উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা (কোরীয়: 최고령도자; এমআর: ch'oeko ryŏngdoja) হলেন কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি (ডব্লিউপিকে), রাষ্ট্র এবং সামরিক বাহিনীর কার্যত সর্বপ্রধান নেতা।
দৃষ্টিপাত
সম্পাদনাউপাধিটিকে একটি পৃথক পদ হিসাবে জাতীয় সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়নি, তবে বর্তমানে বলা হয় যে রাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদের সভাপতি হলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। একইভাবে, ডব্লিউপিকে-এর সনদ অনুযায়ী ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদক দলটির সর্বোচ্চ নেতা। পূর্বে কিম জং-ইলের অধীনে এই উপাধিটি জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের সভাপতির পদে ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য, তিনি ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার অস্তিত্বের পূর্বে রাষ্ট্রের প্রথম নেতা ছিলেন তেরেন্তি শিতিকভ, যিনি সোভিয়েত বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এটি সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত শাসন কর্তৃপক্ষ ছিল যা ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কোরিয়ার উত্তর-অর্ধাংশ শাসন করে।[১]
সর্বোচ্চ নেতার প্রথম অগ্রাধিকার ভিত্তিক রাজনৈতিক অবস্থান হলো ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব।[২] সেই পদটি ১৯৪৮ সালে গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (ডিপিআরকে) প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সভাপতি, ১৯৬৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রথম সচিব, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুনরায় সভাপতি এবং ২০২১ সাল থেকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক উপাধি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রচার কর্মীরা ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিক থেকে কিম ইল-সাংকে সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে ডাকতে শুরু করে এবং শব্দটি তখন থেকে এখন অবধি কিম জং-ইল এবং কিম জং-উনের অবস্থান বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সাধারণত কিম ইল-সাং এবং কিম জং-ইল উভয়কেই নেতা হিসাবে তাঁদের স্ব-স্ব মেয়াদকালে যথাক্রমে "মহান নেতা" (위대한 수령) এবং "প্রিয় নেতা" (친애하는 령도자) হিসাবে উল্লেখ করা হতো।
তালিকা
সম্পাদনাপ্রতিকৃতি | নাম | উপাধি | সময়কাল | মেয়াদ | আদর্শিক অবদান |
---|---|---|---|---|---|
কিম ইল-সাং 김일성 (১৯১২–১৯৯৪) |
ডিপিআরকে-এর মন্ত্রিপরিষদের প্রধানমন্ত্রী | ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ – ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭২ | ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ – ৮ জুলাই ১৯৯৪ | জুচে | |
ডব্লিউপিকে-এর সভাপতি | ২৪ জুন ১৯৪৯ – ১২ অক্টোবর ১৯৬৬ | ||||
ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদক | ১২ অক্টোবর ১৯৬৬ – ৮ জুলাই ১৯৯৪ | ||||
ডিপিআরকে-এর রাষ্ট্রপতি | ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭২ – ৮ জুলাই ১৯৯৪ | ||||
কিম জং-ইল 김정일 (১৯৪১–২০১১) |
ডিপিআরকে-এর জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি | ৯ এপ্রিল ১৯৯৩ – ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৯ এপ্রিল ১৯৯৩ – ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | কিমইলসাংবাদ সোংগুন দশ নীতি | |
ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদক | ৮ অক্টোবর ১৯৯৭ – ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ||||
কিম জং-উন 김정은 (জন্ম ১৯৮২) |
ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদক | ১১ এপ্রিল ২০১১ – ৯ মে ২০১১ | ১১ এপ্রিল ২০১২ – বর্তমান | কিমইলসাংবাদ–কিমজংইলবাদ বিউংজিন | |
ডিপিআরকে-এর জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রথম সভাপতি | ১৩ এপ্রিল ২০১২ – ২৯ জুন ২০১৬ | ||||
ডব্লিউপিকে-এর সভাপতি | ৯ মে ২০১৬ – ১০ জানুয়ারি ২০২১ | ||||
ডিপিআরকে-এর রাষ্ট্র বিষয়ক পরিষদের সভাপতি | ২৯ জুন ২০১৬ – বর্তমান | ||||
ডব্লিউপিকে-এর সাধারণ সম্পাদক | ১০ জানুয়ারি ২০২১ – বর্তমান |
- মোটা দাগে দাগানো পদগুলো উত্তর কোরিয়ার অন্যান্য ক্ষমতাসীন দল কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির সর্বোচ্চ অবস্থানকে নির্দেশ করে।
রূপরেখা
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;SCANK
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Supreme Leader Kim Jong Un Cuts Tape for Completion of Sunchon Phosphatic Fertilizer Factory"। Kim Il-sung University। Korean Central News Agency (KCNA)। ২ মে ২০২০। ১৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২০।
Kim Jong Un, chairman of the Workers' Party of Korea (WPK), chairman of the State Affairs Commission of the Democratic People's Republic of Korea and supreme commander of the armed forces of the DPRK, attended the ceremony.