আবদুল মুবীন
মোহাম্মদ আবদুল মুবীন একজন বাংলাদেশী জেনারেল ছিলেন যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[২][৩] সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে মুবীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর আগে, তিনি ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আবদুল মুবীন | |
---|---|
১৩তম সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী | |
কাজের মেয়াদ ১৬ জুন ২০০৯ – ২৫ জুন ২০১২ | |
পূর্বসূরী | মঈন ইউ আহমেদ |
উত্তরসূরী | ইকবাল করিম ভূঁইয়া |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কিশোরগঞ্জ,[১] পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
শাখা | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ৩০ নভেম্বর ১৯৭৬ - ২৫ জুন ২০১২ |
পদ | জেনারেল |
কমান্ড | ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সেনাবাহিনী প্রধান |
তিনি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত পরিচালক ছিলেন।[৪]
শিক্ষা ও সেনাবাহিনীতে যোগদান
সম্পাদনাতিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) রেজিমেন্টে কমিশন দেওয়া হয়।[২][৫][৬] মুবীন ঢাকার মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ (এনডিসি) উভয়ের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৬] সেনা কর্মকর্তা হিসাবে মুবিন ন্যাটো ওয়েপন কনভার্সন কোর্স, ইনফ্যান্ট্রি ওয়েপন কোর্স, সিনিয়র কমান্ড কোর্স ইত্যাদি সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেন এবং ভারত ও চীনসহ অন্তত ১৫ টি দেশে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশ নেন।[৪][৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাসেনাবাহিনীর ব্যাটালিয়ন স্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন সহ মুবীন দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। স্টাফ পর্যায়ে তিনি একটি স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরে ব্রিগেড মেজর (অপারেশন স্টাফ), পদাতিক ডিভিশন সদর দপ্তরে এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে জেনারেল স্টাফ অফিসার প্রথম গ্রেড (অপারেশন স্টাফ), সেনাবাহিনী প্রধানের একান্ত সচিব ও সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মহাপরিচালক এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) এর গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগও পেয়েছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।[৬] তিনি যশোর এবং চট্টগ্রামের ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন[৩][৭]। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে, জেনারেল মুবীন মোজাম্বিকের জাতিসংঘের অপারেশন (ওএনইউএমইউজেইড)-এ (উত্তর অঞ্চল) চীফ অব স্টাফ পদে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি সৈয়দা শরীফা খানমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তার দুটি পুত্র ও একটি কন্যা রয়েছে। তার বড় ছেলে তৃতীয় প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা; মুবিনের বাবাও একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।[৬] সেনাবাহিনীতে চাকরির শুরুর দিনগুলিতে তিনি আর্মি হকি দলে সজ্জিত খেলোয়াড় ছিলেন।[৬]
প্রাপ্ত পদকসমূহ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল মুবীন"। কিশোরগঞ্জ ডট কম। ২৪ জুলাই ২০১০।
- ↑ ক খ "Bangladesh Olympic Association - Biodata, President"। Bangladesh Olympic Association। ১৯ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ ক খ "Gen Mubeen takes over as army chief"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৯-০৬-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ "CHAIRMAN & NOMINATED DIRECTOR, UNITED POWER GENERATION & DISTRIBUTION COMPANY LIMITED"। ২০১৬-০৪-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "লে. জেনারেল মুবীন নতুন সেনাপ্রধান"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৪ জুন ২০০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Chairman's Biography"। Trust Bank Limited। ২৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল মুবীন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৫ জুন ২০০৯।