জোকো উইদোদো

(Joko Widodo থেকে পুনর্নির্দেশিত)

জোকো "জোকোউয়ি" উইদোদো (জাভানীয়: Jåkå Widådå; পুরনো-জাভানীয়: Jaka Widada; জন্ম ২১ জুন ১৯৬১) হলেন ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি। ২০১২ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইনি জাকার্তার গভর্নর এবং ২০০৫ থেকে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সুরাকার্তা‌র মেয়র ছিলেন। রাজনৈতিক অভিজাত বা সেনাবাহিনীর অফিসার বৃত্তের বাইরে থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি হওয়া তিনি প্রথম ব্যক্তি।[১]

জোকো উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার ৭ম রাষ্ট্রপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০ অক্টোবর ২০১৪
উপরাষ্ট্রপতিজুসুফ কাল্লা
পূর্বসূরীসুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
জাকার্তার ১৬তম গভর্নর
কাজের মেয়াদ
১৫ অক্টোবর ২০১২ – ১৬ অক্টোবর ২০১৪
ডেপুটিবাসুকি জাহাজা পুরনামা
পূর্বসূরীফাউজি বোয়ো
উত্তরসূরীবাসুকি জাহাজা পুরনামা
সুরাকার্তা‌র ১৬তম মেয়র
কাজের মেয়াদ
২৮ জুলাই ২০০৫ – ১ অক্টোবর ২০১২
ডেপুটিএফ. এক্স. হাদি রুদইয়াতমু
পূর্বসূরীসালামাত সুরইয়ানতু
উত্তরসূরীএফ. এক্স. হাদি রুদইয়াতমু
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1961-06-21) ২১ জুন ১৯৬১ (বয়স ৬২)
সুরাকার্তা‌, ইন্দোনেশিয়া
রাজনৈতিক দলইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ স্ট্রাগল
দাম্পত্য সঙ্গীইরিয়ানা জোকো উইদোদো (১৯৮৬-বর্তমান)
সন্তানজিবরান রাকাবুমিং রাকা
কাহিয়াং আয়ু
কাইসাং পাঙ্গারেপ
বাসস্থানমেরদেকা প্রাসাদ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীগাদজাহ মাদা বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মইসলাম (সুন্নি)
স্বাক্ষর

২০১২ খ্রিষ্টব্দে জোকো উইদোদো তার দল ইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ স্ট্রাগল কর্তৃক জাকার্তার গভর্নর নির্বাচনের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। বাসুকি জাহাজা পুরনামা ছিলেন তার রানিং মেট।[২] সে বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পর জোকো উইদোদো জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হন এবং এতে তিনি তৎকালীন গভর্নর ফাউজি বোয়োকে পরাজিত করেন।[৩] তার বিজয়কে ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতিতে পুরনো ধাচের রাজনীতির বদলে নতুন বা স্বচ্ছ নেতাদের প্রতি ভোটারদের সমর্থনের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়।[৪]

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তার দলের তরফ থেকে তার নাম ঘোষিত হয়।[৫] সে বছরের ৯ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল নিয়ে কিছু বিতর্কের পর ২২ জুলাই নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নাম ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে তার প্রতিপক্ষ প্রাবুয়ু সুবিয়ান্তো জুজুহাদিকুসুমুর বিপক্ষে ৫৩% এর বেশি ভোট পাওয়ায় তিনি ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিজয়ী ঘোষিত হয়েছিলেন। গণনা শেষ হওয়ার পূর্বে সুবিয়ান্তো প্রশ্ন তোলেন এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।[৬]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা

জোকো উইদোদো জাভানিজ বংশোদ্ভূত। নাম পরিবর্তনের আগে তাকে মুলয়ুনু ডাকা হত। এধরনের নাম পরিবর্তন জাভায় হয়ে থাকে।[৭] তার বাবা কারানগানয়ার এবং তারা দাদা বুয়ুলালির গ্রাম থেকে এসেছিলেন।[৮] অস্বচ্ছল নাগরিকদের স্কুল বলে পরিচিত স্টেট প্রাইমারি স্কুল ১১১, টিরটুয়ুসুতে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়।[৯] ১২ বছর বয়সে তিনি তার বাবার আসবাবপত্রের দোকানে কাজ শুরু করেন।[১০][১১] শৈশবে তিনবার উচ্ছেদের অভিজ্ঞতা তার চিন্তা এবং সুরাকার্তা‌র মেয়রের দায়িত্বে প্রভাব ফেলে যখন তিনি শহরের আবাসন পুনর্গঠিত করেন।[১২]

প্রাথমিক শিক্ষার পর তিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএমপি নেগেরি ১ সুরাকার্তা‌য় শিক্ষা গ্রহণ করেন।[১৩] তিনি এসএমএ নেগেরি ১ সুরাকার্তা‌য় তার শিক্ষা গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন এবং এসএমএ নেগেরি ৬ সুরাকার্তা‌য় পড়াশোনার জন্য যান।[১৪]

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

সুরাকার্তা‌র মেয়র সম্পাদনা

সুরাকার্তা‌র মেয়রের পদে লড়বার সময় তার সম্পদ ও আসবাবপত্রের ব্যবসায়ী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে; একটি একাডেমিক পেপার দাবি করে যে তার নেতৃত্বের ধরন সফল হয়েছিল কারণ এখানে জনসাধারণের সাথে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা হয় যার ফলে তার প্রতি মানুষের বিশ্বাস জন্মায়।[১৫] ব্যবসায়ী হিসেবে তার ভ্রমণ করা ইউরোপীয় শহরের উন্নয়ন কাঠামো তিনি তার নিজ শহর সুরাকার্তা‌য় গ্রহণ করেন।[১৬]

সুরাকার্তা‌র মেয়র হিসেবে তার সাত বছরের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে।:[১৭]

  • নতুন প্রথাগত মার্কেট নির্মাণ - যার মধ্যে রয়েছে দুর্লভ জিনিসের মার্কেট ও গৃহস্থালি দ্রব্যের মার্কেট
  • সুরাকার্তা‌র প্রধান সড়কের পাশাপাশি ৭ কিমি দীর্ঘ সড়ক ও ৩ মিটার চওড়া ফুটপাত নির্মাণ
  • বেলকামবাং ও স্রিওয়েদারি পার্ক সংস্কার
  • শহরের প্রধান সড়কের পাশের গাছ কাটার উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারি
  • সুরাকার্তা‌কে জাভার সংস্কৃতি এবং পর্য‌টন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যার মূলবাণী ছিল "জাভার আত্মা"
  • শহরকে বৈঠক, প্রদর্শনী ইত্যাদির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা
  • ব্লুসুকান সংস্কৃতি যার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার মানুষ থেকে সরাসরি তাদের দাবি শোনার জন্য তিনি কোনো প্রস্তুতি ছাড়াও যেতেন
  • শহরের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি
  • সকল বাসিন্দার জন্য স্বাস্থ্যসেবার ইন্সুরেন্স কার্যক্রম
  • দ্বিতল বাস ও রেলবাসের মাধ্যমে গণপরিবহন ব্যবস্থা
  • সোলো টেকনো পার্ক যা এসেমকা ইন্দোনেশীয় গাড়ি প্রকল্পে সহায়তা করেছে[১৮]

তার সমর্থকরা তার নেতৃত্বে সুরাকার্তা‌র উন্নয়ন এবং "সোলোঃ জাভার আত্মা" স্লোগানকে নির্দেশ করে থাকে। দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে উচ্ছিষ্ট বস্তুর ব্যবসায়ীদের তিনি বানজারসারি উদ্যানে স্থানান্তর করেন। এর মাধ্যমে উন্মুক্ত স্থানগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক কাজে জড়িত হওয়ার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।। স্থানীয় টিভিতে নিয়মিতভাবে আসার মাধ্যমে তিনি স্থানীয় জনতার সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেন। তার উদ্যোগে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে সুরাকার্তা‌ অর্গানাইজেশন অফ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটিসের সদস্য হয় এবং ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে সংগঠনের সম্মেলনের আয়োজক শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে সুরাকার্তা‌ বিশ্ব সঙ্গীত উৎসবের আয়োজক হয় যা ভাসতেনবুর্গ‌ দুর্গ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে এই উৎসব মানকুনেগারান প্রাসাদ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়।

তার ব্যক্তিগত কর্মপ্রণালীর মধ্যে "করতে পারি" স্লোগান জনপ্রিয় হয়।[১৫] ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ক্রিসমাসের কিছু আগে সুরাকার্তা‌র মেয়র হিসেবে তিনি একটি ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে জড়িয়ে পড়েন; এসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুত কোম্পানির কাছে সুরাকার্তা‌র মিউনিসিপালিটির প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিল বকেয়া ছিল। কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বাকি বিল সংগ্রহের শৃঙ্খলার জন্য ক্রিসমাসের কিছু আগে সুরাকার্তা‌র রাস্তার বাতি বন্ধ করে দেয়। মিউনিসিপালিটি দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করে কিন্তু প্রতিবাদ করে বলে যে বিদ্যুত কোম্পানির উচিত ছিল এধরনের কাজের আগে জনসাধারণের স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখা। এই যুক্তি জোরদার করার জন্য জোকো উইদোদো ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যুত কোম্পানির স্থানীয় অফিসে গিয়ে ১০০ মূল্যের নোট এবং কয়েন আকারে বিল পরিশোধ করে।[১৯]

ইন্দোনেশিয়ার ম্যাগজিন টেম্পু ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাকে টেম্পু'স লিডার্স‌ অফ চয়েস মনোনীত করে। তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে রিপাবলিকা পত্রিকা থেকেচাঙ্গেমাকের্স‌ এওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে দল কর্তৃক মনোনীত হওয়ার পূর্বে জাকার্তার গভর্নর পদের নির্বাচনের জন্য তার নাম উঠে আসে।.[১৫]

জাকার্তার গভর্নর সম্পাদনা

 
জাকার্তার গভর্নর হিসেবে সরকারি পোর্ট্রে‌টে জোকো উইদোদো, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ।

জাকার্তার গভর্নর থাকাকালীন সময়ে জোকো ব্লুসুকান নামক নীতি অনুসরণ করেন। এর মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জাকার্তা‌ব্যপী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত দরিদ্র এলাকায় ভ্রমণ করতেন। তার উপদেষ্টাদের ভেতরের মহলে এফএক্স হাদি 'রুদি' রুদইয়াতমু, সুমারতুনু হাদিনুতু ও আনগিত নুগরুহু ছিলেন এমনটা বলা হয়। তিনি সুরাকার্তা‌র মেয়র থাকার সময় তারা তার সহকর্মী ছিলেন।[২০]

গভর্নর হিসেবে নীতি সম্পাদনা

ব্লুসুকান সম্পাদনা

জোকো উইদোদো নিয়মিতভাবে জাকার্তার বিভিন্ন দরিদ্র এলাকা সফর করতেন। এসকল সফরে তাকে সাধারণ পোষাকে দেখা যায়। তিনি এসময় বিভিন্ন বাজার ও সরু গলিতে হেটে বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খাদ্যের মূল্য, আবাসন সমস্যা, স্থানীয় বন্যা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এসব বিষয়ে খোজ নিতেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে যে তার এসকল কর্মপ্রণালী জাকার্তা ও ইন্দোনেশিয়ার অনত্র তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে।[২১]

