রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা (স্থানীয় নাম: রুয়াইংগা; আ-ধ্ব-ব: /ˈroʊɪŋjə/ বা /ˈroʊhɪŋjə/; বা ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে।[১৮][১৯]) রোহিঙ্গা হলো পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী।[২০] ২০১৬-১৭ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের পূর্বে অনুমানিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে বসবাস করত।[১][২১] অধিকাংশ রোহিঙ্গা ইসলামধর্মের অনুসারী যদিও কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মের অনুসারিও রয়েছে।[২২][২৩][২৪][২৫][২৬] ২০১৩ সালে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছে।[২৭][২৮][২৯] ১৯৮২ সালের বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে।[৩০][৩১][৩২]
𐴌𐴟𐴇𐴝𐴥𐴚𐴒𐴙𐴝, Ruáingga ရိုဟင်ဂျာ ﺭُﺍَࣺﻳﻨڠَ
| |
---|---|
মোট জনসংখ্যা | |
১,৫৪৭,৭৭৮[১]–২,০০০,০০০+[২] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
মিয়ানমার (রাখাইন রাজ্য), বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, সৌদি আরব | |
মিয়ানমার | ১.০[৩]–১.৩ মিলিয়ন[৪][৫] (২০১৬-২০১৭ নির্যাতনের পূর্বে) |
বাংলাদেশ | ২৫০০,০০০+ (২৫ আগস্ট ২০১৯ থেকে ১০০০,০০০ এখন পর্যন্ত এসেছে)[৬][৭] |
পাকিস্তান | ২০০,০০০[৮][৯][১০] |
থাইল্যান্ড | ১০০,০০০[১১] |
মালয়েশিয়া | ৪০,০৭০[১২] |
ভারত | ৪০,০০০[১৩][১৪] |
যুক্তরাষ্ট্র | ১২,০০০+[১৫] |
ইন্দোনেশিয়া | ১১,৯৪১[১৬] |
নেপাল | ২০০[১৭] |
ভাষা | |
রোহিঙ্গা | |
ধর্ম | |
ইসলাম, হিন্দু |
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালের আইনে “রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা অর্জনের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ৮ম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া সত্ত্বেও, বার্মার আইন এই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে তাদের জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে।”[৩২] এছাড়াও তাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[৩২][৩৩] রোহিঙ্গারা ১৯৭৮, ১৯৯১-১৯৯২[৩৪], ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সামরিক নির্যাতন এবং দমনের সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর চালানো দমন ও নির্যাতনকে জাতিগত নির্মূলতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে[৩৫][৩৬] যেখানে গণহত্যার মত অপরাধের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।[৩৭] জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের বিশেষ তদন্তকারী ইয়ংহি লি, বিশ্বাস করেন, মিয়ানমার পুরোপুরি তাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতড়িত করতে চায়।[৩৮] ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো সরকারের অধিকাংশ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার মধ্যে অন্তুর্ভূক্ত রয়েছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে ২৫% আসন বরাদ্দ রয়েছে এবং তাদের মধ্য থেকে একজন উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন।[৩৯][৪০]
রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মিয়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছেন। তাদের বংশধররা প্রাক-উপনিবেশিক ও উপনিবেশিক আমল থেকে আরাকানের বাসিন্দা ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে মিয়ানমারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত[৪১][৪২] কিন্তু হঠাৎই মিয়ানমারের সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। মিয়ানমারের সরকার তখন থেকে “রোহিঙ্গা” শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করে তাদের বাঙ্গালী বলে সম্বোধন করে।[৪৩][৪৪][৪৫][৪৬][৪৭][৪৮][৫][৪৯] রোহিঙ্গাদের অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ করে আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা তাদেরকে মিয়ানমারের মধ্যে জাতিসত্ত্বার পরিচয় দেওয়ার দাবী করে আসছে।[৫০]
জাতিসংঘের তদন্তের প্রতিবেদন অনুসারে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ভিতরে অতি-জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের দ্বারা ঘৃণা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছে। একই সাথে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যা, অবৈধ গ্রেফতার, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অপব্যবহারের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করছেন।[৫১] জাতিসংঘের মতানুসারে, রোহিঙ্গাদের উপর চলা এ নির্যাতনকে মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বলা যেতে পারে।[৫১][৫২]
২০১৫ সালের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালের সেনাবাহিনীর অভিযানের পূর্বে মিয়ানমারে ১.১ থেকে ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাস করতেন।[১][৪][৪][৫] যাদের অধিকাংশের বাসস্থান ছিল মুলত ৮০-৯৮% রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে।.[৪৯] ৯ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে দক্ষিণ-পূর্বের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।[৭] এছাড়া অন্যান্য প্রতিবেশী দেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশে পালিয়ে গিয়েছে।[৫৩][৫৪][৫৪][৫৫][৫৬].[৫৭] ১০০,০০০-এর বেশি রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচুত হয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পে রয়েছে।[৫৮][৫৯] ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলায় ১২ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরোদ্ধে “ক্লিয়ারেন্স অপারেশন” শুরু করে। এই অপারেশনে ৪০০-৩০০০ রোহিঙ্গা নিহত হন, অনেক রোহিঙ্গা আহত, নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হন। তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ৪০০,০০০ (মিয়ানমারের রোহিঙ্গার ৪০%) এর বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।[৬০][৬১][৬২][৬৩][৬৪]
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনাসপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন পার্শ্ববর্তী উপকূলে আশ্রয় নেন। তাঁরা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতের বেঁচে গেছি। ’ সেই ‘রহম’ থেকেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব বলে মনে করা হয়। কিন্তু আগে রোসাং ও রোয়াং শব্দ অধিক পরিচিত ছিল।[৬৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাঅষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলিমদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে[৬৬]।
ম্রক-ইউ রাজ্য
সম্পাদনাম্রক-ইউ রাজ্যের সম্রাট নারামেখলার (১৪৩০-১৪৩৪) শাসনকালে বাঙালিদের আরাকানে বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৪ বছর বাংলায় নির্বাসিত থাকার পরে সম্রাট বাংলার সুলতানের সামরিক সহায়তায় পুনরায় আরাকানের সিংহাসনে আরোহণ করতে সক্ষম হন। যে সব বাঙালি সম্রাটের সাথে এসেছিল তারা আরাকানে বসবাস করতে শুরু করে[৬৭][৬৮]। সম্রাট নারামেখলা বাংলার সুলতানের দেওয়া কিছু অঞ্চল ও আরাকানের ওপর সার্বভৌমত্ব অর্জন করেন। সম্রাট নারামেখলা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বাংলার প্রতি কৃ্তজ্ঞতা স্বরূপ আরাকানে বাংলার ইসলামি স্বর্ণমুদ্রা চালু করেন। পরবর্তীতে নারামেখলা নতুন মুদ্রা চালু করেন যার একপাশে ছিল বর্মি বর্ণ এবং অপরপাশে ছিল ফার্সি বর্ণ[৬৮]। বাংলার প্রতি আরাকানের কৃ্তজ্ঞতা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। ১৪৩৩ সালে সুলতান জালালউদ্দিন মুহম্মদ শাহের মৃত্যু হলে সম্রাট নারামেখলার উত্তরাধিকারীরা ১৪৩৭ সালে রামু এবং ১৪৫৯ সালে চট্টগ্রাম দখল করে নেন। ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের দখলে ছিল[৬৯][৭০]। বাংলার সুলতানদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পরেও আরাকানের রাজাগণ মুসলিম রীতিনীতি বজায় রেখে চলেন[৭১]। বৌদ্ধ রাজাগণ নিজেদেরকে বাংলার সুলতানদের সাথে তুলনা করতেন এবং মুঘলদের মতোই জীবন যাপন করতেন। তাঁরা মুসলিমদেরকেও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতেন[৭২]। ১৭ শতকের দিকে আরাকানে বাঙালি মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা আরাকানের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতো। যেহেতু রাজাগণ বৌদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলার সুলতানদের রীতিনীতি অনুযায়ীই রাজ্য পরিচালনা করতো, তাই আরাকানের রাজদরবারে বাংলা, ফার্সি এবং আরবি ভাষার হস্তলিপিকরদের মধ্যে অনেকেই ছিল বাঙালি[৬৭]। কামেইন বা কামান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা মিয়ানমার সরকারের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্ত্বার মর্যাদা পেয়েছে তারা আরাকানের মুসলিম জনগোষ্ঠীরই একটা অংশ ছিল[৭৩]।
বর্মিদের দখল
সম্পাদনা১৭৮৫ সালে বর্মিরা আরাকান দখল করে। এর পরে ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বর্মিদের গ্রেপ্তার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে[৭৪]। বার্মার শাসকেরা আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং একটা বড় অংশকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করে মধ্য বার্মায় পাঠায়। যখন ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে তখন যেন এটি ছিল একটি মৃত্যুপুরী[৭৫]। ১৭৯৯ সালে প্রকাশিত "বার্মা সাম্রাজ্য"তে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন-হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ - এর অনুসারীরা", যারা অনেকদিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তারা নিজেদেরকে "রুইঙ্গা" (Rooinga), অর্থাৎ "আরাকানের স্থানীয় বাসিন্দা" বা "আরাকানের মূলনিবাসী" (Native of Arakan) বলে উল্লেখ করে।[৭৬]
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন
সম্পাদনাকৃষিকাজের জন্য আরাকানের কম জন-অধ্যুষিত এবং উর্বর উপত্যকায় আশপাশের এলাকা থেকে বাঙালি অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল। আরাকান ও বাংলার মাঝে কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা ছিল না এবং এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধও ছিল না। তাছাড়া ব্রিটিশরা আরাকান দখলের পূর্বেকার সময় কালাদান নদীর উত্তর তীর পর্যন্ত চট্টগ্রামের দক্ষিণ সীমানা ছিল, যা বার্মার সাথে যুক্ত ছিল বলে কোন ঐতিহাসিক দলিলের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। উনবিংশ শতকে হাজার হাজার বাঙালি কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে গিয়ে বসতি গড়েছিল। এছাড়াও হাজার হাজার রাখাইন আরাকান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল[৭৭][৭৮]।
