অন্তর্দহন ইঞ্জিনের ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

অন্তর্দহন ইঞ্জিন দশম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দি থেকে পাওয়া যায় যখন চীনে প্রথম রকেট ইঞ্জিন উদ্ভাবিত হয়। ১৬৯৮ সালে প্রথম বাণিজ্যিক বাস্পীয় ইঞ্জিনের ( এক প্রকার বহির্দহন ইঞ্জিন) পরে ১৮শ শতাব্দিতে এর সমতুল্য অন্তর্দহন ইঞ্জিন বিকাশের লক্ষ্যে নানা রকম প্রচেষ্টা করা হয়। ১৭৯১ সালে, ইংরেজ উদ্ভাবক জন বারবার একটি গ্যাস টারবাইন নিবন্ধিত করেন। ১৮৯৪ সালে থমাস মেড একটি গ্যাস ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন। ১৭৯৪ সালেই রবার্ট স্ট্রিট একটি অন্তর্দহন ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন যেটা প্রথমবারের মত তরল জ্বালানি ( পেট্রোলিয়াম ) ব্যবহার করে এবং ওই সময়ে তৈরিকৃত। ১৭৯৮ সালে জন স্টিভেন্স আমেরিকার প্রথম অন্তর্দহন ইঞ্জিন তৈরি করেন। ১৮০৯ সালে ফরাসি প্রকৌশলী নিসেফোর এবং ক্লড নিপ্স একটি প্রোটোটাইপ অন্তর্দহন ইঞ্জিন চালু করেন, নিয়ন্ত্রিত ধূলিকণা বিস্ফোরনের মাধ্যমে, যা পাইরোলোফোর বলে পরিচিত। এই ইঞ্জিনটি ফ্রান্সের নদীতে একটি নৌকা চালাতে শক্তি যোগাতো। একই বছরে সুইস প্রকৌশলী ফ্রাঙ্কোইস আইজ্যাক দে রিভাজ একটি হাইড্রোজেনঅক্সিজেন চালিত অন্তর্দহন ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন। একটি চার চাকার গাড়িতে লাগিয়ে ফ্রাঙ্কোইস আইজ্যাক দে রিভাজ এটি ১৮১৩ সালে ১০০ মিটার পর্যন্ত চালান, এভাবে তিনি ইতিহাস তৈরি করেন প্রথম গাড়ি জাতীয় যানবাহনের যা অন্তর্দহন ইঞ্জিন দ্বারা চালিত।

১৮২৩ সালে স্যামুয়েল ব্রাউন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয় এমন অন্তর্দহন ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন। ব্রাঊন একটি নৌকায় তার ইঞ্জিনের ব্যবহার প্রদর্শন করেন থামেস নদীতে ১৮২৭ সালে, এবং ১৮২৮ সালে একটি টানা গাড়িতে। পাদ্রী ইউজেনিও বারসান্তি, একজন ইতালি প্রকৌশলী, ফ্লোরেন্সের ফেলিস মাত্তুয়েচ্চি এর সঙ্গে মিলে প্রথম প্রকৃত অন্তর্দহন ইঞ্জিন তৈরি করেন ১৮৫৩ সালে। তাদের নিবন্ধনের অনুরোধ জুনের ১২ তারিখ ১৮৫৪ সালে লন্ডন থেকে গৃহীত হয়, এবং লন্ডনের মর্নিং পত্রিকায় " ইউজেন বারসান্তি ও ফেলিক্স মাত্তুয়েচ্চি এর বিশদ বিবরন, গ্যাসের বিস্ফোরন থেকে চালিকাশক্তি অর্জন " শিরোনামে প্রকাশিত হয়। ১৮৬০ সালে, বেলজিয়ান জিন জোসেফ এটিন্নে লেনোইর একটি গ্যাস চালিত অন্তর্দহন ইঞ্জিন তৈরি করেন। ১৮৬৪ সালে নিকোলাস অটো প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল অন্তর্দহন ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন।

১৮৭২ সালে আমেরিকান জর্জ ব্রেটন প্রথম বানিজ্যিক তরল জ্বালানী চালিত অন্তর্দহন ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন। ১৮৭৬ সালে নিকোলাস অটো, গটলিব ডেইমলার ও উইলহেম মেব্যাক এর সাথে মিলে চাপযুক্ত মিশ্রনের চতুর্ঘাত ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন। ১৮৭৯ সালে কার্ল বেঞ্জ একটি নির্ভরযোগ্য দ্বিঘাত ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন। ১৮৯২ সালে রুডলফ ডিজেল প্রথম চাপযুক্ত মিশ্রনের চাপদহন ইঞ্জিন তৈরি করেন। ১৯৫৪ সালে জার্মান প্রকৌশলী ফেলিক্স ওয়েঙ্কেল একটি কেন্দ্রাপসারী ঘূর্নায়মান নকশা ব্যবহার করে একটি পিস্টনবিহীন ইঞ্জিন নিবন্ধিত করেন।

প্রথম তরল জ্বালানীচালিত রকেট উড্ডয়ন করা হয়েছিল রবার্ট গডার্ডের মাধ্যমে ১৯২৬ সালে। ১৯৩৯ সালে হেইঙ্কেল হি ১৭৮ বিশ্বের প্রথম জেট বিমানের মর্যাদা লাভ করে যা অনুসৃত হয় ১৯৪৯ সালে র‍্যামজেট ইঞ্জিন ও ২০০৪ সালে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে।