লেলাং জাবাতান সম্পাদনা
 

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল ও জুন মাসে জোকো লেলাং জাবাতান নামক আমলাতান্ত্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেন আক্ষরিকভাবে যার অর্থ অফিস পদের নিলাম। এই প্রক্রিয়া ইতিপূর্বে ইন্দোনেশিয়ায় চালু ছিল না। এর মাধ্যমে প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী যোগ্যতা পূরণ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পদ লাভের সুযোগ পেত। এই পরীক্ষার ফলাফল স্বচ্ছভাবে ঘোষণা করা হত এবং প্রাদেশিক সরকার কর্ম‌চারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদ প্রদান করত।[২২]

স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি সম্পাদনা

২০১২ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুকাল পর জাকার্তায় তিনি হেলদি জাকার্তা কার্ড (কারতু জাকার্তা সেহাত) এর ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি চালু করেন। এই কার্যক্রম জনপ্রিয় হলেও প্রয়োগের সময় সমস্যা বৃদ্ধি পায়।[২৩] প্রথম কয়েক মাসে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা ৭০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।[২৪] এই কর্মসূচিতে ইন্সুরেন্স অন্তর্ভুক্ত ছিল যা একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্সুরেন্স কোম্পানি কর্তৃক প্রদান করা হত।[২৫] এর প্রয়োগের বিস্তারিত নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় এবং সেবার জন্য দীর্ঘ সারির কারণে অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়। এই দীর্ঘ সারি ফলে মধ্যস্বত্ত্বভোগী শ্রেণীর উদ্ভব হয়। এরা প্রায় ১,৫০,০০০ ইন্দোনেশীয় রুপীয়াহ পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে কাজ করত।[২৬] এসকল সমস্যার কারণে জাকার্তার আঞ্চলিক পার্লামেন্টে তার বিপক্ষে সমালোচনা হয়। বলা হয় যে তিনি জনপ্রিয়তাবাদি ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছেন। তবে জোকো তার কার্যক্রমের পক্ষে অবস্থান নেন।

শিক্ষা কর্মসূচি সম্পাদনা

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর জোকো "স্মার্ট জাকার্তা কার্ড" চালু করেন। জাকার্তার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা এর উদ্দেশ্য ছিল। এর কার্ডে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হত এবং শিক্ষার্থীদের বই, ইউনিফর্ম ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণের জন্য প্রয়োজনীয় এই অর্থ এটিএম থেকে উত্তোলন করা যেত। কার্ডের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করা হত। শিক্ষার কাজ ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে কার্ড ব্যবহার করার অনুমতি ছিল না।[২৭]

গণপরিবহন সম্পাদনা

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর জোকো উইদোদো জাকার্তার মেট্রো নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ইতিপূর্বে এই কাজ এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।[২৮] সে বছরের ১৬ অক্টোবর তিনি জাকার্তা মনোরেলের গ্রীন লাইনের নির্মাণকাজ পুনরায় চালু করেন।[২৯]

অর্থনৈতিক সংস্কার সম্পাদনা

জোকো উইদোদো দায়িত্ব গ্রহণের পর কর এবং জাকার্তার প্রাদেশিক বাজেট ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ৪১ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৭২ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ হয়।[৩০][৩১]

স্বচ্ছতা সম্পাদনা
 

জোকো উইদোদো ও তার পূর্বের গভর্নর বাসুকি দুজনেই তাদের মাসিক বেতন এবং প্রাদেশিক বাজেট জনসাধারণের সম্মুখে পেশ করতেন।[৩২][৩৩] এছাড়াও তারা স্বচ্ছতার জন্য কিছু কার্যক্রম চালু করেন যেমন অনলাইন ট্যাক্স, ই-বাজেট, ই-কেনাকেটা ও নগদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম।[৩২] তাদের সকল বৈঠক রেকর্ড করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করা হত।[৩৪]

হকার ও প্রথাগত বাজারের পুনর্গঠন সম্পাদনা

জোকো উইদোদো পাসার মিঙ্গুপাসার তানাহ আবাং এর হকারদেরকে নতুন ভবনে স্থানান্তর করেন। তাদের কারণে ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছিল বলে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।[৩৫] ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাঁচটি এবং ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে চারটি প্রথাগত বাজার তৈরী ও সংস্কার করেন।[৩৬][৩৭] এসকল বাজারের বিক্রেতাদেরকে উপর ভাড়া ধার্য করা হয়নি তবে তাদেরকে বিক্রয়ের স্থান রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় এবং এগুলো তারা বিক্রি করতে পারে না। বিক্রেতাদের শুধু রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুত ও পানির মূল্য দিতে হয়।[৩৮]

বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পাদনা

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ড্রেজিং ও জলাধার বিষয়ক কার্যক্রম চালু করা হয়। এসকল কার্যক্রমের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তিনটি হল প্লুইট জলাধার, রিয়া রিও জলাধার এবং পেসাঙ্গারাহান নদী। জলাধারের আশেপাশের বসতি স্থানান্তর এসকল কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৩৯] বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পর ড্রেজিং শুরু হয়। নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট একে সফল বলে প্রশংসা করেন।[৪০] এসকল কার্যক্রমের ফলে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে বন্যর প্রকোপ কমে আসে।[৪১]

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সম্পাদনা

 
জোকো উইদোদোর রাষ্ট্রপতি পদের জন্য শপথ গ্রহণ, ২০ অক্টোবর ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ।

মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী জোকো উইদোদোকে তার দলের জন্য রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন।

বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের দ্রুত গণনার ফলাফল পাওয়ার পর ৯ জুলাই জোকো উইদোদোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার প্রতিপক্ষ প্রাবুয়ু সুবিয়ান্তোও নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন যার ফলে জনসাধারণের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব জন্ম নেয়[৪২] ২২ জুলাই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পূর্বে প্রাবুয়ু নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।[৪৩] কমিশন জোকো উইদোদোকে ৫৩.১৫% ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে প্রাবুয়ু পান ৪৮.৮৫% ভোট[৪৪] তবে প্রবুয়ুর সমর্থকরা এই ফল মানতে রাজি হননি।[৪৫]

বিজয়ের পর জোকো উইদোদো বলেন যে কর্তৃত্ববাদী ও দুর্নী‌তিগ্রস্থ শাসনের অধীনে বড় হওয়ার কারণে তিনি কখনো ভাবেননি যে নিম্ন শ্রেণীর একজন রাষ্ট্রপতি হতে পারবে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদ প্রকাশ করে যে "এখন এটি প্রায় আমেরিকার নয় কি? আমেরিকান স্বপ্ন আছে, এবং এখানে আমরা ইন্দোনেশীয় স্বপ্ন পাচ্ছি"।[৪৬] জোকো উইদোদো সামরিক বা অভিজাত শ্রেণীর বাইরে থেকে আগত প্রথম ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রপতি। রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার সালিম সাইদ তার সম্পর্কে বলেন "এমন কেউ যে আমাদের প্রতিবেশী, যে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং রাষ্ট্রপতি পদের জন্য লড়েছে".[৪৬]

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সম্পাদনা

অর্থনৈতিক সক্ষমতা সম্পাদনা

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম চতুর্ভা‌গে জিডিপি ৪.৯২% বৃদ্ধি পায়।[৪৭] দ্বিতীয় চতুর্ভা‌গে এই বৃদ্ধি ৪.৬% হয় যা ২০০৯ এর পর সর্বনিম্ন।[৪৮] সবকিছু ৬% এর নিচে ছিল এবং নবাগতরা ইন্দোনেশিয়ার শ্রমবাজারে যুক্ত হতে পারছিল না।[৪৯]

রুপিয়াহর মূল্য কমে যায়। মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এর মূল্য হ্রাস পেয়ে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৪,০০০ রুপিয়াহ হয় যা বিগত ১৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।[৫০] একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এই মূল্য ১৪৭৯৭ রুপিয়াহ হয়েছিল।[৫১]

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.২৬%। এই হার মে (৭.১৫%) এবং তার পূর্বের বছরের জুন মাসের (৬.৭%) চেয়ে বেশি।[৫২]

মাদক অপরাধ ও মৃত্যুদন্ডের নীতি সম্পাদনা

মাদক পাচার ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইন্দোনেশীয় আইনে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে।[৫৩][৫৪] জোকো উইদোদো দায়িত্বগ্রহণের পর ঘোষণা করেন যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মাদক পাচারকারীদের কোনো প্রকার ক্ষমা প্রদর্শন করা হবে না।[৫৫] বিচারিক আদালতের আদেশের পর রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে ইন্দোনেশীয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।[৫৬] মৃত্যুদন্ড মওকুফের জন্য আসা আবেদন খারিজের জন্য রাষ্ট্রপতিকে এ সংক্রান্ত দলিল পড়তে হয় না।[৫৭] জোকো উইদোদো যুক্তি দেখান যে ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে মাদক সংক্রান্ত ব্যাপারে জরুরি অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন যে ১.২ মিলিয়ন মাদকগ্রহণকারীকে পুনর্বাসন করা সম্ভব না এবং প্রতি বছর তাদের ৫০ জন মারা যাচ্ছে।[৫৫] তবে একজন সাংবাদিক বলেছেন যে এই পরিসংখ্যান সঠিক না।[৫৮]

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে মার্কো‌ আর্চা‌র কারদোসো মোরেইরা নামে ব্রাজিলের এক নাগরিকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।[৫৯][৬০] তার সাথে একজন ডাচ নাগরিকের মৃত্যুদন্ডও কার্যকর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার আদালত মৃত্যুদন্ড দেয়। ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ড তাদের নাগরিকের মৃত্যুদন্ডের প্রতিবাদ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়।[৬১]

ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক না হওয়ার ফলে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে মাইয়ুরান সুকুমারান ও এন্ড্রু চান নামক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের রিভিউ আবেদন ইন্দোনেশিয়ার সাংবিধানিক আদালত খারিজ করে দেয়।[৬২] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে উত্থাপনের প্রস্তাব দেয়।[৬৩] ২৯ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে। এর প্রতিবাদ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া তাৎক্ষনিকভাবে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়।[৬৪] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ইন্দোনেশিয়াকে দেয়া বৈদেশিক সাহায্য কমিয়ে ৬০৫.৩ মিলয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৩৬৬.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করা হয়।[৬৫] সাংবিধানিক আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জিমলি আশিদ্দিকি বলেন যে এই দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মৃত্যুদন্ডের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে চাপ এসেছিল।[৬৬]

তবে জোকো উইদোদো ফিলিপাইনের নাগরিক মেরি জেন ভেলোসোকে শেষ মুহূর্তে দন্ড মওকুফ করেছিলেন। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি একুইনার সাথে আসিয়ান বৈঠকের সময় একুইনা দন্ড মওকুফের আবেদন করেছিলেন।[৬৭]

এক ফরাসি নাগরিকের মৃত্যুদন্ডের প্রসঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন যে এই দন্ড কার্যকর হলে দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। তিনি এও বলেন যে ফ্রান্স ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুদন্ড বিলোপ করেছেন এবং তারা সর্বাবস্থায় মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে।[৬৮] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল আটলাউইর আপিল শুনানি বাকি থাকায় তাকে মৃত্যুদন্ড থেকে সরিয়ে আনা হয়।[৬৯][৭০]

জোকো উইদোদোর মৃত্যুদন্ড নিয়ে অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা হয়। বলা হয় যে এর ফলে দন্ডপ্রাপ্তদের সাথে ইন্দোনেশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের অবনতি হবে।[৭১] এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মৃত্যুদন্ডে সঠিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করে।[৭২] তবে জোকো উইদোদো বিদেশে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ইন্দোনেশীয় নাগরিকদের পক্ষে অবস্থান নেন।[৭৩]

ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত হিসেবে ১৩০ জনের মত রয়েছে।[৭৪]

