১৪ জানুয়ারী ২০১১ খ্রিস্টাব্দে বদরপুর পর্যন্ত লাইনটি বিস্তৃত হয়। এই লাইনটি ২৬ জুন ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে মন্ডি হাউস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সচিবালয় থেকে বর্ধিত করা হয় এবং ৮ জুন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে আইটিও পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২৮ মে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি গেট, জামে মসজিদ ও লাল কেল্লার হয়ে লাইনটি কাশ্মীরী গেট মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। আইটিও মেট্রো স্টেশন ও কাশ্মীরী গেট মেট্রো স্টেশনের মধ্যবর্তী প্রসারিত এলাকাটি ঐতিহ্যবাহী লাইন বা হেরিটেজ লাইন নামে পরিচিত। এই লাইনটি তাদের জন্য সমান্তরাল সংযোগ হিসাবে কাজ করে, যারা প্রচলিত হলুদ লাইনটিতে ভ্রমণ করে এবং দক্ষিণ দিল্লি ও কেন্দ্রীয় দিল্লির অভ্যন্তরস্থ অংশগুলি চলাচল করেন, যা উপনগরী শহর ফরিদাবাদ পাশেই অবস্থিত।[১১] ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ফরিদাবাদে এস্কর্টস মুজাসারের পূর্বদিকে একটি সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।[১২] ১৯ নভেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে লাইনটির দক্ষিণে প্রান্তে বল্লভগড়ের রাজা নাহার সিং মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত একটি সম্প্রসারণের উদ্বোধন হয়।
ভায়োলেট লাইন (লাইন ৬)
|
---|
মিত্সুবিশি সরবরাহকৃত ভায়োলেট লাইনের ট্রেনগুলি। এখানে, একটি ট্রেন জেএলএন স্টেডিয়াম মেট্রো স্টেশন ছেড়ে যাছে। |
|
স্থিতি | পরিচালনাগত |
---|
মালিক | ডিএমআরসি |
---|
অঞ্চল | দিল্লি এবং ফরিদাবাদ |
---|
বিরতিস্থল | |
---|
স্টেশন | ৩৪ |
---|
|
ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা |
---|
ব্যবস্থা | দিল্লি মেট্রো |
---|
পরিচালক | দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন |
---|
রোলিং স্টক | মিত্সুবিশি-রোটেম-বিইএমএল স্ট্যান্ডার্ড গেজ |
---|
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ৩,০০,০০০ (দৈনিক) (মে ২০১৮-এর হিসাবে)[১] |
---|
|
চালু | ৩ অক্টোবর ২০১০[২] |
---|
|
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ৪৩.২৮৫ কিলোমিটার (২৬.৮৯৬ মা) |
---|
বৈশিষ্ট্য | ভূগর্ভস্থ এবং উচ্চতর |
---|
ট্র্যাক গেজ | ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি) আদর্শ গেজ |
---|
বিদ্যুতায়ন | ২৫ কেভি, ৫০ হার্জ এসি মাধ্যমে ওভারহেড শৃঙ্খলাবদ্ধ |
---|
ভায়োলেট লাইন মূলত মার্চ ২০১০ খ্রিস্টাব্দে খোলার কথা ছিল। ১২ জুলাই ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ কৈলাশের পূর্ব দিকে সেন্ট্রাল সেক্রেটারি- বদরপুর করিডোড়ের জমরাউদ্দুর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ঝুলন্ত সেতুর একটি গার্ডার লোড করার সময় তার একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ে। এর ফলে ছয়জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।[১৩] ১৩ জুলাই ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা একটি ক্রেন ভেঙ্গে পড়ে এবং একটি বোলিং পিন প্রভাবের সাথে কাছাকাছি থাকা দুটি ক্রেন ভেঙ্গে ছয় জন আহত হয়।[১৪]
#
|
ভায়োলেট লাইন
|
১
|
রেক
|
মিত্সুবিশি
|
হুন্ডাই রোটেম
|
বিইএমএল
|
২
|
ট্রেন দৈর্ঘ্য
|
৬ টি করে রেক যুক্ত
|
৩
|
ট্রেন গেজ
|
৪ ফুট ৮ ১⁄২ ইঞ্চি (১,৪৩৫ এমএম) স্ট্যান্ডার্ড গেজ
|
৪
|
বৈদ্যুতীকরণ
|
২৫ কেভি, ৫০ হার্জ এসি মাধ্যমে ওভারহেড শৃঙ্খলাবদ্ধ
ওএইচই
|
৫
|
ট্রেন এর সর্বোচ্চ গতি
|
১০০ কিমি/ঘণ্টা
|
৬
|
ট্রেন পরিচালনাকারী
|
দিল্লি মেট্রো
|
ভায়োলেট লাইন
|
মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত
|
সাধারণ শ্রেণি
|
সি৬
|
সি৫
|
সি৪
|
সি৩
|
সি২
|
সি১
|
ভায়োলেট লাইন
|
মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত
|
সাধারণ শ্রেণি
|
সি১
|
সি২
|
সি৩
|
সি৪
|
সি৫
|
সি৬
|
এই লাইনয়ে মিত্সুবিশি-রোটেম-বিএইএমএল-এর কনসোর্টিয়াম দ্বারা নির্মিত স্ট্যান্ডার্ড গেজ ট্রেন ব্যবহার করা হবে। মোট ১৯৬ টি কোচ ক্রয় করে ৪-টি কোচ (৪৬ টি ট্রেন) এবং ৬-টি কোচ (২ টি ট্রেন) যুক্ত ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়। এই ট্রেন এই লাইন এবং সবুজ লাইনে ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যাংওয়ানে একটি ট্রেন নির্মিত হয়েছিল এবং বাকি ট্রেনগুলি বেঙ্গালুরুতে বিইএমএল-এর সুবিধাতে নির্মিত হয়েছিল। ১,৬৭৬ মিমি (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রর্ড গেজ ট্রেনের বিপরীতে ট্রেনগুলি ১,৪৩৫ মিমি (৪ ফুট ৮ ১/২ ইঞ্চি) স্ট্যান্ডার্ড গেজ।[১৫]