চিতলমারী উপজেলা
চিতলমারী উপজেলা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
চিতলমারী | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে চিতলমারী উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৭′৫″ উত্তর ৮৯°৫২′৭″ পূর্ব / ২২.৭৮৪৭২° উত্তর ৮৯.৮৬৮৬১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | বাগেরহাট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৯২ বর্গকিমি (৭৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৩৮,৮১০ |
• জনঘনত্ব | ৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ০১ ১৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাচিতলমারী উপজেলা ২২°৪৬′৫১″ উত্তর ৮৯°৫২′২৬″ পূর্ব / ২২.৭৮০৭১° উত্তর ৮৯.৮৭৩৯০° পূর্ব ভৌগোলিক স্থানাঙ্কে অবস্থিত। এখানে মোট ২৪,৩০৬ পরিবার বসবাস করে এবং এলাকার আয়তন ১৯২ বর্গকিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে বাগেরহাট সদর উপজেলা ও কচুয়া উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে মোল্লাহাট উপজেলা ও ফকিরহাট উপজেলা। প্রধান নদী মধুমতি, কালিগঙ্গা, চিত্রা এবং বলেশ্বর।
নামকরণ
সম্পাদনাচিতলমারী উপজেলার নামকরণ সর্ম্পকে সঠিক কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে জনশ্রুতি আছে চিতলমারী উপজেলা মধুমতি, চিত্রা ও বলেশ্বরনদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত । তিনটি নদীর এই সঙ্গমস্থলটি চিতলমাছের জন্য বিখ্যাত ছিল এবং জেলেরা এই স্থান হতে প্রচুর চিতল মাছ ধরতো। কালক্রমে এ স্থানের নাম চিতলমারী হয়।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাএই উপজেলার ইউনিয়নসমূহ হলো -
ইতিহাস
সম্পাদনাচিতলমারী উপজেলা মধুমতি নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। মোল্লারহাট থানাকে ভেঙ্গে ১৯৮১ সালে চিতলমারী থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা হিসেবে অাত্মপ্রকাশ করে। এর আয়তন ২৭৬.৪৫ বর্গ কি.মি.। মোট ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়। পরবর্তীতে একটি ইউনিয়ন সদর উপজেলার সাথে একিভুত করা হয়। তৎপরবর্তীতে ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে চিতলমারী উপজেলা নামে একটি স্থান উপজেলা করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাচিতলমারী উপজেলায় ১০৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,২টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়,২৪ টি উচ্চ বিদ্যালয়(সহ শিক্ষা),০৫টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,০৩টি দাখিল মাদ্রাসা,০১টি আলিম মাদ্রাসা, ০৩টি ফাজিল মাদ্রাসা, ০৩টি কলেজ (সহ শিক্ষা),০১টি মহিলা কলেজ রয়েছে। চিতলমারী উপজেলার শিক্ষার হার ৫৬.২%। পুরুষ ৫৭.৫% মহিলা ৫৪.৯%
অর্থনীতি
সম্পাদনাজনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৬.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ১.৩০%, শিল্প ০.৪৩%, ব্যবসা ১০.৭৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ১.৩৯%, চাকরি ৫.৯৪%, নির্মাণ ০.৭১%, ধর্মীয় সেবা ০.৩১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২০% এবং অন্যান্য ২.৬৯%।কৃষি ভূমির মালিকানা ভূমি মালিক ৭৪.১৮%, ভূমিহীন ২৫.৮২%। শহরে ৮৬.৫৭% এবং গ্রামে ৭৪.০৩% পরিবারের কৃষি জমি রয়েছে। প্রধান কৃষি ফলে ধান, গম, পাট, ডাল, শাকসবজি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক, আমন ধান।প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি, তরমুজ।মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫৪০০ (চিংড়ী), গবাদিপশু ২৪, হাঁস-মুরগি ১০।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- স্বরোচিষ সরকার
- শের আলী মোল্লা
- বেনজির আহমেদ টিপু ( কবি ও লেখক)
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে চিতলমারী,বাগেরহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাখুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |