কিগ্যান মেথ
কিগ্যান অরি মেথ (ইংরেজি: Keegan Meth; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮) বুলাওয়াওএলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ২০১০-এর শুরুরদিক পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কিগ্যান অরি মেথ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বুলাওয়াও, জিম্বাবুয়ে | ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮৮) | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ এপ্রিল ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯১) | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ - বর্তমান | মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | ওয়েস্টার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স ও ওয়েস্টার্নস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরদিকে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন কিগ্যান মেথ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাহোয়াইটস্টোন স্কুলে অধ্যয়ন শেষে ফ্যালকন কলেজ, সেন্ট জর্জেস কলেজ হারারে ও ক্রিস্টিয়ান ব্রাদার্স কলেজে পড়াশুনো শেষ করেন। পড়াশুনোয় তিনি তেমন সুবিধের ছিলেন না; কিন্তু, ক্রীড়ায় বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কিগ্যান মেথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কিগ্যান মেথ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলায় অংশ নিতেন। মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্সের পক্ষে নতুন বল নিয়ে আক্রমণ পরিচালনা করতেন ও নিচেরদিকে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হলেও পেসের অভাব ছিল। তবে, বলকে শূন্যে ভাসিয়ে পিচে ঘোরানোয় সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
১৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। তরুণ অবস্থায় প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বেশ কিছু দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি। ২০০৬ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গমন করেন। সেখানে তিনি সুবিধে করতে পারেননি। এরপর থেকেই তাকে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। আয়ারল্যান্ডে ফোনিক্স দলের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিতে থাকেন।
বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্সের পক্ষে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। উত্তরোত্তর আক্রমণের ধারা বৃদ্ধি করতে থাকেন। ২০১০-১১ মৌসুমে লোগান কাপের শিরোপা বিজয়ী তুস্কার্স দলের প্রধান খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ঐ মৌসুমে ১৩.৩১ গড়ে ৫৪ উইকেট পান। চূড়ান্ত খেলায় মাউন্টেইনিয়ার্সের বিপক্ষে প্রায় একাকীই দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। খেলায় তিনি ১০৯ রান খরচায় ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন কিগ্যান মেথ। সবগুলো টেস্টই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে হারারেতে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। বুলাওয়েতে সফরকারী কেনিয়ার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশগ্রহণকালীন তার বয়স ছিল ১৮ বছর।[১]
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলাদেশ সফরের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু, অপরিচিত পরিবেশে পুনরায় প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন ও আবারও তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। তাসত্ত্বেও, দেশের অন্যতম প্রধান দক্ষ সুইং বোলার হিসেবে রয়ে যান ও উপযুক্ত পরিবেশে জিম্বাবুয়ে বোলিং আক্রমণে অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ছিলেন। ২১ আগস্ট, ২০১১ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইউসিবি কাপের শেষ ওডিআইয়ে অংশগ্রহণকালীন গুরুতর আহত হন। নাসির হোসেনের বিপক্ষে বোলিংয়ে ফিরতি ক্যাচ নেয়াকালীন তিনটি দাঁত হারান, চোয়াল ভেঙ্গে যায় ও ঠোঁটে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে রিচমন্ড মুতুম্বামি ও টিমিসেন মারুমা’র সাথে একযোগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খেলায় তিনি ৩২ ওভার বোলিং করে ৫৭ রান খরচায় দুই উইকেট ও ৫২ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Keegan Meth: Zimbabwe"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১২।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কিগ্যান মেথ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কিগ্যান মেথ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)