নিজ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক সম্পাদনা

বিভিন্ন কর্মপ্রণালীর দুর্বলতার কারণে জোকো উইদোদো তার নিজ দলের মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়ে। একজন আইনপ্রণেতা তার অভিশংসনের দাবি জানান।[৭৫]

দলীয় কংগ্রেস চলার সময় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল দলের প্রধান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী তাকে কার্যনির্বাহক বলে অবিহিত করেন। মেঘবতী উল্লেখ করেন যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রণালী হল যে একজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হন যার অর্থ জোকোর মনোনয়ন তার দলের মনোনয়ন ছিল। এ কারণে রাষ্ট্রপতি তার দলের রাজনৈতিক নীতি অনুসরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।[৭৬] "দলের বর্ধিত হাত হিসেবে আপনি এর কার্যনির্বাহক। যদি আপনি দলের কার্যনির্বাহক হতে না চান তবে সরে দাঁড়ান!"[৭৭]

জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস নীতি সম্পাদনা

জোকো উইদোদো দায়িত্বগ্রহণের পূর্বে চেয়েছিলেন যাতে তার পূর্বসূরি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনোকে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির দায়িত্ব নেন।[৭৮][৭৯] ইতিপূর্বে ইয়ুধনোর ভর্তুকি হ্রাসের কারণে গণ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।[৭৮] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারিতে জোকো জ্বালানির উপর ভর্তুকি হ্রাসের পদক্ষেপ নেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তরফ থেকে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়।[৮০] সরকার ডিজেলের উপর লিটার প্রতি ১,০০০ রুপিয়াহ (০.০৮ মার্কিন ডলার) ভর্তুকি প্রদান করে, তবে গ্যাসোলিনের উপর ভর্তুকি হ্রাস করা হয়।[৮১] এই পদক্ষেপের দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। তবে জোকো উইদোদো বলেন যে অবকাঠামো, শিক্ষা, ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ দরকার ছিল।[৮২] তবে তিনি তার প্রতিশ্রুত অবকাঠামো কর্মসূচিতে সফল হননি।[৮৩]

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "কেউ কেউ বলে যে যদি আমি জ্বালানি ভর্তুকি হ্রাস করি তবে আমি অজনপ্রিয় হব। আমি বলি আমি জনপ্রিয়তা চাই না।"[৮৪]

বৈদেশিক নীতি সম্পাদনা

ইতিপূর্বে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইয়ুধনোর সময় পররাষ্ট্র নীতি ছিল, "হাজার বন্ধু এবং শূণ্য শত্রু"।[৮৫]

জোকো উইদোদো তিন দফা নীতি প্রণয়ন করেন যার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক কূটনীতি বৃদ্ধি।[৮৬]

জোকো উইদোদোর মতানুযায়ী ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্বকে উপহাস করে প্রতিদিন ৫,০০০ এর বেশি জাহাজ এর জলপথ ব্যবহার করছে যার কারণে বার্ষিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয় এবং জাকার্তা এই অবস্থা মেনে নিতে পারে না।[৮৭]

"প্রতিদিন প্রায় ৫,৪০০ বিদেশি মাছ ধরার জাহাজ আমাদের সমুদ্রে আসে," তিনি বলেন। "তাদের প্রায় ৯০% বেআইনিভাবে কাজ করে"।."[৮৮]

এছাড়াও তিনি বিদেশে মাদক পাচারের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করেছেন।[৮৯]

মন্ত্রিপরিষদে রদবদল সম্পাদনা

২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ আগস্ট জোকো উইদোদো তার মন্ত্রিপরিষদে রদবদল ঘোষণা করেন[৯০]

  1. দারমিন নাসুতিওন অর্থনীতির সমন্বয় মন্ত্রী হিসেবে সোফয়ান জলিলের স্থলাভিষিক্ত হন
  2. সোফয়ান জলিল জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে আন্দ্রিওফ চানিয়াগোর স্থলাভিষিক্ত হন
  3. থমাস লেমবং বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে রহমত গোবেলের স্থলাভিষিক্ত হন
  4. লুহুত পানজাইতান রাজনীতি, আইন ও সুরক্ষার সমন্বয় মন্ত্রী হিসেবে তেদজো ইদি পুরদিজানতোর স্থলাভিষিক্ত হন
  5. রিজাল রামলি উপকূল ও সম্পদ সমন্বয় মন্ত্রী হিসেবে ইন্দ্রোয়ুনো সেসিলোর স্থলাভিষিক্ত হন
  6. প্রামুনু আনুং মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আনদি উইজায়ানতোর স্থলাভিষিক্ত হন

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

জাতীয় সম্মান
  •   ইন্দোনেশিয়া
    • বিনতাং জাসা উতামা – ২০১১
    •   বিনতাং রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া আদিপুরনা – ২০১৪
বৈদেশিক সম্মান
অন্যন্য

২০০৮: টেম্পু ম্যাগাজিন কর্তৃক ২০০৮ এর ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ‌ দশ মেয়রের অন্যতম

২০১২: "অপরাধ প্রবণ শহর থেকে শিল্প, সংস্কৃতি ও পর্যটক আকর্ষ‌ণের শহরে রূপান্তর" কৃতিত্বে ২০১২ এর বিশ্ব মেয়র পুরস্কারের জন্য তৃতীয় স্থান।

২০১৩: ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন কর্তৃক ২০১৩ এর নেতৃত্বাস্থানীয় বিশ্ব চিন্তাবিদ্দের অন্যতম। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনভিত্তিক দ্য সিটি মেয়রস ফাউন্ডেশন কর্তৃক গ্লোবাল মেয়র অফ দ্য মান্থ হিসেবে মনোনোয়ন লাভ করেন[৯৩]

২০১৪: ফরচুন ম্যাগাজিন কর্তৃক বিশ্বের ৫০ জন বড় নেতার তালিকায় স্থান[৯৪]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

দি ইকোনমিস্ট কর্তৃক পরিবেশিত সংবাদ অনুযায়ী জোকো উইদোদো উচ্চশব্দের রক সঙ্গীত পছন্দ করেন এবং তার ভারী মেটাল ব্যান্ড মেটালিকার রবার্ট ট্রুজিলোর স্বাক্ষর করা একটি বেস গিটার একসময় তার কাছে ছিল।[৯৫] তিনি একজন মেটালিকা, ল্যাম্ব অব গড, লেড জেপেলিন ও নাপাম ডেথের ভক্ত। নাপাম ডেথ তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে জোকো উইদোদোর প্রশংসা করেছে।[৯৬] তবে বালি নাইনলিন্ডসে স্যান্ডিফোর্ড‌ মামলার পর তার প্রতি ব্যান্ডের সমালোচনা হয়। তাদের মধ্যে টনি ইয়োমিও ছিলেন। ক্ষমা ঘোষণার জন্য তারা অনুরোধ করেছিলেন। তবে তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়।[৯৭] জাকার্তার গভর্নর থাকাকালীন সময়ে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২ নভেম্বর সুরাকার্তা‌র একটি রক উৎসবে তা সাধারণ পোষাকে দেখা যায়। এই উৎসবে এটি তার দ্বিতীয় আগমন। এর পূর্বে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই রক উৎসবে প্রথমবার এসেছিলেন।[৯৮]

পরিবার সম্পাদনা

জোকো উইদোদো তার বাবা নোতো মিহারদজো ও মা সুদজিয়াতমি নোতোমিহারদজোর জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার তিনজন ছোট বোন রয়েছেন। [৯৯]

জোকো ও তার স্ত্রীর ইরিয়ানার তিন সন্তান রয়েছেন। তারা হলেন জিবরান রাকাবুমিং রাকা, কাহিয়াং আয়ু ও কাইসাং পাঙ্গারেপ।

চলচ্চিত্রে উপস্থাপন সম্পাদনা

২০১৩ এর জুন মাসে জোকো উইদোদোর শৈশব ও যৌবনকাল নিয়ে একটি চলচ্চিত্র প্রচারিত হয়।[১০০] জোকো উইদোদো চলচ্চিত্রের কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলে বলেন যে তার জীবন সাধারণ ছিল এবং চলচ্চিত্রে তুলে ধরার মত উল্লেখযোগ্য ছিল না।[১০১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cochrane, Joe (জুলাই ২২, ২০১৪)। "A Child of the Slum Rises as President of Indonesia"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  2. "Naik Kopaja, Jokowi – Ahok Daftar Jadi Cagub DKI" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Tempo। ১৯ মার্চ ২০১২। 
  3. Editorial: Jokowi's real battle', The Jakarta Post, 22 September 2012.
  4. Sudirman Nasir, 'The thirst for positive 'deviant' leaders', The Jakarta Post, 18 July 2012.
  5. 'Governor of Jakarta Receives His Party’s Nod for President', The New York Times, 14 March 2014.
  6. "Jakarta governor Widodo wins Indonesian presidential election" (ইংরেজি ভাষায়)। Indonesia News.Net। ২০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৪ 
  7. Wawancara Jokowi di Satu Indonesia (menit ke 18) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে diakses dari situs archive video q391.ru
  8. Dihadapan Pimpinan Muhammadiyah, Jokowi Bantah Anti Islam ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে diakses dari situs Metro TV News pada tanggal 26 May 2014.
  9. Anggi Kusumadewi; Fajar Sodiq (২১ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Meski Bukan dari Sekolah Elit, Jokowi Bisa Sukses"VIVA.co.id (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  10. "Jokowi Anak Tergusur Mau Jadi Gubernur"Beritasatu.com (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ১১ এপ্রিল ২০১২। ২৬ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  11. Segu, Vinsensiu (১৬ জুলাই ২০১২)। "Dari Bantaran Kali Menuju DKI-1"Inilah.com (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  12. "Jokowi Kecil, Rumah Digusur, Tiga Kali Pindah Kontrakan"Tribunnews (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  13. Sunaryo, Arie (১০ আগস্ট ২০১৩)। "Sejak SMP, Jokowi sudah dikenal pendiam tapi pintar"Merdeka.com (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  14. "Gagal Masuk SMA Favorit, Jokowi Sakit Tipus dan Pendiam"Tribunnews (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  15. Cahyadi Indrananto (June 2012) Pemimpin Daerah Sebagai Agen: Dramaturgi dalam Komunikasi Politik Walikota Solo Joko Widodo / Local Leaders as Agents: Dramaturgy on Political Communications of City Mayor Joko Widodo of Solo, Postgraduate Thesis.
  16. Joko Wididi Raih Penghargaan Best City Award Asia Tenggara – Best City Award Delgosea Joko Wididi penataan PKL walikota solo
  17. Sita W. Dewi and Kusumasari Ayuningtyas, 'Poor stagnate while city thrives', The Jakarta Post, 18 November 2013.
  18. Kusumasari Ayuningtyas, 'Surakarta mayor uses car made by vocational school students' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, The Jakarta Post, 3 January 2012.
  19. Kusumasari Ayuningtyas, 'Residents of Surakarta accompany mayor to pay PLN', The Jakarta Post, 4 January 2012.
  20. See the several reports by Sita W. Dewi and Kusumasari Ayuningtyas: 'Jokowi's star appeal: Making hay while sun shines', The Jakarta Post, 18 November 2013; 'The inner circle', The Jakarta Post, 19 November 2013; Sita W. Dewi, 'Man of the house, man of the moment', The Jakarta Post, 20 November 2013.
  21. Editorial: Start working, Jokowi', 22 January 2013, The Jakarta Post.
  22. Dewi Sendhikasari D. Lelang Jabatan Camat dan Lurah di DKI Jakarta ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে. diakses dari situs Berkas DPR pada tanggal 23 October 2013
  23. 'For all citizens or only the poor?', The Jakarta Post, 22 December 2013.
  24. Tom McCawley (November 2013) "Overdue Antidote" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, Development Asia, Asian Development Bank.
  25. '"Jokowi-care" a pilot project for upcoming national health plan', The Jakarta Post, 22 December 2013.
  26. 'A report card for Jakarta's healthcare program', The Jakarta Post, 22 December 2013.
  27. Kartu Jakarta Pintar Diluncurkan. Antara. 15 March 2014
  28. "Proyek Pembangunan MRT Jakarta Resmi Dimulai"VOA Indonesia (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ১০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪ 
  29. Syailendra (১৬ অক্টোবর ২০১৩)। "Jokowi Resmikan Monorel Jalur Hijau"Tempo (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  30. Dipimpin Jokowi, Pendapatan DKI naik Rp 31 Triliun dalam Setahun. bisniskeuangan.kompas.com. 17 March 2014
  31. Pernyataan PAD 72 Triliun diralat sebagai APBD, bukan PAD oleh Kepala Dinas Pelayanan Pajak DKI Jakarta Iwan Setiawandi
  32. "Menlu Inggris dukung transparansi Jokowi"BBC (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২৮ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪ 
  33. Jordan, Ray (১৪ মার্চ ২০১৩)। "Transparansi Jokowi, Ini Dia Poster APBD 2013"Detik (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪ 
  34. Juwari, Ahmad (১৪ নভেম্বর ২০১২)। "Ini Alasan Jokowi Setuju Rapat Pemprov DKI Ditampilkan di Youtube"Detik (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৪ 
  35. Jokowi Siapkan Hadiah Mobil Bagi Pembeli di Blok G. Antara.19 March 2014
  36. Jokowi Tahun Ini Renovasi Empat Pasar Tradisional. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে merdeka. 19 March 2014
  37. Bosan Lihat Jokowi Mana Ahok Nih?. Kompas. 19 March 2014
  38. Jokowi Resmikan Lima Pasar Tradisional. Republika. 19 March 2014
  39. Diplomasi Makan Siang Jokowi dan Warga Waduk Pluit Berlanjut Pekan Depan. Detik. 22 March 2014
  40. Perdana Menteri Belanda Nilai Jokowi Pemimpin Hebat. merdeka. 15 March 2014
  41. BPBD: Berkat Kerja Jokowi Banjir 2014 Tak Separah 2013. Liputan6. 15 March 2014
  42. Jokowi and Prabowo both claim victory in early Indonesian election results . The Guardian. 10 July 2014. Retrieved 22 July 2014
  43. Yolanda Ryan Armindya (২২ জুলাই ২০১৪)। "KPU Postpones Election Results Announcement"Tempo (ইংরেজি ভাষায়)। ১ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  44. "Indonesia elections: Jakarta governor 'Jokowi' wins but rival rejects final results"The Daily Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  45. "Prabowo camp says PKS tally more accurate than KPU's"The Jakarta Post (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২২ জুন ২০১৪। ২৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  46. Joe Cochrane (২২ জুলাই ২০১৪)। "Joko Widodo, Populist Governor, Is Named Winner in Indonesian Presidential Vote"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৪ 
  47. Brummitt, Chris (মে ৪, ২০১৫)। "Wakeup Call for President Widodo"Bloomberg (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  48. "Indonesian economic growth continues decline as Q2 figures show drop to 2009 levels" (ইংরেজি ভাষায়)। Australian Broadcasting Corporation। ৭ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৫ 
  49. Sheridan, Greg (২৫ জুন ২০১৫)। "Indonesia's Jokowi presidency is becoming a desperate mess" (ইংরেজি ভাষায়)। The Australian। Newscorp। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  50. "Rupiah slides past 14000 per dollar"The Jakarta Post (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  51. "USD IDR Cross Rates" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৫ 
  52. Samosir, Agnes (২১ জুলাই ২০১৫)। "News Summary"ANU Indonesia Project (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  53. "Support grows for death penalty for corruption convicts" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  54. "Why You Shouldn't Smuggle Drugs In Indonesia" (ইংরেজি ভাষায়)। TestTube News। মার্চ ১৩, ২০১৫। 
  55. Ina Parlina, Margareth S. Aritonang and Severianus Endi (২১ জানুয়ারি ২০১৫)। "Jokowi refuses to budge on clemency issue"The Jakarta Post (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  56. "Penetapan Presiden Nomor 2 Tahun 1964"Pidana (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ১৭ এপ্রিল ১৯৬৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  57. Bachelard, Michael (২০১৫-০২-১৯)। "Bali nine executions: Indonesia's President did not have all the documents when he refused clemency" (ইংরেজি ভাষায়)। Sydney Morning Herald। Fairfax Media। 
  58. Claudia, Stoicescu (ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫)। "Indonesia's Executions of Drug Convicts Based on Faulty Stats" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Globe। ৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  59. Chris Nusatya in Jakarta, Toby Sterling in Amsterdam, and Silvio Cascione in Brasilia; Writing by Randy Fabi; Editing by Paul Tait (১৭ জানুয়ারি ২০১৫)। "Brazil, Netherlands recall Indonesia ambassadors after executions"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  60. http://www.bbc.com/news/world-latin-america-30866752
  61. Arshad, Arlina (২০১৫-০১-১৯)। "Brazil and the Netherlands recall ambassadors after Indonesian executions" (ইংরেজি ভাষায়)। Sydney Morning Herald। 
  62. "DECISION Number 2-3/PUU-V/2007" (পিডিএফ) (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Mahkamah Konstitusi। ১১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৫ 
  63. Bachelard, Michael (২ মে ২০১৫)। "Chan and Sukumaran execution 'illegal', but Indonesia ignores Australia again" (ইংরেজি ভাষায়)। Sydney Morning Herald। Fairfax। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  64. "Bali Nine executions, Indonesia responds to Australia withdrawing Ambassador" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  65. "Federal budget 2015: Foreign aid to Indonesia cut by nearly half, Africa aid down 70 per cent" (ইংরেজি ভাষায়)। Sydney Morning Herald। Fairfax Media। ১৩ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  66. Bachelard, Micheal (১২ আগস্ট ২০১৫)। "Schapelle Corby made it harder to save Andrew Chan and Myuran Sukumaran" (ইংরেজি ভাষায়)। Fairfax Media। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৫ 
  67. "Jokowi to Respond to Mary Jane's Clemency Appeal" (ইংরেজি ভাষায়)। Tempo.co। Tempo। ২৭ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  68. "France wants halt to execution of its citizen" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। ১৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  69. Cochrane, Joe (২৮ এপ্রিল ২০১৫)। "Indonesia Executes 8, Including 7 Foreigners" (ইংরেজি ভাষায়)। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  70. "Indonesia notifies convicts of execution, Frenchman granted temporary reprieve" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  71. Peter Alford, Brendan Nicholson (৫ মার্চ ২০১৫)। "Diplomacy doomed to fail Andrew Chan and Myuran Sukumaran"The Australian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫  line feed character in |লেখক= at position 15 (সাহায্য)
  72. "Indonesia executes drug smugglers by firing squad" (ইংরেজি ভাষায়)। Al Jazeera। Al Jazeera। ২৯ এপ্রিল ২০১৫। 
  73. Sarah Gill (৫ মার্চ ২০১৫)। "Capital punishment — Jokowi's twin policy positions" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫ 
  74. "Death Penalty Worldwide"Cornell University Law School (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  75. Aritonang, Margareth (২০১৫-০১-২৮)। "PDI-P lawmaker slams Jokowi's policies" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। 
  76. Ging Ginanjar (৯ এপ্রিল ২০১৫)। "Megawati tegaskan posisi PDIP atas Pemerintah Jokowi"বিবিসি ইন্দোনেশিয়া (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৫ 
  77. "Indonesian President Widodo under corrupt thumb of Megawati" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। 
  78. "Indonesia fuel prices rocket by 44% sparking protests" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC। BBC। ২২ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  79. Irviani, Koman (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "Jokowi fails to persuade SBY on fuel subsidy" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  80. "Indonesia—Moving in a New Direction"IMF Survey (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  81. Fitri Wulandari, Eko Listiyorini, Sharon Chen (ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪)। "Widodo Makes Biggest Change to Indonesia Fuel Subsidies: Economy"Bloomberg (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৫ 
  82. Dion Bisara, Muhamad Al Azhari (ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪)। "Jokowi Eyes Infrastructure Focus With Fuel Subsidy Cut"Jakarta Globe (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৮, ২০১৪ 
  83. "Indonesian infrastructure promises derailed" (ইংরেজি ভাষায়)। CNBC। Reuters। ১৮ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  84. "Jokowi tegaskan akan naikan harga BBM"Republika (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। 
  85. "Indonesia's New Foreign Policy - 'Thousand friends- zero enemy'" (ইংরেজি ভাষায়)। Institute for Defence Studies and Analyses। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  86. "The Trouble With Indonesia's Foreign Policy Priorities Under Jokowi" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  87. Prashanth Parameswaran (জানুয়ারি ১৩, ২০১৫)। "Explaining Indonesia's 'Sink The Vessels' Policy Under Jokowi" (ইংরেজি ভাষায়)। The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৫ 
  88. "Terapi kejut Jokowi bagi pencuri ikan asing" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। 
  89. Sara Gill (৫ মার্চ ২০১৫)। "Capital punishment — Jokowi's twin policy positions" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫ 
  90. "Indonesian president Reshuffles Cabinet to Boost Economy" (ইংরেজি ভাষায়)। Jakarta Post। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  91. "HM confers state decoration on Indonesian President" (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  92. "Jokowi Receives King Abdul Azis Medal" (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  93. Brian Baker (1 February 2013) Mayor of the Month for February 2013 – Joko Widodo (Jokowi) Governor of Jakarta. citymayors.com
  94. "Fortune ranks the World’s 50 Greatest Leaders" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে. Fortune. 20 March 2014
  95. 'Banyan: Mr Joko goes to Jakarta', The Economist, 8 June 2013.
  96. "Heavy metal-loving governor tipped for Indonesian presidency". inquirer.net.
  97. Napalm Death's Barney Greenway urges metal fan President Widodo to show mercy to British death row grandmother Lindsay Sandiford The Independent
  98. Jokowi Nonton Konser Rock hingga ke Solo. regional.kompas.com. 3 November 2013
  99. Anggriawan, Fiddy (২০ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Jokowi Kenalkan Adik dan Ibu Kandungnya ke Publik"Okezone.com (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪ 
  100. ngapocak (20 June 2013). "Jokowi (2013)". IMDb.
  101. 'Tak Ada Izin, Jokowi Keberatan Film "Jokowi" ', Kompas, 22 May 2013.

আরও পড়ুন সম্পাদনা

১. Majeed, Rushda (2012). "The City With a Short Fuse." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে Foreign Policy. September. (ইংরেজি ভাষায়)
২. Majeed, Rushda (2012). "Defusing a Volatile City, Igniting Reforms: Joko Widodo and Surakarta, Indonesia, 2005–2011." Innovations for Successful Societies. Princeton University. Published July. (ইংরেজি ভাষায়)
৩. McCawley, Peter (2014). Joko Widodo's Indonesia: Possible future paths, Australian Strategic Policy Institute, Canberra. (ইংরেজি ভাষায়)

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
সালামত সুরইয়ানতু
সুরাকার্তা‌র মেয়র
২০০৫–২০১২
উত্তরসূরী
এফ. এক্স. হাদি রুদইয়াতমু
পূর্বসূরী
ফাউজি বোয়ো
জাকার্তার গভর্নর
২০১২–২০১৪
উত্তরসূরী
বাসুকি জাহাজা পুরনামা
পূর্বসূরী
সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি
২০১৪–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি