জিৎ রাভাল
জিৎ অশোক রাভাল (গুজরাটি: જીત રાવલ; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৮) গুজরাতের আহমেদাবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিৎ অশোক রাভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আহমেদাবাদ, গুজরাত, ভারত | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৬ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭১) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ জানুয়ারি ২০২০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - ২০২০ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২/১৩ | সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৮ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ জানুয়ারি, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জিৎ রাভাল। দলে তিনি মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি।
শৈশবকাল
সম্পাদনাভারতীয় উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলের সাথে একই বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। এরপর, আট বছর অকল্যান্ড ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
ভারতের আহমেদাবাদে জিৎ রাভালের জন্ম ও সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল অতিক্রম করেন। কাকাতো ভাইদেরকে নিয়ে খোলা মাঠে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন।[১] পরবর্তীতে গুজরাতের অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন।[২] গুজরাতের পক্ষে নিজস্ব প্রথম খেলায় মিডিয়াম-পেস বোলিং করেন। তবে, নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিশের অধিক রান তুলে দলকে প্রায় পরাজয়বরণ করা থেকে রক্ষা করতে অগ্রসর হয়েছিলেন। পরের খেলায় তার কোচ তাকে উপরের দিকের অবস্থানে নিয়ে আসলে শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর থেকেই তিনি ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটাতে শুরু করেন।[১][৩][৪]
১৬ বছর বয়সে তার পরিবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে চলে যায়। শুরুতে ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে তাকে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। সাবওয়েতে চাকুরীর চেষ্টা চালান। তবে, সিভি কি জিনিস তা বোঝার ক্ষমতা তখন তার ছিল না।[৫] তার পিতা পেট্রোল স্টেশনে কাজ করতে শুরু করেন। এ সময়ে সেখানে তিনি সাবার্বস নিউ লিন ক্রিকেট ক্লাবের শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত কোচ কিট পেরেরা’র সাথে পরিচিত হন।[৫] ২০০৪ সালের শেষদিকে তিনি ঐ ক্লাবের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। পাশাপাশি অ্যাভোনডেল কলেজে পড়াশুনো চালিয়ে যেতে থাকেন।[১][২] তিনি বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, অকল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। পরবর্তীতে ঐ দলটির পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও সদস্য হয়েছিলেন তিনি।[১] এরফলে, নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষেও তাকে খেলার জন্যে নির্বাচিত করা হয়। এ সময়ে তাকে সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার দীপক প্যাটেল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতেন।[২] এ সময়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার ফলে সীমাবদ্ধতা আসে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি।[১]
ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে যুবদের টেস্ট সিরিজ ও ওডিআই সিরিজ খেলেন। তন্মধ্যে, তৃতীয় টেস্টে ৭০ ও ৮৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ সিরিজে তিনি নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।[৫][৬][৭] ঐ সিরিজেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সংস্কৃতির সাথে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। এছাড়াও, ভারতের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ড দলে খেলার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়।[৫] তবে, ওডিআইগুলোয় সুবিধে করতে পারেননি তিনি। দুই খেলায় তিনি মাত্র ৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[৮]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা২০০৮ সাল থেকে জিৎ রাভালের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। সঠিকমানসম্পন্ন বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে জিৎ রাভাল মাঠের অধিকাংশ এলাকা দিয়েই স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটাতে সক্ষম। সিম বোলিংয়ের বিপক্ষে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিলেও স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে তার বেশ দূর্বল মনোভাব রয়েছে।
ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জিৎ রাভালের। খেলায় প্রতিপক্ষ ছিল সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশ।[৯] পরবর্তী আট মৌসুমে অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। তন্মধ্যে, এক মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন।[১০]
ঐ মৌসুমের শেষদিকে মার্চ, ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রথম-শ্রেণীর ঘরোয়া প্রতিযোগিতা স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপে অকল্যান্ডের পক্ষে নিজের প্রথম খেলায় অংশ নেন। নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর দ্বিতীয় খেলায় দ্বি-শতক হাঁকান তিনি। দশ ঘণ্টারও অধিক সময় নিয়ে ২৫৬ রান তুলে অকল্যান্ডের পক্ষে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[১১][ক] ২০০৯-১০ মৌসুমে অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথমবারের মতো চুক্তিবদ্ধ হন।[১৪]
স্বর্ণালী সময়
সম্পাদনা২০১৫ সালের মধ্যে ৫৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে সাড়ে তিন হাজারের অধিক রান তুলেন ও প্রায় প্রত্যেক মৌসুমেই নিয়মিতভাবে ৪০ ঊর্ধ্ব গড়ে রান পেয়েছেন।[২][১৫] বিশেষ করে ২০১৫-১৬ মৌসুমে তার স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত হয়। ১০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৫৯.৭৬ গড়ে ১০১৬ রান তুলেছেন। ঐ মৌসুমে অকল্যান্ড দল প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয় করে। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান তিনি।[১৫][১৬]
জুন, ২০২০ সালে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঘিরে তাকে চুক্তিতে নিয়ে আসে।[১৭][১৮]
দৃঢ়চিত্তে অকল্যান্ড দলের পক্ষে বেশ কয়েক বছর খেলেন। এরপর, ২০১৬ সালে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে আমন্ত্রণ জানায়। নিয়মিতভাবে শতরানের সন্ধান পাননি। আট মৌসুমের মধ্যে কেবলমাত্র একবারই তার গড়ে ৪০-এর কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। ২০১৫-১৬ মৌসুমে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে তাকে টেস্ট দলের সদস্য করা হয়। ঐ মৌসুমে ৫৯.৭৬ গড়ে রান তুলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চব্বিশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জিৎ রাভাল। ১৭ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এখনো তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্যে মনোনীত হন। শুরুতে তিনি বেশ হিমশিম খান। ১৭ টেস্টে সাতটি অর্ধ-শতক হাঁকানোর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম শতরানের সন্ধান পান।
জুন, ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের সদস্য করা হয়। জুলাই ও আগস্ট মাসে এ সফরগুলোর আয়োজন করা হয়েছিল।[১৯] তবে, উভয় সফরেই তাকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কোন খেলায় অংশগ্রহণ করানো হয়নি। পাশাপাশি, একই মৌসুমে ভারত গমনার্থেও তাকে দলে রাখা হয়নি।[২০] এর কারণ হিসেবে তার স্পিন বোলিংয়ে উপর দূর্বলতাকে দায়ী করা হয়।[২১]
অবশেষে নভেম্বর, ২০১৬ সালে নিজ দেশে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত করা হয়। তিনি ক্রমশঃই দূর্বলতর ব্যাটিংশৈলীর অধিকারী মার্টিন গাপটিলের স্থলাভিষিক্ত হন।[২১] জিৎ রাভাল নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর প্রথম দিন শেষে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন।[২২] দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, ইয়াসির শাহের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়সূচক রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[২৩] ঐ খেলায় তিনি চারটি ক্যাচ মুঠোয় পুড়েন। অভিষেক খেলায় উইকেট-রক্ষকবিহীন যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় খেলোয়াড়ের মধ্যে এটি সর্বাধিক।[২৪][২৫]
দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি
সম্পাদনাটেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম কয়েক বছর কোন শতরানের ইনিংস খেলতে পারেননি। প্রথম সাত টেস্টে তিনি পাঁচটি অর্ধ-শতক করেছিলেন। নিজস্ব প্রথম মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৮ রান তুলে শতরানের কাছাকাছি অবস্থানে এসেছিলেন।[২৬] ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৪৪.৮১ গড়ে ৪৯৩ রান তুলেন।[২৭] এরফলে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, নিল ব্রুমসহ তাকে ২০১৭-১৮ মৌসুমকে ঘিরে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় আনে।[২৮] ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৪ রান করেন। আবারো তাকে শতরান করা থেকে নিরাশ হতে হয়।[২৯]
ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে ঘরোয়া পর্যায়ের একদিনের খেলায় অকল্যান্ডের পক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে ক্যান্টারবারির ফাস্ট বোলার অ্যান্ড্রু এলিসের বলে ছক্কা হাঁকান। তিনি সরাসরি বোলারের মাথার উপর দিয়ে লং-অফ এলাকা দিয়ে এ সফলতা পান। তাসত্ত্বেও, অ্যান্ড্রু এলিস বোলিং চালিয়ে যান ও ১৪৯ রান সংগ্রহ করে তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন জিৎ রাভাল।[৩০][৩১] মে, ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃক ২০১৮-১৯ মৌসুমকে ঘিরে নতুন করে বাইশজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে চুক্তির আওতায় আসেন।[৩২] আগস্ট, ২০১৮ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিতে ইয়র্কশায়ার দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি সতীর্থ আঘাতপ্রাপ্ত নিউজিল্যান্ডীয় কেন উইলিয়ামসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[৩৩]
শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি
সম্পাদনা২০১৮ সাল শেষে তার ব্যাটিং গড় বেশ নিম্নে চলে যায়। বক্সিং ডে টেস্টে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজস্ব সপ্তম অর্ধ-শতক হাঁকানোর পূর্বে তার গড় ছিল ১৯.৯০। আবারো তিনি তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শে ব্যর্থ হন। তবে, ঐ বছরে তার ব্যাটিং গড়কে ২৩.২৫-এ নিয়ে যেতে সমর্থ হন।[২৭][৩৪][৩৫]
মার্চ, ২০১৯ সালে অবশেষে নিজস্ব সপ্তদশ টেস্টে প্রথম শতক হাঁকান তিনি। সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ১৩২ রান করেন। এ পর্যায়ে টম ল্যাথামের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এরফলে, শতক হাঁকানোর পূর্বে যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যানের তুলনায় সর্বাধিকসংখ্যক অর্ধ-শতরান করেছিলেন।[৩৪][৩৬][৩৭] এ জুটির সংগৃহীত রান প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ ও যে-কোন দলের বিপক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।[৩৪]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ৯ মে, ২০১৬ তারিখে আহমেদাবাদে সুরভী নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ইউরোপে তারা মধুচন্দ্রিমা উপভোগ করেন। তবে, নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্তির ফলে তাকে দ্রুত দেশে ফিরে আসতে হয়।[৩৮]
পাদটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Sharma, Shwati (৮ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Jeet wins hearts with the bat"। Indian Weekender। ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ Abraham, Derek (১৬ মার্চ ২০১৫)। "Jeet Raval: The 'Rahul Dravid' of Auckland"। Daily News and Analysis। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Mumbai Under-15s v Gujarat Under-15s in 2002/03" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Gujarat Under-15s v Baroda Under-15s in 2002/03" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ Moonda, Firdose (২৭ মার্চ ২০১৭)। "The making of a Kiwi"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand Under-19s vs India Under-19s 3rd Youth Test 2007 - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "India Under-19s in New Zealand Youth Test Series, 2006/07 - New Zealand Under-19s Cricket Team Records & Stats"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "India Under-19s in New Zealand Youth ODI Series, 2006/07 - New Zealand Under-19s Cricket Team Records & Stats"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Full Scorecard of Auckland vs West Indians Tour Match 2008 - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "First-Class Matches played by Jeet Raval" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Seconi, Adrian (৯ এপ্রিল ২০০৯)। "Cricket: Youngsters give NZ's frazzled fans reason to hope"। Otago Daily Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Full Scorecard of Otago vs Auckland, State Championship, 2nd Innings - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of Auckland vs Central Districts, State Championship, 2nd Innings - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Millmow, Jonathan (২৯ জুলাই ২০০৯)। "New Wellington cricket signings please coach"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ Fernando, Andrew Fidel। "Jeet Raval - Check Raval's News, Career, Age, Rankings, Stats"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "First-class Batting and Fielding in Each Season by Jeet Raval" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Daryl Mitchell, Jeet Raval and Finn Allen among major domestic movers in New Zealand"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০।
- ↑ "Auckland lose Jeet Raval to Northern Districts, Finn Allen to Wellington in domestic contracts"। Stuff। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০।
- ↑ "New Zealand pick India-born opener Jeet Raval in Test squad for Zimbabwe, South Africa tours"। The Indian Express। ১০ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Jimmy Neesham recalled into Black Caps squad for India Tests"। TVNZ। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ Geenty, Mark (১০ নভেম্বর ২০১৬)। "Time for change: Jeet Raval grabs opener's slot from 'inspiration' Martin Guptill"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Leggat, David (১৯ নভেম্বর ২০১৬)। "A glorious day for the debutants"। Otago Daily Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Jeet Raval, Colin de Grandhomme shine on debut, help New Zealand beat Pakistan"। Hindustan Times। ২০ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Seervi, Bharath (২০ নভেম্বর ২০১৬)। "Man of the Match on debut, and a disappointing first for Yasir"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs Pakistan 1st Test 2016 - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Anderson, Ian (২৭ মার্চ ২০১৭)। "Maiden ton eludes Jeet Raval as Black Caps put pressure on South Africa"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Batting records | Test matches | Cricinfo Statsguru"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Jeet Raval, Colin de Grandhomme, Neil Broom earn New Zealand contracts"। The New Indian Express। ২৩ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Webber, Tom (৯ ডিসেম্বর ২০১৭)। "New Zealand vs West Indies: Jeet Raval relaxed as century wait continues in Hamilton"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Kiwi ace slams six ... via bowler's head"। cricket.com.au। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Basu, Ritayan (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Ball hits bowler's head but flies for a six in 50-over match in New Zealand"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Todd Astle bags his first New Zealand contract"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৮।
- ↑ "Jeet Raval: Yorkshire sign New Zealand batsman for the rest of the 2018 season"। BBC। ১৭ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ Pearson, Joseph (১ মার্চ ২০১৯)। "Jeet Raval and Tom Latham score centuries as Black Caps punish hapless Bangladesh"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs Sri Lanka 2nd Test 2018 - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Tom Latham, Jeet Raval hit tons as New Zealand dominate Bangladesh"। The New Indian Express। ১ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Full Scorecard of New Zealand vs Bangladesh 1st Test 2019 - Score Report"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Geenty, Mark (১৪ জুলাই ২০১৬)। "Black Caps callup follows Jeet Raval's 'big fat Indian wedding' in dream year"। Stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জিৎ রাভাল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জিৎ রাভাল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)