এ ফ্রি রাইড
এ ফ্রি রাইড (এ গ্রাস স্যান্ডউইচ নামেও পরিচিত)[১] নির্বাক যুগের গোপনে ধারণকৃত হার্ডকোর পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সবচেয়ে পুরনো হার্ডকোর পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচিত। এই চলচ্চিত্রে একজন গাড়িচালককে দেখানো হয়েছে যিনি রাস্তার পাশে থেকে দুজন নারীকে উঠিয়ে নিয়ে যান অতঃপর তাদের সাথে বেশ কয়েকবার যৌনাচারে লিপ্ত হন। যদিও বেশিরভাগ চলচ্চিত্র বোদ্ধারা এ ফ্রি রাইডকে ১৯১৫ সালের চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচনা করেছেন; তবে কিছু উৎস হতে চলচ্চিত্রটি আরো পরে নির্মাণের দাবি করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন এবং অভিনয়শিল্পীদের নাম অপ্রকাশিত রেখেছেন। চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ণের স্থান সম্পর্কে জানা যায়নি, ধারণা করা হয়, এটি নিউ জার্সিতে নির্মিত হতে পারে। এই ছায়াচিত্রের অভিনয়শিল্পীদের পরিচয় সম্পর্কে দুটি পরস্পরবিরোধী তত্ত্ব রয়েছে: কিছু সূত্রে জানা যায় যে তারা নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ছিলেন, তবে অন্যান্য সূত্র এর বিপরীত দাবি করে। যৌনতাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিনসে ইনস্টিটিউটের সংগ্রহে এই ছায়াছবির একটি মুদ্রণ রয়েছে। ২০০২ সালে নিউ ইয়র্কে মিউজিয়াম অব সেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক গুরুত্বের নিরিখে ২০০৪ সালে নিউ ইয়র্কের শিল্পী লিসা ওপেনহাইম চলচ্চিত্রটির পুনর্নির্মাণ করেন।
এ ফ্রি রাইড | |
---|---|
পরিচালক | "এ ওয়াইজ গাই" |
প্রযোজক | গে পেরি পিকচার কোম্পানি |
শ্রেষ্ঠাংশে | দ্য জ্যাজ গার্লস |
চিত্রগ্রাহক | উইল বি. হার্ড |
মুক্তি | ১৯১৫ |
স্থিতিকাল | ৯ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক চলচ্চিত্র, ইংরেজি, 'ইন্টার টাইটেল' কার্ড |
কাহিনি
সম্পাদনাএ ফ্রি রাইডের শুরু হয় একটি টাইটেল কার্ডে চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট বর্ণনার মাধ্যমে- "একটি প্রশস্ত উম্মুক্ত স্থানে, যেখানে পুরুষরা পুরুষ আর নারীরা হবে নারী, পাহাড়গুলো প্রণয় ও উত্তেজনাকর ঘটনায় পূর্ণ।"
প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় দু'জন নারী পাশাপাশি একসাথে গ্রামীণ রাস্তায় হাঁটছেন। এসময় একজন ধনী পুরুষ মোটর চালক ১৯১২ সালের হেইন্স ৫০-৬০ মডেল ওয়াই[২] গাড়িতে এসে পৌছান এবং নারীদের গাড়িতে চড়ার আমন্ত্রণ জানান। নারীরা কিছুটা দ্বিধায় থাকে, পরে পুরুষটি যখন যথাযথ আচরণ করবে বলে প্রতিজ্ঞা করে তখন নারীরা সামনের সিটে তার পাশে বসে। তবে লোকটি এগিয়ে যাওয়ার আগে তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের চুম্বন এবং আদর করে।
কিছুক্ষণ পর লোকটি গাড়ি থামিয়ে মূত্রত্যাগের জন্য গাছের আড়ালে যান, কিন্তু নারীরা তাকে অনুসরণ করে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুরুষটিকে মূত্রত্যাগ করতে দেখেন। তার ফিরে আসার পর নারীরা প্রস্রাব করার জন্য একই স্থানে যান। পুরুষটি গোপনে নারীদের অনুসরণ করে নারীদের মূত্রত্যাগ করতে দেখেন এবং যৌন উত্তেজিত হন। নারীরা গাড়িতে ফিরে এলে পুরুষটি মদ্যপানের প্রস্তাব দেন এবং নারীরা তা গ্রহণ করে।
লোকটি নারীদের মধ্যে একজনকে তার সাথে রাস্তার পাশের জঙ্গলে যেতে বলে। সেখানে তারা দাঁড়িয়ে একে অপরকে হস্তমৈথুন করে। গাড়িতে থাকা নারী কৌতূহলী হয়ে ওঠেন এবং তাদেরকে বনের মধ্যে অনুসরণ করেন। তাদের দেখে তিনি যৌন উত্তেজিত হন ও স্বমেহন শুরু করেন। ইতিমধ্যে পুরুষ এবং প্রথম নারীটি মিশনারি আসনে যৌনতায় লিপ্ত হন। তারপরেই, দ্বিতীয় নারী তাদের সাথে যোগ দেয় এবং লোকটি দ্বিতীয় নারীর সাথে ডগি স্টাইলে যৌন মিলন করে। পরে, তারা একটি ত্রয়ী যৌনক্রিয়া করে এবং একজন নারী শিশ্ন-মুখমৈথুন করেন। যৌনকাজ শেষ করে তারা গাড়িতে ফিরে গাড়ি চালিয়ে যায়।
নির্মাণ
সম্পাদনাব্রিটিশ লেখক ডেভ থম্পসন, তার ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু: অ্যাডাল্ট সিনেমা ফ্রম ভিক্টোরিয়ান এজ টু ভিসিআর বইয়ে লিখেছেন, একটি সূত্র এ ফ্রি রাইড চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে ডি ডাব্লিউ গ্রিফিথকে কৃতিত্ব দেয়। তবে এই দাবি চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ কেভিন ব্রাউনলো এবং লেখক থম্পসন নিজেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।[৩] এই চলচ্চিত্রের কুশীলবদের পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে (টাইটেল কার্ডে নারী শিল্পীদের 'জ্যাজ গার্লস' উল্লেখ করা হয়েছে)। থম্পসন দাবী করেন যে, এই চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীদের সাথে সমসাময়িক নির্বাক চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের মিল পাওয়া যায়না। এই ছবির অভিনয়শিল্পীর পরিচয় লুকিয়ে রাখতে কলাকুশলীরা জোর চেষ্টা করেছিল; অভিনেতাকে মুখে প্রকান্ড নকল গোঁফ ও টুপি পরানো হয়েছিল, ছবির শেষ দৃশ্যে অভিনেতার মুখ থেকে নকল গোঁফ আলাদা হয়ে যায়, তখন গোঁফটি আবার না লাগানো পর্যন্ত পর্যন্ত তিনি মুখ লুকিয়ে রাখেন। থম্পসন কয়েকটি "নৈমিত্তিক ইতিহাস"-এর সূত্র ধরে বর্ণনা করেছেন যে সেসময়ে গৃহহীন, মাদকসেবী, মানসিকভাবে অসুস্থ, যৌনকর্মী এবং ছোট অপরাধীদের পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নেয়া হতো। থম্পসন যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই দাবির পেছনে কোনও শক্ত নথিপ্রমাণ নেই। তারমতে এই চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীরা সম্ভবত সামাজিকভাবে ভাল অবস্থানে ছিলেন।[৪]
এ ফ্রি রাইড স্টুডিও'র বাইরে চিত্রায়িত হয়েছে।[৫] সাংস্কৃতিক ইতিহাসবিদ জোসেফ ডাব্লিউ স্লেডের মতে- একটি কিংবদন্তি রয়েছে যে এটির চিত্রগ্রহণ নিউজার্সিতে করা হয়েছিল।[১] আল ডি লরো, জেরাল্ড রাবকিন[৬] এবং জোনাথন রস[৭] সহ বেশিরভাগ পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে ছবিটি ১৯১৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র।[২][৮] লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের কলাম লেখক জে জোন্স উল্লেখ করেছেন যে এ ফ্রি রাইড বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত প্রথম পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়।[৯]
চলচ্চিত্রটির নির্মাণকাল নিয়ে বেশকিছু বিতর্ক রয়েছে। কিনসে ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অব সেক্স, জেন্ডার এন্ড রিপ্রোডাকশন ধারণা করে, চলচ্চিত্রটি ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।[১০] চলচ্চিত্র বোদ্ধা লিন্ডা উইলিয়ামসের মতে, এ ফ্রি রাইড-এর সবচেয়ে পুরনো টিকে থাকা আমেরিকান 'স্টাগ' বা গোপনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র হওয়ার বিষয়টি "সন্দেহজনক"।[১১] কেভিন ব্রাউনলো তার বিহাইন্ড মাস্ক অফ ইনোসেন্স বইয়ে এ চলচ্চিত্রের নির্মাণকাল নিয়ে লিখেছেন- "ফ্যাশনের দিক থেকে বিচার করা হলে, চলচ্চিত্রটি আসলে ১৯২৩ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল"।[১২] থম্পসনের মতে চলচ্চিত্রটি ১৯২৩ সালে নির্মাণের তারিখকে সমর্থন করার জন্য যে প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে তা অমূলক, তবে তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে কেউ কেউ ব্রাউনলোর এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়েছেন। চলচ্চিত্রটি ১৯২৩ সালে নির্মাণের সপক্ষে প্রমাণ সরূপ একজন নারীর কেশশৈলীর উদাহরণ টানা হয়েছে। চলচ্চিত্রে ঐ নারীর কেশশৈলী ম্যারি পিকফোর্ডের সাথে মিলে যায়। উল্লেখ্য, মেরি পিকফোর্ড ১৯২০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রে আধিপত্য বিস্তারকারী অভিনেত্রী ছিলেন। একদল চলচ্চিত্র বোদ্ধা দাবি করেন, নারীটি পিকফোর্ড স্টাইলের পরচুলা পরেছিল। তবে থম্পসন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পিকফোর্ড স্টাইলের চুল ১৯১০-এর দশকে জনপ্রিয় হয়েছিল, এক্ষেত্রে তিনি ফোটোপ্লে ম্যাগাজিনে ১৯১৪ সালে ম্যারি পিকফোর্ডের উদ্ধৃতি দেন। এ সাক্ষাত্কারে পিকফোর্ড বলেছিলেন যে তার কাছে তার কেশশৈলী সম্পর্কে জানতে চেয়ে অনেক চিঠি আসছে চিঠিগুলির কারণে তিনি ক্লান্ত বোধ করেছিলেন। চলচ্চিত্রে নারীটি পরচুলা পরেছিলেন- এমন দাবী নিয়েও থম্পসন বিতর্ক করেছিলেন।[৫]
মুক্তি
সম্পাদনাএ ফ্রি রাইড ১৯১৫ সালে প্রথম নির্ধারিত এক শ্রেনীর দর্শকদের দেখানো হয়েছিল।[১৩] তৎকালীন সমসাময়িক সমাজের ভিক্টোরিয়ান নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রেক্ষাগৃহে এ ধরনের চলচ্চিত্রের প্রদর্শন সম্ভব ছিল না।[১৪] সেই যুগের অন্যান্য অশ্লীল চলচ্চিত্রগুলির মতো সেন্সর এড়ানোর জন্য এ ফ্রি রাইড চলচ্চিত্রটি গোপনে মুক্তি ও প্রদর্শন হয়েছিল।[১৫] এটি সম্ভবত পতিতালয়, ভদ্রলোকদের ক্লাব, জনসাধারণের জায়গায় পুরুষদের জমায়েত করে অবৈধভাবে [১৬], পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র দেখার গোপন পার্টি ও[১৭] অন্যান্য নারীবিহীন স্থানগুলিতে দেখানো হয়েছিল।[১৮] চলচ্চিত্রটি সমাজ এবং সরকার থেকে গোপন রাখা হয়েছিল।
বিশ্লেষণ
সম্পাদনাউইলিয়ামসের মতে, এ ফ্রি রাইড হ'ল প্রাথমিক অশ্লীল চলচ্চিত্র ধারার একটি 'টাইপোলজিকাল' প্রতিনিধি, যেটাতে 'ভায়োরিজম' অন্তর্ভুক্ত।[১৯] এই ছায়াছবিতে যৌনমিলন, শিশ্ন-মুখমৈথুন, 'ট্রইলিজম' এবং 'ইউরোলাগনিয়া' দেখানো হয়েছে।[২০] আর্জেন্টিনার এল স্যাতারিও (১৯০৭-১৫) ও জার্মানীর পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র এম এবেন্ড (১৯১০)-এর মতই এ ফ্রি রাইড চলচ্চিত্রটি সহজ বর্ণনামূলক ফ্রেম দিয়ে শুরু হয়, অতঃপর এতে প্রচলিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের লক্ষণ প্রকাশিত হয়, অবশেষে এটি খন্ডাকারে হার্ডকোর পর্নোগ্রাফির প্রদর্শন করে।[২১] লেখক লরেন্স ও'টুলি এ ফ্রি রাইডকে বর্ণনা করেছেন "ঝাঁকুনিপূর্ণ ক্যামেরার কাজ ও বিশৃংখল সম্পাদনার গোলমেলে কর্ম" হিসেবে।[২২] তথাপি, ১৯১০-এর দশকের অন্যান্য 'স্ট্যাগ' বা গোপনে ধারণ করা চলচ্চিত্রগুলির মতো, এই চলচ্চিত্রটি অ-বাণিজ্যিক পর্নোগ্রাফির চেয়ে উচ্চ মানের।[১৪]
সাংবাদিক লুক ফোর্ডের মতে এ ফ্রি রাইডে গল্পের চেয়ে যৌনতাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।[২৩] চলচ্চিত্রের শুরুতে কলাকুশলীদের নাম কৌতুকের ছলে প্রকাশ করা হয়েছে, যেমন- পরিচালনায় 'এ অয়াইজ গাই' (একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি), চিত্রগ্রহণে 'উইল বি. হার্ড' (কঠিন হবে),এবং টাইটেল লিখনে 'উইল শি'(নারী হবে?)[৫] উইলিয়ামস এটাকে 'অদ্ভুত রসিকতা' হিসেবে বর্ণনা করেছেন' এবং দাবী করেছেন, এ ধরনের রসিকতা সে সময়ের স্ট্যাগ বা গোপনে ধারণ করা চলচ্চিত্রে প্রচলিত ব্যাপার ছিল।[১৯] বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্ক এ. হফম্যান লিখেছেন যে চলচ্চিত্রটির প্রযোজনার মান এই ইঙ্গিত দেয় যে, এ ফ্রি রাইড নির্মাণের আগেও 'স্টাগ' ছায়াছবি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছিল।[২৪] ও'টুল লিখেছেন যে এ ফ্রি রাইডের মতো প্রাথমিক উপাদান বিশিষ্ট 'স্টাগ' চলচ্চিত্র অচিরেই "সীমাবদ্ধ দৃশ্য অভিজ্ঞতায় দৃঢ় হয়ে উঠেছে"।[২২]
হফম্যানের দৃষ্ঠিতে এ ফ্রি রাইডে অনেকগুলি মৌলিক উপাদান রয়েছে যা একটি প্রত্নতাত্ত্বিক পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য। তার মতে পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রের মৌলিক উপাদানগুলিকে প্রাথমিক অনুপ্রেরণা সরবরাহ করার জন্য সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করে এ চলচ্চিত্রে যুক্ত করা হয়েছে।[২৪]
অভ্যর্থনা ও কিংবদন্তি
সম্পাদনাএ ফ্রি রাইড ১৯১০-এর দশকের সুপরিচিত গোপনে ধারণকৃত চলচ্চিত্র[১৪] উইলিয়ামসের মতে, এটি একটি ক্লাসিক পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচিত।[১৯] এল স্যাতারিও এবং এম এবেন্ডের পাশাপাশি এটিকে সবচেয়ে পুরনো তিনটি অশ্লীল চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা কিনসে ইন্সটিটিউটের সংগ্রহে রয়েছে।[২৫][২৬] ১৯৭০ সালের এ হিস্ট্রি অব দ্য ব্লু মুভি তথ্যচিত্রে এই চলচ্চিত্রের দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২৭] ২০০২ সালে নিউইয়র্কে 'মিউজিয়াম অব সেক্স'-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে এ ফ্রি রাইড-এর প্রদর্শনী হয়েছে।[২৮] নিউইয়র্ক ভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিচালক লিসা ওপেনহাইম ২০০৪ সালে কোনও অভিনেতা ব্যবহার না করে ছবিটির পুনর্নির্মাণ করেন; অভিনেতাদের পরিবর্তে পুনর্নিমিত চলচ্চিত্রের দৃশ্যগুলি "ভূদৃশ্য এবং বৃক্ষ" দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিল।[৫]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ স্লেড ২০০১, পৃ. ৯
- ↑ ক খ স্লেড, জোসেফ ডাব্লিউ (২০০৬)। "ইরোটিসিজম এন্ড টেকনোলজিকাল রিগ্রেশনঃ দ্য স্টাগ ফিল্ম" (ইংরেজি ভাষায়): ৩৫। ডিওআই:10.1080/07341510500497236।
- ↑ থম্পসন ২০০৭, পৃ. ৩৯
- ↑ থম্পসন ২০০৭, পৃ. ৪০
- ↑ ক খ গ ঘ থম্পসন ২০০৭, পৃ. ৩৮
- ↑ লোউর ও র্যাবকিন 1১৯৭৬, পৃ. ৪৭
- ↑ রস ১৯৯৩, পৃ. ৬
- ↑ ক্যাভেন্ডিস ২০০৯, p. ৫৫৯; নাথান ২০০৮, p. ২৩; রাদারফোর্ড ২০০৭, p. ২৪; শেফার ১৯৯৯, p. ৭; স্লেড ২০০১, p. ৯; স্পেনসার ২০০৮, p. ৮৫; থম্পসন ২০০৭, p. ৩৭.
- ↑ জোন্স, জে (২০০৯-০৮-০২)। "Porn museum nestled in Sin City"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ১৫, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০১২।
- ↑ উইলিয়ামস ২০০৭, পৃ. ৬১
- ↑ উইলিয়ামস ২০০৭, পৃ. ৬২
- ↑ ব্রাউনলো ১৯৯০, পৃ. ২৮
- ↑ স্পেনসার ২০০৮, পৃ. ৮৫
- ↑ ক খ গ সিম্পসন, নিকোলা (২০০৪)। "Coming Attractions – a comparative history of the Hollywood Studio System and the pom business"। - (ইংরেজি ভাষায়): ৬৪২। ডিওআই:10.1080/0143968042000293900।
- ↑ ক্যাভেন্ডিস ২০০৯, পৃ. ৫৫৯
- ↑ এন্ড্রুজ ২০০৬, পৃ. ২৬৩
- ↑ লিউন, জেরার্ড ভেন ডার (জুন ২৪, ২০০১)। "Twilight Zone of the Id"। টাইম (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ৩১, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৮, ২০১২।
- ↑ ইংলিশ, বেলা (এপ্রিল ২৫, ২০১০)। "Manhattan museum takes sex seriously"। বোস্টন.কম (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ১০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৮, ২০১২।
- ↑ ক খ গ উইলিয়ামস ২০০৭, পৃ. ৬৮
- ↑ লুইস ২০০৭, p. ৩৯; থম্পসন ২০০৭, p. ১৯৬.
- ↑ লুইস ২০০৭, পৃ. ১৯৬
- ↑ ক খ ও'টুলি ১৯৯৮, পৃ. ৬৩
- ↑ ফোর্ড ১৯৯৯, পৃ. ১৫
- ↑ ক খ হফম্যান, ফ্রাঙ্ক এ (১৯৬৫)। "Prolegomena to a Study of Traditional Elements in the Erotic Film"। ;: ১৪৩–১৪৮। জেস্টোর 538281। ডিওআই:10.2307/538281।
- ↑ লুইস ২০০৭, p. ১৯৬; লিভিংস্টোন ২০০৯, p. ১৫; স্টাইগার ১৯৯৫, p. ৫১৫.
- ↑ ম্যাক-কোনাহে, জন বি. (১৯৮৮)। "Pornography: The Symbolic Politics of Fantasy"। ; (ইংরেজি ভাষায়): ৩১–৬৯। জেস্টোর 1191714। ডিওআই:10.2307/1191714।
- ↑ এলেক্স ডি রেনজি (পরিচালক) (১৯৭০)। এ হিস্ট্রি অব দ্য ব্লু মুভি (মোশন পিকচার)। গ্রাফিতি প্রোডাকশন/শেরপিক্স।
- ↑ জেমস, মিচেল এস. (সেপ্টেম্বর ৩০, ২০০২)। "New Museum Celebrates NYC as Sex Capital"। এবিসি নিউজ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৮, ২০১২।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- এন্ড্রুজ, ডেভিড (২০০৬)। Soft in the Middle: The Contemporary Softcore Feature in Its Contexts। ওহাইয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8142-1022-2।
- ব্রাউনলো, কেভিন (১৯৯০)। Behind the Mask of Innocence। আলফ্রেড কে. নফ। আইএসবিএন 978-0-394-57747-0।
- ক্যাভেন্ডিস, মার্শাল (২০০৯)। Sex and Society, Volume 2। মার্শাল ক্যাভেন্ডিস। আইএসবিএন 978-0-7614-7907-9।
- ফোর্ড, লিউক (১৯৯৯)। A History of X: 100 Years of Sex in Film। প্রমিথিউস বুকস। আইএসবিএন 978-1-57392-678-2।
- লৌরো, এল ডি; র্যাবকিন, জেরাল্ড (১৯৭৬)। Dirty Movies: An Illustrated History of the Stag Film, 1915–1970। চেলসি হাউস।
- লুইস, জন (২০০৭)। Hollywood V. Hard Core: How the Struggle Over Censorship Created the Modern Film Industry। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8147-5143-5।
- লিভিংস্টোন, পাইসলি (২০০৯)। The Routledge Companion to Philosophy and Film। রুটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-77166-5।
- নাথান, ডেবি (২০০৮)। পর্নোগ্রাফি । গ্রাউন্ডউড বুকস। আইএসবিএন 978-0-88899-767-8।
- ও'টুলি, লরেন্স (১৯৯৮)। Pornocopia: Porn, Sex, Technology and Desire। সারপেন্টস টেইল। আইএসবিএন 978-1-85242-395-7।
- রস, জনাথন (১৯৯৩)। The Incredibly Strange Film Book। সাইমন এন্ড সুস্টার। আইএসবিএন 978-0-671-71296-9।
- রাদারফোর্ড, পল (২০০৭)। A World Made Sexy: Freud to Madonna । টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8020-9256-4।
- শেফার, এরিক (১৯৯৯)। "Bold! Daring! Shocking! True!": A History of Exploitation Films, 1919–1959। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8223-2374-7।
- স্লেড, জোসেফ ডাব্লিউ (২০০১)। Pornography and Sexual Representation: A Reference Guide। গ্রিনউড পাব্লিশিং গ্রুপ। আইএসবিএন 978-0-313-31519-0।
- স্পেনসার, ক্রিস্টোফার (২০০৮)। Film and Television Scores, 1950–1979: A Critical Survey by Genre। ম্যাকফারল্যান্ড এন্ড কো। আইএসবিএন 978-0-7864-3682-8।
- স্টাইগার, জেনেট (১৯৯৫)। Bad Women: Regulating Sexuality in Early American Cinema। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8166-2625-0।
- থম্পসন, ডেভ (২০০৭)। Black and White and Blue: Adult Cinema from the Victorian Age to the VCR। ইসিডাব্লিউ প্রেস। আইএসবিএন 978-1-55022-791-8।
- উইলিয়ামস, লিন্ডা (২০০৭)। Hard Core: Power, Pleasure, and the "Frenzy of the Visible" । ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-520-06652-6।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে এ ফ্রি রাইড (ইংরেজি)