আক্কেলপুর উপজেলা

জয়পুরহাট জেলার একটি উপজেলা

আক্কেলপুর উপজেলা বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

আক্কেলপুর
উপজেলা
মানচিত্রে আক্কেলপুর উপজেলা
মানচিত্রে আক্কেলপুর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৬′২৪.০০০″ উত্তর ৮৯°৩′০.০০০″ পূর্ব / ২৪.৯৪০০০০০০° উত্তর ৮৯.০৫০০০০০০° পূর্ব / 24.94000000; 89.05000000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাজয়পুরহাট জেলা
সরকার
 • আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ট এলাকাআবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (আওয়ামী লীগ)
আয়তন
 • মোট১৩৯.৪৭ বর্গকিমি (৫৩.৮৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)[১]
 • মোট১,২৮,৯৫২
 • জনঘনত্ব৯২০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৭৫ ভাগ
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৩৮ ১৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

আয়তন ও অবস্থান সম্পাদনা

আক্কেলপুর উপজেলা রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলায় অবস্থিত। আক্কেলপুর উপজেলার মোট আয়তন প্রায় ১৩৯.৪৭ বর্গ কিমি (৫৩.৮৫ বর্গমাইল)। এই উপজেলার উত্তরে জয়পুরহাট সদর উপজেলাক্ষেতলাল উপজেলা, দক্ষিণে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা, পূর্বে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পশ্চিমে নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর উপজেলাবদলগাছী উপজেলা[২]

ইতিহাস সম্পাদনা

আক্কেলপুর জয়পুরহাট জেলার একটি উপজেলা। এটি ১৯৭২ সালের আগে অব্দি বগুড়া জেলার একটি রেলস্টেশন হিসেবে পরিচিত ছিল। আক্কেলপুর উপজেলার নামকরণ নিয়ে দুইটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। কিছু মানুষ মনে করেন যে এখানে আক্কেল কাজি নামক এক ধনাঢ্য ব্যক্তি বসবাস করতেন এবং তার নামানুসারে এই স্থানের নামকরণ হয়েছে আক্কেলপুর, তবে প্রসিদ্ধ মতানুসারে রাজশাহীর পীরে কামেল হযরত শাহ মখদুম রূপোস (রহঃ) ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তুলশীগঙ্গা নদী হয়ে মাঝেমাঝে আক্কেলপুর এর হাস্তাবসন্তপুর এলাকায় আসতেন। তিনি এখানকার মানুষের বুদ্ধিমত্তাতে মুগ্ধ হয়ে তাদের নাম দেন আক্কেলমান্দ, ফারসি ভাষাতে যার অর্থ বুদ্ধিমান এবং পুর একটি প্রত্যয় যার অর্থ নগর, আবাস এবং দুর্গ। ভারতের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থ ঋগ্বেদে শব্দটি নগর এবং বাসস্থান অর্থে প্রায় ৩০ বার ব্যবহৃত হয়েছে। এই আক্কেলমান্দ এবং পুর শব্দের সমন্বয়ে কালক্রমে আক্কেলপুর নামের প্রচলন হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইসলামী বিশ্বকোষ প্রথম খন্ডের ১৯০ পৃষ্ঠায় বলা আছে যে, হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) যখন এলাকায় আসতেন তখন লোকজন বলাবলি করত যে, "চল আমরা মখদুম সাহেবের নিকট আকল (জ্ঞান) আহরণ করি"। লোকজন তার নিকট আসলে তিনি তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন "তুমহারা আকল পুর হো যায়ে"(তোমাদের জ্ঞান সমৃদ্ধি পাক)। সেই থেকে পরবর্তীকালে স্থানের নাম হয় আক্কেলপুর। মূলত এই এলাকায় একসময় ইকুর কুড়ি নামক একটি মৌজা ছিল, আক্কেলপুর নামের প্রচলন হওয়ার কারণে ব্রিটিশরা ১৮৮৪ সালে ইকুড় কুড়ি মৌজার অদূরে রেলস্টেশন স্থাপন করে এবং তার নাম দেয় আক্কেলপুর। পরবর্তীতে ইকুড় কুড়ি মৌজাকে ভূমি জরিপের সময় আক্কেলপুর মৌজা নামে রেকর্ড করা হয়। একসময় আক্কেলপুর এলাকায় তুলশীগঙ্গা নদীর তীরে প্রসিদ্ধ হাট ছিল সোনামুখী হাট, পরবর্তীতে আক্কেলপুরে রেলস্টেশন স্থাপিত হয় এবং কালক্রমে স্টেশন সংলগ্ন তালতলী নামক একটি হাট বসে এবং সোনামুখী হাট কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ছিল।

