গবেষণা হলো, জ্ঞানের মজুদ বাড়ানোর জন্য করা সৃজনশীল এবং পদ্ধতিগত কাজ।[] গবেষণায় একটি বিষয়কে বোঝার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ, সংগঠন এবং বিশ্লেষণ করা হয়। এতে পক্ষপাত এবং ত্রুটির উৎস নিয়ন্ত্রণ করার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হলো, বাস্তবিক কোনো সমস্যার সমাধান করা। গবেষণা একটি ধারাবাহিক কার্যপ্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে। একটি গবেষণা প্রকল্প অতীতে সম্পন্ন কোনো কাজের সম্প্রসারণ হতে পারে। গবেষণায় কোনো যন্ত্র, পদ্ধতি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার বৈধতা যাচাই করার জন্য পূর্বের প্রকল্পের উপাদান বা সমগ্র প্রকল্পের পুনরাবৃত্তি করা যায়।

গবেষণার ধাপসমূহ।

প্রয়োগিত গবেষণার বিপরীতে মৌলিক গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, মানব জ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা ও পদ্ধতি দস্তাবেজিকরণ, আবিষ্কার, ব্যাখ্যা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D)। গবেষণার পদ্ধতিগুলো জ্ঞানবিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে মানববিদ্যাবিজ্ঞান উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গবেষণার বিভিন্ন রূপ রয়েছে: বৈজ্ঞানিক, মানবিক, শৈল্পিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসা, বিপণন, অনুশীলনকারী গবেষণা, জীবন, প্রযুক্তিগত, ইত্যাদি। গবেষণা অনুশীলনের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নকে মেটা-গবেষণা বলা হয়।

গবেষক হলেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি গবেষণা পরিচালনায় নিযুক্ত, যা সম্ভবত আনুষ্ঠানিক চাকরির শিরোনামে একটি পেশা হিসাবে স্বীকৃত। সামাজিক গবেষক বা সমাজ বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য, একজনের সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত যে বিষয়ে তারা বিশেষায়িত, সে বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হবে। একইভাবে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান গবেষক হওয়ার জন্য, একজন ব্যক্তির প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা ইত্যাদি) সম্পর্কিত ক্ষেত্রের জ্ঞান থাকতে হবে।

গবেষণা ধাপসমূহ

সম্পাদনা

গবেষণা সাধারণত বালিঘড়ি মডেল-কাঠামোর ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।[] এই মডেল-কাঠামো অনুসারে গবেষণা শুরু হয় একটি বিস্তৃত কাঠামোকে কেন্দ্র করে যেখানে নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা উদ্দেশ্যের আওতায় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ, ফলাফল উপস্থাপন এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা সন্নিবেশিত করা হয়। গবেষণার প্রধান ধাপসমূহ হচ্ছে:[]

  • গবেষণার সমস্যা চিহ্নিতকরণ
  • প্রাসঙ্গিক গবেষণা ও তথ্য পর্যালোচনা
  • গবেষণার সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গবেষণার প্রশ্ন নির্দিষ্টকরণ
  • তথ্য সংগ্রহ
  • তথ্য বিশ্লেষণ ও বর্ণনাকরণ
  • প্রতিবেদন তৈরি।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. OECD (২০১৫)। Frascati Manual। The Measurement of Scientific, Technological and Innovation Activities। আইএসবিএন 978-9264238800ডিওআই:10.1787/9789264239012-en 
  2. Trochim, W.M.K, (2006). Research M। ২.উপাত্ত অবশ্যই বৈধ হতে হবে। ৩. পর্যাপ্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে। ৪. গবেষণার উদ্দেশ্য হবে সুনির্দিষ্ট ৫.গবেষণার প্রতিটি অংশ স্পষ্ট থাকতে হবে ৬.গবেষণায় নমনীয়তা থাকতে হবে। ৭. গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল পুনঃব্যবহারযোগ্য হতে হবে। thods Knowledge Base.
  3. Creswell, J.W. (2008). Educational research: Planning, conducting, and evaluating quantitative and qualitative research (3rd). Upper Saddle River, NJ: Prentice Hall. 2008 আইএসবিএন ০-১৩-৬১৩৫৫০-১ (pages 8-9)

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • Freshwater, D., Sherwood, G. & Drury, V. (2006) International research collaboration. Issues, benefits and challenges of the global network. Journal of Research in Nursing, 11 (4), pp 9295–303.
  • Cohen, N. & Arieli, T. (2011) Field research in conflict environments: Methodological challenges and snowball sampling. Journal of Peace Research 48 (4), pp. 423–436.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা