গোপীনাথপুর ইউনিয়ন, আক্কেলপুর
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]
গোপীনাথপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ | |
ডাকনাম: মেলা গোপীনাথপুর | |
বাংলাদেশে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন, আক্কেলপুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৮′১৮″ উত্তর ৮৯°০′৫৮″ পূর্ব / ২৪.৯৭১৬৭° উত্তর ৮৯.০১৬১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | জয়পুরহাট জেলা |
উপজেলা | আক্কেলপুর উপজেলা |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | আবু সাঈদ আলমাহমুদ স্বপন (আওয়ামীলীগ) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯০ ভাগ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৯৪০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাগোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাগোপীনাথপুর মন্দির ও বড়মেলা এর জন্য বিখ্যাত গোপীনাথপুরে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এটি গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির নামে পরিচিত। যতদূর জানা যায় ভারতের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামী সবসময় ঈশ্বরের ধ্যান করতেন। তার স্ত্রী সীতা দেবীও ছিলেন সতী-সাধ্বী নারী । একদিন ২৪ পরগণার যুবক নন্দ কুমার এবং নদীয়া জেলার আর এক যুবক যজ্ঞেশ্বর রায় প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামীর নিকটে এসে দীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে অদ্বৈত গোস্বামী মহোদয় সব কথা শুনে তাদেরকে সীতাদেবীর কাছে পাঠান । সীতাদেবী ধ্যান যোগে জানতে পারেন যে, এই যুবকেরা পূর্ব জম্মে জয়া ও বিজয়া নামে দুই শখী ছিল। তখন সীতাদেবী যুবকদের মাথা ন্যাড়া করে স্নান করে আসতে বলেন । সীতাদেবীর নির্দেশ মত কাজ শেষ করে এলে তিনি তাদের দীক্ষা দেন। সীতাদেবী নন্দকুমারের নাম নন্দিনী এবং যজ্ঞেশ্বরের নাম জঙ্গলী রাখলেন। নন্দিনী প্রিয়া বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমান জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ১কিঃমিঃ উত্তরে গভীর জঙ্গলে নদীর ধারে একটি মন্দির স্থাপন করেন। জনশ্রুতি আছে যে, ১৫২০ হতে ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নন্দিনী প্রিয়ার পূজা-পার্বণ ও অতিথি সেবার কথা শুনে খুশি হয়ে তাম্রফলকে লিখে পূর্ণগোপীনাথপুর ও গোপালপুর মৌজার সব সম্পত্তি দেবোত্তর হিসেবে প্রদান করেন । এরপর পুরানো গোপীনাথপুর মন্দিরটির সংস্কার করা হয়। পাল যুগের নির্মাণ কৌশল অনুসারে এ মন্দিরটির কাঠামো নির্মিত।
১৩০৪ বঙ্গাব্দের এক ভূমিকম্পে এ মন্দিরটি ভেঙ্গে পড়ে। ১৯২৮ হতে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বর্তমান মূল মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এখনও পুরাতন কারুকার্যের কিছু নমুনা মূল ভবনে রয়েছে। মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুট। এখানে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আরতি এবং মধ্যাহ্নে আধামণ চালের অন্নভোগ দেওয়া হয় । প্রতিবছর দোল পূর্ণিমাতে এখানে মেলা বসে এবং দীর্ঘ ৩০ দিন ধরে এ মেলা চলে ।
ল্যাংগরপীরের মাজার : উপজেলা পৌরসভার ভিতরে সোনামুখী নামক স্থানে অবস্থিত। আক্কেলপুর মূল শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার।
আব্দুল্লাহ মক্কী'র মাজার : উপজেলা পৌরসভার অন্তভূর্ক্ত সোনামুখী নামক স্থানে তুলসীগঙ্গা নদীর তীরে হযরত আব্দুল্লাহ মক্কী খ্যাতিমান ধমর্পরায়ণ সাধকের মাজার অবস্থিত। সম্প্রতি এখানে একটি ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাগোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার প্রশাসনিক এলাকা ও ইউনিয়ন পরিষদ
আয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনাআয়তনের দিক থেকে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন অন্যতম আর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার :৯০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- গোপীনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- আলী মামুদ পূর্ণ গোপীনাথপুর আলিম মাদ্রাসা
- গোপীনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি
- গোপীনাথপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজ
- দুলালী রত্নাহার এ এফ ইউ দ্বীমুখী দাখিল মাদ্রাসা
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাজনপ্রতিনিধি
সম্পাদনাবর্তমান চেয়ারম্যান- মোঃ হাবিবুর রহমান
ক্রমিক | নাম | মেয়াদ |
---|---|---|
০১ আবু সাঈদ জোয়ারদার | ||
০২ | ||
০৩ | ||
০৪ | ||
০৫ | ||
০৬ | ||
০৭ |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গোপীনাথপুর ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "আক্কেলপুর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২০।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |