ক্রিস ডাকওয়ার্থ
ক্রিস্টোফার অ্যান্থনি রাসেল ডাকওয়ার্থ (ইংরেজি: Chris Duckworth; জন্ম: ২২ মার্চ, ১৯৩৩ - মৃত্যু: ১৬ মে, ২০১৪) দক্ষিণ রোডেশিয়ার কিউ কিউ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ক্রিস্টোফার অ্যান্থনি রাসেল ডাকওয়ার্থ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিউ কিউ, দক্ষিণ রোডেশিয়া | ২২ মার্চ ১৯৩৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ মে ২০১৪ জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯৬) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ মার্চ ১৯৫৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫২/৫৩ - ১৯৫৩/৫৪ | নাটাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৪/৫৫ - ১৯৬২/৬৩ | রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে রোডেশিয়া ও নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ক্রিস ডাকওয়ার্থ।
শৈশবকাল
সম্পাদনাদক্ষিণ রোডেশিয়ার কিউ কিউ এলাকায় ক্রিস ডাকওয়ার্থের জন্ম।[১] চ্যাপলিন হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি।[২] পরবর্তীতে, নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। এছাড়াও, রোডেশিয়ার পক্ষে হকি খেলাসহ নাটাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে রাগবি ও জোহেন্সবার্গের লীগ টেনিসে অংশ নিয়েছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত ক্রিস ডাকওয়ার্থের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে পরবর্তী দুই মৌসুম ক্রিস ডাকওয়ার্থ নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পিটারমারিৎজবার্গে নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে রোডেশিয়ায় ফিরে যান।
১৯৬৩ সালের গ্রীষ্মের মধ্যভাগে রোডেশিয়ার দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে জাতীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভূক্তির কথা জানালেও তিনি এ প্রস্তাবনা ফেরৎ দেন। পরিবার নিয়ে দক্ষিণআফ্রিকায় অভিবাসিত হন। জোহেন্সবার্গে জন ওয়েটের আমন্ত্রণে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে ওয়ান্ডারার্স দলে খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ক্রিস ডাকওয়ার্থ। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১ মার্চ, ১৯৫৭ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৫ ও ১৯৬০ সালে - এ দুইবার বিদেশ সফরে যান। উভয়টিই ইংল্যান্ডে সংরক্ষিত উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু কোন সফরেই তাকে টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি।[৩][৪] ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল জয়লাভ করে। জোহেন্সবার্গের ওয়ান্ডারার্সে সিরিজের চতুর্থ ও পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কের পঞ্চম টেস্টে সফলতা পায় স্বাগতিক দল। অধিনায়ক ক্লাইভ ভন রাইনেভেল্ড উভয় খেলা শেষে স্মারকসূচক স্ট্যাম্প প্রদান করেন।[৫] তবে, ১৯৫৫ সালের সফরে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। ঐ সফরে দলীয় অধিনায়ক জ্যাক চিদাম তার রচিত গ্রন্থ ‘আই ডিক্লেয়ারে’ উল্লেখ করেছেন যে, ডাকওয়ার্থ কয়েকটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। সম্ভবতঃ নর্দাম্পটনেই তিনি এ সফরের সেরা খেলা উপহার দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাদের পক্ষে ৩৩ খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, ২১বার বিজয়ী দলের সদস্য ছিলে। কেবলমাত্র দুই খেলায় পরাজিত হয় তার দল। উভয়টিই ১৯৬০ সালের সফরে হয়েছিল। একবার নর্দাম্পটনে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১ রান করলে জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ দুঃসাহসীচিত্তে ১০১/৭ ইনিংস ঘোষণা করেন। অপরটি ব্রিস্টলের ঘাষেপূর্ণ উইকেটে ছিল।[৬]
১৬ মে, ২০১৪ তারিখে ৮১ বছর বয়সে জোহেন্সবার্গ এলাকায় ক্রিস ডাকওয়ার্থের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Chris Duckworth" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১১।
- ↑ Winch, Jonty, Cricket's Rich Heritage: a History of Rhodesian and Zimbabwean Cricket 1890-1982, Books of Zimbabwe, Bulawayo, 1983, p. 199.
- ↑ Preston, Norman (১৯৫৬)। "South Africans in England, 1955"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ – ESPNcricinfo-এর মাধ্যমে।
- ↑ Preston, Norman (১৯৬১)। "South Africans in England, 1960"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ – ESPNcricinfo-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Cricket SA pays tribute to Chris Duckworth"। The Citizen। South African Press Association। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪।
- ↑ Wisden 1956, pp. 220-68, Wisden 1961, pp. 264-308.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ক্রিস ডাকওয়ার্থ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ক্রিস ডাকওয়ার্থ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)