১৮৫০ এর পূর্বে সম্পাদনা

বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি যা পূর্বের ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হতো
  • ১০০ শতাব্দির পূর্বে - প্রথম "আগুনে পিস্টন" এর উদ্ভব হয় দক্ষিনপূর্ব এশিয়ায়, এবং এটি অস্ট্রোনেশিয়ায় কেন্দ্রিভূত ছিল। এই যন্ত্রটি ডিজেল ইঞ্জিনের উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করেছে যা চাপদহন পদ্ধতি ব্যবহার করে ( স্ফুলিঙ্গদহনের পরিবর্তে )[১][২]
  • ১০ম থেকে ১৩শ শতাব্দি - "আগুনে তীর" একটি বারুদ চালিত রকেট ইঞ্জিন যা চীনে উদ্ভাবিত হয়। [৩]
  • ১৬৭৮ - ১৬৭৯ - "হুয়েজিন এর ইঞ্জিন " একটি প্রোটোটাইপ এক সিলিন্ডার বিশিষ্ট বারুদ চালিত ইঞ্জিন যা ওলন্দাজ উদ্ভাবক ক্রিশ্চান হুয়েজিন তৈরি করেন।
  • ১৭৮০ এর দশক- " বৈদ্যুতিক পিস্তল " যা আবদ্ধ কক্ষে হাইড্রোজেন গ্যাস দহনে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ ব্যবহার করত, উদ্ভাবিত হয় ইতালি রসায়নবিদ আলেজান্দ্রো ভোল্টা এর দ্বারা। সম্ভবত এটিই স্ফুলিঙ্গদহন তাপ ইঞ্জিনের প্রথম উদাহরণ। [৪]
  • ১৭৯১ - গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিনের মূলনীতি " গতি উৎপাদন ও ধাতুবিদ্যা সংক্রান্ত কাজে সহজে দহনযোগ্য বায়বীয় পদার্থের ব্যবহার" শিরোনামে ইংরেজ উদ্ভাবক জন বারবার নিবন্ধিত করেন।
  • ১৭৯৪ - রবার্ট স্ট্রিট কর্তৃক একটি প্রতিঘাত পিস্টন ইঞ্জিন উদ্ভাবিত হয়। ইঞ্জিনটি চালিত হতো বাস্পীয় জ্বালানী দ্বারা, আগমন ঘাতের সময়ে বাইরের বাতাস টেনে নিত, এবং বাতাস ও জ্বালানীর মিশ্রন প্রজ্জ্বলিত হতো বহির্শিখার সাহায্যে। [৫][৬] আরেকটি জ্বালানী ইঞ্জিনও ১৭৯৪ সালে নিবন্ধিত হয়েছিল থমাস মিড এর মাধ্যমে।
  • ১৮০১ - চাপযুক্ত বাতাস ব্যবহার করে দ্বিঘাত জ্বালানীচালিত ইঞ্জিন চালানোর ধারনাকে ফরাসি প্রকৌশলী ফিলিপ লেবন ডি হামবারস্টেইন তত্ত্বে রূপ দেন। [৭]
  • ১৮০৭ - জ্ঞাতানুসারে প্রথম কার্যক্ষম অন্তর্দহন ইঞ্জিন যা পাইরেলোফোর নামে পরিচিত- ফরাসি উদ্ভাবক ক্লড নিপ্সে ও নিসেফোর নিপ্সে কর্তৃক উদ্ভাবিত হয়। এই একমাত্র প্রোটোটাইপ ইঞ্জিনটি ধারাবাহিকভাবে জ্বালানিকণার বিস্ফোরণ ব্যবহার করতো এবং ফ্রান্সের নদী সাওন এর উজানে একটি নৌকা চালাতে ব্যবহৃত হত।
  • ১৮০৭ - হাইড্রোজেন চালিত দে রিভাজ ইঞ্জিন সুইস প্রকৌশলী ফ্রাঙ্কোইস আইজ্যাক দে রিভাজ দ্বারা তৈরি হয় এবং চাকাযুক্ত টানা গাড়িতে যুক্ত করা হয়, সম্ভবত জ্ঞাতানুসারে প্রথম গাড়ি তৈরি হয়। এই প্রোটোটাইপ ইঞ্জিনটি স্ফুলিঙ্গদহন পদ্ধতি ব্যবহার করতো। ( যেরকম উপরে ১৭৮০ দশকে আলেজান্দ্রো ভোল্টার নকশা বলা হয়েছে)
  • ১৮২৩ - ইংরেজ প্রকৌশলী স্যামুয়েল ব্রাউন কর্তৃক গ্যাস ভ্যাকুয়াম ইঞ্জিনের ধারণাটি নিবন্ধিত হয়। ব্রাউনের একটি ইঞ্জিন লন্ডনের একটি খালে পানি নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হতো।
  • ১৮২৪ - ফরাসি পদার্থবিদ নিকোলাস লিওনার্দ সাদি কার্নো " তাপ ইঞ্জিনের জন্য তাপগতিবিদ্যার একটি তত্ত্ব" নামে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
  • ১৮২৬ - "জ্বালানী বা বাস্প ইঞ্জিন' এর মূলনীতির জন্য আমেরিকান উদ্ভাবক স্যামুয়েল মোরে এর একটি নিবন্ধন গৃহীত হয়। এই নিবন্ধনে জ্ঞাতানুসারে প্রথম বায়ুর সঙ্গে জ্বালানীবাস্প মিশ্রিত করার যন্ত্র (কার্বুরেটর) এর নকশা অন্তর্ভুক্ত ছিলো। [৮]
  • ১৮৩৩ - দ্বৈত- ক্রিয়া বিশিষ্ট টেবিল জাতীয় একটি জ্বালানী ইঞ্জিনের নিবন্ধন হয় লেমুয়েল ওয়েলম্যান রাইট, যুক্তরাজ্য, নিবন্ধন নং- ৬৫২৫। দ্বৈত- ক্রিয়াবিশিষ্ট জ্বালানী ইঞ্জিন, নথিভুক্ত প্রথম পানিবেষ্টনি যুক্ত প্রকোষ্ঠ। [৯]
  • ১৮৩৮ - দ্বৈত- ক্রিয়াবিশিষ্ট জ্বালানী ইঞ্জিনের মূলনীতির জন্য ইংরেজ উদ্ভাবক উইলিয়াম ব্যারনেট এর নামে নিবন্ধন গৃহীত হয়। জ্ঞাতানুসারে এতেই প্রথম প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে চাপযোজন ও শীতলিকরণের উদ্দেশ্যে পানিবেষ্টনি ব্যবহারের নকশা প্রস্তাব করা হয়।[১০]