১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের করা এক আদমশুমারিতে দেখা যায়, আরাকানে তখন ৫৮,২৫৫ জন মুসলিম ছিল। ১৯১১ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৮,৬৪৭ জন হয়[৭৯]। অভিবাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বাংলার সস্তা শ্রম যা আরাকানের ধান ক্ষেতের কাজে লাগত। বাংলার এই অধিবাসীরা (বেশিরভাগই ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের) মূলত আরাকানের দক্ষিণেই অভিবাসিত হয়েছিল। এটা নিশ্চিত যে, ভারতের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া ছিল পুরো অঞ্চল জুড়ে, শুধু আরাকানেই নয়। ঐতিহাসিক থান্ট মিন্ট-ইউ লিখেছেন: "বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, বার্মায় আসা ভারতীয়দের সংখ্যা কোনভাবেই আড়াই লক্ষের কম নয়। এই সংখ্যা ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাড়তেই থাকে এবং অভিবাসীদের সংখ্যা হয় ৪৮০,০০০ জন, রেঙ্গুন নিউ ইয়র্ককেও অতিক্রম করে বিশ্বের বড় অভিবাসন বন্দর হিসেবে। মোট অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৩ কোটি (১৩ মিলিয়ন)।" তখন বার্মার রেঙ্গুন, আকিয়াব, বেসিন, প্যাথিন এবং মৌমেইনের মত অধিকাংশ বড় শহরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ শাসনে বর্মিরা অসহায়ত্ব বোধ করত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করত[৮০]।
অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানেই ছিল সবচেয়ে প্রকট। ১৯৩৯ সালে রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যকার দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ইস্টার এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে। কমিশন অনুসন্ধান শেষে সীমান্ত বন্ধ করার সুপারিশ করে। এর মধ্যে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং এর পরে ব্রিটিশরা আরাকান ছেড়ে চলে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপানিদের দখলদারিত্ব
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন বার্মা আক্রমণ করে। ব্রিটিশ শক্তি পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। এর মধ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই সময়ে ব্রিটিশপন্থীদের সাথে বার্মার জাতীয়তাবাদীদেরও সংঘর্ষ হয়। জাপানিদের আক্রমণের সময় উত্তর আরাকানের ব্রিটিশপন্থী অস্ত্রধারী মুসলিমদের দল বাফার জোন সৃষ্টি করে[৮১]। রোহিঙ্গারা যুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষকে সমর্থন করেছিল এবং জাপানি শক্তির বিরোধিতা করেছিল, পর্যবেক্ষণে সাহায্য করেছিল মিত্রশক্তিকে।
জাপানিরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল[৮২]। এই সময়ে প্রায় ২২,০০০ রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে গিয়েছিল[৮৩][৮৪]।
জাপানি এবং বর্মিদের দ্বারা বারংবার গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসে[৮৫]।
যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা
সম্পাদনা১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির সময় রোহিঙ্গারা পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতিগোষ্ঠিরা মেনে নিতে পারে নি। তাদের কপালে “বেঈমান” তকমা লেগে যায়। এদিকে জিন্নাহ রোহিঙ্গাদের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানান। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মায় ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮ আর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বার্মিজ জান্তা
সম্পাদনাপ্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বার্মা শাসন করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা বার্মিজ জাতীয়তাবাদ এবং থেরাভেদা বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর এর ফলেই তারা রোহিঙ্গা, চীনা জনগোষ্ঠী যেমন - কোকাং, পানথাইদের(চীনা হুই মুসলিম) মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাকে ব্যপকভাবে নির্যাতন করে থাকে। কিছু নব্য গণতন্ত্রপন্থী নেতা যারা বার্মার প্রধান জনগোষ্ঠী থেকে এসেছেন তারাও রোহিঙ্গাদের বার্মার জনগণ হিসেবে স্বীকার করেন না।[৮৬][৮৭][৮৮][৮৯]
বার্মার সরকার রোহিঙ্গা ও চীনা জনগোষ্ঠীর মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার উসকানি দিয়ে থাকে এবং এ কাজ তারা অতি সফলতার সাথেই করে যাচ্ছে।[৯০]
রাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা
সম্পাদনারাখাইনে ২০১২ সালের দাঙ্গা হচ্ছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ রাখাইনদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহ। দাঙ্গা শুরু হয় জাতিগত কোন্দলকে কেন্দ্র করে এবং উভয় পক্ষই এতে জড়িত হয়ে পরে।[৯১]
ভাষা
সম্পাদনামিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের (রাখাইন) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আধুনিক লিখিত ভাষাই হল রোহিঙ্গা ভাষা। এটি ইন্দো-ইউরোপীয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত যার সাথে চট্টগ্রামের চাটগাঁইয়া ভাষার মিল রয়েছে।[২৬] রোহিঙ্গা গবেষকগণ আরবি, হানিফি, উর্দু, রোমান এবং বার্মিজ স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে সফলতার সাথে রোহিঙ্গা ভাষা লিখতে সক্ষম হয়েছেন। হানিফি হচ্ছে নতুন তৈরি করা স্ক্রীপ্ট যা আরবি এবং তার সাথে চারটি বর্ণ (ল্যাটিন এবং বার্মিজ) সংযোগে সৃষ্ট।
সম্প্রতি একটি ল্যাটিন স্ক্রীপ্টের উদ্ভাবন হয়েছে যা ২৬টি ইংরেজি বর্ণ এবং অতিরিক্ত ২টি ল্যাটিন বর্ণ, Ç (তাড়নজাত R -এর জন্য) এবং Ñ (নাসিকা ধ্বনি-র জন্য) সংযোগে সৃষ্ট। রোহিঙ্গা ধ্বনি সঠিকভাবে বোঝার জন্য ৫টি স্বরধ্বনি (áéíóú) ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আই.এস.ও দ্বারা স্বীকৃত।[৯২]
ধর্ম
সম্পাদনারোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মূলত সুন্নি ইসলামে অনুসারী যদিও কেউ কেউ সুফিবাদেও বিশ্বাস করে। যেহেতু মিয়ানমার সরকার তাদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাই অনেকেই মৌলিক ইসলামী শিক্ষাকেই একমাত্র পড়াশুনার বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। অধিকাংশ গ্রামেই মসজিদ এবং মাদ্রাসা (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, পুরুষরা জামাতে এবং মহিলারা বাড়িতেই প্রার্থনা করে থাকে।
স্বাস্থ্য
সম্পাদনারোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক বৈষম্য এবং প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।[১][৯৩] ২০১৬ সালে মেডিকেল সাময়িকী পত্রিকা ল্যান্সেটের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে, অপুষ্টি ও ডায়রিয়া রোগে ভোগে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হতে হতে তাদের প্রজনন সক্ষমতা হ্রাস পায়।[১] প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে ২২৪ জন শিশু জন্মের সময় মৃত্যুবরণ করে যা মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল থেকে মৃত্যুহার ৪ গুন বেশি (১০০০ জনে ৫২ জন অন্যান্য অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করে)। এটি রাখাইন রাজ্যের অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে ৩ গুন বেশি (১০০০ জনে ৭৭ জন মৃত্যুবরণ করে)।[৯৪][১] প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মিয়ানমার সরকার দ্বারা পরিচালিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শিবিরে ৪০% শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত যা মিয়ানমারের অন্য অঞ্চলগুলো থেকে ৫ গুন বেশি।[৯৪]
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শরণার্থী
সম্পাদনারোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ"[৯৫] এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"।[৯৬] ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন।[৯৭] তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারণামায় স্বাক্ষর করতে হয়।[৯৭] তাদেরকে জোড়পূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো হয়। সাধারণত তাদের সপ্তাহে একদিন করে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনী অথবা সরকারি প্রকল্পে এবং সপ্তাহে একদিন প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের অনেক আবাদী জমি জোড়পূর্বক দখল করে সেখানকার বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীকে অথবা মায়নমারের অন্য স্থানের বৌদ্ধদেরকে দিয়েছে।[৯৮][৯৭]
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।[৯৯] ২০০৫ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের কমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু মিয়ানমারে অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সে চেষ্টা বাতিল হয়ে যায়।[১০০] ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে দাঙ্গার পরও ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪০,০০০ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন শিবিরে বসবাস করত।[১০১] জাতিসংঘের বেশ কিছু চেষ্টার পরও বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আসা রোহিঙ্গারা ২০১২ সালের দাঙ্গার পর নির্যাতনের ভয়ে আর ফিরে যেতে চান নি। বাংলাদেশ সরকারও সে সময় রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছিল ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা যাতে অনুপ্রবেশে উৎসাহ না পান।[১০২] ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মালাক্কা প্রণালীতে ২১ দিন সাগরে ভাসার পর অনেক রোহিঙ্গাকে সেসময় স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছিল।[১০৩]
হাজার হাজার রোহিঙ্গা থাইল্যান্ডেও আশ্রয় গ্রহণ করে। তবে অভিযোগ রয়েছে থাইল্যান্ড থেকে রোহিঙ্গাদের পুনরায় নৌকায় করে খোলা সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৯০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে থাই সেনাবাহিনী সাগরে ভাসিয়ে দেয় বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়ার কতৃপর্ক্ষের কাছে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বলেছেন তাদের থাই সেনাবাহিনী ধরেছিল এবং নির্যাতন করে পুনরায় খোলা সাগরে ভাসিয়ে দেয়।[১০৪]
২০০৪ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে: [১০৫]
রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা ব্যপকভাবে নিয়ণ্ত্রিত এবং তাদের অধিকাংশের বার্মার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। তাদের উপর বিভিন্ন রকম অন্যায় ও অবৈধ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের জমি জবর-দখল করা, জোর-পূর্বক উচ্ছেদ করা, ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা এবং বিবাহের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৫ সালে। বার্মার কুটনীতিকদের সাথে এক বৈঠকের পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে তারা শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা ৯,০০০ রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফিরিয়ে দেবে।[১০৬][১০৭] ২০১১ সালের ১৬ই অক্টোবর মিয়ানমারের নতুন সরকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে স্বীকৃতি জানায়। কিন্তু ২০১২ সালের রাখাইন দাঙ্গা এই চেষ্টাকে বিফল করে দেয়।[১০৮][১০৯]
২০১৪ সালের ২৯ মার্চ বার্মা সরকার “রোহিঙ্গা” শব্দটি নিষিদ্ধ করে এবং তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারেরমত ২০১৪ সালের আদমশুমারিতে সংখ্যালঘুদের “বাঙালি” হিসেবে নিবন্ধের জন্য আহ্বান করে।[১১০][১১১] ২০১৪ সালের ৭ মে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ একটি বিল পাশ করে যেখানে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানানো হয়।[১১২][১১৩] লন্ডনের কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক স্টেট ক্রাইম ইনিশিয়েটিভ কমিটির গবেষকরা বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের গণহত্যা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে।[১১৪][১১৫] ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে বলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।[১১৬][১১৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Mahmood; Wroe; Fuller; Leaning (২০১৬)। "The Rohingya people of Myanmar: health, human rights, and identity"। Lancet: 1–10। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(16)00646-2। পিএমআইডি 27916235।
- ↑ David Mathieson (২০০৯)। Perilous Plight: Burma's Rohingya Take to the Seas। Human Rights Watch। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 9781564324856।
- ↑ Kevin Ponniah (৫ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Who will help Myanmar's Rohingya?"। BBC।
- ↑ ক খ গ "Will anyone help the Rohingya people?"। BBC News।
- ↑ ক খ গ Dapice, David (জুন ২০১৫)। "Fatal Distraction from Federalism: Religious Conflict in Rakhine" (পিডিএফ)। Harvard Ash Center।
- ↑ http://www.thedailystar.net/world/rohingya-crisis/400000-rohingyas-myanmar-arrive-bangladesh-august-25-unicef-1462066
- ↑ ক খ http://www.thedailystar.net/world/myanmar-rohingya-refugee-crisis-1%2C000-killed-Myanmar-%20violence-%20un-rapporteur-1459426
- ↑ "Homeless In Karachi | Owais Tohid, Arshad Mahmud"। Outlook India। ২৯ নভেম্বর ১৯৯৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Box 5925 Annapolis, MD 21403 info@srintl"। Burmalibrary.org। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Derek Henry Flood (৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৯)। "From South to South: Refugees as Migrants: The Rohingya in Pakistan"। The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Husain, Irfan (৩০ জুলাই ২০১২)। "Karma and killings in Myanmar"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "Figure At A Glance"। UNHCR Malaysia। ২০১৪। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "India in talks with Myanmar, Bangladesh to deport 40,000 Rohingya"। Reuters। ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "India plans to deport thousands of Rohingya refugees"। www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Timothy Mclaughlin (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Myanmar refugees, including Muslim Rohingya, outpace Syrian arrivals in U.S." (English ভাষায়)। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Jalimin (১৯ মে ২০১৫)। "Jumlah Pengungsi Rohingya di Indonesia Capai 11.941 Orang" (Indonesian ভাষায়)। Aceh Tribun News। ১১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "200 Rohingya Refugees are not being accepted as Refugees and the Nepali Government considers them illegal migrants"। ৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
An estimated 36,000 Rohingya Refugess living in India
- ↑ Colin Clarke; Ceri Peach; Steven Vertovec (২৬ অক্টোবর ১৯৯০)। South Asians Overseas: Migration and Ethnicity। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 978-0-521-37543-6।
- ↑ British Foreign Office (ডিসেম্বর ১৯৫২)। "On The Mujahid Revolt in Arakan" (পিডিএফ)। National Archives।
- ↑ "Will anyone help the Rohingya people?"। BBC News। ১০ জুন ২০১৫।
- ↑ "Myanmar Buddhists seek tougher action against Rohingya"। The Washington Post। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "There were at least a million members of the Rohingya ethnic group living in Myanmar, most of them Muslim, though some are Hindu." http://www.bbc.com/news/world-asia-41260767
- ↑ Jacob Judah (২ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Thousands of Rohingya flee Myanmar amid tales of ethnic cleansing"। The Observer।
- ↑ "Hindus too fleeing persecution in Myanmar"। Daily Star। ৩১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Hindus From Myanmar Join Muslim Rohingyas in Seeking Refuge in Bangladesh"। The Wire।
- ↑ ক খ Andrew Simpson (২০০৭)। Language and National Identity in Asia। United Kingdom: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 267। আইএসবিএন 978-0199226481।
- ↑ "Nobel Peace Prize winner accused of overlooking 'ethnic cleansing' in her own country"। The Independent। ৯ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ Hofman, Lennart (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Meet the most persecuted people in the world"। The Correspondent।
- ↑ "Rohingya Muslims Are the Most Persecuted Minority in the World: Who Are They?"। Global Citizen।
- ↑ Yuichi Nitta (২৫ আগস্ট ২০১৭)। "Myanmar urged to grant Rohingya citizenship"। Nikkei Asian Review।
- ↑ "Annan report calls for review of 1982 Citizenship Law"। The Stateless। ২৪ আগস্ট ২০১৭। ১৪ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "Discrimination in Arakan"। Vol. 12 (No. 3)। Human Rights Watch। মে ২০০০।
- ↑ "Kofi Annan-led commission calls on Myanmar to end Rohingya restrictions"। SBS।
- ↑ "Myanmar/Bangladesh: Rohingyas - the Search for Safety" (পিডিএফ)। Amnesty International। সেপ্টেম্বর ১৯৯৭। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Myanmar wants ethnic cleansing of Rohingya - UN official"। BBC News। ২৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Crimes Against Humanity and Ethnic Cleansing of Rohingya Muslims in Burma's Arakan State"। Human Rights Watch। এপ্রিল ২২, ২০১৩।
- ↑ Ibrahim, Azeem (১১ অক্টোবর ২০১৬)। "The Rohingya Are At The Brink Of Mass Genocide"। The Huffington Post।
- ↑ "Burmese government accused of trying to 'expel' all Rohingya Muslims"। The Independent। ১৪ মার্চ ২০১৭।
- ↑ http://www.bbc.com/news/av/world-asia-35457290/why-does-military-still-keep-25-of-the-seats-myanmar-parliament
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ https://www.forbes.com/sites/anderscorr/2016/12/29/secret-1978-document-indicates-burma-recognized-rohingya-legal-residence/#5fa4b2cb5a79
- ↑ Partha S. Ghosh (২৩ মে ২০১৬)। Migrants, Refugees and the Stateless in South Asia। SAGE Publications। পৃষ্ঠা 161। আইএসবিএন 978-93-5150-855-7।
- ↑ Leider 2013, পৃ. 7।
- ↑ Derek Tonkin। "The 'Rohingya' Identity - British experience in Arakan 1826-1948"। The Irrawaddy। ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Selth, Andrew (২০০৩)। Burma's Muslims: Terrorists or Terrorised?। Australia: Strategic and Defence Studies Centre, Australian National University। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 073155437X।
- ↑ "Extract from record by UK Ambassador Terrence J O'Brien of his call in Rangoon on the Bangladesh Ambassador to Burma Khwaja Mohammed Kaiser" (পিডিএফ)। Network Myanmar। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Adloff, Richard; Thompson, Virginia (১৯৫৫)। Minority Problems in Southeast Asia। United States: Stanford University Press। পৃষ্ঠা 154।
- ↑ Crisis Group 2014, পৃ. 4–5।
- ↑ ক খ Leider, Jacques P.। ""Rohingya": Rakhaing and Recent Outbreak of Violence: A Note" (পিডিএফ)। Network Myanmar। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ (ARNO), Arakan Rohingya National Org.। "Who we are?"। www.rohingya.org। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "UN: Rohingya may be victims of crimes against humanity"। Al Jazeera।
- ↑ Fisher, Jonah (২০১৭-০৩-১০)। "Myanmar Muslim minority subject to horrific torture, UN says"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১০।
- ↑ "India plans to deport thousands of Rohingya refugees"। www.aljazeera.com।
- ↑ ক খ Refugees, United Nations High Commissioner for। "Over 168,000 Rohingya likely fled Myanmar since 2012 - UNHCR report"। UNHCR।
- ↑ "Rohingya Refugees Emergency Response, Indonesia - Kopernik"। Kopernik।
- ↑ "190,000 Myanmar nationals' get residency relief in Saudi Arabia"। Al Arabiya English। ২৫ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Rehman, Zia Ur (২৩ ফেব্রু ২০১৫)। "Identity issue haunts Karachi's Rohingya population"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬।
Their large-scale migration had made Karachi one of the largest Rohingya population centres outside Myanmar but afterwards the situation started turning against them.
- ↑ "Trapped inside Burma's refugee camps, the Rohingya people call for recognition"। The Guardian। ২০ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "US Holocaust Museum highlights plight of Myanmar's downtrodden Rohingya Muslims"। Fox News। Associated Press। ৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Lone, Wa and Andrew R.C. Marshall, "Exclusive - 'We will kill you all' - Rohingya villagers in Myanmar beg for safe passage," ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে September 17, 2017, Reuters, retrieved September 17, 2017
- ↑ "‘Textbook example of ethnic cleansing,’ 370,000 Rohingyas flood Bangladesh as crisis worsens," September 12, 2017, Washington Post retrieved September 12, 2017
- ↑ "18,000 minorities flee deadly ethnic violence in Myanmar", Aug. 30, 2017, CBS News, retrieved September 12, 2017
- ↑ "270,000 Rohingya Have Fled Myanmar, U.N. Says," September 8, 2017, New York Times, retrieved September 12, 2017
- ↑ "UNHCR reports surge in Rohingya refugees, now 270,000," September 8, 2017, Associated Press on Fox News, retrieved September 12, 2017
- ↑ আহমদ শরীফ, চট্টগ্রামের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ২৯
- ↑ (আই চান ২০০৫, পৃ. ৩৯৭)
- ↑ ক খ (আই চান ২০০৫, পৃ. ৩৯৮)
- ↑ ক খ ইগার, মোশে (২০০২)। একীভবন ও অপসারন: দক্ষিণ ফিলিপাইন, দক্ষিণ থাইল্যান্ড এবং পশ্চিম বার্মায় মুসলিম সম্প্রদায়। ল্যানহাম, এম.ডি: লেগজিন্টন বুকস। পৃষ্ঠা ২৩। আইএসবিএন ০৭৩৯১০৩৫৬৩
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২। - ↑ ফিয়েরি ১৮৮৩: ৭৮
- ↑ হার্ভে ১৯২৫: ১৪০–১৪১
- ↑ ইগার, মোশে (২০০২)। একীভবন ও অপসারন: দক্ষিণ ফিলিপাইন, দক্ষিণ থাইল্যান্ড এবং পশ্চিম বার্মায় মুসলিম সম্প্রদায়। ল্যানহাম, এম.ডি: লেগজিন্টন বুকস। পৃষ্ঠা ২৩–৪। আইএসবিএন ০৭৩৯১০৩৫৬৩
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২। - ↑ ইগার, মোশে (২০০২)। একীভবন ও অপসারন: দক্ষিণ ফিলিপাইন, দক্ষিণ থাইল্যান্ড এবং পশ্চিম বার্মায় মুসলিম সম্প্রদায়। ল্যানহাম, এম.ডি: লেগজিন্টন বুকস। পৃষ্ঠা ২৪। আইএসবিএন ০৭৩৯১০৩৫৬৩
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২। - ↑ মং সান দা (২০০৫)। নৃতাত্ত্বিক কামানদের ইতিহাস (বার্মা)। ইয়াঙ্গুন।
- ↑ (আয়ে চান ২০০৫, পৃ. ৩৯৮-৯)
- ↑ (আয়ে চান ২০০৫, পৃ. ৩৯৯)
- ↑ Buchanan, Francis. "A comparative vocabulary of some of the languages spoken in the Burma Empire" Asiatic Researches 5, no. 1799 (1799): 219-240. Retrieved on 22 February 2024
- ↑ "বাংলাদেশে রাখাইন জনগোষ্ঠী"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২২।
- ↑ "রাখাইন জনগোষ্ঠী যারা মার্মায় কথা বলে"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২২।
- ↑ (আয়ে চান ২০০৫, পৃ. ৪০১)
- ↑ মিন্ট-ইউ ২০০৬: ১৮৫-১৮৭
- ↑ ফিল্ড মার্শাল ভিজকাউন্ট উইলিয়াম স্লিম (২০০৯)। জয়ে পরাজয়: বার্মা এবং ভারতে জাপানের যুদ্ধ, ১৯৪২-১৯৪৫। লন্ডন: প্যান। আইএসবিএন ০৩৩০৫০৯৯৭৭
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। - ↑ কার্ট জনাসন (১৯৯৯)। গণহত্যা এবং মানবাধিকার লংঘণ: তুলনামূলক বিশ্লেষণ। ট্রান্সাকসন পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ২৬৩। আইএসবিএন ০৭৬৫৮০৪১৭৪
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১। - ↑ হাওয়ার্ড এডেলম্যান (২০০৮)। এশিয়ায় দীর্ঘায়িত বাস্তুচ্যুতি: নিজের দেশ বলার কোনো জায়গা নেই। অ্যাশগেট পাবলিশিং, লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৮৬। আইএসবিএন ০৭৫৪৬৭২৩৮৭
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১। - ↑ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (সংস্হা) (২০০০)। বার্মা/বাংলাদেশ: বাংলাদেশে বার্মার শরণার্থীরা: এখনো কোনো স্হায়ী সমাধান নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পৃষ্ঠা ৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ এশিয়ার প্রোফাইল, অধ্যায় ২১। এশিয়ান গবেষণা সার্ভিস। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৩১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা
- ↑ মোশাহিদা সুলতানা রিতু (১২ জুলাই ২০১২)। "মিয়ানমারে ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার ওপর দমন"। নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১২।
- ↑ হানা হিন্ডস্ট্রম (২৫ জুলাই ২০১২)। "বার্মার বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারকদের মুসলমানদের পরিহার করার আহবান"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
- ↑ হানা হিন্ডস্ট্রম (জুন ১৪ ২০১২)। "ঘৃণার স্বাধীনতা"। ফরেইন পলিসি। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ কার্ল আর. দিরউন, ইউকে হো (২০০৭)। বিশ্বের বেসামরিক যুদ্ধ: ২য় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান সংঘর্ষসমূহII। এবিসি-সিলিও। পৃষ্ঠা ৫৩০। আইএসবিএন ১৮৫১০৯৯১৯০
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১১। - ↑ "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় চারজন নিহত : সরকার"। রয়টার্স। জুন ৮, ২০১২। ১৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১২।
- ↑ "আই.এস.ও ৬৩৯ কোড টেবিল - এস.আই.এল আন্তর্জাতিক জাতি"। ১৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ "Rohingya Face Health Care Bias in Parts of Asia, Study Finds"। The New York Times। ৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ name="Mahmood, Wroe, Fuller, Leaning 2016">Mahmood; Wroe; Fuller; Leaning (২০১৬)। "The Rohingya people of Myanmar: health, human rights, and identity" (fee required)। Lancet: 1–10। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(16)00646-2। পিএমআইডি 27916235।
- ↑ মার্ক ডামিট (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ"। বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ "বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা"। এএফপি। ২৫ জুন ২০১২। ১৮ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ জোনাথন হেড (৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "কী রোহিঙ্গাদের সাগরে ধাবিত করে"। বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১২।
- ↑ Crisis Group 2014, পৃ. 19।
- ↑ Amnesty International (২০০৪)। "Myanmar – The Rohingya Minority: Fundamental Rights Denied"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "UNHCR threatens to wind up Bangladesh operations"। New Age BDNEWS, Dhaka। ২১ মে ২০০৫। ২৫ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Head, Jonathan (১ জুলাই ২০১৩)। "The unending plight of Burma's unwanted Rohingyas"। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Dummett, Mark (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Asia-Pacific | Burmese exiles in desperate conditions"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Kompas - VirtualNEWSPAPER"। Epaper.kompas.com। ২০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Rivers, Dan (12 February 2009). Thai PM admits boat people pushed out to sea. CNN.
- ↑ Myanmar - রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু: মৌলিক অধিকার হরণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে, যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ২০০৪
- ↑ Press Trust of India (২৯ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Myanmar to repatriate 9,000 Muslim refugees from B'desh"। Zee News।
- ↑ Staff Correspondent (৩০ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Myanmar to take back 9,000 Rohingyas soon"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ "Myanmar to 'take back' Rohingya refugees"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৬ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ Ahmed, Akbar; Akins, Harrison (১ ডিসেম্বর ২০১১)। "Little help for the persecuted Rohingya of Burma"। The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "No registration for 'Rohingya' in Myanmar census"। The Hindu। Chennai, India। ৩০ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "Burma census bans people registering as Rohingya"। BBC News। ৩০ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Marcos, Cristina (৭ মে ২০১৪)। "House passes resolution pressuring Burmese government to end genocide"। The Hill। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৪।
- ↑ "H.Res. 418 - Summary"। United States Congress। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৪।
- ↑ "Campaigns of violence towards Rohingya are highly organised and genocidal in intent"। Queen Mary University of London। ২৯ অক্টোবর ২০১৫। ৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Mandel, Seth। "The Cautionary Tale of Samantha Power"। Commentary Magazine। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৭।
Rohingya, an ethnic Muslim minority currently being subjected to an unmistakable genocide
- ↑ "The most persecuted people on Earth?"। The Economist। ১৩ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫।
- ↑ Ghosh, Nirma l। "Genocide 'not the issue' in Myanmar"। The Strait Times। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা ( এ.আর.এন.ও ) (ইংরেজি)
- রোহিঙ্গা সুইডিস সংস্থা (আর.এস.এ) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে (সুয়েডীয়)