কালিদাস (চলচ্চিত্র)
কালিদাস[১] হল ১৯৩১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় তামিল- ও তেলুগু-ভাষার জীবনীমূলক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন এইচ. এম. রেড্ডি ও প্রযোজনা করেন আরদেশির ইরানি। এটিই তামিল ও তেলুগু ভাষা, তথা কোনও দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় নির্মিত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র। সংস্কৃত কবি কালিদাসের জীবনীনির্ভর এই ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন পি. জি. বেঙ্কটেশন এবং নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন টি. পি. রাজলক্ষ্মী; অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এল. ভি. প্রসাদ, তেবরম রাজমবল, টি. সুশীলা দেবী, জে. সুশীলা ও এম. এস. সন্তানলক্ষ্মী।
কালিদাস | |
---|---|
পরিচালক | এইচ. এম. রেড্ডি |
প্রযোজক | আরদেশির ইরানি |
শ্রেষ্ঠাংশে | টি. পি. রাজলক্ষ্মী পি. জি. বেঙ্কটেশন |
প্রযোজনা কোম্পানি | ইমপিরিয়াল মুভি-টোন |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল তেলুগু |
কালিদাস ছবিটি প্রধানত তামিল ভাষাতেই নির্মিত হয়েছিল। অতিরিক্ত কিছু সংলাপ ছিল তেলুগু ও হিন্দি ভাষায়। রাজলক্ষ্মী তামিলেই সংলাপ বলেন, কিন্তু বেঙ্কটেশন তামিলে সাবলীল না হওয়ায় শুধু তেলুগুতে সংলাপ বলেন, এবং প্রসাদ শুধুই হিন্দিতে বলেন। এই ছবির বিষয়বস্তু পৌরাণিক হলেও ছবির গানগুলিতে অনেক পরিবর্তীকালের কথা ধৃত হয়েছে। যেমন কর্ণাটকী সংগীতজ্ঞ ত্যাগরাজের গান, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রচারমূলক গান এবং মহাত্মা গান্ধী ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-বিষয়ক গানও। জার্মান-নির্মিত প্রযুক্তিতে ছবির শব্দ রেকর্ড করা হয়েছিল। কালিদাস ছবির শ্যুটিং হয়েছিল বোম্বাই শহরে, ভারতের প্রথম সবাক ছবি আলম আরা-র (১৯৩১) সেটে এবং ছবির কাজ শেষ হয়েছিল আট দিনের মধ্যে।
অনেক উচ্চাশা নিয়ে ১৯৩১ সালের ৩১ অক্টোবর দীপাবলির দিন কালিদাস মুক্তি পায়। এটিই ছিল সেই বছর প্রযোজিত ও মুক্তি পাওয়া একমাত্র দক্ষিণ ভারতীয় ছবি। অসংখ্য প্রযুক্তিগত খুঁত থাকা সত্ত্বেও ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা উচ্চ প্রশংসিত হয়। বিশেষ প্রশংসা লাভ করে রাজলক্ষ্মীর গাওয়া গানগুলি। সেই সঙ্গে ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যও অর্জন করে। কালিদাস ছবির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কালিদাসের জীবনভিত্তিক আরও ছবি পরে নির্মিত হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে মহাকবি কালিদাস (১৯৫৫), মহাকবি কালিদাসু (১৯৬০) ও মহাকবি কালিদাস ছবিগুলির নাম বিশেষভাবে উল্লেখনীয়।
বাণিজ্যিক সাফল্য ছাড়াও কালিদাস ছবিটি রাজলক্ষ্মীর কর্মজীবনেও একটি প্রধান সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ছবির জন্যই তিনি এক বাণিজ্যসফল সংগীতশিল্পী হতে পেরেছিলেন। তবে এই ছবির কোনও প্রিন্ট, গ্রামোফোন রেকর্ড বা গানের বই আর পাওয়া যায় না। তাই এটিকে হারানো চলচ্চিত্র মনে করা হয়।
কাহিনি-সারাংশ
সম্পাদনাতেজবতীর রাজা বিজয়বর্মণের কন্যা বিদ্যাধরী। বিজয়বর্মণের মন্ত্রী নিজের পুত্রের সঙ্গে রাজকন্যার বিবাহের প্রস্তাব রাখলে রাজকুমারী তা প্রত্যাখ্যান করেন। মনক্ষুন্ন মন্ত্রী বিদ্যাধরীর জন্য অপর এক উপযুক্ত পাত্রের সন্ধানে বের হন। বনের মধ্যে তিনি দেখতে পান, এক নিরক্ষর রাখাল একটি গাছের ডালের বসে সেই ডালটিরই গোড়া কাটছে। মন্ত্রী সেই রাখালকে বুঝিয়ে রাজপ্রসাদে নিয়ে আসেন এবং বিদ্যাধরীকে রাজি করান তাকেই বিয়ে করার জন্য। বিদ্যাধরী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং যাকে বিবাহ করেছেন সে আসলে একজন চাষী। তখন তিনি দেবী কালীর কাছে এর প্রতিকার প্রার্থনা করেন। কালী আবির্ভূতা হয়ে রাখালের নামকরণ করেন ‘কালিদাস’ এবং তাকে অসামাধ্য সাহিত্যপ্রতিভার বর প্রদান করেন।[২]
কলাকুশলী
সম্পাদনা- টি. পি. রাজলক্ষ্মী - বিদ্যাধরী
- পি. জি. বেঙ্কটেশন - কালিদাস
- এল. ভি. প্রসাদ – মন্দিরের পুরোহিত
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন তেবরম রাজমবল, টি. সুশীলা দেবী, জে. সুশীলা ও এম. এস. সন্তানলক্ষ্মী।[৩]
প্রযোজনা
সম্পাদনাভারতের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র আলম আরা-র (১৯৩১) সাফল্যের পর সেই ছবির পরিচালক আরদেশির ইরানি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।[৪] সেই বছরই তিনি নিজের প্রাক্তন সহকারী এইচ. এম. রেড্ডিকে বেছে নেন[৫] প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় সবাক ছবিটি পরিচালনা করার জন্য। এই ছবিটিই ছিল সংস্কৃত কবি ও নাট্যকার কালিদাসের জীবননির্ভর[৪][ক] প্রথম তামিল-তেলুগু চলচ্চিত্র কালিদাস,[খ] ইরানি ইমপিরিয়াল মুভি-টোনের অধীনে ছবিটি প্রযোজনা করেন।[১১][১২] পি. জি. বেঙ্কটেশন নামভূমিকায় অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হন।[১৩] এল. ভি. প্রসাদ (পরবর্তীকালে প্রসাদ স্টুডিওজের প্রতিষ্ঠাতা) মন্দিরের পুরোহিতের চরিত্রে এক কৌতুকাভিনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১৪][১৫] নাট্যশিল্পী টি. পি. রাজলক্ষ্মী নির্বাচিত হন নায়িকার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য।[১৬] চলচ্চিত্র-ইতিহাসবিদ র্যান্ডর গাইয়ের মতে, তিনি ছিলেন "নায়িকার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য স্বাভাবিক পছন্দ"।[১৭] এর আগে রাজলক্ষ্মী অনেকগুলি নির্বাক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন; কালিদাস ছবির মাধ্যমেই তিনি প্রথম সবাক ছবির জগতে আসেন।[১৮] অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন তেবরম রাজমবল, টি. সুশীলা দেবী, জে. সুশীলা ও এম. এস. সন্তানলক্ষ্মী।[৩][১৯] জার্মান যন্ত্রবিদেরা জার্মানিতে নির্মিত যন্ত্রে এই ছবির শব্দ রেকর্ড করেন।[২০][২১] কালিদাস ছবির শ্যুটিং হয়েছিল বোম্বাই (অধুনা মুম্বই) শহরে আলম আরা ছবির সেটেই।[২২][২৩] ছবির কাজ শেষ হয়েছিল আটদিনে।[২৪] ছবিটি তুলতে ফিল্মের দরকার হয়েছিল হয় ৬,০০০ ফুট (১,৮০০ মি) নয়তো ১০,০০০ ফুট (৩,০০০ মি) (সূত্রের মতভেদ অনুযায়ী)।[গ] চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ ফিল্ম নিউজ আনন্দন বলেছেন যে, কালিদাস ছবিটি "তাড়াহুড়ো করে প্রযোজনা করা হয়েছিল এবং [এই ছবিতে] প্রযুক্তিগত খুঁত ছিল।"[১২]
কালিদাস ছবির প্রাথমিক ভাষা তামিল হলেও[২৮] এই ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তামিল (রাজলক্ষ্মী), তেলুগু (বেঙ্কটেশন) ও হিন্দি (প্রসাদ) সহ বিভিন্ন ভাষায় সংলাপ বলেছেন।[১৪] বেঙ্কটেশনের মাতৃভাষা ছিল তেলুগু; তিনি তামিল ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারতেন না। তাই বেঙ্কটেশনের সংলাপগুলি তেলুগুতেই রাখা হয়েছিল।[১৪] গাইয়ের মতে, জার্মান শব্দগ্রহণ যন্ত্র তামিল ভাষা রেকর্ড করতে সক্ষম কিনা সে ব্যাপারে ইরানি প্রথমে অনিশ্চিত ছিলেন। সংশয় উপশমের জন্য, তিনি কয়েকজন অভিনেতাকে তামিলে সংলাপ বলতে ও গান গাইতে বলেছিলেন এবং বেঙ্কটেশনকে তেলুগুতে সংলাপ বলতে বলেন। এই যন্ত্র যেহেতু ইতিপূর্বেই হিন্দি রেকর্ড করেছিল, সেই কারণে তিনি অন্যান্য অভিনেতাদের সেই ভাষাতেই সংলাপ বলতে বলেন। যন্ত্রটি অবশ্য প্রত্যেকটি ভাষাই স্পষ্টভাবে রেকর্ড করে।[২০] বিভিন্ন ভাষার ব্যবহারের কারণে ফিল্ম নিউজ আনন্দন,[১২] বার্গিট মেয়ের[২৯] ও গাই সহ একাধিক গবেষক এই ছবিটিকে প্রথম তামিল সবাক চলচ্চিত্র আখ্যা দেওয়ার পক্ষপাতী নন। গাই বরং বলেন যে এটি ভারতের প্রথম বহুভাষিক ছবি।[৩০] ২০১০ সালে প্রকাশিত সিনেমাজ অফ সাউথ ইন্ডিয়া: কালচার, রেজিস্টেন্স, আইডিওলজি গ্রন্থে সৌম্য দেচাম্মা এই ছবিতে তেলুগু সংলাপ ব্যবহারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন "দক্ষিণ ভারতের দুই গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় বাজার ধরার জন্য ছবিটির গুরুত্ব বৃদ্ধির প্রয়াস"।[৩১]
সংগীত
সম্পাদনাকালিদাস ছবিতে ভাস্কর দাস রচিত ও সুরারোপিত পঞ্চাশটি গান ব্যবহৃত হয়েছিল।[৩২][৩৩] চলচ্চিত্র-ইতিহাসবিদ এস. থিওডোর বাস্করন ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত দি আই অফ দ্য সার্পেন্ট: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু তামিল সিনেমা গ্রন্থে বলেছেন যে, সব ক’টি গানই ছিল তামিল ভাষায়।[২৮] বার্গিট মেয়ের ২০০৯ সালে প্রকাশিত এস্থেটিক ফর্মেশনস বইতে বাস্করনের মতের বিরোধিতা করে বলেন যে, ছবিটিতে তেলুগু গানও ছিল।[২৯] সিনেমাজ অফ সাউথ ইন্ডিয়া: কালচার, রেজিস্টেন্স, আইডিওলজি গ্রন্থে সৌম্য দেচাম্মাও মেয়েরের মতটিকেই সমর্থন করেন।[৩১]
ছবিটি পুরাণ-ভিত্তিক হলেও এই ছবিতে ব্যবহৃত গানগুলি কালের বিচারে বেমানান। যেমন, কর্ণাটকী সংগীতজ্ঞ ত্যাগরাজের রচনা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রচারমূলক গানগুলি।[১২] ফিল্ম নিউজ আনন্দন বলেছেন যে, রেড্ডি "সম্ভবত যা কিছু শিল্পরুচিসম্মত বোধ করেছিলেন তাই যোগ করে দেন। প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টি তিনি চিন্তাই করেননি।"[১৪] ২০০৮ সালে প্রকাশিত তামিল সিনেমা: দ্য কালচারাল পলিটিকস অফ ইন্ডিয়া’জ আদার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গ্রন্থে সেলবরাজ বেলায়ুতম এবং এস্থেটিক ফর্মেশনস গ্রন্থে বার্গিট মেয়ের মনে করেন যে, এই ছবিতে ব্যবহৃত দেশাত্মবোধক গানগুলির সঙ্গে মূল কাহিনির কোনও সম্পর্কই নেই।[৩৪] অন্যদিকে র্যান্ডর গাই বলেছেন যে সেই যুগে "[চলচ্চিত্রের] ঐতিহাসিক যথার্থতা সংগীতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। [তাই] দেবদেবীরা আধুনিক কবিতা বা দেশাত্মবোধক গান গাইছেন এই দৃশ্য বিরল ছিল না।"[২১] বাস্করন বলেছেন যে, এর দ্বারাই সূচিত হয় যে "সিনেমার সূত্রপাত ঘটেছিল রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার একটি যন্ত্র হিসেবে।"[৩৫]
দেশাত্মবোধক "গান্ধীয়িন কৈ রাট্টিনামে" ("[মহাত্মা] গান্ধী যে চরখা চালান") বা নামান্তরে "রাট্টিনামম… গান্ধী কৈ ভনমাম…" গানটি গেয়েছিলেন টি. পি. রাজলক্ষ্মী।[২০][৩৬] গানটির সঙ্গে কালিদাসের কাহিনির কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ এটি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গান্ধীবাদী প্রতীক চরখার বন্দনা।[৩৭] রাজলক্ষ্মী ছবিতে ত্যাগরাজের দু’টি গান "এনটা নেরচিনা" ও "সুররাগধারা" গেয়েছিলেন। শেষোক্ত গানটি শঙ্করাভরণম রাগে বিন্যস্ত ছিল।[ঘ] রাজলক্ষ্মী কর্তৃক গীত অপর গান "মনমদ বাণমদা" অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। গাই এই জনপ্রিয়তাকে বর্ণনা করেন "নায়িকার প্রতি ভালোবাসার আবেগময় বিস্ফোরণ" হিসেবে।[২০][৩৯] অপর গান "ইন্দিয়ার্গল নম্মবরক্কুল এনো বীন সন্দৈ" গানটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও ভারতবাসীর মধ্যে একতার কথা বলে।[৪০] গাই এই গানটিকে "তামিল চলচ্চিত্রের প্রথম হিট গান" বলে বর্ণনা করেন।[৪১]
মুক্তি
সম্পাদনা১৯৩১ সালের ৩০ অক্টোবর দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনে কালিদাস ছবির মুক্তির কথা জানানো হয়। সেই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল যে, এই ছবিটি "তামিল ও তেলুগু গান-সম্বলিত [এবং] শহরে প্রদর্শিত প্রথম সবাক ছবি"।[৪২] কালিদাস প্রথম প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই শহরের কিনেমা সেন্ট্রালে (অধুনা মুরুগান থিয়েটার)। তারিখটি ছিল ১৯৩১ সালের ৩১ অক্টোবর।[২০] সেই দিন ছিল দীপাবলি; আবার সেই দিনই আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল।[৪২][৪৩]
ছবির রিল যখন মাদ্রাজে আনা হয় তখন হাজার হাজার লোক শহরের সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে সমাবেত হয়েছিল। রিলের বাক্স ওয়াল ট্যাক্স রোড ধরে কিনেমা সেন্ট্রালে নিয়ে যাওয়ার সময় সবাই তার অনুগমন করে, গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছুঁড়তে থাকে, নারকেল ফাটায় এবং ধূপ জ্বালায়।[২১][৪৪] ছবির পোস্টারে লেখা ছিল, তামিল তেলুগু পেসি পাদু পদম ("তামিল তেলুগু কথা-বলা গান-গাওয়া ছবি")।[২১] এর আগেও তামিল ভাষায় একটি সবাক ছবি নির্মাণের চেষ্টা হয়েছিল। সেটি ছিল চার-রিলের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি (এস. থিওডোর বাস্করন এটিকে কোরাতি নৃত্য ও সংগীত বলে শনাক্ত করেছেন)। এই ছবিটিও কালিদাস-এর সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে প্রদর্শিত হয়।[২৮] এই ছবিতে রাজলক্ষ্মী ও জিপসি নর্তকী ঝাঁসি বাই অভিনয় করেছিলেন।[১৩] ২০১৫ সালে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজলক্ষ্মীর কন্যা কমলা বলেছিলেন যে ছবির মুক্তির সময়, "মাদ্রাজের মানুষ থিয়েটারের বাইরে ৪-৫ কিলোমিটার জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকর প্রথম “পেসুম পদম”-এ [রাজলক্ষ্মীর] অভিনয় দেখবে বলে। তুমুল হর্ষধ্বনির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। তার নাম উচ্চারিত হয় রাস্তায় ও অটোরিক্সায় রাখা স্পিকারগুলি থেকে। কারণ সবাক ছবি সেই সময় মানুষের কাছে নতুন ধরনের জিনিস ছিল।"[১৮]
কালিদাস ছবিটি বাণিজ্যিকভাবেও সাফল্য অর্জন করে। ২০১৩ সালে হিন্দু তামিল তিসৈ-এর পরিগণনা অনুযায়ী, ৮,০০০ টাকা (১৯৩১ সালের হিসেবে প্রায় ২,৬৯৩ মার্কিন ডলার) বাজেটে নির্মিত এই ছবিটির মোট লাভ ছিল ৭৫,০০০ টাকা (১৯৩১-এর হিসেবে ২৫.২৫২ মার্কিন ডলার)।[ঙ][৪৫] চিত্র-প্রযোজক ও লেখক জি. ধনঞ্জয়নের মতে, এই ছবিটি সফল হয়েছিল কারণ, "নিজেদের ভাষায় সংলাপ ও গান সহ এক দৃশ্য শ্রাব্য বিষয় দর্শকের কাছে অভিনব ব্যাপার ছিল"।[৩]
১৯৯৭ সালে স্টারলাইট, স্টারব্রাইট: দি আর্লি তামিল সিনেমা গ্রন্থে র্যান্ডর গাই বলেন যে, কালিদাস ছিল একটি "স্থূল পরীক্ষা"। এই ছবিতে অভিনেতাদের ঠোঁটের নড়াচড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না; যখন চরিত্ররা মুখ খুলছিলেন তখন কোনও শব্দ শোনা যাচ্ছিল না, আবার যখন সংলাপ বা গান শোনা যাচ্ছিল তখন শিল্পীদের মুখ বন্ধ থাকছিল। তিনি বলেন যে, জনসাধারণ প্রযুক্তিগত সূক্ষ্মতা নিয়ে মাথা ঘামায়নি এবং দল বেঁধে ছবিটি দেখতে যায়।[৪৬] চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক কল্কি কৃষ্ণমূর্তি আনন্দ বিকাতন পত্রিকার জন্য ছবিটির পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি ছবিতে ব্যবহৃত পোষাকপরিচ্ছদ দেখে সম্ভ্রমপোহত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি রাজলক্ষ্মীর অভিনয় ও নৃত্যের প্রশংসা করলেও গানের সমালোচনা করেন। বলেন যে, রাজলক্ষ্মীর উচিত নিজের স্বরতন্ত্রী সারানোর জন্য ডাক্তার দেখানো। তামিল সংবাদপত্র স্বদেশমিত্রন ছবিটির মুক্তির দুই দিন আগে অর্থাৎ ১৯৩১ সালের ২৯ অক্টোবর এই ছবির এক ইতিবাচক সমালোচনা প্রকাশ করে। তাতে কৃষ্ণমূর্তির মন্তব্যের বিপরীতে সমালোচক রাজলক্ষ্মীর গানেরও প্রশংসা করেছিলেন।[৩৩]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনাকালিদাস ছবির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে শব্দের আগমনের ফলে নাট্যশিল্পীরা দলে দলে সিনেমার দিকে ঝুঁকে পড়েন।[৪৭] কালিদাস ছিল ১৯৩১ সালে প্রযোজিত ও মুক্তিপ্রাপ্ত একমাত্র দক্ষিণ ভারতীয় ছবি।[২০][৪৮] এই ছবির কোনও প্রিন্ট বা গ্রামোফোন রেকর্ড আর পাওয়া যায় না বলে এটিকে হারানো চলচ্চিত্র মনে করা হয়।[১৫][২০] ২০১৪ সালে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছিল যে, ১৯৬৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহালয় প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই এই ছবিটি “ধুলোয় মিশে গিয়েছিল”।[৪৯] শুধু যে জিনিসগুলি পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েকটি স্থিরচিত্র, বিজ্ঞাপন ও গানের বইটির প্রচ্ছদের একটি ছবি।[৯][১২][২০] ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ফিল্ম নিউজ আনন্দন এই ছবির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র সংরক্ষণ করেছিলেন।[৫০]
কালিদাস ছবিটি রাজলক্ষ্মীর কর্মজীবনের মোড়ও ঘুরিয়ে দিয়েছিল।[৫১] এই ছবিতে অভিনয় করেই তিনি এক "লাভজনক সংগীত-তারকা"য় পরিণত হন।[৫২] কালিদাসের জীবনী অবলম্বনে পরবর্তীকালে যে ছবিগুলি নির্মিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: কন্নড় ছবি মহাকবি কালিদাস (১৯৫৫; শ্রেষ্ঠ কন্নড় কাহিনিচিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী),[৫৩] হিন্দি ছবি কবি কালিদাস (১৯৫৯),[৫৪] তেলুগু ছবি মহাকবি কালিদাসু (১৯৬০),[৪][৫৫] তামিল ছবি মহাকবি কালিদাস (১৯৬৬),[৫৬] এবং কন্নড় ছবি কবিরত্ন কালিদাস (১৯৮৩)।[৫৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনা- কীচক বধম, প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় নির্বাক চলচ্চিত্র
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ফরাসি চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ ইভেস থোরাভাল দাবি করেন যে কালিদাস ছিলেন খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর ব্যক্তি।[৬] কিন্তু ইতিহাসবিদ সেলবরাজ বেলায়ুতমের মতে এবং আশিস রাজাধ্যক্ষ ও পল উইলেমেন কৃত এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা-র তথ্য অনুযায়ী, কালিদাস খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর ব্যক্তি ছিলেন[৭] এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা গ্রন্থে এডউইন গেরো লিখেছেন যে, কালিদাস খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর মানুষ ছিলেন।[৮]
- ↑ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মনে করা হত যে, প্রথম তেলুগু সবাক চলচ্চিত্র ভক্ত প্রহ্লাদ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। সেই সূত্রে এই ছবিটিকেই প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় সবাক ছবি মনে করা হত। যদিও চলচ্চিত্র-সাংবাদিক রেন্তল জয়দেব প্রমাণ করেন যে ভক্ত প্রহ্লাদ আসলে মুক্তি পায় ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এই কারণে কালিদাস-ই প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণ ভারতীয় ছবি বলে প্রমাণিত হয়।[৯][১০]
- ↑ শ্রীলঙ্কান ইতিহাসবিদ সাচী শ্রীকণ্ঠের মতে, কালিদাস ছবিতে ১০,০০০ ফুট (৩,০০০ মি) ফিল্ম ব্যবহৃত হয়েছিল।[২৫] অন্যদিকে ফিল্ম নিউজ আনন্দন ২০০৬ সালে দ্য হিন্দু পত্রিকার এম. এল. নরসিংহমকে বলেন যে, এই ছবিতে ব্যবহৃত ফিল্মের পরিমাণ ৬,০০০ ফুট (১,৮০০ মি)।[২৬] যদিও আনন্দনের ২০০৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ সাধনাইগল পদৈথ তামিল তিরৈপদ বরলরু গ্রন্থে চূড়ান্ত দৈর্ঘ্যটি দেওয়া হয় ১০,০০০ ফুট (৩,০০০ মি)।[২৭]
- ↑ দ্য হিন্দু পত্রিকার বি. কোলাপ্পানের মতে প্রথম গানটি রাহ উদয়রবিচন্দ্রিকাতে বিন্যস্ত ছিল।[৩৮] কিন্তু আনন্দ বিকাতন-এর ভি. বালকৃষ্ণনের মতে গানটি হরিকম্ভোজি রাগে আধারিত ছিল।[৩৯]
- ↑ ১৯৩১ সালে বিনিময়ের হার ছিল প্রতি ১ মার্কিন ডলারে (US$) ২.৯৭ ভারতীয় টাকা (₹)।[৫৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ রাজন ১৯৯৭, পৃ. ২।
- ↑ বাস্করন ১৯৯৬, পৃ. ৮৮–৮৯।
- ↑ ক খ গ "তামিল টকিজ কমপ্লিটস ৮০ ইয়ারস টুডে!"। সাইফি। ৩১ অক্টোবর ২০১১। ৫ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ গ নরসিংহম, এম. এল. (১৪ জানুয়ারি ২০১৬)। "ব্লাস্ট ফ্রম দ্য পাস্ট: মহাকবি কালিদাসু (১৯৬০)"। দ্য হিন্দু। ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ পিল্লাই ২০১৫, পৃ. ১০৩।
- ↑ থোরাভাল ২০০০, পৃ. ৩৬।
- ↑ বেলায়ুতম ২০০৮, p. ৩; রাজাধ্যক্ষ & উইলেমেন ১৯৯৮, p. ২৫৪.
- ↑ গেরো, এডউইন। "কালিদাস"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। ১১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ নরসিংহম, এম. এল. (৯ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "ওয়েক আপ, ইন্ডাস্ট্রি"। দ্য হিন্দু। ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "'ভক্ত প্রহ্লাদ': ফার্স্ট তেলুগু টকি কমপ্লিটস ৮১ ইয়ারস"। নিউজ১৮। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। ৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ রাজাধ্যক্ষ ও উইলেমেন ১৯৯৮, পৃ. ২৫৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ফিল্ম নিউজ আনন্দন (১৯৯৮)। "তামিল সিনেমা হিস্ট্রি – দি আর্লি ডেজ (১৯১৬–১৯৩৬)"। Indolink। ১১ জুলাই ২০০০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ রাজাধ্যক্ষ ও উইলেমেন ১৯৯৮, পৃ. ২৫৪।
- ↑ ক খ গ ঘ রঙ্গরাজন, মালতী (১০ মে ২০১২)। "ট্রায়াস্ট উইথ দ্য পাস্ট"। দ্য হিন্দু। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ "টকিং অ্যাবাউট টকিজ"। ডেকান ক্রনিকল। ১৯ জুলাই ২০১৩। ২২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ রামন, মোহন ভি. (২২ জুন ২০১১)। "দ্য রানি অফ সিনেমা"। দ্য হিন্দু। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ গাই, র্যান্ডর (২৭ মার্চ ২০০৯)। "ব্লাস্ট ফ্রম দ্য পাস্ট – মিস কমলা ১৯৩৮"। দ্য হিন্দু। ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ ক খ বালচন্দ্রন, লোগেশ (১৩ আগস্ট ২০১৫)। "তামিল সিনেমা'জ ফার্স্ট হিরোইন – টিপি রাজলক্ষ্মী"। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ বাস্করন ১৯৯৬, পৃ. ৮৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ গাই, র্যান্ডর (নভেম্বর ২০০৬)। "দ্য ফার্স্ট টকিং তামিল পিকচার" (পিডিএফ)। মাদ্রাজ মিউজিংস। পৃষ্ঠা 5। ১ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ভিনসেন্ট, ফেরোজ এল. (২৫ নভেম্বর ২০০৯)। "রোম্যান্সিং দ্য রিল"। দ্য হিন্দু। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ শাস্ত্রী ১৯৯৩, পৃ. ১৫।
- ↑ "দ্য স্টোরি সো ফার ..."। দ্য সানডে ইন্ডিয়ান। ৮ জুলাই ২০১২। ২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ বালভারতী (২০১২)। தமிழ் சினிமா 80 பாகம்-1 [তামিল সিনেমা ৮০ খণ্ড-১] (তামিল ভাষায়)। চেন্নাই: নক্ষীরন পাবলিকেশনস। পৃষ্ঠা ১২। আইএসবিএন 978-93-81828-40-3।