১৮৫০- ১৮৮০ সম্পাদনা

  • ১৮৫৩ - ১৮৫৭ - ইতালি গণিতবিদ ইউজেনিও বারসান্তি ও প্রকৌশলী ফেলিস মাত্তুয়েচ্চির জন্য মুক্ত পিস্টনের মূলনীতির একটি নিবন্ধন গৃহীত হয়। নকশাটির উদ্দেশ্য ছিল দহন প্রকোষ্ঠ যখন পিস্টনকে নিচে টানে তখন বায়ুশুন্যতার মাধ্যমে শক্তি অর্জন, যা দহন প্রকোষ্ঠে জ্বালানির বিস্ফোরণের পর হতো।

[১১]

১৮৫৩ বারসান্তি ও মাত্তুয়েচ্চি ইঞ্জিন
১৮৬০ এর দশকে অটো ল্যাঙ্গেন বায়ুমন্ডলীয় ইঞ্জিন।
  • ১৮৬০ - বেলজিয়ান- ফরাসি প্রকৌশলী জিন জোসেফ এটিন্নে লেনোইর একটি বায়ুমন্ডলীয় ( চাপযোজন বিহীন) জ্বালানী ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন, আনুভূমিক দ্বৈত-ক্রিয়াবিশিষ্ট বাস্প ইঞ্জিনের বিন্যাসের মত করে। নকশাটির শিরোনাম ছিলো -' মটের আ এয়ার ডীলাতে পার কম্বাশন দেস গ্যাস'। কথিত আছে, ১৮৬০ এ এই ইঞ্জিনের অনেকগুলি নির্মিত হয় এবং বাণিজ্যিকভাবে প্যারিসে ব্যবহৃত হয়। ১৮৬৭ সালের মধ্যে, ২৮০ টির মত লেনোইর ইঞ্জিন নির্মিত হয়। ফ্রেডরিখ সাস মনে করেন লেনোইর ইঞ্জিন হচ্ছে প্রথম কার্যক্ষম অন্তর্দহন ইঞ্জিন।
  • ১৮৬১ - চতুর্ঘাত বিশিষ্ট ইঞ্জিনের মূলনীতি ফরাসি প্রকৌশলী আলফোনেস ব্যু দে রোচাস তার ' নভেলেস রিচের্সেস সুর লে কন্ডিশনস প্রাকটিকস দে ইউটিলাইজেশন দে লা চেলেউর এট এন জেনারাল দে লা ফোর্স মট্রিস। আভেক এপ্লিকেশন আউ ছেমিন দে ফের এট আ লা নেভিগেশন ' শিরোনামে বর্ণনা করেন। দে রোচাস নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন, যেভাবে হোক, এটি দু বছর পর অযোগ্য ঘোষিত হয়।[১২]
  • ১৮৬২ - জার্মান প্রকৌশলী নিকোলাস অটো ও মাইকেল জোনস কর্তৃক একটি প্রোটোটাইপ চতুর্ঘাত ইঞ্জিন, পরিবর্তিত একটি লেনোইর ইঞ্জিন হতে, নির্মিত হয়। আত্মবিধংসী হওয়ার পূর্বে এটি মাত্র কয়েক মিনিট চলতে সক্ষম হয়েছিল।
  • ১৮৬৪-১৮৭৫ - প্রথম পেট্রোল চালিত গাড়ি- একটি প্রোটোটাইপ ঠেলাগাড়ি - জার্মান উদ্ভাবক সিগফ্রেড মার্কাস কর্তৃক নির্মিত হয়। [১৩]
  • ১৮৬৪ - প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল অন্তর্দহন ইঞ্জিন- একটি জ্বালানীচালিত বায়ুমন্ডলীয় ইঞ্জিন - জার্মান প্রকৌশলী ইউজেন লাঙ্গেন ও নিকোলাস অটো কর্তৃক নির্মিত হয়। এই ইঞ্জিনটি ১৮৬৮ সালের প্যারিস প্রদর্শনীতে স্বর্ণপদক লাভ করে এবং ১৮৬৮ সালে নিবন্ধিত হয়। এটির জ্বালানী ব্যয় লেনোইর ও হুগন ইঞ্জিনের জ্বালানী ব্যয়ের চেয়ে অর্ধেকেরও কম ছিলো।
  • ১৮৬৫ - হুগন ইঞ্জিন - শিখাদহন যুক্ত যা লেনোইর ইঞ্জিনের উন্নত সংস্করণ, আরো কম জ্বালানী খরচ এবং শীতলীকরণের জন্য প্রকোষ্ঠে পানি প্রবিষ্টকরণ - যা ফরাসি প্রকৌশলী পিয়েরে হুগন কর্তৃক প্রবর্তিত হয়। এই ইঞ্জিনটি ছাপাখানা ও নিবন্ধন অফিসের জন্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়।
  • ১৮৭২ - প্রথম বাণিজ্যিক তরল জ্বালানীচালিত ইঞ্জিন, ব্রেটনের রেডি মটোর আমেরিকান প্রকৌশলী জর্জ ব্রেটন কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। এই ইঞ্জিনটি সমচাপ দহন ব্যবহার করতো এবং ১৮৭৬ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে।
  • ১৮৭৬ - প্রথম কার্যক্ষম অটো চক্রের ইঞ্জিন - বলা হয় অটো নিঃশব্দ ইঞ্জিন - নিকোলাস অটো, ফ্রাঞ্জ রিংস ও হারম্যান শুম কর্তৃক জার্মান কোম্পানি ডেউটজ এজি গ্যাসমোটোরেনফ্যাব্রিক এ নির্মিত হয়। ইঞ্জিনটি দহনের পূর্বে বায়ু/জ্বালানীর মিশ্রণটি চাপযুক্ত করতো, যা তখনকার অন্যান্য বায়ুমন্ডলীয় ইঞ্জিনগুলোর মতো নয়। ইঞ্জিনটি ছিল এক প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট যাতে ৬.১ কিউবিক ডেসিমিটার সরণ ঘটতো, এবং মিনিটে ১৮০ ঘূর্নণে ৩ ফ্রেডস্টেক শক্তি ( ২,২০৬ ওয়াট) নির্ধারিত হয়েছিল, ০.৯৫ কিউবিক মিটার/ফ্রেডস্টেক- ঘন্টা ( ১.২৯ কিউবিক মিটার/কিলোওয়াট-ঘন্টা ) হারে জ্বালানী খরচে। উইলহ্যাম মেব্যাক পরবর্তিতে ইঞ্জিনকে উন্নত করেন এর সংযোজক দন্ড ও পিস্টনের নকশা ট্রাংক থেকে ক্রসহেড এ পরিবর্তন করে, যেন এটি ধারাবাহিক উৎপাদনে যোগ করা যায়।
  • ১৮৭৬ - অটো চতুর্ঘাত মূলনীতি ব্যবহার করে এমন স্তরীভূত মিশ্রনের ইঞ্জিনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করেন। আবেদনটি ১৮৭৬ সালে এলাসে লথ্রিংগেন এ গৃহীত হয়, এবং ১৮৭৭ সালে জার্মান রাজ্যের নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ( ডিআরপি ৫৩২, ৪ঠা আগস্ট ১৮৭৭)
  • ১৮৭৯ - জার্মান প্রকৌশলী কার্ল বেঞ্জ কর্তৃক একটি প্রোটোটাইপ দ্বিঘাত ইঞ্জিন নির্মিত হয়। [১৪]

১৮৮০-১৮৯৯ সম্পাদনা

১৮৮৫ সালের গ্র্যান্ডফাদার ক্লক ইঞ্জিন
১৮৮৬ সালের বেঞ্জ নিবন্ধিত মোটরওয়াগন
  • ১৮৮১ - প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল দ্বিঘাত ইঞ্জিন স্কটিশ প্রকৌশলী ডুগাল্ড ক্লার্ক কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। প্রাথমিকভাবে যেসব ইঞ্জিন সুপারচার্জার ব্যবহার করেছে তাদের মধ্যে এটি অন্যতম। [১৫]
  • ১৮৮৫ - বেঞ্জ নিবন্ধিত মটোরওয়াগন - যা প্রায়ই প্রথম অটোমোবাইল বা গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হয় - [১৬] নির্মিত হয়। এটি ০.৫৫ কিলোওয়াট এর ( ০.৭৪ হর্সপাওয়ার) এক প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট চতুর্ঘাত ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হতো।
  • ১৮৮৫ - ডেইমলার রেইটওয়াগন - যা প্রায়ই প্রথম মোটরসাইকেল বলে বিবেচিত হয়- জার্মান প্রকৌশলী গটলিব ডেইমলার কর্তৃক নির্মিত হয়। রেইটওয়াগনটি গ্র্যান্ডফাদার ক্লক ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হতো, একটি উচ্চগতির (৬০০ ঘূর্নণ প্রতি মিনিট), এক প্রকোষ্ঠের ইঞ্জিন, ০.৩৭ কিলোওয়াট ( ০.৫০ হর্সপাওয়ার ) উৎপন্ন করে।
  • ১৮৮৮ - একটি ঘূর্নণ ইঞ্জিন ( পিস্টনবিহীন ওয়েঙ্কেল ইঞ্জিন নয়) ফরাসি উদ্ভাবক ফেলিক্স মিলেট দ্বারা নিবন্ধিত হয়। এর পাঁচ প্রকোষ্ঠের ইঞ্জিন ১৮৯৪-১৮৯৫ সালের মিলেট মোটরসাইকেলে ব্যবহারের জন্য বাইসাইকেলের পেছনের চাকায় বসানো হয়েছিলো।
  • ১৮৮৯ - জার্মান প্রকৌশলী উইলহ্যাম মেব্যাক কর্তৃক প্রথম ভি ইঞ্জিন নির্মিত হয়। [১৭]
  • ১৮৯১ - হর্ন্সবি এক্রয়েড তেল ইঞ্জিন - যা প্রায়ই ডিজেল ইঞ্জিনের পূর্বসুরী হিসেবে বিবেচিত হয়- উৎপাদন শুরু হয়। ইঞ্জিনটি ইংরেজ উদ্ভাবক হার্বার্ট এক্রয়েড স্টুয়ার্ট কর্তৃক তৈরি হয়েছিল।
  • ১৮৯২ - জার্মান প্রকৌশলী রুডলফ ডিজেল দ্বারা " কার্যক্ষম তাপ মোটরের তত্ত্ব ও নির্মাণ " রচনা লিখিত হয়। এই রচনায় অনেকগুলি ধারনা আলোচিত হয় যা ডিজেল ইঞ্জিনের উদ্ভাবনের পথ দেখিয়েছে।
  • ১৮৯৭ - কার্ল বেঞ্জ কর্তৃক প্রথম সমতল ইঞ্জিন নির্মিত হয়। এই বিন্যাসটি পরবর্তিতে বক্সার ইঞ্জিন নামে পরিচিত হয় এর পিস্টনের সামনে পিছনে ক্রমাগত ধাক্কার জন্য।
  • ১৮৯৭ - জার্মান প্রকৌশলী রবার্ট বশ কর্তৃক গাড়িতে ব্যবহার উপলক্ষ্যে ইগনিশন ম্যাগনেটো যন্ত্রটি গ্রহন করা হয়।

১৯০০ - ১৯১৯ সম্পাদনা

  • ১৯০২ - ফরাসি প্রকৌশলী কর্তৃক প্রথম ভি এইট ( আট প্রকোষ্ঠের ভি আকৃতির ) ইঞ্জিন নির্মিত হয়।
  • ১৯০৩ - নরওয়েজিয়ান উদ্ভাবক এগিডাস এইলিং কর্তৃক প্রথম গ্যাস টারবাইন যা এর যন্ত্রাংশ চালনার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম নির্মিত হয়। [১৮]
  • ১৯০৪ - গণহারে উৎপাদিত গাড়ি আমেরিকার বুইক মডেল বি সেডানে প্রথম ওভারহেড ভালভ ইঞ্জিন সংযোজিত হয়।
  • ১৯০৫ - বহির্গামি গ্যাস চালিত টার্বোচার্জার সুইস প্রকৌশলী আলফ্রেড বুছি কর্তৃক নিবন্ধিত হয়।
  • ১৯০৫ - প্রকোষ্ঠ নিষ্ক্রিয়করণ পদ্ধতি প্রথমবারের মত চালু করা হয়।
  • ১৯০৮ - অটো চক্রে চালিত একটি গ্যাস টারবাইন জার্মান উদ্ভাবক হ্যান্স হলজওয়ার্থ কর্তৃক অনুসন্ধিত হয়।[১৯]
  • ১৯০৮ - বিশ্বের প্রথম আবর্তনশীল ইঞ্জিন বিমানের জন্য বাণিজ্যিকহারে উৎপাদিত হয়- সাত প্রকোষ্ঠের জিনোম ওমেগা - ফরাসি কম্পানি সোসিএতে দেস মতেউরস জিনোমে দ্বারা উৎপাদিত হয়।
  • ১৯১০ - প্রথম ওভারহেড ক্যামশ্যাফট ইঞ্জিন গণহারে উৎপাদিত ও সংযোজিত হয় ইতালি বিলাসবহুল গাড়ি ইসত্তা ফ্রাসচিনি তিপো কেএম এ।
  • ১৯১৩ - ফরাসি প্রকৌশলী রেনে লরিন কর্তৃক জেট ইঞ্জিনের জন্য র‍্যামজেটের একটি নকশা নিবন্ধিত হয়।

১৯২০-১৯৩৯ সম্পাদনা

  • ১৯২১ - ফরাসি প্রকৌশলী মাক্সিম গুইলামে কর্তৃক অক্ষ-প্রবাহী গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিনের ধারণা নিবন্ধিত হয়।
  • ১৯২৫ - প্রথম গ্যাসোলিন ডিরেক্ট ইঞ্জেকশন ইঞ্জিন ( সরাসরি গ্যাসোলিন জ্বালানী প্রবিষ্টকরণ ইঞ্জিন ) - ট্রাক ও বাসের জন্য হেসেলম্যান ইঞ্জিন - সুইডিশ প্রকৌশলী জনাস হেসেলম্যান কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। [২০]
  • ১৯২৬ - তাত্ত্বিকভাবে জেট ইঞ্জিনের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রস্তাব " টারবাইন নকশার জন্য বায়ুগতিবিদ্যার তত্ত্ব " শিরোনামে ইংরেজ প্রকৌশলী এলান আরনল্ড গ্রিফিথ কর্তৃক লিখিত গবেষণাপত্রে করা হয়। প্রস্তাবসমূহের মধ্যে টার্বোপ্রপ এর নকশা ও টারবাইন ব্লেডের নকশা কে সমতলের বদলে এয়ারফয়েল এ পরিবর্তনের প্রস্তাব ছিলো।
  • ১৯২৬ - প্রথম তরল জ্বালানী চালিত রকেট আমেরিকান পদার্থবিদ রবার্ট গডার্ড কর্তৃক নির্মিত হয়।
  • ১৯২৬ - উৎপাদিত গাড়ির জন্য প্রথম ডাবল ওভারহেড ক্যামশ্যাফট ইঞ্জিন ইংরেজ সানবিম ৩ লিটার স্পোর্টস গাড়িতে সংযোজিত হয়।
  • ১৯২৭ - জেট ইঞ্জিনের নকশার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা গ্রন্থ - বাস্প ও গ্যাস টারবাইন - স্লোভাক প্রকৌশলী ওরেল স্টোডোলা কর্তৃক প্রকাশিত হয়।[২১]
  • ১৯৩০ - টার্বোজেট ইঞ্জিনের ধারণা ইংরেজ প্রকৌশলী ফ্র্যাংক হুইটল কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। ১৯৩৭ সালে প্রথম এই ইঞ্জিনের কার্যক্রম সফল হয়।
  • ১৯৩১ - প্রথম কর্মক্ষম পালসজেট ইঞ্জিন আমেরিকান প্রকৌশলী রবার্ট গডার্ড কর্তৃক নির্মিত হয়।

[২২]

  • ১৯৩৫ - প্রথম গনহারে উতৎপাদিত ডিজেল যাত্রিবাহী গাড়ি- মার্সিডিজ বেঞ্জ ওএম ১৩৮ - জার্মানিতে উৎপাদন শুরু করে।
  • ১৯৩৭ - প্রথম টার্বোজেট ইঞ্জিন হেনকেল হেস ১ প্রোটোটাইপ ইঞ্জিন জার্মান উদ্ভাবক হ্যান্স ভন ওহাইন এবং আরনেস্ট হেইঙ্কেল কর্তৃক উদ্ভাবিত হয়। ১৯৩৯ সালে এর উত্তরসূরি হেইঙ্কেল হেস ৩ ইঞ্জিন প্রথম টার্বোজেট চালিত বিমান হিসেবে উড্ডয়ন সম্পন্ন করে।

১৯৪০- ১৯৮০ সম্পাদনা

  • ১৯৪১ - ক্যাপরোনি ক্যাম্পিনি সি সি ২ মোটরজেট, ইতালি প্রকৌশলী সে্কোন্ডো ক্যাম্পিনী কর্তৃক নির্মিত, ছিল প্রথম বিমান যা আফটারবার্নার ব্যবহার করে। সি সি ২ এর আফটারবার্নার চালিত অবস্থায় প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন হয় ১১ এপ্রিল ১৯৪১ সালে।
  • ১৯৪২ - প্রথম কার্যক্ষম জেট চালিত বিমান, জার্মান মেসারস্মিট মি ২৬২ জঙ্গি-বোমারু বিমান - এর প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করে।
  • ১৯৪৯ - র‍্যামজেট সম্পন্ন প্রথম বিমান- লেডুক ০.১০ - একটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। র‍্যামজেট ইঞ্জিনটি ফরাসি প্রকৌশলী রেনে লেডুক কর্তৃক নকশা করা হয়েছিলো।
  • ১৯৫২ - উৎপাদনরত যাত্রিবাহী গাড়ির জন্য প্রথম জ্বালানী প্রবিষ্টকরণ পদ্ধতি - একটি যান্ত্রিক প্রবিষ্টকরন পদ্ধতি যা রবার্ট বশ জিএমবিএইচ কর্তৃক নির্মিত - জার্মান গোলিয়াথ জিপি৭০০ গাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
  • ১৯৫৭ - জার্মান প্রকৌশলী ফেলিক্স ওয়াঙ্কেল কর্তৃক প্রথম পিস্টন বিহীন কার্যক্ষম ওয়াঙ্কেল ইঞ্জিনের প্রোটোটাইপ নির্মিত হয় ( যা প্রায়ই রোটারি ইঞ্জিন নামে পরিচিত)
  • ১৯৫৭ - উৎপাদনরত কোনো যাত্রিবাহী গাড়িতে প্রথম বৈদ্যুতিক জ্বালানী প্রবিষ্টকরণ পদ্ধতির ব্যবহার, আমেরিকান বেন্ডিক্স ইলেক্ট্রোজেক্টর সিস্টেম ব্যবহার করে।
  • ১৯৬৭ - রোলস রয়েস আরবি ২০৩ ট্রেন্ট প্রথম ৩ স্পুল বিশিষ্ট ইঞ্জিন হিসেবে আসে।[২৩]
  • ১৯৬৯ - প্র্যাট ও হুইটনি জেটি৯ডি ইঞ্জিন হলো প্রথম জেট যা একটি প্রশস্ত আকৃতির বিমান চালিত করার জন্য উচ্চ বাইপাস অনুপাত ব্যবহার করে। [২৪]
  • ১৯৭০ - প্রথম গিয়ারযুক্ত টার্বোফ্যান ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়।
  • ১৯৭৯ - ডিম্বাকৃতি পিস্টনসহ হোন্ডা কোম্পানী হোন্ডা এনআর৫০০ বাজারে উন্মুক্ত করে।

১৯৮০ থেকে বর্তমান সম্পাদনা

  • ১৯৮১ - ফেরারি ১২৬সি ফর্মুলা এফ১ গাড়ি ১৯৮১ সালে হট ভি টার্বোচার্জড ইঞ্জিন ব্যবহার করে। [২৫]
  • ১৯৮৩ - ইসুজু একটি সিরামিক ইঞ্জিন উৎপাদিত করে যা ডিজেলে চলে এবং তৎকালীন ইঞ্জিনগুলোর তুলনায় অর্ধেক জ্বালানী খরচ করে। সিরামিক ইঞ্জিনটির প্রকোষ্ঠ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • ১৯৮৫ - জেনারেল ইলেক্ট্রিক জিই৩৬ প্রপফ্যান প্রথমবারের মত চালু হয়।
  • ১৯৮৯ - জাপানে ১৯৮৯ সালে হোন্ডা ইন্টেগ্রা এক্সসিম গাড়িতে ডুয়েল ওভারহেড ক্যামশ্যাফট সিস্টেম হিসেবে প্রথম ভিটেক এর প্রবর্তন করা হয়। [২৬]
  • ১৯৯০ এর শুরুর দশক - কার্বুরেটর পরিবর্তিত হতে থাকে জ্বালানী প্রবিষ্টকরণ পদ্ধতির দ্বারা।
  • ১৯৯১ - টয়োটা লেজার ক্ল্যাড ভাল্ভ সিট প্রস্তুত করে। তারা গনউৎপাদনে যায় ১৯৯৭ সালে।
  • ১৯৯৫ - টয়োটা ভিভিটি-আই প্রযুক্তির প্রবর্তন করে।
  • ১৯৯৮ - ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত, ম্যাক্লারেন ফর্মুলা ওয়ান দল মার্সিডিজ বেঞ্জের বেরিলিয়াম এলুমিনিয়াম সংকর ধাতুর পিস্টনের ইঞ্জিন ব্যবহার করে। স্ক্রুডারিয়া ফেরারি দলের একটি আন্দোলনের পর ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশে বেরিলিয়ামের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। [২৭] এক পর্যায়ে এটি সিলিন্ডার লাইনারেও ব্যবহৃত হতো।
  • ২০০৪ - প্রথম স্ক্র্যামজেট চালিত বিমান - নাসা এক্স-৪৩ প্রোটোটাইপ প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করে।
  • ২০০৬ - বিএমডব্লিউ হাইড্রোজেন ৭ একটি হাইড্রোজেন অন্তর্দহন ইঞ্জিনসহ বিক্রি শুরু হয়। [২৮]
  • ২০০৮ - বিএমডব্লিউ এন৬৩ হলো প্রথম উৎপাদিত হট ভি টার্বোচার্জড ইঞ্জিন, যা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বিএমডব্লিউ এক্স৬ এ ২০০৮ থেকে ব্যবহৃত হয়।
  • ২০০৮ - ফোর্ড উচ্চমানের মসৃন সিলিন্ডার লাইনার প্রস্তুতের জন্য প্লাজমা ট্রান্সফার্ড ওয়্যার আর্ক প্রসেস প্রকাশ করে, যা ২০১৫ থেকে গনহারে উৎপাদন শুরু হয়।
  • ২০১১ - মিটসুবিশি ১৬০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড দহন তাপমাত্রার একটি গ্যাস টারবাইন নির্মান করে।
  • ২০১৩ - জেনারেল ইলেক্ট্রিক জিই৯এক্স এর উন্নয়ন শুরু করে যার চাপযোজন অনুপাত হচ্ছে ৬১ঃ১
  • ২০১৪ লিকুইডপিস্টন কোম্পানি উলটো ওয়াঙ্কেল ইঞ্জিনের মত একটি ইঞ্জিনের প্রোটোটাইপ তৈরি করে - যার দহন প্রকোষ্ঠ ত্রিভুজাকার আর রোটর হচ্ছে ডিম্বাকৃতি।
  • ২০১৬ - কো্রোস অটো ক্যামবিহিন পিস্টনের ইঞ্জিন প্রদর্শন করে। ২০২০ সালে কোয়েনিগসেগ ধারণাটি আবার প্রদর্শন করে। [২৯]
  • ২০১৭ - এসাটেস পাওয়ার কোম্পানি একটি প্রতিঘাত ইঞ্জিনের কার্যক্ষম তাপীয় দক্ষতা সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ হতে পারে দেখায়।
  • ২০২০ - মাসেরাতি প্রাক- প্রকোষ্ঠ দহন পদ্ধতি প্রবর্তন করে যা বাণিজ্যিকভাবে তাদের নেত্তুনো ইঞ্জিনে অন্তর্ভুক্ত।
  • ২০২১ - সিওপি ২৬ সম্মেলনে ২৪ টি দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে যে, ২০৪০ সালের মধ্যে সমস্ত নতুন বিক্রয়যোগ্য গাড়ি হবে শুণ্য নিঃসরণ গাড়ি ( কার্যকরভাবে পেট্রলডিজেল চালিত গাড়িকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে)
  • ২০২২ - আভাদি এমএ ২৫০ ইঞ্জিনের নকশা এমন যে ইঞ্জিন চালিত থাকাবস্থায় এর সংযোজক দন্ড ও পিস্টন ঘূর্ণায়মান থাকে।
  • ২০২২ - হুন্দাই অন্তর্দহন ইঞ্জিনের উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়।
  • ২০২৩ - জিএসি গ্রুপ কর্তৃক প্রথম এমোনিয়া চালিত ইঞ্জিনের গাড়ি নির্মিত হয়।

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  1. গাড়ি
  2. ইঞ্জিন
  3. অন্তর্দহন ইঞ্জিন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Ogata, Masanori; Shimotsuma, Yorikazu (অক্টোবর ২০–২১, ২০০২), "Origin of Diesel Engine is in Fire Piston of Mountainous People Lived in Southeast Asia", First International Conference on Business and technology Transfer, Japan Society of Mechanical Engineers, ২০০৭-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০১ 
  2. Needham, Joseph (১৯৬৫), Science and Civilisation in China: Volume 4, Physics and Physical Technology, Part 2, Mechanical Engineering, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 140–141, আইএসবিএন 9780521058032 
  3. Chapters 1–2, Blazing the trail: the early history of spacecraft and rocketry, Mike Gruntman, AIAA, 2004, ISBN 156347705X.
  4. "ELECTRIC PISTOL"ppp.unipv.it 
  5. "The Hydrogen Engine"www3.eng.cam.ac.uk 
  6. Spies, Albert (১৮৯২–৯৫)। Modern gas and oil engines। New York, The Cassier's magazine company – Internet Archive-এর মাধ্যমে। in 1794, Thomas Mead and Robert Street both obtained patents in England for gas or vapor engines, Mead proposing to raise the piston in his engine cylinder by the ignition of a gaseous, explosive mixture and to utilize for the down-stroke both the weight of the piston and the partial vacuum formed underneath it. 
  7. "All hail the Pyréolophore"John Robson। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  8. Hardenberg, Horst O. (১৯৯২)। Samuel Morey and his atmospheric engine। SP-922। Warrendale, Pa.: Society of Automotive Engineersআইএসবিএন 978-1-56091-240-8 
  9. Dugald Clerk, "Gas and Oil Engines", Longman Green & Co, (7th Edition) 1897, pp 3-5.
  10. Dugald Clerk, "Gas and Oil Engines", Longman Green & Co, 1897.
  11. "The Historical Documents"Barsanti e Matteucci। Fondazione Barsanti & Matteucci। ২০০৯। ২০১৭-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০১ 
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Sass নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. "Siegfried Marcus Car"www.asme.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  14. "The Benz Patent-Motorwagen - The First Car in History"www.garagedreams.net। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  15. "Sir Dugald Clerk- Scottish engineer"www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২৩ 
  16. Parissien, Steven (২০১৪)। The life of the automobile : the complete history of the motor car। Internet Archive। New York, N.Y. : Thomas Dunne Books, St. Martin's Press। পৃষ্ঠা 2–5। আইএসবিএন 978-1-250-04063-3 
  17. Larson, Len (২০০৮)। Dreams to Automobiles (ইংরেজি ভাষায়)। Xlibris Corporation। পৃষ্ঠা 171। আইএসবিএন 978-1-4691-0104-0। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০ 
  18. টেমপ্লেট:Cite tech report
  19. "Hans Holzwarth"Grace's Guide। UK। ২০২২-০২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৩ 
  20. Lindh, Björn-Eric (১৯৯২)। Scania fordonshistoria 1891-1991 (সুইডিশ ভাষায়)। আইএসবিএন 978-91-7886-074-6  (Translated title: Vehicle history of Scania 1891-1991)
  21. Dawson, Virginia Parker (১৯৯১)। Engines and Innovation: Lewis Laboratory and American Propulsion Technology। National Aeronautics and Space Administration। পৃষ্ঠা 93–। আইএসবিএন 978-0-16-030742-3 
  22. U.S. Patent 1,980,266
  23. "Commercial Aircraft Survey"Flight International। ২৩ নভেম্বর ১৯৬৭। পৃষ্ঠা 856–857। 
  24. El-Sayed, Ahmed F. (২৫ মে ২০১৬)। "Fundamentals of Aircraft and Rocket Propulsion"। Springer – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  25. Raphael Orlove (সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৪), "The Coolest 'Hot Vee' Turbo Engines", Jalopnik 
  26. "The VTEC Engine"। Honda Motor Co., Ltd.। ২০১৮-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-১১ 
  27. Collantine, Keith (৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "Banned! – Beryllium"। ২১ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১২ 
  28. https://www.caranddriver.com/news/a15147892/2007-bmw-hydrogen-7-car-news/
  29. Menon, Kiran (১৭ মে ২০২৩)। "Why Everyone Forgot Koenigsegg's Revolutionary Freevalve Engine Technology"HotCars