কফি আনান

শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী
(কোফি আন্নান থেকে পুনর্নির্দেশিত)

কফি আততা আনান (/ˈkfi ˈænæn/;[] জন্ম এপ্রিল ৮, ১৯৩৮ - মৃত্যু আগস্ট ১৮, ২০১৮) ঘানার একজন কূটনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব। খ্রিস্টান ধর্মালম্বী হিসেবে প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায় জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।[] আনান এবং জাতিসংঘ যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০১) লাভ করেন।[] তিনি কফি আনান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া নেলসন ম্যান্ডেলা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন দা এল্ডারস-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।[][]

কফি আনান
Kofi Annan
৭ম জাতিসংঘের মহাসচিব
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ১৯৯৭ – ৩১ ডিসেম্বর ২০০৬
ডেপুটিLouise Fréchette
Mark Malloch Brown
পূর্বসূরীবুত্রোস বুত্রোস গালি
উত্তরসূরীবান কি মুন
জাতিসংঘ এবং সিরিয়া আরব লীগের দূত
কাজের মেয়াদ
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ – ৩১ আগস্ট ২০১২
Secretary Generalবান কি মুন (ইউএন)
Nabil Elaraby (AL)
পূর্বসূরীপদ সৃষ্ট
উত্তরসূরীLakhdar Brahimi
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1938-04-08) ৮ এপ্রিল ১৯৩৮ (বয়স ৮৬)
কুমাসি, গোল্ড কোস্ট
(বর্তমানে কুমাসি, ঘানা)
মৃত্যু১৮ আগস্ট ২০১৮(2018-08-18) (বয়স ৮০)
বের্ন, সুইজারল্যান্ড
জাতীয়তাGhanaian
দাম্পত্য সঙ্গীটিটি আলাকিযা (1965–late 1970s)
Nane Lagergren (1984–present)
সন্তানকোজো
আমা
নিনা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীKwame Nkrumah University of Science and Technology
Macalester College
University of Geneva
এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট
ধর্মপ্রোটেস্ট্যান্ট[]
স্বাক্ষর

ঘানার কোমাসি শহরে জন্মগ্রহণ-করা আনান ম্যাকালেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অর্থনীতি', গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটি জেনেভায় 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক' এবং এমআইটিতে 'ব্যবস্থাপনা' নিয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা কার্যালয়ে কাজ করার মাধ্যমে তিনি জাতিসংঘে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি জাতিসংঘ সচিবালয়ের আরো কিছু পদে কাজ করেছেন, যার মধ্যে আছে মার্চ ১৯৯২ থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৬ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন। ১৯৯৬ সালের ১৩রা ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদ তাকে মহাসচিব নিযুক্ত করে, পরে সাধারণ পরিষদেও তা সমর্থিত হয় এবং তিনিই প্রথম জাতিসংঘের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মহাসচিব হন। ২০০১ সালে তিনি মহাসচিব পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন, এবং ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি বান-কি-মুনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

মহাসচিব হিসেবে, আনান জাতিসংঘের আমলাতন্ত্র সংস্কার করেন; এইচআইভির প্রতিরোধে কাজ করেন, বিশেষত আফ্রিকায়; এবং জাতিসংঘ বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদন করেন। নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রসারণ না করায় তিনি সমালোচিত হন এবং জাতিসংঘের তেলের-বিনিময়ে-খাদ্য কর্মসূচী নিয়ে তদন্তের পর তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।[] জাতিসংঘে কর্মজীবন সমাপ্তির পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে তিনি আনান কমিশন গঠন করেন। ২০১২ সালে তিনি চলমান সিরিয়া সংকট সমাধানে জাতিসংঘ-আরব লীগের যৌথ বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।[][] কিন্তু সংকট সমাধানে জাতিসংঘের কাজে কোনো অগ্রগতি না দেখে তিনি অব্যাহতি নেন।[১০][১১] ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে তাকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট তদন্তে গঠিত একটি জাতিসংঘ কমিশনের প্রধান নিযুক্ত করা হয়, যা 'আনান কমিশন' নামে পরিচিত।[১২] ২০১৮ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডে সামান্য অসুস্থতার পর আনান মৃত্যুবরণ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন কফি আনান ছিলেন শান্তির যোদ্ধা এবং কল্যাণের পথপ্রদর্শক।[১৩]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

সম্পাদনা

১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল গোল্ড কোস্টের (বর্তমান ঘানা) কোমাসি শহরে কোফানড্রোস বিভাগে কফি আনান জন্মগ্রহণ করেন। তার যমজ বোন ইফুয়া আততার (মৃত্যু ১৯৯১) নামের শেষাংশ আততা তার নামেও রয়েছে, আকান ভাষায় যার অর্থ 'যমজ'।[১৪] তিনি এবং তার বোন সেদেশের আশান্তি ও ফানতে নামক অভিজাত দুটি গোষ্ঠীতে জন্ম নেন এবং তাদের দাদা ও চাচারা ছিলেন উপজাতীয় গোষ্ঠীপ্রধান।[১৫]

আকানদের সংস্কৃতিতে অনেক ছেলেমেয়ের নাম সপ্তাহের যে দিনে সে জন্মগ্রহণ করেছে সেদিনের সাথে সাযুজ্য রেখে রাখা হয়, এবং তার কতজন বড়ভাই/বোন আছে সেটার হিসাবেও। কফি নামটা তাদের ভাষায় শুক্রবারের সাথে সম্পৃক্ত।[১৬] আনান মজা করে বলেন তার নামের সাথে ইংরেজি ক্যানন বা কামান শব্দের ছন্দমিল হয়।[১৭]

১৯৫৪ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত আনান কেপ কোস্টে এমফ্যানসিপাম নামে একটি অভিজাত মেথডিস্ট আবাসিক স্কুলে পড়ালেখা করেন। তিনি বলেন এই স্কুল তাকে শিখিয়েছিল, কোনো এক স্থানের দুঃখকষ্ট, সংকট সবজায়গার মানুষকেই প্রভাবিত করে ("Suffering anywhere concerns people everywhere")।[১৮] ১৯৫৭ সালে আনান এমফ্যানসিফাম থেকে পাশ করেন এবং সেবছরই গোল্ড কোস্ট যুক্তরাজ্যের অধীনতা থেকে মুক্তি পায় আর দেশের নতুন হয় "ঘানা"।

১৯৫৮ সালে আনান কোমাসি কলেজ অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে অর্থনীতিতে পড়া শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন থেকে তিনি অনুদান পান যার দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় ম্যাকালেস্টার কলেজে তার অর্থনীতিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পড়া শেষ করেন। ১৯৬১-৬২ সময়কালে তিনি জেনেভার দ্য গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে diplôme d'études approfondies নামক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কয়েক বছর কর্ম অভিজ্ঞতার পর তিনি এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টে স্লোন ফেলোজ প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করেন (১৯৭১–৭২) এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।[১৯]

আনান ইংরেজি, ফরাসি, আকান, ক্রু এবং আরো কিছু আফ্রিকান ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারদর্শী ছিলেন।[২০]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৬২ সালে, কফি আনান জাতিসংঘের সহযোগী সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাজেট অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন।[২১] ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঘানার পর্যটনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৮০ সালে তাকে জেনেভায় জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সদর দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সচিবালয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সেবার পরিচালক পদে আসীন হন। ১৯৮০'র দশকের শেষদিকে তিনি জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব হিসেবে পরপর তিনটি পদের দায়িত্ব পান: মানবসম্পদ, ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ক (১৯৮৭–১৯৯০); কর্মসূচী পরিকল্পক, বাজেট ও ফিন্যান্স, এবং নিয়ন্ত্রক (১৯৯০–১৯৯২); শান্তিরক্ষা কার্যক্রম (মার্চ ১৯৯৩ – ডিসেম্বর ১৯৯৬)।[২২]

১৯৯২ সালে তৎকালীন মহাসচিব বুত্রোস বুত্রোস ঘালি ডিপার্টমেন্ট অফ পিসকিপিং অপারেশনস (ডিপিকেও) চালু করার পর প্রধান হিসেবে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ম্যারাক গোল্ডিং এবং তার ডেপুটি বা সহকারী হিসেবে আনানকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের মার্চে আনান গোল্ডিংয়ের পদে উন্নীত হন। তার এই শান্তিরক্ষা-প্রধানের পদে থাকার সময়কালেই সোমালিয়ার যুদ্ধ হয় যেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন চরমভাবে ব্যর্থ হয় এবং সংঘটিত হয় রুয়ান্ডার গণহত্যা (১৯৯৪)। ১৯৯৫ সালের ২৯শে আগস্ট মহাসচিব বুত্রোস ঘালি যখন উড়োজাহাজে ছিলেন বলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না, কফি আনান জাতিসংঘ কর্মচারীদেরকে "বসনিয়ায় বিমানহামলার বিরুদ্ধে তাদের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে" নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর ফলে ন্যাটো তাদের অপারেশন ডেলিবারেট ফোর্স পরিচালনের সুযোগ পায় এবং আনান যুক্তরাষ্ট্রের সুনজরে আসেন। রিচার্ড হলব্রুকের মতে, আনানের "সাহসী উদ্যোগে" যুক্তরাজ্যে আশ্বস্ত হয় যে বুত্রোস ঘালির পরিবর্তে তিনিই উপযুক্ত লোক হবেন।[২৩]

২০০৩ সালে অবসরপ্রাপ্ত কানাডীয় জেনারেল রোমিও ড্যালেয়ার, যিনি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘ সহযোগিতা মিশনের ফোর্স কমান্ডার ছিলেন, দাবি করেন, কফি আনান সেখানকার আসন্ন গণহত্যা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেখাতে মাত্রাতিরিক্ত নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ড্যালেয়ার তার বই শেইক হ্যান্ডস উইথ দ্য ডেভিল:দ্য ফেইলিওর অফ হিউম্যানিটি ইন রুয়ান্ডা (২০০৩) বইয়ে জানান যে আনান জাতিসংঘের সৈন্যদেরকে দ্বন্দ্ব সমাধানে মধ্যস্থতা করা এবং লজিস্টিক ও বস্তুগত সাহায্য দেয়া থেকে বিরত রাখেন। তিনি দাবি করেন অস্ত্রভাণ্ডারে প্রবেশাধিকার চেয়ে তার করা পুনঃপুন ফ্যাক্সগুলোর উত্তরও আনান দেননি; যে অস্ত্রগুলো দ্বারা তিনি বিপন্ন টুটসিদের সাহায্য করতে পারতেন। ২০০৪ সালে, উক্ত গণহত্যার তার দশ বছর পরে, আনান বলেন,"আমি (বিশ্ববাসীকে) আরো বেশি সচেতন করতে পারতাম এবং সাহায্য ও সমর্থন জড়ো করতে পারতাম এবং আমার সেটা করা উচিত ছিল।"[২৪]

আনান তার বই ইন্টারভেনশনস: এ লাইফ ইন ওয়ার অ্যান্ড পিস-এ লেখেন যে রুয়ান্ডার গণহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ডিপিকেও গণমাধ্যমকে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারতো এবং সংকটে হস্তক্ষেপ করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সৈন্য সরবরাহ করতে সরকারগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারতো। আনান ব্যাখ্যা করেন, সোমালিয়ার ঘটনা এবং সেখানে জাতিসংঘ মিশনের ব্যর্থতার ফলে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা মিশন অনুমোদন করতে জাতিসংঘের সদস্য রাস্ট্রগুলোর মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করছিল। ফলতঃ যখন যুদ্ধ শুরুর দিনকতকের মধ্যেই রুয়ান্ডার ইউএন মিশন অনুমোদিত হলো তখন সৈন্যসংখ্যা ও সরবরাহের অপর্যাপ্ততা এবং কার্যকরভাবে অপারেশন করার আদেশের অপ্রাপ্যতা দেখা গেলো।[২৫]

আনান মার্চ ১৯৯৪ থেকে অক্টোবর ১৯৯৫ পর্যন্ত আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে কাজ করেন। এরপর পাঁচ মাস সাবেক যুগোস্লোভিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এপ্রিল ১৯৯৬-তে পুনরায় আগের পদে ফিরে আসেন।[২৬]

জাতিসংঘের মহাসচিব (১৯৯৭–২০০৬)

সম্পাদনা
 
কফি আনান

নিয়োগ

সম্পাদনা

১৯৯৬ সালে তৎকালীন মহাসচিব বুট্রোস বুট্রোস ঘালি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বীহীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়ান। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে তিনি ১৫টির ১৪টি ভোট পেলেও যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদান করে।[২৭] নিরাপত্তা পরিষদে চারটি ব্যর্থ সভার পর বুট্রোস ঘালি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং তিনিই এপর্যন্ত একমাত্র মহাসচিব যিনি দ্বিতীয় মেয়াদ পাননি। বদলি প্রার্থীদের মধ্যে আনান ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে, প্রথম রাউন্ডে আমারা এসেকে তিনি এক ভোটে পরাজিত করেন। তবে ফ্রান্স চারবার আনানের বিপক্ষে ভেটো দেয়, যদিও পঞ্চমবারে নিরস্ত হয়। শেষপর্যন্ত ১৯৯৬ সালের ১৩ই ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদ আনানের পক্ষে সুপারিশ করে।[২৮][২৯] চারদিন পর সাধারণ পরিষদের ভোটে তা নিশ্চিত হয়।[৩০] ১লা জানুয়ারি ১৯৯৭ তিনি তার প্রথম মেয়াদে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন।

বুট্রোস ঘালির বিদায়ের ফলে, আনানের দ্বিতীয় মেয়াদে আফ্রিকা পরপর তিনবার মহাসচিব পেতো (বুট্রোস ঘালি এবং আনান উভয়েই আফ্রিকান)। ২০০১ সালে এশীয়-প্যাসিফিক গ্রুপ আমানকে দ্বিতীয় মেয়াদে সমর্থন করতে রাজি হয় এই শর্তে যে ২০০৬ সালের মহাসচিব নির্বাচনে আফ্রিকান গ্রুপ এশীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিবে।[৩১] ২৭শে জুন ২০০১ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদ আনানকে দ্বিতীয় মেয়াদে সুপারিশ করে এবং সাধারণ পরিষদ ২৯শে জুন তার পুনঃনিয়োগ অনুমোদন করে।[৩২]

কার্যক্রম

সম্পাদনা
 
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সচিবালয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কফি আনান, ১৬ই নভেম্বর ২০০১
  1. জাতিসংঘ সংস্কারের সুপারিশ
  2. মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল
  3. জাতিসংঘ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (UNITeS)
  4. ইউনাইটেড নেশনস গ্লোবাল কমপ্যাক্ট
  5. গ্লোবাল ফান্ড প্রতিষ্ঠা
  6. বিশ্বরচ্ষার দায়িত্ব
  7. ইরাকে মার্কিন আক্রমণের সময় ভূমিকা
  8. অন্যান্য কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড
  9. লুবারস যৌন-হয়রানী তদন্ত
  10. তেলের-বিনিময়ে-খাদ্য স্ক্যান্ডাল

নোবেল শান্তি পুরস্কার

সম্পাদনা

২০০১ সালে নোবেল পুরস্কারের শতবর্ষে নোবেল কমিটি ঘোষণা দেয় যে সেবছর শান্তি পুরস্কার জাতিসংঘ এবং কফি আনানকে যৌথভাবে দেয়া হবে। জাতিসংঘকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং মানবাধিকারকে প্রাধান্য দেয়ায় আনানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল কমিটি আফ্রিকায় এইচআইভির বিস্তার রোধে তার অঙ্গীকার এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার অবস্থানেরও স্বীকৃতি দেয়।

জাতিসংঘ-পরবর্তী ক্যারিয়ার

সম্পাদনা

জাতিসংঘের কর্মজীবন শেষে আনান জেনেভায় বসবাস করতে শুরু করেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন।[৩৩]

কফি আনান ফাউন্ডেশন

সম্পাদনা

২০০৭ সালে আনান 'কফি আনান ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন। এই অলাভজনক স্বাধীন প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের শাসনব্যবস্থা আরো কল্যাণমূলক করতে এবং সুন্দরতর ও শান্তিপূর্ণ একটি পৃথিবী গড়তে মানুষ ও দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।

প্রতিষ্ঠানটির মূলনীতিতে আছে, অন্যায়হীন এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ তিনটি স্তম্ভের ওপর নির্ভর করে: শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হচ্ছে কার্যকরী নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে এই তিনটি স্তম্ভের বিপরীতে যেসব প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে, যুদ্ধ-সহিংসতা থেকে শুরু করে পাতানো নির্বাচন কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন - এসবকিছুকে প্রতিহত করে সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে এগিয়ে যাওয়া।[৩৪]

রাখাইন কমিশন (মায়ানমার)

সম্পাদনা

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আনানকে বলা হয় মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্পর্কিত উপদেষ্টা কমিশনের নেতৃত্ব দিতে।[৩৫] মায়ানমারের এ অঞ্চলটি দরিদ্র ও অনুন্নত, এবং জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বে পীড়িত, যেখানে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধের বিপরীতে রয়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং সরকার ও সেনাবাহিনীও রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে।[৩৬][৩৭] "আনান কমিশন" নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত এই কমিশনকে মায়ানমারের অনেক বৌদ্ধ রোহিঙ্গাদের সাথে তাদের বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ মনে করে এবং বিরোধিতা করে।[৩৫]

২০১৭-র ২৪শে আগস্ট যখন আনান কমিশন তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে, রিপোর্টের সুপারিশগুলোতে উভয় পক্ষই নারাজ হয় এবং ভয়ানকভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে - ঐ অঞ্চলে এ দশকের সবচেয়ে বড় আকারের এবং রক্তাক্ত মানবিক বিপর্যয়ে মায়ানমার থেকে অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়।[৩৮] আনান এর সমাধান করতে জাতিসংঘকে উদ্যোগী করার চেষ্টা করেও[৩৯] বিফল হন।

অন্যান্য কর্মকাণ্ড

সম্পাদনা
 
দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা গণভোটে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এবং কফি আনান, ২০১১

অলাভজনক প্রতিষ্ঠানসমূহ আনান বৈশ্বিক ও আফ্রিকান বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন, যথা:

 
Annan during the Munich Security Conference 2018

স্মৃতিকথা

সম্পাদনা
 
ইন্টারভেনশনস: এ লাইফ ইন ওয়ার অ্যান্ড পিস

৪ঠা ডিসেম্বর ২০১২, আনান নাদের মৌসাভিজাদেহের সাথে মিলে তার স্মৃতিকথা ইন্টারভেনশনস:এ লাইফ ইন ওয়ার অ্যান্ড পিস লেখেন।[৪৩] পেঙ্গুইন প্রেস প্রকাশিত এই বইটিকে বলা হয়েছিল "বিশ্ব রাজনীতির ব্যক্তিগত জীবনী।"[৪৪]

ব্যক্তিজীবন এবং মৃত্যু

সম্পাদনা

কফি আনান ১৯৬৫ সালে এক নাইজেরীয় অভিজাত বংশের নারী তিতি আলাকিজাকে বিয়ে করেন। কয়েক বছর পর তাদের মেয়ে আমা এবং পরে ছেলে কোজো জন্মগ্রহণ করে। ১৯৭০'র দশকের শেষদিখে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন[৪৫] এবং ১৯৮৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।[১৪] ১৯৮৪ সালে আনান জাতিসংঘের সুয়েডীয় আইনজীবী নেন লাগেরগ্রেনকে বিয়ে করেন।[৪৬] নেনের আগের স্বামীর সাথে নিনা নামে এক মেয়ে রয়েছে।

১৮ই আগস্ট ২০১৮ তারিখে সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ৮০ বছর বয়সে সামান্য অসুস্থতার পর কফি আনান মৃত্যুবরণ করেন।[৪৭][৪৮][৪৯]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Lefevere, Patricia (১১ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "Annan: `Peace is never a perfect achievement' – United Nations Secretary General Kofi Annan"। National Catholic Reporter। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ 
  2. Host। "BBC - The Editors: How to say: Kofi Annan" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. Lefevere, Patricia (১১ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "Annan: `Peace is never a perfect achievement' – United Nations Secretary General Kofi Annan"। National Catholic Reporter। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ 
  4. "Kofi Annan - Biographical"www.nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  5. Annan, Kofi। "The Nobel Peace Prize 2001"। nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৩ 
  6. "Kofi Annan | Ghanaian statesman and secretary-general of the United Nations"। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  7. "The Verdict on Kofi Annan"The New York Times। ৩০ মার্চ ২০০৫। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  8. "United Nations Department of Political Affairs - Syria"। Un.org। ১৯ অক্টোবর ২০১২। ৩ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৩ 
  9. Marcus, Jonathan (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Syria unrest: Opposition seeks arms pledge"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৩ 
  10. "Kofi Annan resigns as UN Syria envoy"The Times of India। ২ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১২ 
  11. "Kora Award winners announced"news24.com। ২০ নভেম্বর ২০০০। ২৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৬ 
  12. "Kofi Annan vows to lead impartial Myanmar mission"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  13. https://twitter.com/antonioguterres/status/1030766948500557824 Statement by the Secretary-General on the passing of former Secretary-General Kofi Annan
  14. "Kofi Annan Fast Facts"। CNN International। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  15. "Kofi Annan – The Man To Save The World?" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে, Saga Magazine, November 2002
  16. Akan dictionary entry for Kofi dictionary.kasahorow.com
  17. Crossette, Barbara (১০ জানুয়ারি ১৯৯৭)। "New U.N. Chief Promises Reforms but Says He Won't Cut Jobs"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ 
  18. Kofi Annan – Center of the Storm. Life Map. "A Chief's Son" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে, PBS.
  19. "The MIT 150: 150 Ideas, Inventions, and Innovators that Helped Shape Our World"The Boston Globe। ১৫ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১১ 
  20. "Kofi Annan" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জুলাই ২০১০ তারিখে, The Elders
  21. Stanley Meisner (2007). Kofi Annan: A Man of Peace in a World of War. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭০-২৮১৬৯-৭. p27
  22. "FORMER SECRETARY-GENERAL"। United Nations। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৩ 
  23. Holbrooke, Richard (২০১১)। To End a War: The Conflict in Yugoslavia--America's Inside Story। Random House। পৃষ্ঠা 168। আইএসবিএন 978-03-0-776543-7 
  24. "UN chief's Rwanda genocide regret"BBC News। ২৬ মার্চ ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১০ 
  25. Kofi Annan with Nader Mousavizadeh (2012). Interventions: A Life in War and Peace. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৪২০-৪২০-৩. Chapter II.
  26. Former Secretary-General Kofi Annan UN.org
  27. Crossette, Barbara (২০ নভেম্বর ১৯৯৬)। "Round One in the U.N. Fight: A U.S. Veto of Boutros-Ghali"The New York Times 
  28. "BIO/3051 – "Kofi Annan of Ghana recommended by Security Council for appointment as Secretary-General of United Nations"" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। UN। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ 
  29. Traub, James (২০০৬)। The Best Intentions। New York: Farrar, Straus and Giroux। পৃষ্ঠা 66–67। আইএসবিএন 978-0-374-18220-5 
  30. "GA/9208 -"General Assembly appoints Kofi Annan of Ghana as seventh Secretary-General"" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। UN। ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০০৬ 
  31. Sievers, Loraine; Daws, Sam। "Chapter 7 Section 5b"Update Website of The Procedure of the UN Security Council, 4th Edition 
  32. "General Assembly Adopts Security Council Resolution to Appoint Kofi Annan to Further Term as Secretary-General"United Nations General Assembly (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জুন ২০০১। 
  33. "Annan fühlte sich in der Schweiz zu Hause"Der Bund। ১৮ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  34. "Mission Statement"Kofi Annan Foundation। ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫ 
  35. Associated Press, "In Myanmar’s Troubled Rakhine State, Protesters Greet Kofi Annan." 6 September 2016, Wall Street Journal, retrieved 18 August,. 2018
  36. REPORT: "Situation of human rights of Rohingya Muslims and other minorities in Myanmar,"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] 29 June 2016, U.N. High Commissioner for Human Rights, United Nations, retrieved 18 August 2018
  37. "Rohingya Face ‘Campaign of Terror’ in Myanmar, U.N. Finds.", 3 February 2017, New York Times , retrieved 18 August,. 2018
  38. Associated Press, "Myanmar panel probing Rohingya crisis pledges independence." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে Washington Post, retrieved 18 August,. 2018
  39. "Myanmar has to take back Rohingya refugees, Kofi Annan tells UN Security Council." 14 October 2017, BDNews24 (Bangladesh), retrieved 18 August 2018
  40. "United Nations Foundation Board of Directors"। ১৯ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ 
  41. "Kofi Annan appointed Chancellor of University of Ghana"General News of Wednesday, 30 July 2008। Ghana Home Page। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৮ 
  42. Kofi Annan joins LKY school. 3 September 2009. The Straits Times
  43. Colum, Lynch। "Kofi Annan's memoir, 'Interventions: A Life in War and Peace'"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  44. Wanger, Shoko (এপ্রিল ৯, ২০০৯)। "In the News: Oates Honored, Obama in Kickassistan"The New Yorker (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৮, ২০১৮ 
  45. "No Peace for Kofi"nymag.com। New York Magazine। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  46. Leney-Hall, Katya (২০১২)। "Annan, Kofi Atta"। Akyeampong, Emmanuel K.; Gates, Henry Louis Jr.Dictionary of African Biography। Volume I। Oxford; New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 238। আইএসবিএন 978-0-195-38207-5। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  47. "Kofi Annan, former UN chief, dies at 80"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  48. "Former UN chief Kofi Annan dies"। Al-Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 
  49. "Former UN chief Kofi Annan dies at 80"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
জীবনী, সাক্ষাৎকার এবং সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী
নিবন্ধ
বক্তৃতা
কূটনৈতিক পদবী
পূর্বসূরী
বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি
মিশর
জাতিসংঘের মহাসচিব
১৯৯৭-২০০৬
উত্তরসূরী
বান কি-মুন
দক্ষিণ কোরিয়া