- ↑ শ্রীকণ্ঠ, সাচী। "বুক রিভিউ: আ ভ্যালুয়েবল সোর্স বুক অ্যাবাউট তামিল মুভি হিস্ট্রি"। ইলঙ্কাই তামিল সঙ্গম। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ নরসিংহম, এম. এল. (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬)। "আ লিডার অ্যান্ড আ ভিশনারি"। দ্য হিন্দু। ৮ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ফিল্ম নিউজ আনন্দন (২০০৪)। সাধনাইগল পদৈথ তামিল তিরৈপদ বরলরু [তামিল ফিল্ম হিস্ট্রি অ্যান্ড ইটস অ্যাচিভমেন্টস] (তামিল ভাষায়)। চেন্নাই: শিবগামী পাবলিশার্স। ৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ ক খ গ বাস্করন ১৯৯৬, পৃ. ৮৯।
- ↑ ক খ মেয়ের ২০০৯, পৃ. ৯৭।
- ↑ গাই, র্যান্ডর (অক্টোবর ২০১২)। "তামিল সিনেমা ৭৫ – য় আ লুক ব্যাক" (পিডিএফ)। আন্না নগর টাইমস। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ দেচাম্মা সি. সি. ও প্রকাশ ২০১০, পৃ. ১৩, ভূমিকা।
- ↑ বাস্করন ১৯৯৬, পৃ. ৪২।
- ↑ ক খ নাগরাজন, চোল। "தமிழ் சினிமாவின் முதல் சாதனைப் பெண் : வறுமை துரத்திய ஒரு சாதகப் பறவை!" [তামিল সিনেমার প্রথম সফল নারী: সেই ভরতপক্ষী যিনি দুর্দশা দূর করেন]। কীর্তু (তামিল ভাষায়)। ২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ বেলায়ুতম ২০০৮, p. ১৫৮; মেয়ের ২০০৯, p. ১০৫.
- ↑ লক্ষ্মী, কে. (১২ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "সিনেমা অ্যান্ড পলিটিকস"। দ্য হিন্দু। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ বাস্করন, এস. থিওডোর (৬ জানুয়ারি ২০০২)। "মিউজিক ফর দ্য পিপল"। দ্য হিন্দু। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ বাস্করন ১৯৯৬, p. ৭৫; গোকুলসিং & দিস্সনায়কে ২০১৩, p. ১২৯.
- ↑ কোলাপ্পান, বি. (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "সাউথ ইন্ডিয়া'জ ফার্স্ট হিরোইন স্টর্মড মেল ব্যাটন"। দ্য হিন্দু। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ বালকৃষ্ণন, ভি. (১৮ জুলাই ২০১৫)। "தமிழ் சினிமா முன்னோடிகள்: தமிழ்த் திரை உலகின் முதல் கதாநாயகி டி.பி.ராஜலஷ்மி!" [তামিল সিনেমার বৈশিষ্ট্য: তামিল চলচ্চিত্রের প্রথম নায়িকা, টি. পি. রাজলক্ষ্মী!]। আনন্দ বিকাতন (তামিল ভাষায়)। ৩১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৭।
- ↑ মেয়ের ২০০৯, পৃ. ১০৫।
- ↑ গাউ ১৯৯৭, পৃ. ৫৮।
- ↑ ক খ পূর্বজ, এস. (১ নভেম্বর ২০১৬)। "আ রিল রেভোলিউশন ফ্রম ৮৫ ইয়ারস এগো"। দ্য হিন্দু। ১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ গোকুলসিং ও দিস্সনায়কে ২০১৩, পৃ. ১২৯।
- ↑ কৃষ্ণমাচাক্রি, সুগন্তী (২৫ এপ্রিল ২০০৮)। "সেলেব্রেশনস ... ইন অ্যান্ড অন এআইআর"। দ্য হিন্দু। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "இன்று தமிழின் முதல் பேசும் சினிமா வெளியான நாள்" [আজকের দিনেই প্রথম তামিল সবাক ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল]। হিন্দু তামিল তিসৈ (তামিল ভাষায়)। ৩১ অক্টোবর ২০১৩। ১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ গাই ১৯৯৭, পৃ. ৫৪।
- ↑ বেলায়ুতম ২০০৮, পৃ. ১১৩–১১৪।
- ↑ রঙ্গন, ভরদ্বাজ (১৭ মার্চ ২০১১)। "রোম্যান্সিং দ্য স্ক্রিন"। দ্য হিন্দু। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "In reel time"। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৫।
- ↑ রঙ্গরাজন, মালতী (১২ ডিসেম্বর ২০০২)। "আ পাইয়োনিয়ার স্পিকস ..."। দ্য হিন্দু। ২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ বালচন্দ্রন, লোগেশ (১৮ অক্টোবর ২০১৪)। "ফার্স্ট রানি অফ সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমা"। ডেকান ক্রনিকল। ২০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৫।
- ↑ পটেল, ভাইচাঁদ (৫ এপ্রিল ২০১৫)। "সাউদার্ন সিরেনস"। দি এশিয়ান এজ। ২৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৫।
- ↑ "স্টেট অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিল্মস" (পিডিএফ)। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। ২৮ এপ্রিল ১৯৫৭। ২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ রাজাধ্যক্ষ ও উইলেমেন ১৯৯৮, পৃ. ২০২।
- ↑ "এইটথ ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস"। ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া। পৃষ্ঠা ৩২–৩৩। ১২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৪।
- ↑ গণেশন ও নারায়ণ স্বামী ২০০৭, পৃ. ২৪১।
- ↑ রাজাধ্যক্ষ ও উইলেমেন ১৯৯৮, পৃ. ৪৬০।
- ↑ অফিসার, লরেন্স এইচ. (২০১৫)। "এক্সচেঞ্জ রেটস বিটুইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ডলার অ্যান্ড ফর্টি-ওয়ান কারেন্সিজ"। মেজারিংওয়ার্থ। ৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৫।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- বাস্করন, সুন্দররয়াজ থিওডোর (১৯৯৬)। দি আই অফ দ্য সার্পেন্ট: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু তামিল সিনেমা। ইস্ট ওয়েস্ট বুকস। ওসিএলসি 243920437।
- দেচাম্মা সি. সি., সৌম্য; প্রকাশ, এলাবর্তী সত্য (২০১০)। সিনেমাজ অফ সাউথ ইন্ডিয়া: কালচার, রেজিস্টেন্স, আইডিওলজি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-806795-5।
- গণেশন, শিবাজি; নারায়ণ স্বামী, টি. এস. (২০০৭)। অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান অ্যাক্টর: শিবাজী গণেশন, অক্টোবর ১৯২৮ – জুলাই ২০০১। শিবাজী প্রভু চ্যারিটিজ ট্রাস্ট। ওসিএলসি 297212002। অজানা প্যারামিটার
|orig-date=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - গোকুলসিং, কে. মোতি; দিস্সনায়াকে, বিমল (২০১৩)। "দ্য সিভিল ডিসওবিডিয়েন্স মুভমেন্ট অ্যান্ড সিনেমা"। রটলেজ হ্যান্ডবুক অফ ইন্ডিয়ান সিনেমাজ। রটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-67774-5।
- গাই, র্যান্ডর (১৯৯৭)। স্টারলাইট, স্টারব্রাইট: দি আর্লি তামিল সিনেমা। চেন্নাই: আমরা পাবলিশার্স। ওসিএলসি 52794531।
- মেয়ের, বার্গিট (২০০৯)। এস্থেটিক ফর্মেশনস। প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান। আইএসবিএন 978-0-230-60555-8।
- পিল্লাই, স্বর্ণবেল ঈশ্বরন (২০১৫)। মাদ্রাজ স্টুডিওজ: ন্যারেটিভ, জেনর, অ্যান্ড আইডিওলজি ইন তামিল সিনেমাজ। সেজ পাবলিকেশন। আইএসবিএন 978-93-5150-212-8।
- রাজাধ্যক্ষ, আশিস; উইলেমেন, পল (১৯৯৮)। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 0-19-563579-5। অজানা প্যারামিটার
|orig-date=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - রাজন, চন্দ্র (১৯৯৭)। দ্য কমপ্লিট ওয়ার্কস অফ কালিদাস ভল্যুম ওয়ান: পোয়েমস। সাহিত্য অকাদেমি। আইএসবিএন 978-81-7201-824-5।
- শাস্ত্রী, কে. এন. টি. (১৯৯৩)। এল. ভি. প্রসাদ: আ মনোগ্রাফ। উইলি ইস্টার্ন। আইএসবিএন 978-81-224-0504-0।
- তোরাবল, ইভেস (২০০০)। দ্য সিনেমাজ অফ ইন্ডিয়া। ম্যাকমিলান ইন্ডিয়া। আইএসবিএন 978-0-333-93410-4।
- বেলায়ুতম, সেলবরয়াজ, সম্পাদক (২০০৮)। তামিল সিনেমা: দ্য কালচারাল পলিটিকস অফ ইন্ডিয়া’জ আদার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। রটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-39680-6।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে কালিদাস (ইংরেজি)