আক্কেলপুর উপজেলার মানুষ একটু টেনে কথা বলেন। এখানে বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব দেখা যায়। আক্কেলপুর উপজেলা বিশেষ করে জয়পুরহাট জেলা এবং পুরো রাজশাহী বিভাগ এবং ভারত ও বাংলাদেশের পদ্মা এবং মহানন্দা উপত্যকা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের ভাষাকে বরেন্দ্রী ভাষা বলে। এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য বাংলা ভাষার একটি উপভাষা। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ডক্টর সুকুমার সেনের গবেষণা মোতাবেক জানা যায়, বাংলাদেশের রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ এবং ভারতের মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ও এই ভাষা প্রচলিত রয়েছে। এই ভাষার একটি বিশেষ সুর আছে। যার কারণে ভাষাটি সমগ্র বঙ্গে বেশ জনপ্রিয়। ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা গানে এই উপভাষা ব্যবহার হয়। বৈশিষ্ট্যঃ অপ্রত্যাশিত স্থানে 'র' আগম বা লোপ। যেমন- আম > রাম, রস > অস। গৌণকর্মে 'কে', 'ক' বিভক্তি দেখা যায়। যেমন- হামাক দাও।

এটি আয়তনের দিক থেকে জয়পুরহাট জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। আক্কেলপুর একসময় বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ১৯৭২ সালে আদমদীঘি থানার পাঁচটি ইউনিয়ন যথাক্রমে রুকীন্দীপুর, সোনামুখী, গোপীনাথপুর, তিলকপুর এবং রায়কালী নিয়ে আক্কেলপুর থানা গঠিত হয়ে। সে সময় আক্কেলপুর রেলগেটের নিকট স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজর উদ্দিন আকন্দ সাহেবের ভাড়া বাসায় প্রথমে পুলিশ স্টেশন চালু হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের আওতায় জয়পুরহাট জেলার উপজেলায় উন্নীত করা হয়। সে সময় তুলসীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পাড়ের প্রায় ৯ একর জায়গা জুড়ে এর প্রশাসনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়।

রুকীন্দীপুর ইউনিয়ন এবং সোনামুখী ইউনিয়ন এর কিছু অংশ নিয়ে আক্কেলপুর কে ১৯৯৯ সালে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ভাষা ও সংষ্কৃতি সম্পাদনা

জয়পুরহাট জেলায় প্রায় ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার আদিবাসী তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংষ্কৃতি বৈশিষ্ট্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। যাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুন্ডা সম্প্রদায়ের পাহান গোত্রের লোকজন বসবাস করে আক্কেলপুর উপজেলায়। এবং স্বভাবতই তাদের ভাষাও বাংলা ভাষা থেকে আলাদা এবং সংষ্কৃতিও ভিন্ন। তবে তাদের মধ্যে বাংলা ভাষারও প্রচলন দেখা যায়। আক্কেলপুর উপজেলার শান্তা, মকিমপুর, তিলকপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে পাহান সম্প্রদায় বসবাস করে।

আক্কেলপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। তাদের কথার মাঝে বাংলার আঞ্চলিকতা প্রাধান্য পায়। আক্কেলপুর উপজেলা বিশেষ করে জয়পুরহাট জেলা এবং পুরো রাজশাহী বিভাগ এবং ভারত ও বাংলাদেশের পদ্মা এবং মহানন্দা উপত্যকা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনের ভাষাকে বরেন্দ্রী ভাষা বলে। এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের সদস্য  বাংলা ভাষার একটি উপভাষা। বিশিষ্ট ভাষাবিদ ডক্টর সুকুমার সেনের গবেষণা মোতাবেক জানা যায়, বাংলাদেশের রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ এবং ভারতের মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ও এই ভাষা প্রচলিত রয়েছে। এই ভাষার একটি বিশেষ সুর আছে। যার কারণে ভাষাটি সমগ্র বঙ্গে বেশ জনপ্রিয়।  ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা গানে এই উপভাষা ব্যবহার হয়। বৈশিষ্ট্য:

অপ্রত্যাশিত স্থানে 'র' আগম বা লোপ।

যেমন- আম > রাম, রস > অস।

গৌণকর্মে 'কে', 'ক' বিভক্তি দেখা যায়।

যেমন- হামাক দাও,হামি করি

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

ইউনিয়নের নামের তালিকা :

পৌরসভা

ইউনিয়েনের তালিকা

জনসংখ্যার উপাত্ত সম্পাদনা

আক্কেলপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা: ১,২৮,৯৫২ জন এদের মধ্যে মোট ভোটার সংখ্যা: ৯২,০৯৯ জন।

  1. পুরুষ ভোটার- ৪৪,৬৭১ জন;
  2. মহিলা ভোটার- ৪৭,৪২৮ জন।[৪]

স্বাস্থ্য সম্পাদনা

  • গোপীনাথপুর ইউনিয়ন এর (আইএইচটি)
  • হাসপাতালঃ ১ (এক) টি (৫০ শয্যা বিশিষ্ট)।
  • উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রঃ ২ (দুই) টি (জামালগঞ্জ ও সোনামুখী)।
  • ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রঃ ৩ (তিন) টি (গোপীনাথপুর, রায়কালী, তিলকপুর)।
  • কমিউনিটি ক্লিনিকঃ ২১ (একুশ) টি।
  • ই.পি.আই আউট রিচঃ ১২০ (একশত কুড়ি) টি।
  • বেসরকারী ক্লিনিকঃ ৩ (তিন) টি।[৫]

শিক্ষা সম্পাদনা

শিক্ষাক্ষেত্রে আক্কেলপুর উপজেলা উন্নতি লাভ করছে। বর্তমানে পি.ই.সি, জে.এস.সি, নিম্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক ইত্যাদি সমমানের পরীক্ষায় আক্কেলপুর উপজেলার শিক্ষার্থীদের অর্জন প্রশংষনীয়। এছাড়াও এই উপজেলায় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেক বেসরকারি স্কুলও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সম্পাদনা

  1. গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  2. আলী মামুদপূর্ণ গোপীনাথপুর আলীম মাদ্রাসা
  3. আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  4. আক্কেলপুর এফ.ইউ. মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
  5. সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়
  6. গনিপুর দাখিল মাদ্রাসা
  7. তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  8. জামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
  9. কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়
  10. আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসা
  11. মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  12. গনিপুর জাফরপুর উচ্চ বিদ্যালয়

কলেজ সম্পাদনা

  1. আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান সরকারী কলেজ;
  2. আক্কেলপুর বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ;
  3. তিলকপুর বাচ্চা হাজী কলেজ;
  4. তিলকপুর মহাবিদ্যালয়;

মেডিকেল / প্যারা মেডিকেল সম্পাদনা

কৃষি সম্পাদনা

আক্কেলপুর উপজেলার প্রধান জীবিকা হলো কৃষি আর জয়পুরহাট জেলাকে উওরবাংলার শস্যক্ষেএ বলা হয়।

অর্থনীতি সম্পাদনা

আক্কেলপুর উপজেলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর এছাড়াও কিছু সীমিত ব্যাবসা প্রচলিত আছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

