কিম ইল-সাং
কিম ইল-সাং (কোরীয়: 김일성, প্রতিবর্ণীকৃত: 金日成) (জন্ম- ১৫ এপ্রিল ১৯১২- মৃত্যু ৮ জুলাই ১৯৯৪) ছিলেন গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার সাবেক নেতা। তিন দেশটিকে এর প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল এবং ১৯৭২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।[১] তিনি কোরীয় ওয়ার্কার্স পার্টিরও নেতা ছিলেন ১৯৪৯ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত। তিনি ১৯৫০ সালে সমগ্র উপদ্বীপ অধিকারে আনার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন কিন্তু পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের ফলে যাতে তিনি সফল হতে পারেননা। মাঝে মাঝে কোরীয় গৃহযুদ্ধ নামে পরিচিত কোরীয় যুদ্ধ, তিন বছর চলার পর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২৫ লাখ বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পর ২৭ জুলাই ১৯৫৩-তে শেষ হয়। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে আজও যার সমাপ্ত হয়নি বলে ধরা হয়।
কোরীয় নাম | |
হাঙ্গুল | 김일성 |
---|---|
হাঞ্জা | 金日成 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | গিম ইল সেওং |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | কিম ইলসোং |
জন্মের নাম | |
হাঙ্গুল | 김성주 |
হাঞ্জা | 金姓主 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Gim Seong-ju |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Kim Sŏngchu |
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার অধিকার প্রয়োগ অনেক সময়-ই স্বৈরাচার হিসেবে বর্ণিত হয়, তিনি সর্বব্যাপী নিজেকে আর্চনীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তার দায়িত্ব পালনের সময়, ৬ জন দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রপতি, ৭ জন সোভিয়েত রাষ্ট্রনায়ক, ১০ জন মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ১০ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ২১ জন জাপানী প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদল করে দায়িত্ব পালন করেছে। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র দায়িত্ব গ্রহণ করে। উত্তর কোরীয় সরকার কিম ইল সাংকে মৃত্যুর পর “মহান নেতা” (কোরীয়: 위대한 수령 ওয়িডিহেং সোরিয়াং) হিসেবে ঘোষণা করে এবং ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮-এ তাকে উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের শাশ্বত রাষ্ট্রপতি হিসবে ভূষিত করা হয়। তার জন্মদিন অর্থাৎ ১৫-ই এপ্রিল দেশটিতে সাধারণ ছুটি এবং এই দিবসটির নামকরণ করা হয় সূর্যের দিন।[২] দিবসটি নানাভাবে পালন করা হয়।
চিত্রসম্ভার
সম্পাদনা-
১৯৪৬ সালে কিম
-
১৯৭১ সালে রোমানীয় রাষ্ট্রপতির সাথে
-
কিম পরিবার
-
ম্যানসুদা স্মৃতিস্তম্ভ। কিম ইল-সাং ও তার পুত্র কিম জং-ইল।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "김일성, 쿠바의 '혁명영웅' 체게바라를 만난 날"। দৈনিক উত্তর কোরিয়া (কোরীয় ভাষায়)। ১৫ এপ্রিল ২০০৮।
- ↑ "Congratulations to supreme leader on Day of the Sun"। পিয়ংইয়ং টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি। ২১ এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Nicolae Ceausescu's visit to Pyongyang, North Korea in 1971.
- "Conversations with Kim Il Sung," Wilson Center Digital Archive.
- Kumsusan Memorial Palace – Kim Il-Sungs Mausoleum
- Kim's resting place
- North Korea Uncovered, (North Korea Google Earth)
- Korean Unification Studies
- North Korean International Documentation Project (NKIDP)
- A State of Mind, a documentary movie by Daniel Gordon, chronicles everyday life in North Korea in 2003
- Nothing to Envy: Ordinary Lives in North Korea, a book by Barbara Demick
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
নতুন পদবী | গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ১৯৪৯-১৯৪২ |
উত্তরসূরী কিম ইল (প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) |
পূর্বসূরী চয় ইয়ং-কুন |
গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী (৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮-এ শাশ্বত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা ১৯৭২–১৯৯৪ |
উত্তরসূরী ইয়াং হায়ং-সোপ |
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
নতুন পদবী | কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান ১৯৪৯–১৯৬৬ |
নিজেকে সাধারণ-সম্পাদক করন |
কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান ১৯৫০–১৯৯৪ |
উত্তরসূরী কিম জং ইল ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খালি ছিল | |
কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ১৯৬৬–১৯৯৪ | ||
সামরিক দপ্তর | ||
নতুন পদবী | কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ অধিনায়ক ১৯৪৮–১৯৯১ |
উত্তরসূরী কিম জং ইল |
|PLACE OF BIRTH=পিয়ং ইয়ং, উত্তর কোরিয়া |DATE OF DEATH=৮ জুলাই ১৯৯৪ |PLACE OF DEATH=পিয়ং ইয়ং, উত্তর কোরিয়া }}