নাইরন আসগরালী
নাইরন সুলতান আসগরালী (ইংরেজি: Nyron Asgarali; জন্ম: ২৮ ডিসেম্বর, ১৯২০ - মৃত্যু: ৫ নভেম্বর, ২০০৬) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সেন্ট জেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নাইরন সুলতান আসগরালী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট জেমস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ২৮ ডিসেম্বর ১৯২০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৫ নভেম্বর ২০০৬ ত্রিনিদাদ | (বয়স ৮৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | গ্রিগরি আসগরালী (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৫) | ২০ জুন ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ আগস্ট ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন নাইরন আসগরালী।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত নাইরন আসগরালী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। খাঁটিমানের প্রতিরক্ষা ব্যূহ তৈরি করে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হতেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে ১০৩, ১২৮ ও ৮৩ রানের উপর্যুপরি ইনিংস খেলে ত্রিনিদাদ দলে নিজের অবস্থান থিতু করেন।
ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যেই মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। ২০ বছরের অধিক সময় নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে, মাত্র ৫০টি খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে ২১টি খেলাই ছিল ১৯৫৭ সালের ইংল্যান্ড সফরে। ১৯৫৭ সাল বাদে কোন মৌসুমেই তিনের অধিক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি।
৩০ বছর বয়সের পূর্বে একটি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেন। তবে, বেশ কয়েকটি আন্তঃ দ্বীপ এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের পক্ষে করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েক বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলেছেন। ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ড দলে খেলেছিলেন। ইংরেজ পরিবেশে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই সম্ভবতঃ ১৯৫৭ সালের ইংল্যান্ড সফরে তাকে রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন নাইরন আসগরালী। ২০ জুন, ১৯৫৭ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ আগস্ট, ১৯৫৭ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
৩৭ বছর বয়সে দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সফরে ১৯৫০-এর দশকের শুরুতে ‘থ্রী ডব্লিউ’ খ্যাত এভারটন উইকস, ক্লাইড ওয়ালকট ও ফ্রাঙ্ক ওরেলের পরিবর্তে উদীয়মান নতুন ক্রিকেট প্রতিভা গারফিল্ড সোবার্স, রোহন কানহাই ও কোলি স্মিথের অংশগ্রহণের ক্রান্তিকাল ছিল। আসগরালীকে সম্মুখসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে রাখার চেয়ে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়। তবে কাউন্টি খেলাগুলোয় ক্রমাগত রান সংগ্রহ ও এজবাস্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে অপ্রত্যাশিত পরাজয় তাকে সুযোগ এনে দেয়।
লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাকে রাখা হয়। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নেন ও দ্বিতীয় ইনিংসে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রান তুলেন। এরপর তিনি বাদ পড়েন। ওভালে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে পুনরায় তাকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। দলীয় ৮৯ রানের মধ্যে তার অবদান ছিল ২৯। এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রান হিসেবে রয়ে যায়। ওরেলে শুরুতেই বিদেয় নেন। আসগরালী ও ৩৯ রান করা গ্যারি সোবার্স ক্রিজে আসেন। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৬৮ রানে। শেষ নয় উইকেটে মাত্র ২১ রান সংগৃহীত হয়।
অবসর
সম্পাদনাসামগ্রিকভাবে ১৯৫৭ সালের ঐ সফরে অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলোয় তেমন সুবিধে করতে না পারলেও ২৯.৭৩ গড়ে ১০১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাসত্ত্বেও ৪০-এর বয়সেও ত্রিনিদাদের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর বেশ কয়েকবছর ত্রিনিদাদ ক্রিকেট কাউন্সিলের সাউথ ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো শেল শীল্ডে দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনসহ ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দলের জন্যে সংযোগকারী কর্মকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। তার সন্তান গ্রিগরি আসগরালী ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছে। ৫ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে ত্রিনিদাদে নাইরন আসগরালী’র দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ List of West Indies Test Cricketers
- ↑ "West Indies – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে নাইরন আসগরালী (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে নাইরন আসগরালী (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)