আক্কেলপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যাবস্হা অনেক উন্নত ও সুন্দর এখানে বাসে ও ট্রেনে করে যাওয়া যায় ঢাকা ও প্রায় সারা দেশে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ সম্পাদনা

উপজেলার প্রাচীন নিদর্শনাদি সম্পাদনা

গোপীনাথপুর মন্দির : জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা সদর হতে মাত্র ৬/৭ কিঃ মিঃ পূর্বে

 
গোপীনাথপুর মন্দির

গোপীনাথপুরে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এটি গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির নামে পরিচিত। যতদূর জানা যায় ভারতের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামী সবসময় ঈশ্বরের ধ্যান করতেন। তার স্ত্রী সীতা দেবীও ছিলেন সতী-সাধ্বী নারী । একদিন ২৪ পরগণার যুবক নন্দ কুমার এবং নদীয়া জেলার আর এক যুবক যজ্ঞেশ্বর রায় প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামীর নিকটে এসে দীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে অদ্বৈত গোস্বামী মহোদয় সব কথা শুনে তাদেরকে সীতাদেবীর কাছে পাঠান । সীতাদেবী ধ্যান যোগে জানতে পারেন যে, এই যুবকেরা পূর্ব জম্মে জয়া ও বিজয়া নামে দুই শখী ছিল। তখন সীতাদেবী যুবকদের মাথা ন্যাড়া করে স্নান করে আসতে বলেন । সীতাদেবীর নির্দেশ মত কাজ শেষ করে এলে তিনি তাদের দীক্ষা দেন। সীতাদেবী নন্দকুমারের নাম নন্দিনী এবং যজ্ঞেশ্বরের নাম জঙ্গলী রাখলেন। নন্দিনী প্রিয়া বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমান জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ১কিঃমিঃ উত্তরে গভীর জঙ্গলে নদীর ধারে একটি মন্দির স্থাপন করেন। জনশ্রুতি আছে যে, ১৫২০ হতে ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নন্দিনী প্রিয়ার পূজা-পার্বণ ও অতিথি সেবার কথা শুনে খুশি হয়ে তাম্রফলকে লিখে পূর্ণগোপীনাথপুর ও গোপালপুর মৌজার সব সম্পত্তি দেবোত্তর হিসেবে প্রদান করেন । এরপর পুরানো গোপীনাথপুর মন্দিরটির সংস্কার করা হয়। পাল যুগের নির্মাণ কৌশল অনুসারে এ মন্দিরটির কাঠামো নির্মিত।

১৩০৪ বঙ্গাব্দের এক ভূমিকম্পে এ মন্দিরটি ভেঙ্গে পড়ে। ১৯২৮ হতে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বর্তমান মূল মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এখনও পুরাতন কারুকার্যের কিছু নমুনা মূল ভবনে রয়েছে। মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুট। এখানে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আরতি এবং মধ্যাহ্নে আধামণ চালের অন্নভোগ দেওয়া হয় । প্রতিবছর দোল পূর্ণিমাতে এখানে মেলা বসে এবং দীর্ঘ ৩০ দিন ধরে এ মেলা চলে ।

ল্যাংগরপীরের মাজার : উপজেলা পৌরসভার ভিতরে সোনামুখী নামক স্থানে অবস্থিত। আক্কেলপুর মূল শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার।

আব্দুল্লাহ মক্কী'র মাজার : উপজেলা পৌরসভার অন্তভূর্ক্ত সোনামুখী নামক স্থানে তুলসীগঙ্গা নদীর তীরে হযরত আব্দুল্লাহ মক্কী খ্যাতিমান ধমর্পরায়ণ সাধকের মাজার অবস্থিত। সম্প্রতি এখানে একটি ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "এক নজরে আক্কেলপুর উপজেলা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৪ 
  2. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ভৌগোলিক পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৪ 
  3. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ইউনিয়নের নামের তালিকা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৪ 
  4. akkelpur.joypurhat.gov.bd/node/349929/এক-নজরে-আক্কেলপুর-উপজেলা
  5. akkelpur.joypurhat.gov.bd

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা